সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: বার্ন ইনস্টিটিউটে আরো ৩, ঢামেকে ২
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও তিন জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। এ নিয়ে দগ্ধ ১৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন দগ্ধদের মধ্যে বেশী ভাগই অবস্থা আশংকামুক্ত নন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নতুন ভর্তি হওয়া তিনজন হলেন মো. বদরুজ জামান (১৮), মো. ইমামুল (২৫) ও সুমন হাওলাদার।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামের কাছে দগ্ধ রোগীদের সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও তিনজন আমাদের এখানে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। এই নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাদের এখানে আসা রোগীর সংখ্যা মোট ১৯ জন। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্যসহ চারজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
দগ্ধ চিকিৎসাধীন অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- খালেদুর রহমান (৫৮), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি ও বিএম ডিপোর সিকিউরিটি ম্যানেজার এ কে এম মাকফারুল ইসলাম (৬৫) ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম (৩৭), বিএম ডিপোর ইমপোর্ট সুপারভাইজার শেখ মাইনুল হক (৪১), শ্রমিক আমিন (২২), কনটেইনারের গাড়িচালক মো. রাসেল (৩৯) ও ফারুক হোসেন (৪৫), ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম (২২) ও রবিন মিয়া (২২), ইঞ্জিনিয়ার মাসুম মিয়া (৩৪), রিসিভার ফরমানুল ইসলাম (৩০), রুবেল মিয়া (৩৪), ফারুক (১৬), হোসেন মহিবুল্লাহ (২৭), নজরুল ইসলাম মন্ডল (৩৮)।
তিনি আরও বলেন, রোগীদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। দগ্ধ কাছে তাদের আত্নতীয় --স্বজনদের ভীড় করতে দেওয়া হচ্ছে না। কারন রোগীদের ইনভেকশন হতে পারে তার জন্য তাদেরকে কাছে যেতে নিষেধ করা হয়। রোগীদের চিকিৎসা দিতে শেখ হাসিনা বার্নের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।
এদিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের দুই দিন পরও ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি। গতকাল সোমবারও তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুন নিভিয়ে ফেলার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেননি। গতকাল সতর্কতার সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়। কোথাও বিস্ফোরক আছে কি না, তা-ও তল্লাশি করে দেখা হয়। এই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা সংশোধন করে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মৃত ৪১ জনের মধ্যে ২৫ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কেএম/এএইচ/এএজেড