শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জীবন অনেক সুন্দর

মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীকে অনেক সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবী সৃষ্টির পর মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন আঠারো হাজার প্রজাতি। এরমধ্যে মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন। সেই মানুষ নিজেরাই নিজেদের সম্মানহানি করে। পারস্পরিক রেষারেষি, দ্বন্দ্ব, সংঘাতের কারণে জীবন হয়ে ওঠে অতিষ্ট। এরা জীবনের মানে বোঝে না। জীবনকে ভালোবাসতে জানে না। জীবনকে উপলব্ধিও করতে পারে না। এরা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। এরা হতাশাবাদী। এদের কোনো আশা নেই। এদের কাছে জীবনের মানে কষ্টের দিনলিপি।

আসলেই কি তাই? আশাবাদীরা কি বলেন? জীবন নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা কি রকম? আশাবাদীরা বলেন, জীবন অনেক সুন্দর। জীবনকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য যা যা করা দরকার তা করতে হবে। তাহলেই জীবন সৌন্দর্যময় হয়ে উঠবে। একটা গাছ পরিচর্যা করলে যেমন সজিব সতেজ হয়ে ওঠে, তেমনি মানুষের জীবন। একে যত্ম নিতে হয়। পরিচর্যা করতে হয়। তাহলেই জীবন তার সঠিক পথ খুঁজে পায়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের মতো পশ্চাৎপদ দেশে জীবনকে আনন্দময় করে তুলবেন কিভাবে? সংসার চালানোই যেখানে দায়, সেখানে সুখের সন্ধান কোথায় পাবে? চাকরি যেখানে সোনার হরিণ সেখানে জীবনকে আনন্দময় করে তোলা কিভাবে সম্ভব? তার মানে আমাদের প্রত্যেকের একটাই মিশন, লেখাপড়া শেষ করে একটা চাকরি করব। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের এটাই হচ্ছে একমাত্র আশা। এটাই তারা স্বপ্ন দেখে। মা-বাবাও প্রতীক্ষায় থাকেন, কবে ছেলে একটা চাকরি পাবে? কিন্তু খুব কম মানুষই আছেন যারা লেখাপড়া শেষ করে কৃষক হবেন, ব্যবসায়ী হবেন, কিংবা উদ্যোক্তা হবেন তা ভাবেন না। তাহলে পরিবর্তন আসবে কি করে? শুধুমাত্র চাকরির পেছনে না ছুটে আমরা যদি জীবনটাকে ভিন্নভাবে সাজাতে চাই!

আমাদের দেশের উন্নয়নের অন্যতম শক্তি একজন কৃষক। সেই কৃষক যদি হয় শিক্ষিত, তাহলে তিনি কতভাবে সমাজে প্রভাব ফেলতে পারেন। তার চিন্তাশক্তি দিয়ে কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে পারেন। একজন উদ্যোক্তা গ্রামে বসেও নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেন। সবাইকে কেন চাকরি করতে হবে? চাকরি করলেই যে জীবন আনন্দময় হবে তার কি কোনো গ্যারান্টি আছে? যার আবিষ্কারের নেশা সে কেন চাকরির চিন্তা করে সময় নষ্ট করবে?

জীবন নিয়ে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করা যায়। অতিরিক্ত চাপ নিয়ে জীবনকে কঠিন করে তোলার কোনো মানে নেই। জীবনকে সহজ করে তুলতে পারলেই সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। সহজ সরল পথে হাঁটুন। সহজ ভাবনা ভাবুন। সামনে সংকট আসতে পারে ভেবে বর্তমানের হাসি বন্ধ রাখা কি ঠিক? বর্তমানের আনন্দকে উপভোগ করুন। প্রাণ খুলে হাসুন। হাসতে গিয়ে মুখ চেপে রাখা যাবে না। নিজেকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে। নিজেকে গড়ে তোলা বা তৈরি হওয়ার জন্য খুব যত্নশীল হতে হবে। পরিচর্যা করতে হবে। সময়ের মূল্য দিতে হবে। আপনি যদি ইতিবাচক ভাবনা ভাবেন তাহলে দেখবেন আপনার মানসিক জোর অনেক বেড়ে যাবে। আর নেতিবাচক ভাবনা বেশি ভাবলে মানসিক জোর কমে যায়। মানসিক জোর কমে গেলে দুশ্চিন্তা মাথায় ভর করে।

দুশ্চিন্তা, হতাশাও কিন্তু এক ধরনের সংক্রামক ব্যাধি। একজনের থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ে। হতাশা থেকে মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করে। যারা আত্মহত্যা করে তাদের মতো অভাগা আর নেই। এরা চরম হতাশাবাদীদের দলে। এরা যদি জীবনকে উপলব্ধি করতে পারত তাহলে কখনো আত্মহত্যার কথা ভাবত না। জীবন থেকে হতাশা নামক শব্দ চিরদিনের জন্য বিদায় করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জীবন অনেক সুন্দর। জীবনকে সুন্দর রাখার জন্য নিজেকে সময় দিন। নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।

আরও পড়ুন>>>

ইচ্ছাশক্তিই মহাশক্তি

স্বপ্ন কখনো মরে না

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং

শাহরুখ খান ও হানি সিং। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ঘটনায় দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানের সময় হোটেল রুমে পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী হানি সিংয়ের ওপর চড়াও হয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।

সেই সময় গুঞ্জন ছিল, শাহরুখ খান এত জোরে চড় মারেন যে হানি সিং গুরুতর আহত হন। এমনকি তাঁর কপাল ফেটে রক্তক্ষরণ হয়, এবং সে কারণেই তিনি সেদিন মঞ্চে পারফর্ম করতে পারেননি। বলিউড মহলে ঘটনাটি নিয়ে তখন বেশ আলোচনা হয়েছিল।

তবে, দীর্ঘ ৯ বছর পর, অবশেষে হানি সিং নিজেই ভাঙলেন নীরবতা। সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া তাঁর জীবনকাহিনিভিত্তিক একটি তথ্যচিত্রে গায়ক এই বিতর্কিত ঘটনার আসল সত্য তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, আসলে সেদিন কী ঘটেছিল এবং কীভাবে সেই সময়কার গুজব বাস্তবতাকে মিথ্যে রূপে উপস্থাপন করেছিল।

হানি সিং বলেন, বলিউড কিং খান কখনই আমার গায়ে হাত তুলবেন না। উনি এমন মানুষই নন। আমাকে খুবই ভালোবাসেন বাদশাহ। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। তাই শাহরুখ আমাকে মেরেছে, সেটি একেবারেই মিথ্যা কথা।

এ গায়ক বলেন, আসলে সেদিন আমার মঞ্চে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল— মঞ্চে উঠলেই মরে যাব। তাই প্রথমে হোটেলের রুমে ঢুকে মাথার সব চুল কেটে ফেললাম। তারপর নিজের মাথায় একটা কফি মাগ ভাঙলাম। এতেই আহত হই। এসব করেই সেদিনের শো আটকে ছিলাম।

হানি সিংয়ের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন তার বোনও। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরই মাথায় রক্ত নিয়ে ফোন করে হানি। আমরা তো খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর নেপথ্যে শাহরুখের কোনো দোষ নেই।

Header Ad
Header Ad

মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ

বগুড়ার শ্রাবণী এখন ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরুগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকায় বিরল এক ঘটনা ঘটেছে। শ্রাবণী আক্তার খুশি (১৫) নামের এক ছাত্রী মেয়ে থেকে ছেলে হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে তার বাড়িতে।

শ্রাবণী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি খোকন মিয়ার বড় মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে শ্রাবণীর আচরণে ছেলেদের মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তার পরিবার নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। ছয় মাস ধরে চলা মেডিকেল পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শ্রাবণী শারীরিকভাবে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছেন।

রূপান্তরের পর তার নতুন নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক শ্রাবণ। শ্রাবণ নিজেও এই পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় আমার কোনো দুঃখ নেই। এখন আমি বাবার কাজে সহযোগিতা করতে পারব।

শ্রাবণের বাবা খোকন মিয়া জানান, মেয়ের আচরণ ও শারীরিক গঠনে পরিবর্তন লক্ষ্য করার পর থেকে আমি নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ডাক্তারি রিপোর্টে জানা যায়, আমার মেয়ে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মুরুব্বিদের পরামর্শে শ্রাবণীকে ছেলেদের পোশাক পরিয়ে মাথার চুল কেটে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে সে ওমর ফারুক শ্রাবণ নামে পরিচিত।

খোকন মিয়া বলেন, আমার তিন মেয়ে ছিল। ছেলে না থাকায় সমাজের নানা কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমার বড় মেয়ে ছেলে হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ায় আমি ও আমার পরিবার অত্যন্ত খুশি।

Header Ad
Header Ad

বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ

দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আশ্রা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী বাবা মজিবুর রহমান (৫৮) এবং তার বড় ছেলে জাহিদ (২৭)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল মিয়া বলেন, বাবা ও ছেলে দুইজনে মিলে আশ্রা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে আশ্রা বাজারের পশ্চিম পাশে পৌঁছলে একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে