১ কোটি ২০ লাখ মানুষের ফিরতি ভোগান্তি রোধ করুন: সেভ দ্য রোড
প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ফিরতি ভোগান্তি রোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড।
আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌ-পথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিসি, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলে বিধি নিষেধ থাকায় সাধারণ মানুষ বাস-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়েও ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ঈদে বাড়িতে গিয়েছে। বিশেষ করে রেলওয়েতে ছিল চরম অব্যবস্থাপনা, টিকিট কিনেও হাজার হাজার যাত্রীকে রেলওয়ের ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে। একইভাবে বাস সার্ভিসেও এভাবে বাড়িতে ফিরেছে অসংখ্য যাত্রী। তার উপর পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা ঈদযাত্রায় ছিলেন নির্মম জিম্মিদশায় তাদের অর্থনৈতিক ও শারিরিক অবস্থা বেহাল হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল লাইসেন্সবিহিন অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহনের ঘটনাও।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) এক বিবৃতিতে সেভ দ্য রোড়ের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, শওকত হোসেন ও আনজুমান আরা শিল্পী বলেন, ঈদের আগের ২ দিন থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সেভ দ্য রোডের স্বেচ্ছাসেবিগণ সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে যে সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছে যারা এবার গণপরিবহনে ঈদযাত্রা করেছেন তাদের। এ ছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যাবস্থাপনার কারণে হাজার হাজার যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে। মাইক্রোবাস-গরুবাহী ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স-পিকআপেও যাত্রীরা অর্থনৈতিক জিম্মি হয়ে ছুটেছেন বাড়ির পথে। সাথে ছিল কোরবানির পশুর হাটের কারণে চরম জ্যাম আর ভোগান্তি। টোল আদায়ের সময় পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন সেতুতে ১০ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।
ঈদযাত্রার ভয়ংকর পরিস্থিতিতে যেন রাজধানী ফিরতি মানুষদের না পড়তে হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে অবশ্যই পুলিশ-প্রশাসন-মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেভ দ্য রোডের নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে বিআরটিসির ডিপোতে থাকা শতাধিক অতিরিক্ত বাস আনিত বিলম্বে কয়েকটি রুটে ভাগ করে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করতে হবে। কোথাও যেন যাত্রীকে জিম্মি করে ঈদের আগের মতো ৩/৪ গুণ ভাড়া আদায় করতে না পারে সেই বিষয়ে সতর্কতার জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট টিম জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে সক্রিয় রাখতে হবে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশের সতর্ক প্রহরা ৫ কিলোমিটার পর পর নিশ্চিত করতে হবে।
এসআইএইচ