করোনাকালে ১৬০০ ‘ডিজিটাল মিটিং’ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মহামারিকালে ভার্চ্যুয়ালি সভা করে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাজ গতিশীল রেখেছেন, তা সংসদে তুলে ধরেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানিয়েছেন, মহামারির মধ্যে দুই বছরে ১৬০০টি ‘ডিজিটাল বৈঠকে’ উপস্থিত থেকেছেন সরকার প্রধান।
মঙ্গলবার (৭ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পলক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সবাই শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। বিগত দুটি বছরে বিশ্বের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। উনি দুই বছরে ১৬০০ ডিজিটাল বৈঠকে উপস্থিত থেকেছেন।’
মন্ত্রিসভা, একনেক, রাজনৈতিক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে এসব বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তার দিক-নির্দেশনার ফলে সঠিক সমন্বয়ের কারণে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের পঞ্চম স্থানে আছে বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন না করলে করোনাকালে গত দুই বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, বাণিজ্যিক কার্যক্রম এমনকি বিচারিক কার্যক্রম করা সম্ভব হত না।
২০১৮ সালে চালু হওয়া ‘৩৩৩’ সেবার মাধ্যমে করোনাকালে শেখ হাসিনার আহ্বানে কর্মহীন, নিম্নবিত্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ৩৩৩ কলসেন্টার না থাকলে আমাদের ডক্টর স্কুল তৈরি করা, টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া দুরূহ হয়ে যেত।
এসএম/এমএমএ/