বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৬

অঘ্রানের অন্ধকারে

আমাকে চমকে দিয়ে তুরি এসে উপস্থিত হয়েছে। তুরিকে দেখে উচ্ছা্সিত হলাম। তাকে কেন জানি গম্ভীর দেখাচ্ছে। বেশ গম্ভীর। মুখ শুকনো। চোখের নিচে গভীর কালো দাগ বসে গর্ত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলাম, এতদিন কোথায় ছিলে? হন্যে হয়ে তোমাকে খুঁজছি। তোমার ফোন বন্ধ!
তুরি কিছু বলল না। সে ওড়নার আঁচল দিয়ে ডলে ডলে কয়েকবার নাক মুছল। টেবিলে টিস্যুবক্স আছে। তুরি টিস্যুবক্স থেকে টিস্যু পেপার নিল না।

বুঝতে পারছি তুরির ভেতর বড়ো ধরনের পরিবর্তন ঘটে গেছে। আপাতত সেদিকে গেলাম না। স্বাভাবিক গলায় বললাম, তোমার শুভ প্রত্যাবর্তন উদযাপন করা হবে। আমরা আজ আবার সেই কফি খাব। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনের ঘটনা তোমাকে শোনাব বলেছিলাম। আজ বলব।
ইউসুফকে ডেকে কফি দিতে বললাম। তার সঙ্গে পিৎজা। তুরির দিকে তাকালাম। সে অনির্দিষ্টভাবে উদাসী চোখে তাকিয়ে আছে। বললাম, কোপি লুয়াক পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ায়। ভালো কফি চেরি সংগ্রহ করে খাওয়ানো হয় খাটাশকে। খাটাশ চেনো তো? গন্ধগোকুল। বিড়াল গোত্রের প্রাণী। ইংরেজি নাম হচ্ছে সিভেট। এটাকে অনেকে তাই সিভেট কফিও বলে। সুমাত্রা, জাভা, বালি ওসব জায়গায় পাওয়া যায়।

তুরি ক্লান্ত চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। তার নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে। সে কিছু শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। খেয়াল করলাম তবে পাত্তা দিলাম না। একইরকম উচ্ছাস নিয়ে বলে গেলাম, কফি চেরি খাটাশ খায়। খেয়ে কফি বাথরুম করে। কফি চেরি খাটাশের পেটে গিয়ে হজম হয় না। সেটা গুচ্ছ ধরে খাটাশের বাথরুম হয়ে মালার মতো বেরিয়ে আসে। সেই কফি চেরি শুকিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কোপি লুয়াক বানানো হয়।

তুরি এখনো কোনো কথা বলেনি। ভেবেছিলাম কোপি লুয়াকের ঘটনা শুনে সে কিছুটা উত্তেজনা প্রকাশ করবে। তার দৃষ্টি এলোমেলো। নির্দিষ্ট কোনোদিকে তাকাচ্ছে না। বুঝলাম তার শরীর জ¦ালা করতে শুরু করেছে।
না থেমে বললাম, থাইল্যান্ডে কোপি লুয়াক তৈরি হয় হাতির মল থেকে কফি চেরি নিয়ে।

ইউসুফ দুটো মগে কফি দিয়ে গেছে। কফি থেকে ধোঁয়া উড়ছে। কথা শেষে ইচ্ছে করেই আমি জোরে হাসলাম। তুরি শান্ত গলায় বলল, শাবিন মারা গেছে।

অমনি হাসি থামিয়ে চুপ করে গেছি । এরকম সংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তুরির চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ও সরি। কীভাবে মারা গেল?

তুরির চোখ শুকনো। সে চারপাশে কালি পড়া গর্তে বসে যাওয়া শুকনো চোখ তুলে বলল, আগারগাঁ ষাটফিট রাস্তার ওপাশের বস্তিতে কাদেরের ঘরে মরে পড়ে ছিল।

হার্ট অ্যার্টাক?
শাবিনকে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। বুকে পেটে আর গলায় বীভৎসভাবে খুঁচিয়েছে। দেখার মতো ছিল না।
কারা মারল? কেন তাকে খুন করল? টাকাপয়সা নাকি নেশার ঝোঁকে?
জানি না।
কেস হয়েছে?
কাদের পলাতক। শাবিনের বন্ধু সবুজ, হাবিব আর এনায়েতের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আর পুন্নি?
শুনেছি সে দেশের বাইরে চলে গেছে।
মামলা চলছে?

শাবিনের বাবা এসেছিলেন। তিনি আমার শাশুড়িকে বেশকিছু টাকা দিয়ে গেছেন। বলেছেন এ নিয়ে আর নাড়াচাড়া না করতে। আমি জানি শাবিনের বিষয় নিয়ে পুলিশ কিংবা মিডিয়া সরব হলে শাবিনের বাবার কথা আসবে। সেটা তিনি চাইছেন না। আমার শাশুড়ি চুপ করে গেলেন। আমাকে চুপ করে থাকতে বললেন। চুপ করে থাকা ছাড়া তো আমার আরকিছু করার নেই। আমি চুপ করে থাকলাম।

কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে। আমরা কেউ কফিতে চুমুক দিইনি। তুরির হাত থরথর করে কাঁপছে। তার হিক্কা শুরু হয়েছে। সে হিক্কা তুলে বলল, আমি উঠি। এই খবরটা আপনাকে দিতে এসেছিলাম।
বললাম, বারান্দায় চলো।

তুরি কী বুঝল জানি না। আমার সঙ্গে বারান্দায় এলো। সিগারেট বের করে তুরিকে দিলাম। সে সিগারেট নিয়ে পকেট থেকে লাইটার বের করে সিগারেট জ্বালাল। আমি সিগারেট জ্বালিয়েছি। তুরি চুপ করে আছে। কাছে এগিয়ে গিয়ে তার মাথায় হাত রাখলাম। তুরি চমকে উঠেছে। নরম গলায় বললাম, আমার একটা অনুরোধ রাখবে?
বলুন।

আমার সঙ্গে রিহ্যাবে চলো। তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে।

তুরি কাঁদছে। সে সিগারেট খাচ্ছে না। তার হাতের দু আঙুলের মাঝখানে সিগারেট পুড়ছে। বাতাসে ছড়িয়ে ধোঁয়া উঠছে। নাক টেনে তুরি বলল, কার জন্য সুস্থ হব! আমার তো কেউ নেই।
নিজের জন্য সুস্থ হবে। তোমার ভালো থাকা দরকার।

তুরি বারান্দার ফ্লোরে সিগারেট ফেলে দিলো। পা দিয়ে পিষে জ্বলন্ত সিগারেট নিভিয়েছে। আর কিছু বলল না। সে চলে যাচ্ছে। তাকে ভীষণ অস্থির দেখাচ্ছে। ওড়না দিয়ে ঘনঘন নাক মুছছে। দুহাত দিয়ে মাথা খামচে ধরে চুল এলোমেলো করে ফেলেছে। মনে হলো তুরির সঙ্গে যাওয়া দরকার। তাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসা উচিত। সে কি সেই গাজী নামে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে যাচ্ছে, যে হেরোইন বিক্রি করে?

আমি উঠলাম না। তুরি আর শাবিনকে নিয়ে লেখা উপন্যাসের শেষ অংশ ভাবনায় এসে গেছে। আমার মনে হলো, পাঠক বীভৎস মৃত্যু চায় না। পাঠক চায় সুন্দর সুপ্রসন্ন মৃত্যু। কম্পিউটারে ‘তুরির নোটবুক’ লেখা ফাইল ওপেন করলাম। তুরি দরজা ঠেলে দ্রæত ঘর থেকে বের হয়ে গেল। আমি উপন্যাসের শেষটুকু লিখলাম।

 

(চলবে..)

 

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

যার যার ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

বড়দিন উপলক্ষে যমুনায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে, তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে।’’

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

অতিথিদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো, এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ- এই শব্দগুলো আমরা চাই না। এদেশে আমরা সবাই এক পরিবার, সবাই মিলে একত্রে থাকব- এটি আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘নিজ নিজ ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মনের মধ্যে স্থাপন করা গেলে অন্য ধর্মের মধ্যেও তা খুঁজে পাবেন। তখন আর অন্য ধর্মের সঙ্গে বিভেদ হবে না। আমাদের ছেলেমেয়েরা সুন্দর শৈশব পাবে।’’

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় খ্রিষ্টান ধর্মের নেতাদের মধ‍্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, দ্যা ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্লাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া ও বাংলাদেশ খ্রিস্টান মহাজোটের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নির্মল ডি’কস্তা।

নিজেদের বক্তব্যে তারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সংক্ষেপে যিশু খ্রিষ্টের জীবনী, আদর্শ ও শান্তির বাণী উল্লেখ করে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস দেশ পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন।’’

‘‘আপনি জ্ঞানী, সৎ ও বাংলাদেশে সবার আস্থাভাজন ব্যক্তি। আপনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হয়ে উঠুক; মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, মমত্ববোধ, মানবপ্রেম, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ক্ষমাশীলতা গড়ে উঠুক- বড়দিনে এটিই আমাদের প্রার্থনা।’’

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ আপনাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। খ্রিস্টান সম্প্রদায় আপনার পাশে আছে।’’

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেন বক্তারা। দেশব্যাপী চার্চগুলোতে এ অনুদান বণ্টন হয়েছে বলেও তারা জানান।

এ সময় বড়দিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে একটি বাইবেল উপহার দেন অতিথিরা। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে নাটকীয়তা কম হয়নি, অবশেষে সমাপ্তি হলো সেই নাটকের। দীর্ঘ নাটকীয়তার পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ আসর শুরুর ৫৬ দিন আগে ঘোষণা করা হলো সময়সূচি।

আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ওয়ানডে সংস্করণের আসরটি চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। করাচিতে উদ্ভোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। পরদিন ভারতের বিপক্ষে দুবাইতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বাকি দুই প্রতিপক্ষ স্বাগতিক পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচিতে বাংলাদেশসহ গ্রুপ ‘এ’তে আছে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে আছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে এবার বেশ জলঘোলাই হয়েছে। ভারত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আয়োজক দেশ পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। ওদিকে পাকিস্তান পুরো টুর্নামেন্ট নিজ দেশে আয়োজনের ব্যাপারে অনড় ছিল।

পরে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তাব আসে। সেখানে পিসিবি রাজি হলেও তারা ‘চিরস্থায়ী হাইব্রিড বন্দোবস্তের’ প্রস্তাব দেয়। অর্থাৎ ২০২৮ সাল পর্যন্ত আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করতে হবে। শেষ পর্যন্ত আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান জয় শাহ পিসিবির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ঘোষণা করে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি সূচি ঘোষণা করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। টুর্নামেন্টটি পাকিস্তান ও আরব আমিরাতে হবে।’ পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানান, সমঝোতায় আসতে পেরে খুশি তারা। আইসিসির সদস্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি:

তারিখ মুখোমুখি ভেন্যু
১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান–নিউজিল্যান্ড করাচি
২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ–ভারত দুবাই
২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা–আফগানিস্তান করাচি
২২ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড লাহোর
২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান–ভারত দুবাই
২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড রাওয়ালপিন্ডি
২৫ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা রাওয়ালপিন্ডি
২৬ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ড–আফগানিস্তান লাহোর
২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ–পাকিস্তান রাওয়ালপিন্ডি
২৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া–আফগানিস্তান লাহোর
১ মার্চ ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা করাচি
২ মার্চ ভারত–নিউজিল্যান্ড দুবাই
৪ মার্চ ১ম সেমিফাইনাল দুবাই
৫ মার্চ ২য় সেমিফাইনাল লাহোর
৯ মার্চ ফাইনাল লাহোর

 

Header Ad
Header Ad

গণহত্যায় জড়িতদের বিএনপিতে নেওয়া হবেনা: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

যারা সন্ত্রাসী ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিএনপিতে নেয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করা। জনগণের যে শাসন, সেই শাসনকে স্থাপিত করতে হবে। অর্থাৎ জনগণের যে পার্লামেন্ট, জনগণের নির্বাচিত যে পার্লামেন্ট সেই পার্লামেন্ট দিয়েই দেশ পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া অন্য কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নির্মাণ করা যায় তাহলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।

দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু এতটুকু বলতে পারি নির্দেশ দেওয়া আছে এই মুহুর্তে যারা সন্ত্রাসী, যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়েছিল, যারা দুর্নীতি করেছে তাদের কাউকে বিএনপিতে নেওয়া হবে না।

এ সময় শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শীতে কষ্টে রয়েছে দুস্থ ও অসহায় মানুষেরা। তাই আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শীতার্ত মানুষদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যার যার ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত
গণহত্যায় জড়িতদের বিএনপিতে নেওয়া হবেনা: মির্জা ফখরুল
কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পিকে হালদারসহ ৬ সহযোগী
প্রেমিকাকে বিয়ে করছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস
পদ্মা সেতু ও নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনরায় তদন্ত করবে দুদক
বড় পরিবর্তন আসছে আইইএলটিএস পরীক্ষায়, ২৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশি
আওয়ামী লীগ এই দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: শফিকুর রহমান
বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা
এস আলম গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বিমানবন্দরে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আটক
উদ্বোধনের দিনেই বগি সেটে সমস্যা, শিডিউল বিপর্যয়ে ‘রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস’
গাইবান্ধায় জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে নিরাপদ পানির নামে ৪ কোটির অধিক টাকা ভাগাভাগি
১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে যা বললেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনলে বিচারটা ভালোভাবে করা যাবে: তাজুল ইসলাম
‘আমি এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য না, আমি একজন উপদেষ্টা’
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের সাথে রেফারি এসোসিয়েশনের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাবিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি আহ্বান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ নেই
‘দেশে দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, একটি সেনাবাহিনী আরেকটি জামায়াত’