সংসদে আইনমন্ত্রী-বিএনপি এমপিদের বাহাস
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম দশ বছর সাজা নিয়ে বিদেশ যান চিকিৎসা করাতে আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার আবেদন করেও সুযোগ পান না এনিয়ে সরকারের বৈষম্যমূলক মনোভাব উল্লেখ করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তিনি যে জ্ঞান দিলেন আমরা না হয় উপকার হবে তার কতটুক হবে কে জানে? এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথার লড়াই চলে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে ৩০ দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিল উত্থাপনের বিরোধীতা করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য। তার যুক্তির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে হাজী সেলিম ইস্যু নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বিলটি সংসদে তোলার অনুমতি চাইলে বিএনপি হারুনুর রশীদ বলেন, বিচারকদের আরও সুযোগ দেন। আরও বিচারক নিয়োগ দেন। বিচারপ্রার্থী বিচার পেতে পেতে মারা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে দেখলাম, হাজি সেলিম ১০ বছরের দণ্ডি হয়ে বিদেশে গেলেন চিকিৎসা করতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আইনমন্ত্রী কথা বললেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছে, বলছেন সুযোগ নেই। বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে কি না? আপনারা কর্মসূচি করছেন। এখানে বৈষম্য হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে কী সভ্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলতে পারব? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নারীকে যেভাবে নিপীড়ন করেছে। ছাত্রলীগ নামধারী গুণ্ডারা যা করেছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আইন তৈরি করছেন। মানুষের জন্য করছেন তো? আইনের ব্যাপারে আপত্তি নেই। কিন্তু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশে বড় সংকট সুশাসনের।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখে কাঁদব না হাসব বলতে পারছি না। আমাকে তিনি যে আপনার মাধ্যমে (স্পিকার) জ্ঞান দিলেন। আমার না হয় কাজে লাগবে। কিন্তু উনার কতটুকু কাজে লাগবে জানি না। পঁচাত্তরে জাতির পিতার হত্যার পর বিচার হয়েছিল? ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ করে বিচার পাওয়ার পথ বন্ধ করেছিলেন। উনি আমাকে বিচার শেখাচ্ছেন। উনারা বলবেন খন্দকার মোশতাক করেছিলেন। তারপরতো আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তুলে নিয়েছিলেন? আমাকে বিচার শেখাচ্ছেন। এইসব জ্ঞান উনাদের মিটিংয়ে দেন। আমাদের দেওয়ার দরকার নাই।’
এসএম/এমএমএ/