দেশের নির্বাচনে বিদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
যত ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হোক বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কৃষিখাতে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) নিয়ে সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় কৃষি সচিব মো. সাইদুর রহমানসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ যত ক্ষমতাশালী দেশের হোক না কেন তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।
বিএনপি বেশ কয়েকদিন ধরে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। এ বিষয় কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। পুরো পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ। বিএনপি তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারে। তবে আমরা চাই গণতান্ত্রিক চেতনা এ মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হোক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের নির্বাচন কাছে আসছে।
তিনি বলেন, বিদেশিরা চায় আমাদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। এজন্য আমরা নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছি। পৃথিবীর সব দেশে জাপান, জার্মান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সব দেশেই নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। বিএনপি এক টানা বলে যাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা। এটা কোনো দিনই হবে না। তবে আমরা সবাই চাই একটা সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং একটা শক্তিশালী সক্ষমতা সম্পন্ন নির্বাচন কমিশন। যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন। প্রধানমন্ত্রী, সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই মিলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করব। এটিই আমাদের সংবিধানে আছে এবং সংবিধান অনুযায়ী আমরা নির্বাচন করব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের সব প্রক্রিয়ায় বিদেশিদের যদি কোনো মতামত থাকে কোনো পরামর্শ থাকে এবং তারা যদি আমাদের সহযোগিতা করতে চায় তাহলে সেটাকে আমরা অভিনন্দন জানাব। বিএনপি তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। বিএনপিকে আমি বলব যদি ক্ষমতায় আসতে চান তাহলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত যতো ক্ষমতাশালী দেশের হোক না কেন তারা নির্বাচনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, এদেশে ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান আমলে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে শামসুল হককে এমপি করেছিল। তখন মুসলিম লীগের সাতজন মন্ত্রী গিয়ে এক মাস থেকেও কিছু করতে পারেনি। কাজেই এদেশের মানুষ খুব সচেতন। সবসময় সচেতন ভাবে ভোট দেয়। কাজেই বিএনপি আলাপ আলোচনা করে মনে যদি করে যে একটা আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে। সেটা কোনো দিনই পারবে না।
এসএম/এসএন