রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইচ্ছাশক্তিই মহাশক্তি

ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। এর কোনো বিকল্প নেই। যে যত বেশি ইচ্ছাশক্তির অধিকারী সে তত বেশি সফল। তার কাছে জীবন তত বেশি সহজ ও আনন্দময়। ঠুনকো কারণে জীবনকে বিষাদময় করে তোলার কোনো মানে নেই। জীবন অনেক সুন্দর। তাতে কাঁটার আঘাত আসতেই পারে। সেই আঘাতে নিজেকে ব্যর্থ ভেবে বসে থাকলে চলবে না। জীবনকে সৌন্দর্যময় করে তোলার পথে কাঁটা বিছানো থাকলে সেখানে কি থেমে যেতে হবে? মোটেই না। কাঁটা সরিয়ে সামনে এগোতে হবে। পায়ে কাঁটা বিঁধলেও পিছপা হওয়া যাবে না। এজন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিটাকে আরেকটু শান দিতে হবে।

ইচ্ছাশক্তিই কিন্তু মানুষের জীবনীশক্তি। এই শক্তিই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সামনে চলার পথ বাতলে দেয়। হতাশা কাটিয়ে মানুষ সাফল্যের দিকে এগিয়ে যায়। স্বপ্ন কখনো মরে না। স্বপ্ন নিজে বাঁচে এবং মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। কোনো স্বপ্নবাজ মানুষ জীবনে ব্যর্থ হয় না। মানুষের জীবনে ব্যর্থতা থাকতেই পারে। সেটা তার জীবনের জন্য একটা অভিজ্ঞতা। ব্যর্থতা ছাড়া সফল হওয়া যায় না। যেখানে ব্যর্থ হয় সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পায়। ইচ্ছাশক্তিই মানুষের শারিরীক ও মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছাশক্তির বলেই একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও জীবন ফিরে পায়। মরার আগেই কেউ যদি মরে যায় তাকে কেউ বাঁচিয়ে রাখতে পারে না।

ভয়ঙ্কর বিপদেও ইচ্ছাশক্তি মানুষকে পথ দেখায়। কাজেই যে কোনো বিপদই সামনে আসুক, তা মোকাবিলার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। বিপদে হতাশ হওয়া যাবে না। ভয় পাওয়া যাবে না। ভয় কিংবা হতাশা একটা রোগ। এই রোগে পেলে মানুষ দিশা হারিয়ে ফেলে। হতাশা ইচ্ছাশক্তিকে দমিয়ে রাখে। পেছন থেকে মানুষকে টেনে ধরে। সামনে আগানোর পথ রুদ্ধ করে দেয়। হতাশা বা ভয়কে জয় করতে ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

প্রতিটি মানুষই পৃথিবীতে আসার পর থেকে সুতার উপর দিয়ে হাঁটে। নীচে পড়লেই ভয়ঙ্কর বিপদে পড়তে হবে। তা জেনেই তো মানুষ জীবনবাজি রেখে সুতার ওপর দিয়ে হেঁটে চলেছে। তাহলে হতাশাকে আমরা স্থান দেব কেন? হতাশা বা ভয় শব্দটিকে চিরতরে জীবনের ডিকশনারী থেকে বাদ দিতে হবে। ইচ্ছাশক্তি অটুট থাকলে সাফল্য আসবেই। কোনো কাজে বাধা আসলে কিংবা সফল না হলে আমরা ভাবি, সব বুঝি শেষ হয়ে গেল! জীবনে ব্যর্থতাই যদি না থাকে তাহলে সাফল্যের গুরুত্ব কোথায়? ইচ্ছাশক্তি মানুষকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে। আর কাজ মানুষকে সফল মানুষে পরিণত করে।

মহান সৃষ্টিকর্তা মানবজাতির উদ্দেশে বলেছেন, যে মানুষ নিজেকে সাহায্য করে, আমি তাকেই সাহায্য করি। এর মানে হচ্ছে, ঘরে বসে থাকলে সাফল্য কোনো দিনও ধরা দেবে না। কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ঝুঁকি নিতে হবে। সাহসী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সাফল্য এসে ধরা দেবে।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

 

Header Ad

উড়ন্ত বিমান থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি যাত্রীর, তারপর...

ছবি সংগৃহীত

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইটে উড়োজাহাজের জানালার কাছে দাঁড়িয়ে নীচে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি দিয়ে আতঙ্কিত পরিস্থিতি তৈরি করেছেন এক যাত্রী। এ কাণ্ড দেখে অন্যান্য যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। বিমান থেকে নামার পর ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ৮ মে দুবাই থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। সেখানেই ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। শুরুতে সব স্বাভাবিক থাকলেও বিমান মাঝ আকাশে থাকাকালীন অসংলগ্ন ও অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন তিনি, যা বিমানকর্মী এবং বিমানের অন্য যাত্রীদের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্লাইটের কর্মীরা যুবককে বাধা দিলে তিনি বিমান থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। ওই সময়ে বিমানটি আরব সাগরের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। ওই যাত্রীর আচরণ এবং মন্তব্যের কারণে বিমানে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

পরে বেঙ্গালুরুতে বিমান পৌঁছলে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এক কর্মী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর ওই যাত্রীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা।

এখনও পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে প্রয়োজনীয় ধারায় যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। কেন তিনি বিমানের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন, কেনই বা সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

রাজশাহীর কোন আম কবে বাজারে আসবে জানালো জেলা প্রশাসন

রাজশাহীর কোন আম কবে বাজারে আসবে জানালো জেলা প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলার আম বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও সংগ্রহের তারিখ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

রবিবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ম্যাংগো ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এসময় জেলার আমচাষী, ব্যবসায়ী ও সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে কৃষক-ব্যবসায়ীদের আম নামানো ও বাজারজাতকরণের আহ্বান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন এবং কৃষি বিভাগ।

ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ১৫ মে থেকে সকল প্রকার গুটি আম, ২৫ মে থেকে গোপালভোগ ও রানিপছন্দ, ৩০ মে থেকে খিরসাপাত এবং ২৫ মে থেকে লক্ষণভোগ ও লখনা আম সংগ্রহ ও গাছ থেকে পাড়া যাবে।

এছাড়া, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগো, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ৫ জুলাই থেকে বারি আম-৪, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি, ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি ও কাটিমন এবং বারি আম-১১ সারা বছর গাছ থেকে নামানো ও সংগ্রহ করা যাবে।

আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি তা এখানেই সীমাবদ্ধ না: নৌপ্রতিমন্ত্রী

সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্বের সুখ সুবিধা আমাদের মধ্যে থাকবে। সেই ধরনের উন্নত বাংলাদেশ চাই, যেখানে সমগ্র পৃথিবী এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ববোধ করবে, অহংকার করবে। আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি সে রোল মডেল এখানেই সীমাবদ্ধ না। আমরা তাবত দুনিয়াকে দেখাতে চাই, আমরা ৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে দেশ তৈরি করেছি- সে বাংলাদেশ সমগ্র পৃথিবীর জন্য তৈরি করেছি, শুধু আমাদের জন্য নয়।

রবিবার (১২ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাওয়ে ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) বাংলাদেশ রিপোর্ট লঞ্চ ইভেন্ট এবং মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্যে জালিয়াতি প্রতিরোধ’ শীর্ষক যৌথ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ। উন্নত বাংলাদেশ মানে শুধু অর্থবিত্তের মধ্য দিয়ে উন্নত হওয়া নয়, উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্বের সুখ সুবিধা আমাদের মধ্যে থাকবে। সেই ধরনের উন্নত বাংলাদেশ চাই, যেখানে সমগ্র পৃথিবী এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ববোধ করবে, অহংকার করবে। আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি সে রোল মডেল এখানেই সীমাবদ্ধ না। আমরা তাবত দুনিয়াকে দেখাতে চাই, আমরা ৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে দেশ তৈরি করেছি- সে বাংলাদেশ সমগ্র পৃথিবীর জন্য তৈরি করেছি, শুধু আমাদের জন্য নয়।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমাদের গৌরব, আমাদের অহংকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে সবকিছু ম্লান হয়ে গিয়েছিল। এ হত্যাকান্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করার মধ্য দিয়ে মূলত দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এ হত্যাকাণ্ডকে এবং হত্যাকারীদেরকে যেভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে; সমাজ, রাষ্ট্র সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। সেই জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ ছিল। সে জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল-যারা ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে, লক্ষ লক্ষ মা বোনকে নির্যাতন করেছে সেসব হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা‌।

‘মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) বাংলাদেশ রিপোর্ট লঞ্চ ইভেন্ট এবং মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্যে জালিয়াতি প্রতিরোধ’ শীর্ষক যৌথ সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, আমরা গর্ব করে বলতে পারি, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে, বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চর্চা শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র তৈরি করার যে মহাপরিকল্পনা ছিল-সেই জায়গা থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেরিটাইম সেক্টরে দুর্নীতিকে "না" বলার জন্য সম্মিলিত আওয়াজ তোলার লক্ষ্যে মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি উদ্বেগজনক অবস্থায় নেই, তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ব্যবসায়িকদের বৈশ্বিক মান অনুসরণ করার জন্য এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এমএসিএন সামুদ্রিক সেক্টরে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করেছে এবং মূল স্টেকহোল্ডারদের একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে যাতে অখন্ডতার একটি জোট গড়ে তোলা যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ৯০% এর বেশি সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। যার পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, প্রতিবছর চার হাজারের বেশি বাণিজ্য জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে আসছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই জাতীয় পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ব্যবসাবান্ধব সরকারের কারণে। এ সরকারের আমলে বন্দরের গতিশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাশেকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প দিয়েছেন। এই রূপকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নের লক্ষ্যে পায়রা বন্দর স্থাপন করা হয়েছে। মোংলা বন্দরের আউটার বার ও ইনার বারে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হয়েছে। চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন, গ্যান্ট্রি ক্রেন এবং অন্যান্য হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ চলমান। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের জন্য বড় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও সুযোগ তৈরি করবে এবং এটিকে একটি আঞ্চলিক সামুদ্রিক কেন্দ্রে পরিণত করবে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক ব্যবসায় অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, এই বছর আমরা বাল্ক কার্গো পরিবহনে ০.৪৭% বৃদ্ধি বজায় রাখতে পেরেছি। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৩.০৫ মিলিয়ন টিইউইজ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যে) কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা তিনগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৪০ সাল নাগাদ এটি ৪৮.২ মিলিয়ন টিইউইজ-এ পৌঁছাবে। এই ধরনের বাণিজ্য পরিস্থিতিতে বন্দর এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সকল মেরিটাইম স্টেকহোল্ডারদের সুবিধার উন্নতি করতে হবে এবং নিয়ন্ত্রক সম্মতি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসার পরিবেশকে বৈশ্বিক মানদন্ডে উন্নীত করার জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করছে। বন্দর ও নৌপরিবহন পরিচালনায় ডিজিটালাইজেশনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কনটেইনারগুলির স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং, বন্দর, এজেন্ট এবং কাস্টমসের মধ্যে শিপিং তথ্যের ডিজিটাল আদান-প্রদান আজকাল নতুন কিছু নয়। এগুলি পোর্ট অপারেশনে বাল ভূমিকা রাখছে। বিশ্বব্যাপী র‌্যাঙ্কিংয়ে উচ্চ অবস্থানে পৌঁছাতে কাজ করছে। সামুদ্রিক শিপিং একটি বিশ্বব্যাপী খাত যেখানে স্বচ্ছতা এবং সম্মতির বিষয়গুলি বিশ্বব্যাপী দেখা উচিত। স্বচ্ছতা এবং সম্মতি নিশ্চিত করার জন্য একটি সুরক্ষিত রিপোর্টিং চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে জাতীয় কর্তৃপক্ষ ভুলগুলি লক্ষ্য করতে পারে এবং যখনই প্রয়োজন হয় তখন হস্তক্ষেপ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী, এমএসিএন-এর দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র নেতা জোনাস সোবার্গ আরল্যান্ডসেন (Jonas soberg erlandsen), এমএসিএন বাংলাদেশ প্রকল্পের নেতা কমডোর (অবঃ) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির, ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক শাহামিন জামান।

সর্বশেষ সংবাদ

উড়ন্ত বিমান থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি যাত্রীর, তারপর...
রাজশাহীর কোন আম কবে বাজারে আসবে জানালো জেলা প্রশাসন
আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি তা এখানেই সীমাবদ্ধ না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এসএসসিতে ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভেঙে সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে
বিয়ে করছেন ‘বিগ বস’ তারকা আবদু রোজিক
এসএসসিতে কোন বোর্ডে পাসের হার কত
হোয়াইটওয়াশের মিশনে জিম্বাবুয়েকে ১৫৮ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ
সৌদি আরবে এবার হজযাত্রীদের জন্য থাকছে উড়ন্ত ট্যাক্সি
আজ বিশ্ব মা দিবস
বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল