অস্ত্র নয়, বিধ্বস্ত বিমানে ছিল মর্টার শেল: আইএসপিআর
বাংলাদেশে আসার পথে গ্রিসের কাভালা শহরের কাছে বিধ্বস্ত কার্গো বিমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) জন্য কেনা মর্টার শেল ছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রবিবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে গণমাধ্যমে আইএসপিআর একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে।
এতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেজ (ডিজিডিপি) বরাতে বলা হয়, ক্রয় চুক্তির আওতায় কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্থ হয়েছে। উক্ত চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং উক্ত চালানটি বীমার আওতাভুক্ত।
এর আগে শনিবার (১৬ জুলাই) গভীর রাতে গ্রিসে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। আন্তোনভ অ্যান-১২ মডেলের বিমানটি ইউক্রেনের মালিকানাধীন। বিমানে থাকা ৮ ক্রুর সবাই নিহত হয়েছেন। তারা ইউক্রেনের নাগরিক ছিলেন।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিচ বলেন, বিমানটি ১২ টন ওজনের প্রতিরক্ষা শিল্পের মালামাল ছিল। বিমানে থাকা সমরাস্ত্রগুলো সার্বিয়ায় তৈরি। বিমানের গন্তব্য ছিল ঢাকা। তবে ঢাকায় পৌঁছানোর আগে কার্গো বিমানটি জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারতে যাত্রা বিরতি নেওয়ার কথা ছিল।
কয়েকটি ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটি অবতরণের আগেই তাতে আগুন ধরে যায় এবং নামার পরপরই বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরিত হয়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলে পাইল কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু রানওয়েতে পৌঁছানোর আগেই সেটি বিধ্বস্ত হয়।
গ্রিসের যে এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেই এলাকার আশেপাশের বাসিন্দাদের জানালা ও দরজা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ঘটনাস্থল এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এসজি/