শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক

‘আমরা নয়াপাড়ার ক্যাম্প দিয়ে নদীতে নামব। বিজিবি’র হাতে ধরা পড়ে গেলে বলব, আমরা এই নয়াপাড়া ক্যাম্পে ছিলাম, আমরা এখন আমাদের দেশে ফিরে যাচ্ছি, আমাদের যেতে দিন। সুতরাং ওদের আর আটকানোর কোনো কথা নয়।’ ‘কাজটা যত সহজ ভাবছিস, তত সহজ নয়। যথেষ্ট জটিল এবং রিস্কি।’ নবীর কথাটা শুনে আতিফের মুখে দুশ্চিন্তার ছায়া আরও কালো হয়ে উঠলে, নবী তাকে আশ্বস্ত করল, ‘তুই চিন্তা করিস না। চাচাদের উদ্ধার করবই। প্রহরা যতই কড়া হোক, ফাঁকফোকর কিছু থাকবেই। কথায় আছে না, বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরো।’

নবীর কথায় আতিফের দুশ্চিন্তার ছায়া ঢাকা মুখে চিরিক করে খুশি খেলে উঠল। যেন মনের ঝিম মেরে থাকা সেতারে নবী যেন আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে খুশির মিহি ধুন তুলে দিল। সে ধুনের চিকন ঢেউ স্পর্শ করল তার কাতর চোখমুখ। যেভাবে বৃষ্টির ছাটে কাত হয়ে যাওয়া ঘাসের পাতা ঠিকরে পড়া রোদ পেতেই আনন্দে ঝলমল করে ওঠে, নবীর শেষ কথাটায় আতিফের মন’টাও আলতো করে ঝলমলিয়ে উঠল। ‘নবী, তুই খোঁজ নে তো, নয়াপাড়াতে আমাদের কোন কোন লোক আছে।’ ঘুটি সাজাতে লাগল আতিফ।

‘সে না হয় খোঁজ নিচ্ছি, ওখানে আমাদের অনেক লোক আছে, লোক পেতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু…।’
‘কিন্তু কী?’
‘এখন তো তুই বেরোতে পারবি না। কালকেই তো আইএসআই’এর লোক আসবেন। তাছাড়া পরশুই তো আমার “লিটিল বার্ড অ্যাক্সান’। সে অ্যাক্সেন তো আমার নেতৃত্বেই হবে।’ ‘তাহলে তুই থাক, আমি একাই নয়াপাড়া যাব।’

‘দেখ, আমি বুঝছি, তোর নয়াপাড়া যাওয়াটা সত্যিই এখন দরকার। খুবই দরকার। কিন্তু আমি তো নিরুপায়। তাছাড়া আর জে এফ’এর লেফটানেন্ট তোকে এই মুহূর্তে ছাড়বে কি না সন্দেহ আছে।’

‘ছাড়বে না মানে? আলবাত ছাড়তে হবে। ওরা না ছাড়লে, আমিই আর জে এফ ছেড়ে চলে যাব।’ ‘তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে আতিফ। আবেগ সংবরণ কর। তুই ভাল করেই জানিস যে, এখানে একবার কেউ ঢুকলে আর বেরোতে পারে না। আর বেরোলে লাশ বের হয়।’

‘ওহো, তাহলে আমি এখন কী করব?’ মাথা খুঁটে আতিফ। নবী তাকে বোঝায়, ‘দেখ, আমরা এমন জগতে ঢুকেছি, এখানে কোন পরিবার, আত্মীয়স্বজন বলে কিচ্ছু নেই। একাজে আবেগের বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। চোখের পানি এখানে হারাম। কান্না কাপুরুষের লক্ষণ। মুজাহিদ’দের ওসব থাকতে নেই। আমরা তো এই ঠুনকো জীবন আল্লাহকে মহৎ এবাদতের জন্য উৎসর্গ করেছি।’

‘আমরা যত বড় মুজাহিদই হই না কেন, এ শরীরের রক্ত-মাংস তো আর পাথর হয়ে যায়নি? হৃদয়ের অনুভূতিগুলোও ঝেটে মরে যায়নি। এখনো চোখ বুজে আসলে চোখের পাতা দিয়ে নেমে আসে প্রেম। মায়ের আঁচলের হাওয়া। আর চোখ খুললে আমি দেখতে পাই, আমার মা আমার জন্যে থালায় ভাত বেড়ে বসে আছে। এসব কি কখনও শরীর মন থেকে আলাদা হয়? না হবে কোনোদিন? যতক্ষণ দেহে শ্বাস থাকবে, ততক্ষণ থাকবে এসব। তুই বা কেন ঘুমের মধ্যে মাঝে মধ্যে ‘মা’ বলে চিৎকার করে উঠিস?’

‘মা’র কথাটা বলায় নবীর ভেতরটা ধড়াক করে ওঠে। কিচ্ছু বলল না। মূর্তির মতো ঠাই দাঁড়িয়ে থাকল। থুতনিটাকে উপরে তুলে জানালার দিকে চোখ ফেলে চুপ হয়ে গেল। তার আবেগের দরজাটাও শিমুল ফলের মোড়কের মতো খুলে যাচ্ছে। মনের ভাবনাগুলো শিমুল তুলোর মতো ফিনফিন করে উড়ে বেরোচ্ছে। নিশ্চল মূর্তিমানব নবীর চোখ থেকে টপাস করে ঝরে পড়ল অশ্রু। মানুষ নয়, যেন মূর্তি কাঁদছে!
‘আবেগ’ কি আর মাথার উকুন, যে আঙুলের নখের ওপর রেখে ‘পটাস’ করে গেলে মেরে ফেলা যায়? ‘আবেগ’ই তো হল আত্মার শ্বাস। জীবনের স্পন্দন। ‘আবেগ’ না থাকলে একজন মানুষ কীভাবে রক্তের যন্ত্রণা টের পাবেন? প্রকৃতির রঙে মিশিয়ে নেবেন নিজেকে? প্রকৃতিরও ‘আবেগ’ আছে। তাইতো, মেঘ ওঠে, ঝড় বয়, বৃষ্টি পড়ে আবার রোদ ছিটিয়ে ঝলমল করে হাসে। মানুষ তো প্রকৃতির থেকে আলাদা কিছু নয়? মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির কোলেই তো তার বড় হয়ে ওঠা। মানুষের মনে ঝড় ওঠে, বৃষ্টি হয় বলেই তো মানুষ এত সৃষ্টি করতে পেরেছেন। সৃষ্টির আহ্লাদে নিজেকে রোদ্দুর বানাতে পেরেছেন।

‘চোখের পানি মোছ। যুদ্ধের পোশাক পরে চোখের পানি ফেলা বড্ড বেমানান।’ আতিফ নবীকে হেস মারে। নবী চুরি করে হাত দিয়ে চোখ মোছে। ভেজা ঢোক গিলে মিনমিন করে, ‘যতই বলি, কষ্ট কি আর শীলনুড়া পিটে বের করা যায়? আনন্দ যেমন রগে রগে বয়, কষ্টও রগে রগে ছোটে। তড়পায়। ফোঁপায়। হু হু করে কাঁদে।’
‘ঠক’ করে দরজায় একটা শব্দ হল। নবী আতিফ থড়বড় করে চোখ মুছে নিল। নবী ঘাড় উঁচু নিচু করে পরনের খাঁকিটা ফিটফাট করে, কোমরে ঝোলানো ছাই রঙের পিস্তলের খোলে রূপোলী রঙের পিস্তলটা পুরে নিল। আতিফ ‘খক’ করে একবার চোরা কাসি কেসে কণ্ঠটাকে ঝালিয়ে নিল। সকালের তেরছা রোদ জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে ঠিকরে পড়ছে। আলোর সাথে সাথে গা এলিয়ে ঢুকে পড়ছে গাছের শাখা-পাতার ঝিলমিল ছায়া। ঘরের কাঠের মেঝেতে সে ছায়া ছড়ানাচ নাচছে। পাখির কূজন বাতাস ফুঁড়ে ঘুঙুরের মতো ঢুকছে। আতিফের ঠোঁট ফিসফিস করে উঠল, ‘এত সকালে’!
‘তাই তো!’ নবীর চোখে বিস্ময়ের ঘোর। ফিসফিসিয়ে বলল, ‘উপর মহল থেকে খুব তাড়া আছে মনে হয়।’

‘মরতে তো ওদেরকে হয় না। বুদ্ধি দিয়েই খালাস। ঠ্যালা বুঝবে কী করে।’ ঠোঁট বাঁকায় আতিফ। কানের লতিকা লাল হয়ে উঠছে তার। ‘ঠক’। আবারও দরজায় টোকা। আতিফ নবীকে চোখের ইশারা করে। নবী পা টিপে টিপে দরজার দিকে এগোতেই আবারও ‘ঠক’ শব্দটা হল। কাঠের দু-ফালি দরজা। পোক্ত করে ভেজানো আছে। লোহার ছিটকেনির সঙ্গে কাঠের একটা শক্ত হুড়কেও ঠেসে লাগানো আছে। ‘হড়াম’ করে হুড়কেটা খুলল নবী। বাদামী রঙের হুড়কেটা পাশের কোণে হেলান দিয়ে, দরজার মাথার উপরে লাগানো ‘খট’ করে ছিটকেনিটা নিচের দিকে টেনে, ‘ক্যাঁ-অ্যা-চ’ করে দরজাটা খুলল নবী। একমুখ চাপ দাড়ি নিয়ে দরজার একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ‘রোহিঙ্গা জেহাদি ফৌজ’ অর্থাৎ আর জে এফ’এর জুনিয়ার কমিশন্ড অফিসার, জে সি ও, মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা। তার পেছনে তার মাথা টপকে একজন লম্বা চিকন বডির ফিটফাট লোক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। গোঁফটা ঘন নয়। ফিনফিনে। গায়ে কালো রঙের কোর্ট। তালগাছের গুঁড়ির মতো লম্বা পা’দুটোয় ছাইরঙা স্যুট। বোদাম খোলা কোর্ট’টার ভেতর থেকে উঁকি মারছে নীল রঙের সার্ট। ভাসা ভাসা চোখের নিচে একটা ঢেঁড়স ফালি নাক। লোকটার চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, তার ব্যক্তিত্বকে চাগান দিচ্ছে। লোকটার হাতে কালো রঙের ছোট সাইজের একটা স্যুটকেস।

‘আসসালামো ওয়ালাইকুম, হুজুর।’ সালাম দিল নবী। আগন্তুক দুজনেই ঠোঁট নড়ালেন, ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম।’ ‘আসুন, আসুন, ভেতরে আসুন।’ মাথা ঝুঁকিয়ে পথ দেখাল নবী। তারা অন্দরে ঢুকতেই, আতিফ সালাম দিল। আগত অতিথিরাও প্রত্যুত্তরের সালাম দিলেন।
‘জনাব তশরিফ রাখুন।’ একটা তুলোর গদি লাগানো কাঠের চেয়ার এগিয়ে দিয়ে লম্বা লোকটিকে বসতে বলল নবী। ‘শুকরিয়া’ বলে লম্বা লোকটি চেয়ারে ‘দ’ হয়ে বসলেন। মেজর জেনারেল জুনাইদ মোল্লা শোফাটার ওপরে হেলান দিয়ে বসলেন। ‘আলাপ করিয়ে দিই, ইনি হলেন আই এস আই’এর জুনিয়র ফিল্ড ব্রাঞ্চ অফিসার লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট।’ আতিফ আর নবী একসঙ্গে ‘আদাব’ জানাল। তারপর মজিদ ভাট’এর দিকে চোখ ফেলে আতিফ আর নবীকে দেখিয়ে জুনাইদ মোল্লা বললেন, ‘হুজুর, এ হল আতিফ ইসলাম আর এ হল নবীউল আলম, সবাই নবী বলে ডাকে।’ লেফটেন্যান্ট মজিদ ভাট হাতের তালু পেতে ‘আদাব’ জানালেন।
‘তা নবী তোমার ‘লিটলবার্ড’ এর খবর কী? প্রস্তুতি সব কমপ্লিট তো?’ জানতে চায়লেন মেজর জেনারেল জুনাইদ।
‘জি, হুজুর।’ ঘাড় হেলাল নবী।
‘বালুখালি চৌকি’র রুটম্যাপ পেয়েছ তো?’
‘জি।’
‘বালুখালি চৌকি’ উড়িয়ে দেওয়াটা আমাদের সব থেকে ফরজ কাজ। ওটা যে এই দুনিয়ার একটা দোযখ। ওকে ধুলোতে মিশিয়ে দাও। ‘দাঁত কটমট করে ওঠেন জুনাইদ মোল্লা। কানের গোড়ার রগটা রাগে টনটন করছে।’

‘জি হুজুর, বালুখালি চৌকিই জেনারেল লুন সান’এর ষড়যন্ত্রের মূল জায়গা। ওটাকে ওড়াতে পারলেই, লুন সান’এর একটা ডানা ভেঙে দেওয়া যাবে। হারামখোর অত সুন্দর স্পটটাকে মানুষ মারার কসাইখানা বানিয়ে ফেললেন!’ রাগে টগবগ করে ওঠে নবী। ‘খট’ করে টি-টেবিলটার ওপর দুটো গ্লাস রাখল আতিফ। কাঁচের ঝাঁ চকচকে গ্লাস। জানালার আলো ঠিকরে হীরের মতো ঝলমল করছে। গ্লাসের গায়ে হিজিবিজি প্রতিবিম্ব।

‘হুজুর, সরবতটা পান করে নিন।’ বলল আতিফ। জুনাইদ মোল্লা একটা গ্লাস হাতে তুলে নিয়ে ‘ঢকঢক’ করে খেয়ে নিলেন। ‘আহ! বেশ বানিয়েছ তো!’ বলে একটা স্বস্তির ঢেকুর তুলে সরবতটার সুনাম করলে, আতিফ মুখ কাঁচুমাচু করে বলল, ‘ওই আর কি।’ মজিদ ভাট সরবতটা এখনো খাননি দেখে জুনাইদ বললেন, “হুজুর, মেহেরবানি করে সরবতটা গ্রহণ করবেন।’

চলবে…

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম