কাঁঠাল রপ্তানিতে ব্যপক সম্ভবনা, কেউ এগিয়ে আসছে না: কৃষিমন্ত্রী
কাঁঠাল রপ্তানিতে ব্যপক সম্ভবনা দেখছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কাঁঠালের যে এত সম্ভাবনা আগে জানতাম না। লক্ষ টন নাকি রপ্তানি করা যায়। কাঁঠাল দিয়ে স্যান্ডউইচ বানাচ্ছে। এ জন্য কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না।
স্কয়ারকে যদি বলি ইমিডিয়েটলি চলেন ইনভেস্ট করি; করবে না। এরা দুনিয়ার স্ট্যাডি করবে এই করবে সেই করবে। যেকোনো একটা নির্দিষ্ট জিনিস নিয়ে এগোতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিখাতে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) নিয়ে সভা শেষে এ কথা তিনি বলেন।
এ সময় কৃষি সচিব মো. সাইদুর রহমানসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় দেশের বড় শিল্প গ্রুপের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাঁঠাল নিয়ে আমার কোনো ধারণাই ছিল না মন্ত্রী হওয়ার আগে বা দুই বছর আগে। কাঁঠালের যে এত সম্ভাবনা এক্সপোর্ট করার। লক্ষ টন নাকি এক্সপোর্ট করা যায়। এটার ডিমান্ড আছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণকেও পাই না কাউকেই পাই না যে নতুন একটা কিছু করি। এ সময় স্কয়ারের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, স্কয়ার করবে কাঁঠালের ইয়ে? চলেন ক্যারিং করে দিই। চলেন কাঁঠাল এক্সপোর্ট করি।
এ সময় স্কয়ারের প্রতিনিধি বলেন, আমরা নেক্সট লেবেলে যেতে চাই। এ বিষয়ে আপনার (কৃষিমন্ত্রী) সঙ্গে আলাদা কথা বলব। তিনি বলেন, আসুন নির্দিষ্ট একটা জিনিস নিয়ে এগিয়ে যাই। যেটা আমরা করতে চাই। এভাবে শুধু বলেই যাব, কাজ হবে না, এটা হয় না।
মন্ত্রী বলেন, কোনো কৃষক বা কেউ যদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষি করে তাকে ৪ শতাংশ হারে সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। শুধু তাই না সকল কৃষি পণ্যে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া যায় কি না আমরা চেষ্টা করছি।
কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি যন্ত্রের ৯০ ভাগ আমদানি নির্ভর। এটা কীভাবে দেশেই তৈরি করা যায় সেদিকে আগাতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে আমরা সর্বাত্নক সহযোগিতা করব।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি দরদী। কৃষি দারিদ্র বিমোচনে সব চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি সব চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে কৃষি। এ জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এসএম/এমএমএ/