শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিলংয়ে যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করলেন রণাঙ্গনের যোদ্ধারা

মেঘ-পাহাড়ের দেশ মেঘালয়ের শিলংয়ে পা রেখেই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে গেলেন ৫০ বছর আগে। ১৯৭১ এর সেই দিনগুলোতে। যেদিন কাঁধে কাঁধ রেখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। টগবগে তরুণরা। তাদের সঙ্গে স্মৃতিচারণে মেতে উঠলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় যোদ্ধারাও। তখন কে কোথায় ট্রেনিং নিয়েছিলেন, কীভাবে যুদ্ধ করেছিলেন কিংবা যুদ্ধের শহীদ সহকর্মীদের দাফন কাফনে ব্যস্ত ছিলেন।

যুদ্ধ দিনের সেইসব স্মৃতি মনে করে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তাদের মেলবন্ধনে অন্যরকম এক পরিবেশের সৃষ্টি হল শিলংয়ের হোটেল পাইনউডে।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং হচ্ছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম স্মৃতি বিজড়িত স্থান। সেখানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে রণাঙ্গানের বীর সেনানিরা একত্রিত হয়েছিলেন রবিবার (১৭জুলাই)।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর শিলংয়ে একত্রিত হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্য সরকারের সৌজন্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশের ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এতে অংশ নেন আসাম-মেঘালয় অঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের কয়েকজনের স্বজনও।

মুক্তিযুদ্ধের সময় এদের কেউ ছিলেন স্কুল ছাত্র, কেউ বা কলেজ ছাত্র, কেউ কৃষক। যে যে পেশাই ছিলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের ৭ই মার্চের সাড়া জাগানো ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে নাম লিখিয়েছিলেন, প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন শিংলয়ে। প্রশিক্ষণ শেষে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোতে সবাই ছিলেন টগবগে যুবক। এখন বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। কিন্তু তাদের স্মৃতি থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি একমুহূর্তর জন্যও হারিয়ে যায়নি।

হোটেল পাইনউডে বাংলাদেশ ও ভারতের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই মিলনমেলায় মুক্তিযুদ্ধকালের লড়াই-সংগ্রাম, দুঃখ-কষ্ট, আবেগ-অনুভূতির স্মৃতিচারণ করতে করতে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী (বীর বিক্রম)। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ভারতের মানুষকেও ছুঁয়েছিল। আসাম-মেঘালয়সহ সারা ভারতের মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি ভারতের ১১ শতাধিক সেনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন।

শমসের মুবিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শিলংয়ে ৫২ জন শহীদকে সমাহিত করা হয়েছিল। শিলংয়ে এই শহীদদের সমাধিস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরাসহ আরও যেখানে শহীদরা সমাহিত হয়েছেন, সেখানেও যেন এমন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। এই ইতিহাসগুলো পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও পৌঁছে দিতে হবে, যেন এই সম্পর্কের শেকড় সবাই জানে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল শিলংয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ স্বাধীন করার লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার স্মৃতিচারণ করে বলেন, এই শিলংয়ে এসেছিলাম ১৯৭১ সালের মে মাসে, টগবগে যুবক তখন এসেছিলাম যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে। আর এখন এলাম বন্ধু ভারত সরকারের আমন্ত্রণে।
শিলংয়ের মানুষের সেই সময়ের সহযোগিতা আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কখনো ভুলতে পারব না। এত বছর পর সেই স্মৃতির জায়গায় আসতে পেরে ভীষণ গর্ববোধ হচ্ছে, ভীষণ আনন্দ হচ্ছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব এলাহী (বীর প্রতীক) তুরা জেলার মারগারচর ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আসাম-মেঘালয়সহ ভারতের এসব এলাকা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি। এই তীর্থভূমি থেকে এখানকার মানুষের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তারপর দেশ স্বাধীন করার লড়াইয়ে নেমেছেন।

তীর্থভূমিতে এসে সেই সময়ের স্মৃতিচারণের সুযোগ দেওয়াটাকে সম্মানের উল্লেখ করে তিনি এই আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল খাঁ মা-বাবার বাধা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, যেই আবেগ নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, দেশ গড়তে সেই আবেগ ধারণ করতে হবে তরুণ প্রজন্মকেও।

অনুষ্ঠানে আরও স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, এম ফরিদুজ্জামান খান, মো. হারুন উর রশীদ, নাজমুল হাসান পাখি, গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস, হাজী আবদুল জলিল, শফিকুল বাহার মজুমদার, আলহাজ শরীফ উদ্দীন, মো. শাহজাহান, আবুল বাশার, আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি (বীর প্রতীক)।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনস্বীকার্য ভূমিকার জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন শিলংয়ের তিন ভাই-বোন আহমেদ হোসাইন, আফজাল হোসাইন ও আশরাফী বেগম। এদের মধ্যে দুই ভাইও ছিলেন অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া ছিলেন আরেক পুরস্কারপ্রাপ্ত বীরসেনানি অঞ্জলি লাহিড়ীর ভাগ্নে সুরজিৎ ও কয়েকজন ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধার স্বজন।

আটাশি বছর বয়সী আহমেদ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫২ শহীদের মরদেহ আসে শিলংয়ে। তাদের শিলং মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই ইতিহাস অনেকেরই অজানা।

একটি ঘটনা তাকে অনেক বেশি নাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে আহমেদ হোসেন বলেন, একদিন একটি লাশ এলো, বস্তা খুলে দেখি ১২-১৩ বছরের কিশোর, তার বুকে গুলি, এই ঘটনা আমাকে বেশ আলোড়িত করে। এমন বাচ্চাদেরও হত্যা করতে পারল হানাদার বাহিনী? এই ঘটনাই আমাকে মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, আমার ধারণা ছিল মুক্তিযুদ্ধে নিশ্চয়ই বড় কেউ অংশগ্রহণ করবে, বাচ্চারা সেখানে আক্রমণের শিকার হবে সেটা আমার ধারণা ছিল না। সেদিন ১২ বছরের যুবকের মরদেহ দেখে আমি আপ্লুত হয়ে যাই। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখিনি তখন অনেক ছোট ছিলাম। কিন্তু যখন বাংলাদেশের মানুষটা আক্রান্ত হল তখন আর বসে থাকিনি। পেশায় একজন ফটোগ্রাফার আহমেদ হোসেনের সংগ্রহে কয়েক হাজার ছবি রয়েছে।

এ সময় কর্নেল সাজ্জাদ জহির, ক্যাপ্টেন আনোয়ারসহ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তার স্মৃতি বর্ণনা করেন আহমেদ হোসাইন।

এসএম/এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি