মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট বাতিলসহ ১০ দফা দাবি
সিন্ডিকেট পদ্ধতি বাতিল, সব এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট, বায়রার একাংশ। সোমবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। নেতারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও বিচারের দাবি জানান।
১০ দফা দাবি অন্য দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির ‘সার্বভৌমবিরোধী’ ধারা সংশোধন, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক রফতানিতে এসডব্লিউসিএমএস সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২২ সালের ২জুন জেডডাব্লিউজি মিটিংয়ে গৃহীত এসওপি বাতিল বা সংশোধন করা এবং দূতাবাস, বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ে এসডব্লিউসিএমএস-কে অফিস খোলার অনুমতি বাতিল করতে হবে।
এই সিন্ডিকেটের কারণে যে উদ্দেশ্য নিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি খোলা হচ্ছে, তা চরমভাবে ব্যহত হবে দাবি করে লিখিত বক্তব্যে বায়রার (একাংশ) সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ব্যবসা বাণিজ্যে সুষ্ঠু, সুন্দর, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ টিকিয়ে রাখা এবং আরও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে একটি আইন প্রণয়ন করে। এটিই কমপিটিশন আইন-২০১২ নামে পরিচিত। আমরা আইএলও সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ।
মোহাম্মদ ফারুক বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক রফতানি উল্লিখিত দুইটি আইনের পরিপন্থী। সরকারের নিরাপদ ও টেকসই অভিবাসন নীতিরও পরিপন্থী।
সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজ-উল ইসলাম, মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরইউ/