শিশুশ্রমের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শিশু শ্রমের বিষয়ে জিরো টলারেন্স মেনে চলছে বলে জানিয়েছেন ইইউ পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিটির প্রতিনিধি দলের প্রধান হিদি হাউতালা।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ডিকাব টকে একথা বলেন হিদি হাউতালা।
হিদি হাউতালা বলেন, বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম ইস্যুতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এক দশকে ইইউ'তে বাংলাদেশের বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানান তিনি।
শ্রমিকদের অধিকার মেনে চলার বিষয়টি মানবাধিকারের সঙ্গে জড়িত মন্তব্য করে হিদি হাউতালা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু সাংবাদিক নয়, অনেক ক্ষেত্র এর অপব্যবহার হচ্ছে। আমরা কর্মকর্তাদের সঙ্গেে এ নিয়ে কথা বলেছি।
রবিবার (১৮ জুলাই) চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসে ইইউ প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন-হিদি হাউতালা, জোসে ম্যানুয়েল মারগালু, সেভেন সিমন, অ্যাজেন্স জনরিয়ার্স, জর্দি কানানস, প্যারেস, ম্যাক্সিমিলান কারাহ। তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় কমিশনের এক্সটার্নাল পলিসি বিভাগের দুইজন এবং পলিটিক্যাল গ্রুপের তিনজন এজেন্ট রয়েছেন।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বদলে গেছে মন্তব্য করে প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ম্যাক্সিমিলান কারাহ বলেন, এজন্য শ্রমিক অধিকার থেকে আরম্ভ করে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় সংস্কার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে হিদি হাউতালা বলেন, বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের বিশেষ করে তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার ইইউ। বাজারটিতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি পায় বাংলাদেশ।
ইইউ পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিটির প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে এলডিসির তালিকা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। তারপর আরও তিন বছর ইইউর বাজারে জিএসপি বজায় থাকবে।
তাতে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাজারটিতে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে না জানিয়ে হিদি হাউতালা বলেন, পরবর্তীতে এ সুবিধা পেলে ইইউয়ের শর্তগুলো মেনে চলতে হবে যা আমরা ধারাবাহিকভাবে মনিটরিং করছি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে হিদি হাউতালা বলেন, ইইউ পরিস্কারভাবে বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। কারণ এ যুদ্ধের ফলে খাদ্য ও জ্বালানির যে সংকট দেখা দিয়েছে তা শুধু ওই দুটি দেশে নয় গোটা বিশ্ব আক্রান্ত হয়েছে।
আরইউ/এমএমএ/