রাজধানীতে চলছে দ্বিতীয় দিনের পশু কোরবানি
ইসলামের বিধান অনুযায়ী ঈদুল আজহায় টানা তিন দিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়। সেই অনুসারে ঈদের পরের দিন ১১ জিলহাজ সোমবার (১১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানির কাজ সম্পন্ন করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা ও খিলগাঁও এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
মৌচাক মার্কেটের পেছনের আবাসিক এলাকায় কথা হয় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের সঙ্গে। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, আমি গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় কোরবানি দেই। কারণ বাবা-মায়ের সারা জীবনের চর্চা, কোরবানির মাংস আশপাশের চেনাজানা গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা। তাই উনারা যতদিন আছেন, এটি অব্যাহত রাখতে চাই। পরিবার নিয়ে গ্রামে যেতে পারিনি, তাই ফিরে এসে আজ এখানে একটা খাসি কোরবানি দিয়েছি।
মালিবাগ সাফেনা হাসপাতালের পেছনের গলিতে আজ একটি গরু কোরবানি দিয়েছেন আজগর হামিদ। বললেন, আমরা সব সময় দ্বিতীয় দিনেই কোরবানি দিই। কারণ প্রথম দিন বেশ ঝামেলা থাকে। কসাই পেতেও ঝামেলা হয়।
মালিবাগ প্রথম লেনে কোরবানি শেষে গরিব মানুষের মধ্যে মাংস বিতরণ চলছিল। মাংস নিতে আসা তফুরা খাতুন বললেন, প্রথম দিন যা পাইছি বিক্রি কইরা দিসি। আজ যা পাব, সেগুলা নিয়া বিকালে ট্রেনে আমার নাতি-নাতনির কাছে ময়মনসিংহে যাব।
মৌচাক থেকে রামপুরাকে সামনে রেখে রেলগেটের আগে ডিআইটি রোডের একটি বাড়ির সামনে একটি গরু ও দুটি ছাগল জবাই দিয়ে চামড়া ছাড়াচ্ছিলেন কসাইরা। তারা বললেন, দ্বিতীয় দিনের মাংস কাটায় কোনো তাড়াহুড়া নেই। সুন্দরভাবে কাজ করা যায়।মালিবাগে আরেকটি বাড়ির গ্যারেজে মাংস কাটছিলেন ৭-৮ জন কসাই। তারা বলেন, তাড়াহুড়া কম, তাই হাড়গুলো সুন্দর করে সাইজ করে দেওয়া যাচ্ছে। আবার বললেন, একটুখানি মাংস কিমাও করে দিতে পারব। প্রথম দিন কোরবানি দিলে এসব কাজ করে দিতে পারি না।
পশ্চিম রামপুরা এলাকায় একটি জবাই করা খাসির চামড়া ছাড়াচ্ছিলেন কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, গরুতে ভাগে কোরবানি দিয়েছিলাম, সেটি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম গতকাল। তাই আকিকার ছাগলটি জবাই দিলাম আজ।
খিলগাঁও তিলপাড়ায় কথা হয় শাহীন জমাদ্দারের সঙ্গে। চামড়া ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ব্যস্ত ছিলেন। তাই প্রথম দিন কোরবানি দিতে পারেননি। সেজন্যে দ্বিতীয় দিনে আজ নিজের কোরবানি সম্পন্ন করলেন।
প্রসঙ্গত ঈদের প্রথম দুই দিনের মধ্যেই পশু কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এমএ/এসএন