লবণ দিয়ে ভালোভাবে চামড়া সংরক্ষণের আহ্বান
ভালোভাবে লবণ দিয়ে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
সোমবার (১১ জুলাই) আমিনবাজার ও হেমায়েতপুরে কাঁচা চামড়ার আড়ত এবং সাভারের ট্যানারি শিল্প এলাকায় কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তর ও বিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একই সঙ্গে সোমবার ভোক্তা অধিদপ্তর ও বিসিকের যৌথ উদ্যোগে একটি মনিটরিং টিম রাজধানীর পোস্তা এলাকার চামড়ার আড়তেও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার রাতেও ঢাকার সর্ববৃহৎ চামড়ার আড়ত পোস্তাগোলা পরিদর্শন করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি। এসময় কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফতাব খানসহ বিভিন্ন আড়ত মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিটি আড়তে প্রকার ভেদে ৭০০-৯০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া কিনছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। প্রতিবস্তা লবণ দিয়ে ৭-৮টি চামড়া সংগ্রহ করা যায়। চামড়া ব্যবসায়ীদের দাবি, ট্যানারি মালিকরা অন্তত ১ হাজার ২০০ টাকা করে চামড়া কেনে। তবে এবার তারা লাভের মুখ দেখতে পাবে।
এর আগে বিসিক মহাপরিচালক পরিদর্শন শেষে বলেছেন, লবণ সরবরাহের কোনো সমস্যা নেই। চামড়ায় সময়মতো লবণ মাখানো নিশ্চিত করা গেলেই চামড়া রক্ষা করা সম্ভব হবে এবং পর্যাপ্ত মূল্য পাওয়া যাবে। এ বিষয়টিই চামড়া সংরক্ষণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে।
ঢাকার বাইরে নাটোর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, খুলনাসহ সারাদেশে ভোক্তা অধিকারের টিম মনিটরিং করছে। মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
জেডএ/এসজি/