বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক

‘আমরা নয়াপাড়ার ক্যাম্প দিয়ে নদীতে নামব। বিজিবি’র হাতে ধরা পড়ে গেলে বলব, আমরা এই নয়াপাড়া ক্যাম্পে ছিলাম, আমরা এখন আমাদের দেশে ফিরে যাচ্ছি, আমাদের যেতে দিন। সুতরাং ওদের আর আটকানোর কোনো কথা নয়।’ ‘কাজটা যত সহজ ভাবছিস, তত সহজ নয়। যথেষ্ট জটিল এবং রিস্কি।’ নবীর কথাটা শুনে আতিফের মুখে দুশ্চিন্তার ছায়া আরও কালো হয়ে উঠলে, নবী তাকে আশ্বস্ত করল, ‘তুই চিন্তা করিস না। চাচাদের উদ্ধার করবই। প্রহরা যতই কড়া হোক, ফাঁকফোকর কিছু থাকবেই। কথায় আছে না, বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরো।’

নবীর কথায় আতিফের দুশ্চিন্তার ছায়া ঢাকা মুখে চিরিক করে খুশি খেলে উঠল। যেন মনের ঝিম মেরে থাকা সেতারে নবী যেন আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে খুশির মিহি ধুন তুলে দিল। সে ধুনের চিকন ঢেউ স্পর্শ করল তার কাতর চোখমুখ। যেভাবে বৃষ্টির ছাটে কাত হয়ে যাওয়া ঘাসের পাতা ঠিকরে পড়া রোদ পেতেই আনন্দে ঝলমল করে ওঠে, নবীর শেষ কথাটায় আতিফের মন’টাও আলতো করে ঝলমলিয়ে উঠল। ‘নবী, তুই খোঁজ নে তো, নয়াপাড়াতে আমাদের কোন কোন লোক আছে।’ ঘুটি সাজাতে লাগল আতিফ।

‘সে না হয় খোঁজ নিচ্ছি, ওখানে আমাদের অনেক লোক আছে, লোক পেতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু…।’
‘কিন্তু কী?’
‘এখন তো তুই বেরোতে পারবি না। কালকেই তো আইএসআই’এর লোক আসবেন। তাছাড়া পরশুই তো আমার “লিটিল বার্ড অ্যাক্সান’। সে অ্যাক্সেন তো আমার নেতৃত্বেই হবে।’ ‘তাহলে তুই থাক, আমি একাই নয়াপাড়া যাব।’

‘দেখ, আমি বুঝছি, তোর নয়াপাড়া যাওয়াটা সত্যিই এখন দরকার। খুবই দরকার। কিন্তু আমি তো নিরুপায়। তাছাড়া আর জে এফ’এর লেফটানেন্ট তোকে এই মুহূর্তে ছাড়বে কি না সন্দেহ আছে।’

‘ছাড়বে না মানে? আলবাত ছাড়তে হবে। ওরা না ছাড়লে, আমিই আর জে এফ ছেড়ে চলে যাব।’ ‘তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে আতিফ। আবেগ সংবরণ কর। তুই ভাল করেই জানিস যে, এখানে একবার কেউ ঢুকলে আর বেরোতে পারে না। আর বেরোলে লাশ বের হয়।’

‘ওহো, তাহলে আমি এখন কী করব?’ মাথা খুঁটে আতিফ। নবী তাকে বোঝায়, ‘দেখ, আমরা এমন জগতে ঢুকেছি, এখানে কোন পরিবার, আত্মীয়স্বজন বলে কিচ্ছু নেই। একাজে আবেগের বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। চোখের পানি এখানে হারাম। কান্না কাপুরুষের লক্ষণ। মুজাহিদ’দের ওসব থাকতে নেই। আমরা তো এই ঠুনকো জীবন আল্লাহকে মহৎ এবাদতের জন্য উৎসর্গ করেছি।’

‘আমরা যত বড় মুজাহিদই হই না কেন, এ শরীরের রক্ত-মাংস তো আর পাথর হয়ে যায়নি? হৃদয়ের অনুভূতিগুলোও ঝেটে মরে যায়নি। এখনো চোখ বুজে আসলে চোখের পাতা দিয়ে নেমে আসে প্রেম। মায়ের আঁচলের হাওয়া। আর চোখ খুললে আমি দেখতে পাই, আমার মা আমার জন্যে থালায় ভাত বেড়ে বসে আছে। এসব কি কখনও শরীর মন থেকে আলাদা হয়? না হবে কোনোদিন? যতক্ষণ দেহে শ্বাস থাকবে, ততক্ষণ থাকবে এসব। তুই বা কেন ঘুমের মধ্যে মাঝে মধ্যে ‘মা’ বলে চিৎকার করে উঠিস?’

‘মা’র কথাটা বলায় নবীর ভেতরটা ধড়াক করে ওঠে। কিচ্ছু বলল না। মূর্তির মতো ঠাই দাঁড়িয়ে থাকল। থুতনিটাকে উপরে তুলে জানালার দিকে চোখ ফেলে চুপ হয়ে গেল। তার আবেগের দরজাটাও শিমুল ফলের মোড়কের মতো খুলে যাচ্ছে। মনের ভাবনাগুলো শিমুল তুলোর মতো ফিনফিন করে উড়ে বেরোচ্ছে। নিশ্চল মূর্তিমানব নবীর চোখ থেকে টপাস করে ঝরে পড়ল অশ্রু। মানুষ নয়, যেন মূর্তি কাঁদছে!
‘আবেগ’ কি আর মাথার উকুন, যে আঙুলের নখের ওপর রেখে ‘পটাস’ করে গেলে মেরে ফেলা যায়? ‘আবেগ’ই তো হল আত্মার শ্বাস। জীবনের স্পন্দন। ‘আবেগ’ না থাকলে একজন মানুষ কীভাবে রক্তের যন্ত্রণা টের পাবেন? প্রকৃতির রঙে মিশিয়ে নেবেন নিজেকে? প্রকৃতিরও ‘আবেগ’ আছে। তাইতো, মেঘ ওঠে, ঝড় বয়, বৃষ্টি পড়ে আবার রোদ ছিটিয়ে ঝলমল করে হাসে। মানুষ তো প্রকৃতির থেকে আলাদা কিছু নয়? মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির কোলেই তো তার বড় হয়ে ওঠা। মানুষের মনে ঝড় ওঠে, বৃষ্টি হয় বলেই তো মানুষ এত সৃষ্টি করতে পেরেছেন। সৃষ্টির আহ্লাদে নিজেকে রোদ্দুর বানাতে পেরেছেন।

‘চোখের পানি মোছ। যুদ্ধের পোশাক পরে চোখের পানি ফেলা বড্ড বেমানান।’ আতিফ নবীকে হেস মারে। নবী চুরি করে হাত দিয়ে চোখ মোছে। ভেজা ঢোক গিলে মিনমিন করে, ‘যতই বলি, কষ্ট কি আর শীলনুড়া পিটে বের করা যায়? আনন্দ যেমন রগে রগে বয়, কষ্টও রগে রগে ছোটে। তড়পায়। ফোঁপায়। হু হু করে কাঁদে।’
‘ঠক’ করে দরজায় একটা শব্দ হল। নবী আতিফ থড়বড় করে চোখ মুছে নিল। নবী ঘাড় উঁচু নিচু করে পরনের খাঁকিটা ফিটফাট করে, কোমরে ঝোলানো ছাই রঙের পিস্তলের খোলে রূপোলী রঙের পিস্তলটা পুরে নিল। আতিফ ‘খক’ করে একবার চোরা কাসি কেসে কণ্ঠটাকে ঝালিয়ে নিল। সকালের তেরছা রোদ জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে ঠিকরে পড়ছে। আলোর সাথে সাথে গা এলিয়ে ঢুকে পড়ছে গাছের শাখা-পাতার ঝিলমিল ছায়া। ঘরের কাঠের মেঝেতে সে ছায়া ছড়ানাচ নাচছে। পাখির কূজন বাতাস ফুঁড়ে ঘুঙুরের মতো ঢুকছে। আতিফের ঠোঁট ফিসফিস করে উঠল, ‘এত সকালে’!
‘তাই তো!’ নবীর চোখে বিস্ময়ের ঘোর। ফিসফিসিয়ে বলল, ‘উপর মহল থেকে খুব তাড়া আছে মনে হয়।’

‘মরতে তো ওদেরকে হয় না। বুদ্ধি দিয়েই খালাস। ঠ্যালা বুঝবে কী করে।’ ঠোঁট বাঁকায় আতিফ। কানের লতিকা লাল হয়ে উঠছে তার। ‘ঠক’। আবারও দরজায় টোকা। আতিফ নবীকে চোখের ইশারা করে। নবী পা টিপে টিপে দরজার দিকে এগোতেই আবারও ‘ঠক’ শব্দটা হল। কাঠের দু-ফালি দরজা। পোক্ত করে ভেজানো আছে। লোহার ছিটকেনির সঙ্গে কাঠের একটা শক্ত হুড়কেও ঠেসে লাগানো আছে। ‘হড়াম’ করে হুড়কেটা খুলল নবী। বাদামী রঙের হুড়কেটা পাশের কোণে হেলান দিয়ে, দরজার মাথার উপরে লাগানো ‘খট’ করে ছিটকেনিটা নিচের দিকে টেনে, ‘ক্যাঁ-অ্যা-চ’ করে দরজাটা খুলল নবী। একমুখ চাপ দাড়ি নিয়ে দরজার একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’ অর্থাৎ আর জে এফ’এর জুনিয়ার কমিশন্ড অফিসার, জে সি ও, মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা। তার পেছনে তার মাথা টপকে একজন লম্বা চিকন বডির ফিটফাট লোক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। গোঁফটা ঘন নয়। ফিনফিনে। গায়ে কালো রঙের কোর্ট। তালগাছের গুঁড়ির মতো লম্বা পা’দুটোয় ছাইরঙা স্যুট। বোদাম খোলা কোর্ট’টার ভেতর থেকে উঁকি মারছে নীল রঙের সার্ট। ভাসা ভাসা চোখের নিচে একটা ঢেঁড়স ফালি নাক। লোকটার চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, তার ব্যক্তিত্বকে চাগান দিচ্ছে। লোকটার হাতে কালো রঙের ছোট সাইজের একটা স্যুটকেস।

‘আসসালামো ওয়ালাইকুম, হুজুর।’ সালাম দিল নবী। আগন্তুক দুজনেই ঠোঁট নড়ালেন, ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম।’ ‘আসুন, আসুন, ভেতরে আসুন।’ মাথা ঝুঁকিয়ে পথ দেখাল নবী। তারা অন্দরে ঢুকতেই, আতিফ সালাম দিল। আগত অতিথিরাও প্রত্যুত্তরের সালাম দিলেন।
‘জনাব তশরিফ রাখুন।’ একটা তুলোর গদি লাগানো কাঠের চেয়ার এগিয়ে দিয়ে লম্বা লোকটিকে বসতে বলল নবী। ‘শুকরিয়া’ বলে লম্বা লোকটি চেয়ারে ‘দ’ হয়ে বসলেন। মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা শোফাটার ওপরে হেলান দিয়ে বসলেন। ‘আলাপ করিয়ে দিই, ইনি হলেন আই এস আই’এর জুনিয়র ফিল্ড ব্রাঞ্চ অফিসার লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট।’ আতিফ আর নবী একসঙ্গে ‘আদাব’ জানাল। তারপর মজিদ ভাট’এর দিকে চোখ ফেলে আতিফ আর নবীকে দেখিয়ে জুনাইদ মোল্লা বললেন, ‘হুজুর, এ হল আতিফ ইসলাম আর এ হল নবীউল আলম, সবাই নবী বলে ডাকে।’ লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট হাতের তালু পেতে ‘আদাব’ জানালেন।
‘তা নবী তোমার ‘লিটলবার্ড’ এর খবর কী? প্রস্তুতি সব কমপ্লিট তো?’ জানতে চায়লেন মেজর জেনারেল জুনাইদ।
‘জি, হুজুর।’ ঘাড় হেলাল নবী।
‘বালুখালি চৌকি’র রুটম্যাপ পেয়েছ তো?’
‘জি।’
‘বালুখালি চৌকি’ উড়িয়ে দেওয়াটা আমাদের সব থেকে ফরজ কাজ। ওটা যে এই দুনিয়ার একটা দোযখ। ওকে ধুলোতে মিশিয়ে দাও। ‘দাঁত কটমট করে ওঠেন জুনাইদ মোল্লা। কানের গোড়ার রগটা রাগে টনটন করছে।’

‘জি হুজুর, বালুখালি চৌকিই জেনারেল লুন সান’এর ষড়যন্ত্রের মূল জায়গা। ওটাকে ওড়াতে পারলেই, লুন সান’এর একটা ডানা ভেঙে দেওয়া যাবে। হারামখোর অত সুন্দর স্পটটাকে মানুষ মারার কসাইখানা বানিয়ে ফেললেন!’ রাগে টগবগ করে ওঠে নবী। ‘খট’ করে টি-টেবিলটার ওপর দুটো গ্লাস রাখল আতিফ। কাঁচের ঝাঁ চকচকে গ্লাস। জানালার আলো ঠিকরে হীরের মতো ঝলমল করছে। গ্লাসের গায়ে হিজিবিজি প্রতিবিম্ব।

‘হুজুর, সরবতটা পান করে নিন।’ বলল আতিফ। জুনাইদ মোল্লা একটা গ্লাস হাতে তুলে নিয়ে ‘ঢকঢক’ করে খেয়ে নিলেন। ‘আহ! বেশ বানিয়েছ তো!’ বলে একটা স্বস্তির ঢেকুর তুলে সরবতটার সুনাম করলে, আতিফ মুখ কাঁচুমাচু করে বলল, ‘ওই আর কি।’ মজিদ ভাট সরবতটা এখনো খাননি দেখে জুনাইদ বললেন, “হুজুর, মেহেরবানি করে সরবতটা গ্রহণ করবেন।’

চলবে…

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪