শেরপুরে শনিবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শেরপুরের নয়টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
শনিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এসব জামাতে পুরুষ মুসুল্লাদের পাশাপাশি ১০ থেকে ২০ জন করে নারী মুসুল্লি পর্দার আড়ালে একই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর কোলাকুলি শেষে তারা অংশ নেন প্রীতিভোজে।
আগাম ঈদুল আজহা পালিত গ্রামগুলো হলো-শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর, গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয় আনিপাড়া, নকলা উপজেলার নারায়নখোলা ও চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল।
নকলার জামাতে আসা মুসুল্লি রমজান মিয়া বলেন, ‘অনেক বছর ধরে আমরা যারা এই গ্রামে বসবাস করি, তাদের বেশিরভাগ আজ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর ঈদের নামাজ আদায় করি। পরে আমরা বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাই, তারাও আমাদের বাড়িতে আসে। সারাদিন অনেক আনন্দ করি।’
স্থানীয়দের তথ্য মতে, গত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকার একাংশ নিজেদের সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত বলে দাবিদার কিছু লোক সৌদি আরব, আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উল আজহা পালন করে আসছে।
নালিতাবাড়ীর গোবিন্দনগরের মুফতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, এটা নতুন নয়, প্রতি বছরই আমরা জামাত করি। তবে করোনার কারণে গত বছর মসজিদে করতে হয়েছে। তবে এখন করোনার চাপ না থাকায় মাঠে গিয়ে পড়তে পেরেছে মুসল্লি। আগে মানুষ জামাতে অংশ নিত কম, এখন তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
নকলা উপজেলার চরকৈয়া এলাকার ইমাম মাওলানা মো. সারোয়ার জাহান বলেন, আমরা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইনের বাহিরে কোনো কাজ করি না বলেই সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জামাত চলাকালীন প্রতিবছর থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মূলত আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করি।
এমএমএ/