শেষ মুহূর্তেও ঢাকায় গরু ঢুকছে
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাদেই সারাদেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা মানেই পছন্দের পশুকে কোরবানি করা। তাই এই ঈদের প্রধান আকর্ষণ থাকে পশু হাটগুলোতে। ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমটা রাজধানীর পশু হাটগুলো। রাজধানীর সবচাইতে বড় পশুর হাট গাবতলীতে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও শেষ মুহূর্তে ট্রাকভর্তি গরু ঢুকছে ঢাকায়। গাবতলী পার হয়ে সেই গরুর ট্রাক রাজধানীর বিভিন্ন হাটের দিকে ছুটে যাচ্ছে।
অপরদিকে ক্রেতারাও তীব্র রোদ উপেক্ষা করে ছুটছেন হাটের দিকে। অনেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করে খুশিতে ছুটছেন বাসার দিকে। ক্রেতাদের দাবি ছোট ও মাঝারি গরুর দাম অনেক চড়া। তবে বড় গরুতে কিছুটা স্বস্তি দিলেও ক্রেতার সংখ্যা হাতে গোনা। কেননা বড় আকৃতির একটা গরুর দাম ২ লাখ থেকে শুরু করে ৮, ৯ লাখ বা তারও ঊর্ধ্বে বিক্রি হয়।
গাবতলী পশুর হাটে বেশ কয়েকটি বড় গরু রয়েছে। এসব গরুর চাহিদা খুবই কম। সাভার থেকে কালাম নামে এক খামারি ৪টি গরু নিয়ে গাবতলী হাটে পৌঁছেছেন গত রবিবার। এই এক সপ্তাহে ৩টি গরু বিক্রি করলেও ১টি এখনও অবিক্রিত রয়েছে।
কালাম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, গরুটা দুই দিন আগে যে দাম বলেছিল আজকে তাও বলছে না। এখন দাম পড়ে গেছে। কেউ বড় গরুর কাছে আসছে না। সবাই ছোট ও মাঝারি গরু কিনতে চায়। অনেকে একটার জায়গায় দুইটা গরু নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা এতো কষ্ট করে এই গরু লালন-পালন করলাম সেই গরুর এখন দাম হয় না।
তিনি বলেন, গো-খাদ্যের যে দাম তাতে খরচের টাকাই উঠবে না। এই গরু মাংস হিসেবে বিক্রি করলেও ৬ লাখ টাকা হবে। কিন্তু এখন ৩ লাখের বেশি কেউ বলে না। আমার টার্গেট ৬ লাখ টাকা দিলেই দিয়ে দেব।
এদিকে গাবতলীর হাটে গরু কিনতে এসে ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ছোট-মাঝারি গরুর দাম অনেক চড়া। ৮০ হাজারের নিচে কোনো গরুর দাম ছাড়তে চাইছেন না বিক্রেতারা। প্রতি বছরই ছোট, মাঝারি গরুর চাহিদা একটু বেশিই থাকে। আর এই সুযোগ নিয়ে বেশি দাম চেয়ে বসে থাকে বিক্রেতারা।
ঈদের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি তারপরও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার দিকে গরুর ট্রাক ঢুকতে দেখা গেছে। হাট থেকে এক ব্যবসায়ী আরেক ব্যবসায়ীকে মেসেজ দিচ্ছেন গরুর দাম বাড়বে। বাড়তি দামের আশায় নতুন করে গরু নিয়ে হাট থেকে আরেক হাটে ছুটে চলছেন বিক্রেতারা।
এসএম/এসআইএইচ