সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইচ্ছাশক্তিই মহাশক্তি

ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। এর কোনো বিকল্প নেই। যে যত বেশি ইচ্ছাশক্তির অধিকারী সে তত বেশি সফল। তার কাছে জীবন তত বেশি সহজ ও আনন্দময়। ঠুনকো কারণে জীবনকে বিষাদময় করে তোলার কোনো মানে নেই। জীবন অনেক সুন্দর। তাতে কাঁটার আঘাত আসতেই পারে। সেই আঘাতে নিজেকে ব্যর্থ ভেবে বসে থাকলে চলবে না। জীবনকে সৌন্দর্যময় করে তোলার পথে কাঁটা বিছানো থাকলে সেখানে কি থেমে যেতে হবে? মোটেই না। কাঁটা সরিয়ে সামনে এগোতে হবে। পায়ে কাঁটা বিঁধলেও পিছপা হওয়া যাবে না। এজন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিটাকে আরেকটু শান দিতে হবে।

ইচ্ছাশক্তিই কিন্তু মানুষের জীবনীশক্তি। এই শক্তিই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সামনে চলার পথ বাতলে দেয়। হতাশা কাটিয়ে মানুষ সাফল্যের দিকে এগিয়ে যায়। স্বপ্ন কখনো মরে না। স্বপ্ন নিজে বাঁচে এবং মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। কোনো স্বপ্নবাজ মানুষ জীবনে ব্যর্থ হয় না। মানুষের জীবনে ব্যর্থতা থাকতেই পারে। সেটা তার জীবনের জন্য একটা অভিজ্ঞতা। ব্যর্থতা ছাড়া সফল হওয়া যায় না। যেখানে ব্যর্থ হয় সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পায়। ইচ্ছাশক্তিই মানুষের শারিরীক ও মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছাশক্তির বলেই একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও জীবন ফিরে পায়। মরার আগেই কেউ যদি মরে যায় তাকে কেউ বাঁচিয়ে রাখতে পারে না।

ভয়ঙ্কর বিপদেও ইচ্ছাশক্তি মানুষকে পথ দেখায়। কাজেই যে কোনো বিপদই সামনে আসুক, তা মোকাবিলার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। বিপদে হতাশ হওয়া যাবে না। ভয় পাওয়া যাবে না। ভয় কিংবা হতাশা একটা রোগ। এই রোগে পেলে মানুষ দিশা হারিয়ে ফেলে। হতাশা ইচ্ছাশক্তিকে দমিয়ে রাখে। পেছন থেকে মানুষকে টেনে ধরে। সামনে আগানোর পথ রুদ্ধ করে দেয়। হতাশা বা ভয়কে জয় করতে ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

প্রতিটি মানুষই পৃথিবীতে আসার পর থেকে সুতার উপর দিয়ে হাঁটে। নীচে পড়লেই ভয়ঙ্কর বিপদে পড়তে হবে। তা জেনেই তো মানুষ জীবনবাজি রেখে সুতার ওপর দিয়ে হেঁটে চলেছে। তাহলে হতাশাকে আমরা স্থান দেব কেন? হতাশা বা ভয় শব্দটিকে চিরতরে জীবনের ডিকশনারী থেকে বাদ দিতে হবে। ইচ্ছাশক্তি অটুট থাকলে সাফল্য আসবেই। কোনো কাজে বাধা আসলে কিংবা সফল না হলে আমরা ভাবি, সব বুঝি শেষ হয়ে গেল! জীবনে ব্যর্থতাই যদি না থাকে তাহলে সাফল্যের গুরুত্ব কোথায়? ইচ্ছাশক্তি মানুষকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে। আর কাজ মানুষকে সফল মানুষে পরিণত করে।

মহান সৃষ্টিকর্তা মানবজাতির উদ্দেশে বলেছেন, যে মানুষ নিজেকে সাহায্য করে, আমি তাকেই সাহায্য করি। এর মানে হচ্ছে, ঘরে বসে থাকলে সাফল্য কোনো দিনও ধরা দেবে না। কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ঝুঁকি নিতে হবে। সাহসী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সাফল্য এসে ধরা দেবে।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

 

Header Ad
Header Ad

রাফিনিয়া-ইয়ামালের নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় পেল বার্সেলোনা

ছবি: সংগৃহীত

বার্সেলোনা চলতি লা লিগা মৌসুমে দুর্দান্ত শুরু করলেও কিছু সময় ছন্দ হারিয়ে শীর্ষস্থান থেকে সরে যায়। তবে, সম্প্রতি টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকার পর রাফিনিয়া ও ইয়ামালের নৈপুণ্যে বড় জয় পেয়ে ছন্দে ফিরেছে কাতালান ক্লাবটি।

২৬ জানুয়ারি, রোববার, বার্সেলোনা তাদের ঘরের মাঠে ভালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে। ম্যাচের শুরুতেই তৃতীয় মিনিটে লামিনে ইয়ামালের অসাধারণ পাস থেকে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। কিছুক্ষণ পর, ৮ম মিনিটে আলেহান্দ্রো বাল্দের ক্রসে সুনিপুণ গোল করেন তরেস, যিনি তার সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল উদযাপন করেননি।

অল্প সময়ের মধ্যে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বার্সেলোনা ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণে আরও চাপ সৃষ্টি করে। ১৪তম মিনিটে ইয়ামালের ব্যাকহিল থেকে রাফিনিয়াকে বল পান, এবং ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে গোল করে দলের তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। এটি ছিল তার চলতি মৌসুমের ১২তম গোল।

২৪তম মিনিটে পাউ কুবার্সির পাসে দলের চতুর্থ গোলটি করেন লোপেস, যার পরে ভিএআরের মাধ্যমে গোলটি নিশ্চিত করা হয়। বিরতির ঠিক আগে, রাফিনিয়ার একটি শক্তিশালী শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে, লোপেস দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে গোল করে বার্সেলোনাকে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান।

দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৯তম মিনিটে হুগো দুরো ভ্যালেন্সিয়ার জন্য একটি সম্মানজনক গোল করেন, কিন্তু পরবর্তীতে ৬৬তম মিনিটে লেভানডোভস্কি বার্সেলোনার ব্যবধান আবার ৫ গোল করে বাড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে, তোরেসের শট ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক ঠেকালেও ফিরতি বল সিজার টারেগা নিজ জালে পাঠিয়ে দেন, ফলে ৭-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার।

এই জয়ে ২১ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনা ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ফিরেছে। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। অন্যদিকে, ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে রয়েছে ভালেন্সিয়া।

Header Ad
Header Ad

পুলিশের শতকরা ৮০ জনের হৃদয়ে ছাত্রলীগ: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমান পুলিশের শতকরা ৮০ জনই আওয়ামী আমলের, যাদের হৃদয়ে ছাত্রলীগ। তারাই এ সরকারের জন্য কাজ করছে না।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে চারটি বইয়ে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লব পরবর্তী কিছু সমস্যা থাকে। তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সরকার। গণঅভ্যুত্থান নিয়ে সকলের মধ্যে যে ঐক্য ছিল, সেই ঐক্য আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন আসিফ নজরুল।

এর আগে, সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে বিএনপির সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়। এটি গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের দোসরদের কতটা উৎসাহিত এবং বেপরোয়া করে তুলতে পারে তার কিছুটা প্রমাণ আমরা গত কয়েক দিনে পেয়েছি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, তিনি যতটা জানেন এবং বিশ্বাস করেন— বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নয় এবং তারা ১/১১ ধরনের কিছু করতে চাচ্ছে না, ছাত্রনেতারা সরকারের অংশ হিসেবে কোনো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে না বা এতে যোগ দিচ্ছে না, জুলাই ঘোষণাপত্র একটি রাজনৈতিক দলিল হবে এবং ছাত্রনেতারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তির মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত করার জন্য চেষ্টা করছেন এবং বিএনপি এবং ছাত্রনেতারা এমনকি নির্বাচন কেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার ব্যাপারে আগ্রহী, তবে সেটি আলোচনা সাপেক্ষে। এর অর্থ হলো, বিরোধের কোনো কারণ নেই, বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, গণহত্যায় জড়িতদের হাতে রয়েছে লুটপাট করা বিপুল পরিমাণ টাকা, অনেক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থন। তাদের বিরুদ্ধে যদি কিছু করতে হয়, তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্রদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, তবে তা যেন দেশের শত্রুদের জন্য উৎসাহের কারণ না হয়।

Header Ad
Header Ad

৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) শেষ রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের সংগঠক আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, বিচারের আগে কোনো ধরনের পরীক্ষা হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বৈরাচারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ৭ কলেজকে ঢাবির অধিভুক্তি থেকে বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলাম।

তিনি বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি ছিল আমাদের। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তা করেনি। উল্টো ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এসব নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। এর প্রতিবাদে গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের নিচে অবস্থানকালে ঢাবি শিক্ষার্থী ও পুলিশ সম্মিলিতভাবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

৭ কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করতে হবে, এমন দাবি জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি মামুন আহমেদের বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা শহর অবরোধ করা হবে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাফিনিয়া-ইয়ামালের নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় পেল বার্সেলোনা
পুলিশের শতকরা ৮০ জনের হৃদয়ে ছাত্রলীগ: আসিফ নজরুল
৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি
ছাদের কার্নিসে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি, সেই এসআই চঞ্চল গ্রেপ্তার
সাত কলেজের সব পরীক্ষা স্থগিত
আজ পবিত্র শবে মেরাজ
মধ্যরাতে ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৮
সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গ্রেপ্তার
রয়্যাল এনফিল্ড কিনে না দেয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ কিশোরের!
রংপুরের টানা দ্বিতীয় হার, রাজশাহীর নাটকীয় জয়
সায়েন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা
আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশের কসাই: প্রেস সচিব
পুলিশের সংখ্যা পর্যাপ্ত, কিন্তু মনোবলের ঘাটতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড যাচ্ছেন বাংলাদেশি রোগীরা, কলকাতার হাসপাতাল ব্যবসায় ধস
২৫ দিনে এলো ২০৪৪৭ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
বেতন-ভাতায় না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
অ্যাডভোকেট তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট বৃত্তি পেলেন কুবির ৩০ শিক্ষার্থী
নির্বাচনের কথা বললে উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায়: মেজর হাফিজ
পদ্মশ্রী পাচ্ছেন সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং