প্রথমে ১ ঘণ্টা, পরে ২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং: প্রতিমন্ত্রী
সারাদেশে প্রথমে এক ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হবে প্রতিদিন। এভাবে এক সপ্তাহ দেখা হবে। এটা পরীক্ষামূলক। তারপর দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও জ্বালানি আমদানি সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য এটা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল থেকেই শুরু করব। এক সপ্তাহ দেখব। এক সপ্তাহ লোডশেডিং দিয়ে বুঝব যে অফপিক আওয়ারে লোডশেডিং দিলেই হবে নাকি পিক আওয়ারে দিতে হবে। অথবা পিক-অফপিক মিলিয়ে লোডশেডিং দিলে হবে। এটা এক সপ্তাহ পরীক্ষামূল দিয়ে দেখা হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, সব উপাসনালয়েই এসি ব্যবহারে মিতব্যায়ী হতে হবে। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় এসি ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
সরকারি অফিসে বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিয়ে বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি অফিসেও এসি কম ব্যবহার করতে হবে। মিটিংগুলো অনলাইন করতে হবে। করোনার কারণে ইতিমধ্যে আমরা দুই বছর মিটিং অনলাইনে করে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
সপ্তাহে একদিন পেট্রলপাম্প বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেট্রলপাম্প বন্ধের ব্যপারে মালিক পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে বাংলাদেশ প্রেট্রলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বসবে। তারা আলোচনা করে দেখবে যে সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখা যায় কি না। পাম্প বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ডলার সাশ্রয়ের জন্য ২০ শতাংশ কম ডিজেল আমদানি করতে হবে জানান প্রতিমন্ত্রী। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর ফলে কত ডলার সাশ্রয় হবে সেটা বিপিসিকে হিসাব করতে বলেছি। তারা জানাবে। তবে ভালই সাশ্রয় হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজেলচালিত পাওয়া প্ল্যান্টগুলো সম্পূর্ন বন্ধ থাকবে। এতে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদিত হবে। তাই লোডশেডিং দিতে হবে।
লোডশেডিং শিল্প এলাকায় যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, শিল্প এলাকা বাদ দিয়ে লোডশেডিং দেওয়া হবে। উৎপাদন যাতে বন্ধ না হয় সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ করে দায়ী করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বেই একই অবস্থা। অনেকগুলো দেশ এই যুদ্ধের কারণে সংকটে পড়েছে। সুতরাং এই সমস্যা বাংলাদেশের একার না।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে যাব। বিশ্বের সমস্ত দেশই কোনো না কোনোভাবে এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।’
আরইউ/এমএমএ/