দায়িত্ববোধ থেকে মাঠে আছি থাকব: মেয়র আতিকুল
নির্বাচনের সময় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট নিয়েছি। আমারও দায়িত্ব আছে। ডেঙ্গুর সময় প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়েছি। সবাই যখন ঈদ করছে তখন আমার সব স্টাফ ও কর্মীরা মাঠে আছে। দায়িত্বের অংশ হিসেবে তাদের সঙ্গে আমারও মাঠে থাকতে হবে। আমি মাঠে ছিলাম এবং মাঠে থাকব। আধুনিক ও সচল ঢাকা গড়তে সবার সহযোগিতা চান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১১ জুলাই) দুপুরে ঈদ পরবর্তী কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। দেশে পশু জবাই পদ্ধতি সেকেলে থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন মেয়র।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা পদ্মা সেতু উপহার পেয়েছি কিন্তু আমাদের সেই জবাইখানা বা সিস্টেম এখনো ডেভলপ করতে পারিনি। জবাইখানার বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে বলেছি গাবতলী স্থানীয় পশুর হাটের পাশে কিভাবে আধুনিক জবাইখানা করা যায়। যারা জবাইখানা বিশেষজ্ঞ তাদের মাধ্যমে মিরপুর গরুর হাটের পাশে আধুনিক জবাইখানা তৈরি করা যায় কিনা এটি নিয়ে ঈদের পর থেকে কাজ শুরু করব। এখন সময় আসছে আধুনিক জবাইখানা করার।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর বা মিরপুরে যেটা আছে, সেটা আধুনিক জবাইখানা না, সেটি সেকেলের জবাইখানা। সেকেলের এই জবাইখানা দিয়ে বর্তমান যুগে টিকে থাকতে পারব না। আমরা আউটসোর্সিং চাই। আমরা জায়গা দেব তারা স্পেশালিস্ট নিয়ে আসবে। এভাবে একটি আধুনিক জবাবাইখানা করতে চাই। বিশ্বে কী ধরনের জবাইখানা আছে সেসব জবাইখানা দেখে কতটুকু জায়গা লাগে সব দেখতে হবে। আধুনিক জবাইখানায় আগের দিন গরু নিয়ে এসে রাখতে হয়, সেই গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তারপর জবাইখানায় নিতে হয়। বিদেশে দেখেছি একটা গরুকে কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা জবাইখানায় রাখতে হয়। সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের আধুনিক জবাইখানা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে গাবতলীতে আধুনিক জবাইখানা করার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ উল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান প্রমুখ।
এসএম/এসজি/