শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ | ১৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক

‘আমরা নয়াপাড়ার ক্যাম্প দিয়ে নদীতে নামব। বিজিবি’র হাতে ধরা পড়ে গেলে বলব, আমরা এই নয়াপাড়া ক্যাম্পে ছিলাম, আমরা এখন আমাদের দেশে ফিরে যাচ্ছি, আমাদের যেতে দিন। সুতরাং ওদের আর আটকানোর কোনো কথা নয়।’ ‘কাজটা যত সহজ ভাবছিস, তত সহজ নয়। যথেষ্ট জটিল এবং রিস্কি।’ নবীর কথাটা শুনে আতিফের মুখে দুশ্চিন্তার ছায়া আরও কালো হয়ে উঠলে, নবী তাকে আশ্বস্ত করল, ‘তুই চিন্তা করিস না। চাচাদের উদ্ধার করবই। প্রহরা যতই কড়া হোক, ফাঁকফোকর কিছু থাকবেই। কথায় আছে না, বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরো।’

নবীর কথায় আতিফের দুশ্চিন্তার ছায়া ঢাকা মুখে চিরিক করে খুশি খেলে উঠল। যেন মনের ঝিম মেরে থাকা সেতারে নবী যেন আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে খুশির মিহি ধুন তুলে দিল। সে ধুনের চিকন ঢেউ স্পর্শ করল তার কাতর চোখমুখ। যেভাবে বৃষ্টির ছাটে কাত হয়ে যাওয়া ঘাসের পাতা ঠিকরে পড়া রোদ পেতেই আনন্দে ঝলমল করে ওঠে, নবীর শেষ কথাটায় আতিফের মন’টাও আলতো করে ঝলমলিয়ে উঠল। ‘নবী, তুই খোঁজ নে তো, নয়াপাড়াতে আমাদের কোন কোন লোক আছে।’ ঘুটি সাজাতে লাগল আতিফ।

‘সে না হয় খোঁজ নিচ্ছি, ওখানে আমাদের অনেক লোক আছে, লোক পেতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু…।’
‘কিন্তু কী?’
‘এখন তো তুই বেরোতে পারবি না। কালকেই তো আইএসআই’এর লোক আসবেন। তাছাড়া পরশুই তো আমার “লিটিল বার্ড অ্যাক্সান’। সে অ্যাক্সেন তো আমার নেতৃত্বেই হবে।’ ‘তাহলে তুই থাক, আমি একাই নয়াপাড়া যাব।’

‘দেখ, আমি বুঝছি, তোর নয়াপাড়া যাওয়াটা সত্যিই এখন দরকার। খুবই দরকার। কিন্তু আমি তো নিরুপায়। তাছাড়া আর জে এফ’এর লেফটানেন্ট তোকে এই মুহূর্তে ছাড়বে কি না সন্দেহ আছে।’

‘ছাড়বে না মানে? আলবাত ছাড়তে হবে। ওরা না ছাড়লে, আমিই আর জে এফ ছেড়ে চলে যাব।’ ‘তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে আতিফ। আবেগ সংবরণ কর। তুই ভাল করেই জানিস যে, এখানে একবার কেউ ঢুকলে আর বেরোতে পারে না। আর বেরোলে লাশ বের হয়।’

‘ওহো, তাহলে আমি এখন কী করব?’ মাথা খুঁটে আতিফ। নবী তাকে বোঝায়, ‘দেখ, আমরা এমন জগতে ঢুকেছি, এখানে কোন পরিবার, আত্মীয়স্বজন বলে কিচ্ছু নেই। একাজে আবেগের বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। চোখের পানি এখানে হারাম। কান্না কাপুরুষের লক্ষণ। মুজাহিদ’দের ওসব থাকতে নেই। আমরা তো এই ঠুনকো জীবন আল্লাহকে মহৎ এবাদতের জন্য উৎসর্গ করেছি।’

‘আমরা যত বড় মুজাহিদই হই না কেন, এ শরীরের রক্ত-মাংস তো আর পাথর হয়ে যায়নি? হৃদয়ের অনুভূতিগুলোও ঝেটে মরে যায়নি। এখনো চোখ বুজে আসলে চোখের পাতা দিয়ে নেমে আসে প্রেম। মায়ের আঁচলের হাওয়া। আর চোখ খুললে আমি দেখতে পাই, আমার মা আমার জন্যে থালায় ভাত বেড়ে বসে আছে। এসব কি কখনও শরীর মন থেকে আলাদা হয়? না হবে কোনোদিন? যতক্ষণ দেহে শ্বাস থাকবে, ততক্ষণ থাকবে এসব। তুই বা কেন ঘুমের মধ্যে মাঝে মধ্যে ‘মা’ বলে চিৎকার করে উঠিস?’

‘মা’র কথাটা বলায় নবীর ভেতরটা ধড়াক করে ওঠে। কিচ্ছু বলল না। মূর্তির মতো ঠাই দাঁড়িয়ে থাকল। থুতনিটাকে উপরে তুলে জানালার দিকে চোখ ফেলে চুপ হয়ে গেল। তার আবেগের দরজাটাও শিমুল ফলের মোড়কের মতো খুলে যাচ্ছে। মনের ভাবনাগুলো শিমুল তুলোর মতো ফিনফিন করে উড়ে বেরোচ্ছে। নিশ্চল মূর্তিমানব নবীর চোখ থেকে টপাস করে ঝরে পড়ল অশ্রু। মানুষ নয়, যেন মূর্তি কাঁদছে!
‘আবেগ’ কি আর মাথার উকুন, যে আঙুলের নখের ওপর রেখে ‘পটাস’ করে গেলে মেরে ফেলা যায়? ‘আবেগ’ই তো হল আত্মার শ্বাস। জীবনের স্পন্দন। ‘আবেগ’ না থাকলে একজন মানুষ কীভাবে রক্তের যন্ত্রণা টের পাবেন? প্রকৃতির রঙে মিশিয়ে নেবেন নিজেকে? প্রকৃতিরও ‘আবেগ’ আছে। তাইতো, মেঘ ওঠে, ঝড় বয়, বৃষ্টি পড়ে আবার রোদ ছিটিয়ে ঝলমল করে হাসে। মানুষ তো প্রকৃতির থেকে আলাদা কিছু নয়? মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির কোলেই তো তার বড় হয়ে ওঠা। মানুষের মনে ঝড় ওঠে, বৃষ্টি হয় বলেই তো মানুষ এত সৃষ্টি করতে পেরেছেন। সৃষ্টির আহ্লাদে নিজেকে রোদ্দুর বানাতে পেরেছেন।

‘চোখের পানি মোছ। যুদ্ধের পোশাক পরে চোখের পানি ফেলা বড্ড বেমানান।’ আতিফ নবীকে হেস মারে। নবী চুরি করে হাত দিয়ে চোখ মোছে। ভেজা ঢোক গিলে মিনমিন করে, ‘যতই বলি, কষ্ট কি আর শীলনুড়া পিটে বের করা যায়? আনন্দ যেমন রগে রগে বয়, কষ্টও রগে রগে ছোটে। তড়পায়। ফোঁপায়। হু হু করে কাঁদে।’
‘ঠক’ করে দরজায় একটা শব্দ হল। নবী আতিফ থড়বড় করে চোখ মুছে নিল। নবী ঘাড় উঁচু নিচু করে পরনের খাঁকিটা ফিটফাট করে, কোমরে ঝোলানো ছাই রঙের পিস্তলের খোলে রূপোলী রঙের পিস্তলটা পুরে নিল। আতিফ ‘খক’ করে একবার চোরা কাসি কেসে কণ্ঠটাকে ঝালিয়ে নিল। সকালের তেরছা রোদ জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে ঠিকরে পড়ছে। আলোর সাথে সাথে গা এলিয়ে ঢুকে পড়ছে গাছের শাখা-পাতার ঝিলমিল ছায়া। ঘরের কাঠের মেঝেতে সে ছায়া ছড়ানাচ নাচছে। পাখির কূজন বাতাস ফুঁড়ে ঘুঙুরের মতো ঢুকছে। আতিফের ঠোঁট ফিসফিস করে উঠল, ‘এত সকালে’!
‘তাই তো!’ নবীর চোখে বিস্ময়ের ঘোর। ফিসফিসিয়ে বলল, ‘উপর মহল থেকে খুব তাড়া আছে মনে হয়।’

‘মরতে তো ওদেরকে হয় না। বুদ্ধি দিয়েই খালাস। ঠ্যালা বুঝবে কী করে।’ ঠোঁট বাঁকায় আতিফ। কানের লতিকা লাল হয়ে উঠছে তার। ‘ঠক’। আবারও দরজায় টোকা। আতিফ নবীকে চোখের ইশারা করে। নবী পা টিপে টিপে দরজার দিকে এগোতেই আবারও ‘ঠক’ শব্দটা হল। কাঠের দু-ফালি দরজা। পোক্ত করে ভেজানো আছে। লোহার ছিটকেনির সঙ্গে কাঠের একটা শক্ত হুড়কেও ঠেসে লাগানো আছে। ‘হড়াম’ করে হুড়কেটা খুলল নবী। বাদামী রঙের হুড়কেটা পাশের কোণে হেলান দিয়ে, দরজার মাথার উপরে লাগানো ‘খট’ করে ছিটকেনিটা নিচের দিকে টেনে, ‘ক্যাঁ-অ্যা-চ’ করে দরজাটা খুলল নবী। একমুখ চাপ দাড়ি নিয়ে দরজার একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’ অর্থাৎ আর জে এফ’এর জুনিয়ার কমিশন্ড অফিসার, জে সি ও, মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা। তার পেছনে তার মাথা টপকে একজন লম্বা চিকন বডির ফিটফাট লোক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। গোঁফটা ঘন নয়। ফিনফিনে। গায়ে কালো রঙের কোর্ট। তালগাছের গুঁড়ির মতো লম্বা পা’দুটোয় ছাইরঙা স্যুট। বোদাম খোলা কোর্ট’টার ভেতর থেকে উঁকি মারছে নীল রঙের সার্ট। ভাসা ভাসা চোখের নিচে একটা ঢেঁড়স ফালি নাক। লোকটার চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, তার ব্যক্তিত্বকে চাগান দিচ্ছে। লোকটার হাতে কালো রঙের ছোট সাইজের একটা স্যুটকেস।

‘আসসালামো ওয়ালাইকুম, হুজুর।’ সালাম দিল নবী। আগন্তুক দুজনেই ঠোঁট নড়ালেন, ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম।’ ‘আসুন, আসুন, ভেতরে আসুন।’ মাথা ঝুঁকিয়ে পথ দেখাল নবী। তারা অন্দরে ঢুকতেই, আতিফ সালাম দিল। আগত অতিথিরাও প্রত্যুত্তরের সালাম দিলেন।
‘জনাব তশরিফ রাখুন।’ একটা তুলোর গদি লাগানো কাঠের চেয়ার এগিয়ে দিয়ে লম্বা লোকটিকে বসতে বলল নবী। ‘শুকরিয়া’ বলে লম্বা লোকটি চেয়ারে ‘দ’ হয়ে বসলেন। মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা শোফাটার ওপরে হেলান দিয়ে বসলেন। ‘আলাপ করিয়ে দিই, ইনি হলেন আই এস আই’এর জুনিয়র ফিল্ড ব্রাঞ্চ অফিসার লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট।’ আতিফ আর নবী একসঙ্গে ‘আদাব’ জানাল। তারপর মজিদ ভাট’এর দিকে চোখ ফেলে আতিফ আর নবীকে দেখিয়ে জুনাইদ মোল্লা বললেন, ‘হুজুর, এ হল আতিফ ইসলাম আর এ হল নবীউল আলম, সবাই নবী বলে ডাকে।’ লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট হাতের তালু পেতে ‘আদাব’ জানালেন।
‘তা নবী তোমার ‘লিটলবার্ড’ এর খবর কী? প্রস্তুতি সব কমপ্লিট তো?’ জানতে চায়লেন মেজর জেনারেল জুনাইদ।
‘জি, হুজুর।’ ঘাড় হেলাল নবী।
‘বালুখালি চৌকি’র রুটম্যাপ পেয়েছ তো?’
‘জি।’
‘বালুখালি চৌকি’ উড়িয়ে দেওয়াটা আমাদের সব থেকে ফরজ কাজ। ওটা যে এই দুনিয়ার একটা দোযখ। ওকে ধুলোতে মিশিয়ে দাও। ‘দাঁত কটমট করে ওঠেন জুনাইদ মোল্লা। কানের গোড়ার রগটা রাগে টনটন করছে।’

‘জি হুজুর, বালুখালি চৌকিই জেনারেল লুন সান’এর ষড়যন্ত্রের মূল জায়গা। ওটাকে ওড়াতে পারলেই, লুন সান’এর একটা ডানা ভেঙে দেওয়া যাবে। হারামখোর অত সুন্দর স্পটটাকে মানুষ মারার কসাইখানা বানিয়ে ফেললেন!’ রাগে টগবগ করে ওঠে নবী। ‘খট’ করে টি-টেবিলটার ওপর দুটো গ্লাস রাখল আতিফ। কাঁচের ঝাঁ চকচকে গ্লাস। জানালার আলো ঠিকরে হীরের মতো ঝলমল করছে। গ্লাসের গায়ে হিজিবিজি প্রতিবিম্ব।

‘হুজুর, সরবতটা পান করে নিন।’ বলল আতিফ। জুনাইদ মোল্লা একটা গ্লাস হাতে তুলে নিয়ে ‘ঢকঢক’ করে খেয়ে নিলেন। ‘আহ! বেশ বানিয়েছ তো!’ বলে একটা স্বস্তির ঢেকুর তুলে সরবতটার সুনাম করলে, আতিফ মুখ কাঁচুমাচু করে বলল, ‘ওই আর কি।’ মজিদ ভাট সরবতটা এখনো খাননি দেখে জুনাইদ বললেন, “হুজুর, মেহেরবানি করে সরবতটা গ্রহণ করবেন।’

চলবে…

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে দেশটিতে ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে এবং আগামীকাল (রবিবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি ইনসাইট দ্য হারামাইন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান নবম মাস এবং শাওয়াল দশম মাস। সাধারণত শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।

এদিকে, বাংলাদেশেও আগামীকাল (রবিবার) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে, তা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ দুটিতে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল (রোববার) খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে ভারতে এবারের রমজান ২৯ দিনে সম্পন্ন হবে এবং সোমবার ঈদ উদযাপন করা হবে। একইভাবে পাকিস্তানেও ২৯ রোজা পালনের পর সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একই চাঁদ দেখার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, বাংলাদেশের ঈদুল ফিতরও ৩১ মার্চ সোমবার উদযাপিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও ৩১ মার্চ সোমবার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে একই দিনে ঈদ উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। চাঁদ দেখা গেলে সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হবে এবং তার পরই দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।

Header Ad
Header Ad

দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিমের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাহিম গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নেতার পরিবারের কাছে এই উপহার তুলে দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, দুপচাঁচিয়া থানা বিএনপির সভাপতি একেএম মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ।

এছাড়া, দুপচাঁচিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খন্দকার রাকিবসহ যুবদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতারা শহীদ আবু রায়হান রাহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, বিএনপি তাদের কখনো ভুলবে না। ঈদ উপলক্ষে তারেক রহমানের এই উপহার শহীদ পরিবারের প্রতি দলের ভালোবাসা ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ
ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল
দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরব ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে রাত ৯টার পর
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল
কারাবন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভালো খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
পদ্মা সেতুতে এক দিনে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনা নিয়ে পুতিনের সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ আগামী ৩১ মার্চ  
বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলে নেই চিরচেনা ভিড়, বন্ধ থাকবে ঈদের দিন
নাটোর ডিসি বাংলোর বাঁশবাগান থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি-আনসার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ৪০ জেলা
ঈদের তারিখ ঠিক করতে কাল সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইংল্যান্ডে ফিরেই হামজা জাদু, শীর্ষে তুললেন শেফিল্ডকে
এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের নানি বললেন ‘আগে গোপনে মারতাম এখন ওপেনে মারব’