'বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিস সময় পরিবর্তনে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা'
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হলেও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকা প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত যেভাবে অফিস চলছে সেভাবেই চলবে। তবে পরিস্থিতি জটিল হলে তখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা। সেটা যদি অফিস সময়সূচিতে পরিবর্তন না এনে অর্থাৎ সার্বক্ষণিক খোলা রেখে করা যায় তাতে তো কোনো সমস্যা নেই। যদি দেখা যায় বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে তাহলে আমাদের আরও সাশ্রয়ী হতে হবে। তখন পরিস্থিতি বুঝে আমরা অফিস সময়সূচি কমিয়ে আনতে পারি। ভার্চ্যুয়াল অফিস চালু করতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কথা বলেছেন। আমরা বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের এখন সতর্ক হওয়ার সময়। শুধু সরকারি পর্যায়ে অফিস আদালতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করলে হবে না, দেশের সবাইকে এই কাজ করতে হবে। আপনার বাসার অপ্রয়োজনীয় বাতি নিভিয়ে রাখতে হবে। সবার চেষ্টাতেই আমরা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।
মন্ত্রণালয়গুলোকে কোনোরকম লিখিত বার্তা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, না, সেরকম এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। তবে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের বৈঠকের পর এরকম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সব সচিবদের বলব তারা যেন নিজ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের দিকে বিশেষ নজর দেন। সব জায়গায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে কি না সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু সচিবদের নির্দেশনা নয়, দেশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। যাতে করে প্রতিটি দপ্তরে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সতর্ক হতে হবে।
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, আমরা চাই সব কাজ স্বাভাবিক রাখতে। যতক্ষণ পর্যন্ত রাখা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক রাখব। পরে প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেব। মনে রাখতে হবে, সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। অসময়ে করলে হবে না। অর্থাৎ সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়।
এনএইচবি/এসজি/