ঈদযাত্রা
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত, চরম ভোগান্তি
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কোন কোন ট্রেন ৬ ঘণ্টা পর্যন্তও লেট হচ্ছে।
যদিও স্টেশনের ডিসপ্লেতে সম্ভাব্য সময় লেখা আছে বিকাল সাড়ে ৫টা। সবচেয়ে দুর্বিষহ অবস্থা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী কমিউটার ট্রেনের। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্টেশনেই ট্রেন আসেনি। কখন আসবে সেটাও কেউ বলতে পারছেন না।
রাজশাহীগামী সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু সাড়ে তিনটা পর্যন্তও ট্রেন আসেইনি।
মোবাইল এসএমএস দিয়ে জানা গেল, ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট দেরি হবে কমলাপুর আসতে। তারপর ট্রেন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ট্রেন ছাড়বে।
শুক্রবার সকাল থেকে বাসেও শিডিউল বিপর্যয় দেখা গেছে। মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে বাসের এই শিডিউল বিপর্যয়। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) বেড়েছে।
যাত্রীদের অনেকেই এই দীর্ঘ ভোগান্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কমলাপুর রেলস্ট্রেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা অনেককে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টিকিট কেটেছি দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে। এখন মনে হচ্ছে বাড়ি যেতেও দুই ঘণ্টা লাগবে।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেসের নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৬টা। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেনটি ৩ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। নীলসাগর এক্সপ্রেসও ৩ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। একই অবস্থা সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ সকালে প্রায় সবগুলোর ট্রেনেরই।
স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনের প্লাটফর্মে অবস্থান করে অসুস্থ হয়ে গেছেন অনেকে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অবস্থা আরও করুণ।
আরইউ/এমএমএ/