শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ | ১৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৮

নেই দেশের নাগরিক

একবার ‘দুম’ করে বিকট শব্দ হলো! বিজিবি কামান দাগল, ভয় দেখাল, নৌকোর ওপর থাকা নিঃস্ব মানুষদেরকে। মাইকে গলা ফাটিয়ে বলছে, ‘আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, আপনারা নিজেদের দেশে ফিরে যান, বাংলাদেশে ঢোকার কোনো পারমিশন আপনাদের দেওয়া হয়নি।’

‘কী করবেন মাস্টার?’ ইয়াসিন মাস্টারকে উদ্দেশ্য করে কাতর স্বরে জিজ্ঞেস করল মতি। যেন গলার স্বরের পেটে বহুতদিন দানাপানি পড়েনি। বড় অসহায় দেখাচ্ছে মতিকে। ইয়াসিন মাস্টারের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে বাকি সবাই।

‘অপেক্ষা।’ মুখ থেকে আলতো করে বেরিয়ে এল কথাটা। ঠোঁট প্রায় নড়লই না। হুল ফোটা ঠোঁটের মতো ঠোঁট দুটো যন্ত্রণায় একটা আরেকটাকে কামড়ে লেগে থাকল।

‘অপেক্ষা!’ কীসের অপেক্ষা? শরীর থেকে একটু একটু করে মাংসগুলো শুকিয়ে শুকিয়ে হাড় হওয়ার জন্যে অপেক্ষা? কলিজা থেকে একটু একটু করে জান নিংড়ে বের হয়ে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষা? জীবনের শেষ শ্বাসটুকুকে গলা টিপে খুঁচে খুঁচে মারার জন্যে অপেক্ষা?

শিরদাঁড়া ঝিনঝিন করে ওঠে মতির। তা ছাড়া কী বা আর করার আছে? আমরা তো আর মানুষ নই, জলের পোকা। তাড়া খেকো কুকুর শেয়াল। এ সব ভাবতে ভাবতে ছইয়ের খুঁটিটাকে ধরে মতি বিড়বিড় করে বলল, ‘অপেক্ষাই করি, দেখি মাটি পাই না চাটি পাই।’

‘নৌকোটাকে ঠিক করে ভিড়াই?’ জিজ্ঞেস করল নুহু। ‘হ্যাঁ, তাইই কর।’ ঘোর কাটিয়ে বলল মতি। মতি ছইয়ের খুঁটিটাতে এবার ঠাসা দিয়ে দাঁড়াল। সকালের কুঁড়ি-সূর্য তার কাঁধের আড়ালে। তার ছায়ার থেকে খুঁটির ছায়া কিঞ্চিত বড়। খুঁটির ছায়ায় তার এক খাবলা ছায়া মিশে পেট ফুলে যাচ্ছে। আকাশে পাখির আনাগোনাও বেড়েছে অনেকটা। নীল আকাশের গায়ে চরছে একঝাঁক সাদা মেঘ। সে মেঘ ফুঁড়ে নেমে আসছে পদ্মপাতার মতো উঠোন উঠোন ছায়া। টেঙ্গার চরের লবণাম্বু গাছগুলো থেকে ভেসে আসছে নতুন দেশের গন্ধ। ত্রিপলের চালা দুহাত বাড়িয়ে বলছে, এই তো আমি দেশ, আমার কোলে আয়। বুভুক্ষু মানুষের চোখের সামনে যেমন কোনো খাবারের প্লেট এলে, টপ করে জিভ থেকে লালা ঝরে পড়ে, অনাহারের পেট মহানন্দে ধেই করে নেচে ওঠে, ঠিক তেমনি দেশহীন মানুষের কাছে এক টুকরো দেশের টিকি দেখা মানেই আনন্দে ‘ধিন’ করে নেচে ওঠা। হাতের নাগালের মধ্যে নয়াপাড়া দেখে মতিদের এখন সেই ধিতাং ধিতাং অবস্থা। কিন্তু বিজিবি তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কাঁটা খড়গ হয়েও উঠতে পারে!

‘এখানেই গেড়ে বসে থাকা ভালো। একটা বিহিত কিছু হবেই।’ মাথা থেকে হাত নামালেন ইয়াসিন মাস্টার।
‘তাই! কীরকম?’ আগ্রহে আটখানা হয়ে উঠল মতি। হেলান ছেড়ে দুধাপ এগিয়ে গেল। ইয়াসিন মাস্টার বললেন, ‘এক তো এখানে থাকলে বার্মা সেনার আক্রমণের ভয় নেই, দুই, বাংলাদেশ সরকার তার সিদ্ধান্ত বদল করলেই আমরা চট করে শরণার্থী শিবিরে চলে যেতে পারব। তখন ঠিক একটা হিল্লে হয়ে যাবে।’
‘খাবারেরও অভাব হবে না। বিজিবি ওদের দেশে ঢুকতে না দিক, খাবার তো দেবে।’ যন্ত্রণার দেওয়াল ফুঁড়ে এক চিলতে আনন্দ ঠিকরে বের হয়ে এল নুহুর।
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, আমাদের বাপ হয় তো, যে খাবার দেবে। ও ভরসায় থাকেন না। ওদেরকে তো চেনেন না? খাবার না দিয়ে পেটে গুলি দেবে, তখন বুঝবেন ঠেলা।’ দ্বিতীয় নৌকোয় বৈঠা নিয়ে বসে থাকা গাট্টাগোট্টা চেহারার আবুল ফোড়ন কাটল। সে বৈঠাটাকে ঠক করে রেখে বিড়বিড় করল, ‘যতক্ষণ এই শরীরটায় বৈঠা ঠেলার মুরোদ থাকবে, ততক্ষণ জানটুকুন থাকবে, গায়ের জোরটুকুন ফুরিয়ে গেলেই, এ রুহু ঠিক ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে আল্লাহর খাতায় জমা হয়ে যাবে। দেশের ভরসা আর করেন না, আমাদের কপালে আল্লাহ আর দেশ লিখে রাখেনি।’
‘অত বকর বকর করিসনে তো?’ ধমকে ওঠেন ইয়াসিন মাস্টার।
‘বকর বকর! আমি ঠিকই বলছি, আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।’ কথার ওপর কথা বলল আবুল। তার পটল পেটটা ফুলে ফুলে উঠছে। ডাহুক চোখে জীবনের হাল ছেড়ে দেওয়ার বেবাগি ভাব। চোখটাকে নামিয়ে মনে মনে বিড়বিড় করতে লাগল, আর বারুদ ঠোকার খোল খুঁজে কী হবে? জীবনের বারুদ তো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছাই আর বারুদে কি আর আগুন জ্বলে ওঠে? বারুদ ঠোকাই হয়, আগুন আর জ্বলে না।

‘হ্যাঁ হ্যাঁ, তুই তো আল্লাহর পীর ওলি হয়ে গেছিস, যে তোর কথা মিলে যাবে?’ চটে ওঠেন ইয়াসিন মাস্টার। আবুল ওসবে কান করে না। সে মনের সঙ্গে মনের কথা বলতে থাকে, হাওয়া ভরে আর কতদিন বেঁচে থাকা যায়? একসময় হাওয়াও বলবে, আমাকে ভাত দাও। আমাকে জল দাও। তখন জল-ভাত না পেলে হাওয়াও বলবে ‘টা’ ‘টা’ ‘বাই’ ‘বাই’। রুহু তখন শরীরকে ঠেলা মারবে, যা পালা, পালা।

সূর্য ঘাড় থেকে কানে উঠে গেল। রোদ ডাগর হয়ে উঠছে। রোদের সে ডাগর ঝাঁঝ মাথার টিকিতে এসে পড়ছে। নৌকো যাত্রার শেষ কোথায় বোঝা যাচ্ছে না! চোখে যতটুকু সুজছে তাতে মনে হচ্ছে, পশ্চিমে নয়াপাড়ার লেজ ছুঁয়ে পূর্বে নাফ নদীর ওপর আন্তর্জাতিক ‘জিরো পয়েন্ট’ পর্যন্ত জলহস্তির মতো পিঠ তুলে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে রোহিঙ্গা নৌকো। সুন্দরী রমণীর বুকের ওপর হৃদয় এঁকে শুইয়ে আছে নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির। রোদ তেতে উঠতেই আরিফা বলল, ‘পেটে কিছু দিয়ে নাও তোমরা। খাবারদাবার যা যতটুকু আছে ততক্ষণ তো খাও।’ কাঁসার বাটিতে আধ-বাটি মুড়ি নিয়ে আরিফা সাকিবকে খাওয়াচ্ছে। সাকিব সে মুড়ি কচমচ করে চিবোচ্ছে। আধ-বাটি মুড়ি দু-গালেই গব গব করে খেয়ে নিল সাকিব। ‘মা, আরও খাব, পেট ভরল না।’ অভাগা চোখ কাতর দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকাল। ‘আবার পরে খাবি।’ ভোগানোর চেষ্টা করল আরিফা। আদর ঢেলে বলল, ‘রোদটা একটু পড়লেই ভাত ফুটিয়ে দেব বাবু, এখন এই খেয়েই পানি খা।’
‘না, আমি এখুনি খাব।’ বায়না ধরে সাকিব।
‘এখন খাবি তো পাবি কতি?’ চোখ গরম করে ওঠে আরিফা। ‘দেখতে পাচ্ছিস ন্যা, নৌকোতে করে পালিয়ে বেড়াচ্ছি? এখানে কি খাবারের গুদাম আছে? এটা বাড়ি না খাবারের হোটেল, যে যা চাইবি তাই পাবি?’
‘ভ্যা’ করে কেঁদে ওঠে সাকিব। ‘ওকে কাঁদাচ্ছ ক্যানে? ওর কি ওসব বোঝার বুদ্ধি হয়েছে?’ ধমকে ওঠে মতি। বলে, ‘আমার টুকুও ওকে দিয়ে দাও, আমি খাব না।’
‘আমারটাও দিয়ে দাও, ভাবি, আমিও খাব না।’ ভাইয়ের সুরে সুর মেলায় নুহু।
‘তোমরা খাবে না, ব্যস, ভালো কথা, কিন্তু এমনি করে ক-দিন চলবে? কাল-পরশুর মধ্যে তো চালকটাও ফুরিয়ে যাবে!’ আঁচল দিয়ে চোখ মোছে আরিফা। সুড়ুৎ করে নাক টেনে বলে, ‘তার চেয়ে চলো, সবাই মিলে নদীতে ডুব দিয়ে মরি। সব ক্যাচাল মিটে যাক।’
‘এই শুরু হল নাকে কাঁদা! মেয়েদের কাজই হল, একটু কিছু হলেই ফ্যাচফ্যাচ করা! যত্তসব নাকোসরি!’ বিরক্ত হয়ে ওঠে মতি। ঠেস মেরে বলে, ‘শোনো, ওসব কেঁদে টেদে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। চোখের পানি কবেই বা সমস্যার সমাধান করেছে? রুজির মালিক আল্লাহ, কপালে যদি রুজি লেখা থাকে, তাহলে সে রুজি মানুষ পাবেই পাবে। দুনিয়ার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’

‘থাক থাক, অত বাতলিং ঝারতে হবে না। দয়া করে মুখ বন্ধ করো।’ ঝেঝিয়ে উঠল আরিফা। মুড়ির ডামটা বগলে পুরে নিচ সোজা কাত করে সড়সড় করে বাটিটায় মুড়ি ঢালতে লাগল। মুড়িতে উপচে পড়ল কাঁসার বাটিটা। বাটিটাকে সাকিবের মুখের সম্মুখে ঠক করে রেখে চোখ ফেড়ে বলল, ‘খা, পেট ভরে খা, খাইকোস কোথাকার!’ সাকিব মায়ের বকুনিতে ভয় পেয়ে আরও জোরে ‘ভ্যা’ করে উঠল।

‘এ তো ভারী ক্যাচাল দেখছি!’ খিচখিচ করে উঠল মতি। সে বেটার কাছে এসে আদুরে গলায় বলল, ‘খাও বাপ, খাও, যত ইচ্ছে খাও, আমি তোমার মাকে বকে দিচ্ছি।’ বলে আরিফাকে ‘এই তুমি আমার ছেলেকে মেরেছ কেন’ বলেই একটু মিহি করে চোখ টিপে, দাঁত কিষে শক্ত করে ঘুষি পাকিয়ে আরিফার পিঠ আলতো করে স্পর্শ করল।

মতির মশকরা দেখে, আরিফার অশ্রু ভেজা চোখ ফিক করে উঠল। মৃত্যুমুখে পড়েও ক্ষুধার নৌকোয় দুজন স্বামী-স্ত্রীর রসিকতা দেখে মেঘের আড়াল থেকে স্বয়ং ঈশ্বরও যেন ‘ফিক’ করে হাসলেন। এ যে জ্বালা-যন্ত্রণার ভেতরে লুকিয়ে থাকা এক টুকরো গোলাপ ফুল। পাথর ফুঁড়ে বের হয়ে আসা কুলকুল ঝর্ণা। জীবনের এখানেই জয়। এখানেই স্বর্গ এখানেই বেহেশত। ‘না’ বলা সত্যেও আরিফার জিরাজিরিতে মতি নুহু সবাই দু-গাল করে মুড়ি চিবোল। গলায় দিল জল। ছায়াটা উল্টোবাজি মারতেই নুহু ছলাৎ করে নদীতে মারল লাফ। তারপর ভূষ করে মাথা তুলল। তার টাক মাথার আধমাথা চুল লবণজলে জুবুথুবু হয়ে গেছে। লবণাক্ত জলে তার চামটা শরীর ছলছল করে উঠল। বুকে ঝোপ বেঁধে থাকা লোমে শিশিরের মতো লেগে আছে কণা কণা সাদা লবণ। বুকটা যেন লবণবুক। গা চোঁয়া জল নাক চুঁইয়ে যখন ঠোঁট গলে ঢুকে গেল, তখন নুহু টের পেল তার শরীরে এখনো স্বাদ আছে। নুহু জানে, শরীর থেকে রুহু যখন বেরিয়ে এসে গলায় ছটফট করে, তখন সে শরীরের আর কোনো স্বাদ থাকে না। নুহু এও জানে, ক্ষুধা যখন পেট থেকে হেঁটে এসে গলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়, তখন সে দেহের আর কোনো রস-কষ থাকে না। কিন্তু তার পাংশে জিভ লবণের স্বাদ পায়ে জানান দিচ্ছে, পাংশুটে হলেও এখনো এই দেহের মধ্যে রুহুটা লুকিয়ে রয়েছে। সে প্রাণে এখনো রয়েছে রক্ত-মাংস। সোজা বাঁকা হাড়। সে হাড়ে এখনো বাড়ি মারলে, গান গেয়ে ওঠে। বেজে ওঠে বাঁশির সুর।

‘আবুলভাই আসেন, গোসুল করে নিই। মৃত্যুর পর মুর্দা হয়ে গেলে তো আর গোসুল করার ফুরসত থাকবে না। তখন না থাকবে গোসুল করানোর লোক, না থাকবে দাফন করার লোক!’ জলের নীচ থেকে গলা তুলল নুহু।
‘এই পানিতে কি আর গোসুল করা হয়? এ তো নামেই নদী, নদীর মতো তো আর মিস্টি পানি নয়? লবণাক্ত পানি। এই পানিতে গোসুল করলে গা-হাত-পা চ্যাটপ্যাট করবে। খসখস করবে। এ পানি না পানের না গোসুলের।’ বৈঠা হাতে ফদফদ করে বকল আবুল।
‘আপনি বলছেন কি, পানি না পানের না গোসুলের? আপনি কি জানেন না, এখন পানিই মানি?’
‘সে জানি, একদিন পানির জন্যেই বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে। যে দেশে যত পানি মজুত থাকবে, সে দেশ তত ধনী হবে। ‘পানির মতো সস্তা’ কথাটা বললে লোকে হাসবে।’
‘এতই যখন বোঝেন তখন গোসুল করতে কেন নামছেন না?’
‘এ যে পানি নয়, লবণ। গায়ে লবণ মেখে গোসুল করলে, শরীর কি আর ঠাণ্ডা হবে?’
‘কেন হবে না? আলবাত হবে। আরে আমাদের শরীরে কি লবণ নেই? শরীর ঘামলে কি শরীর থেকে লবণ বের হয় না? শরীরেরও লবণ দরকার হয়। আর কটা দিনই বা বাঁচবেন? পানি-লবণ, রোদ-কাদা, যা পাবেন মেখে নিন। সবই তো পচে ভূত হয়ে যাবে।’
‘আপনি তাড়াতাড়ি উঠে পড়ুন। ঠাণ্ডা লেগে যাবে। জোয়ারের পানি, নতুন পানি।’
‘আর ঠাণ্ডা! এ শরীর কি সেই শরীর গ? এ শরীরের সব ধকল সহ্য করার ক্ষমতা আছে। এ শরীর রোদেও পুড়তে পারে আবার বৃষ্টিতেও ভিজতে পারে। গরিব মানুষের শরীর কি আর মোম দিয়ে তৈরি? যে একটুতেই গলে যাবে। এ শরীর আল্লাহ ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে তৈরি করেছেন। ভেতরে রক্ত-মাংস থাকলেও, বাইরে একটা প্রকৃতি আছে। যে প্রকৃতিতে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি সবই হয়। মোষের মতো যেমন মেঘ ওঠে, ঠিক তেমনি কালবৈশাখীর মতো ঝড়ও ওঠে। আবার চাঁদি ফাটা সূর্যও ওঠে। এ শরীরে হাওয়াঘরও আছে। সে হাওয়া কখনো নাচে কখনো ভাঙে।’
‘তুই আবার ঐ বাউলগিরি শুরু করলি?’ বিরক্ত হয়ে ওঠে মতি।
‘বড়ভাই তুমি আর জীবনের কি স্বাদ বুঝলে! তেল-নুনের হিসেব কষতে কষতেই তো জীবনটা ফুরিয়ে দিলে! শরীরের যেমন সংসার আছে, মনেরও একটা সংসার আছে। সে সংসারে আর ক-দিনই বা আগুনের ফুঁ দিলে! সলতেই দিলে কেরোসিনের তেল! সে সংসার চিনতেই পারলে না। শরীরের আকাশেই তো সারাজীবন ঘুড়ি উড়িয়ে গেলে। মনের আকাশে একদিন ঘুড়ির সুতো ছাড়লে বুঝতে, জীবনের রঙ কত রঙিন হয়।’

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব ১৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৯

 

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে দেশটিতে ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে এবং আগামীকাল (রবিবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

সৌদিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি ইনসাইট দ্য হারামাইন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান নবম মাস এবং শাওয়াল দশম মাস। সাধারণত শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।

এদিকে, বাংলাদেশেও আগামীকাল (রবিবার) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে উদযাপিত হবে, তা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশ দুটিতে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশেও একই দিনে ঈদ উদযাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল (রোববার) খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে ভারতে এবারের রমজান ২৯ দিনে সম্পন্ন হবে এবং সোমবার ঈদ উদযাপন করা হবে। একইভাবে পাকিস্তানেও ২৯ রোজা পালনের পর সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একই চাঁদ দেখার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায়, বাংলাদেশের ঈদুল ফিতরও ৩১ মার্চ সোমবার উদযাপিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইও ৩১ মার্চ সোমবার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়। সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে একই দিনে ঈদ উদযাপিত হবে।

বাংলাদেশে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। চাঁদ দেখা গেলে সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হবে এবং তার পরই দেশব্যাপী ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।

Header Ad
Header Ad

দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যুবদল নেতা আবু রায়হান রাহিমের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাহিম গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ নেতার পরিবারের কাছে এই উপহার তুলে দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, দুপচাঁচিয়া থানা বিএনপির সভাপতি একেএম মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ।

এছাড়া, দুপচাঁচিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খন্দকার রাকিবসহ যুবদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতারা শহীদ আবু রায়হান রাহিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, বিএনপি তাদের কখনো ভুলবে না। ঈদ উপলক্ষে তারেক রহমানের এই উপহার শহীদ পরিবারের প্রতি দলের ভালোবাসা ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ ও আহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতারা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল সৌদিতে ঈদ
ভারত-পাকিস্তানে ঈদের তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশের বিষয়ে যা জানা গেল
দুপচাঁচিয়ায় শহীদ যুবদল নেতার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরব ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে রাত ৯টার পর
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মির্জা ফখরুল
কারাবন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ভালো খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
পদ্মা সেতুতে এক দিনে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনা নিয়ে পুতিনের সতর্কবার্তা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ আগামী ৩১ মার্চ  
বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলে নেই চিরচেনা ভিড়, বন্ধ থাকবে ঈদের দিন
নাটোর ডিসি বাংলোর বাঁশবাগান থেকে শতাধিক সিলমারা ব্যালট উদ্ধার
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবি-আনসার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তাপপ্রবাহে পুড়ছে ৪০ জেলা
ঈদের তারিখ ঠিক করতে কাল সন্ধ্যায় বসছে চাঁদ দেখা কমিটি
ইংল্যান্ডে ফিরেই হামজা জাদু, শীর্ষে তুললেন শেফিল্ডকে
এবার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের নানি বললেন ‘আগে গোপনে মারতাম এখন ওপেনে মারব’