মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা

আরেফিনের মৃত্যুর পর মোহিনী সাতদিন বাসার বাইরে যাননি। কারো সঙ্গে কথা বলেননি। অফিসের খোঁজখবর নেননি। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কেউ যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে সেজন্য নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। বাসার অপারেটরকেও বলে রেখেছেন, বাইরের কোনো ফোন তাকে দেওয়া যাবে না। তিনি যে বাসায় আছেন সে কথাও বলা যাবে না। এটা তার একটা অদ্ভুত স্বভাব। তিনি যদি নিজে লুকিয়ে রাখেন তাহলে কেউ তাকে আর খুঁজে পায় না।

মোহিনী তার মা বাবাকে বলে রেখেছেন, তাকে যেন তারা ডাকাডাকি না করেন। আসলে নিজেই নিজেকে ঘরে বন্দি করেছেন। বন্দি করেছেন নিজের মনকেও। এই সময়টা মোহিনী নিজের মতো করে কাটাবেন। ইচ্ছা হলে কারো সঙ্গে কথা বলবেন। ইচ্ছা না হলে বলবেন না। কেউ তাকে খেতে ডাকবে না। গোসলের জন্য বলবে না। অফিসে যাওয়ার জন্য তাড়া করবে না। ঘুমানোর কথা কিংবা ঘুম থেকে ওঠার কথাও বলবে না। এই কাজগুলো মোহিনী নিজের ইচ্ছা মতো করবেন। এ সময় কখনো তিনি টানা আঠারো ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন। আবার আঠারো ঘণ্টা জেগে থেকেছেন। গান শুনেছেন। ছবি দেখেছেন। বই পড়েছেন। একেবারে নিজের সঙ্গে কাটানো যাকে বলে! তিনি তাই করেছেন। পুরো সময়টুকু তিনি নিজেকে দিয়েছেন। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেছেন। গল্প করেছেন। নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন। বোঝাপড়া তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। কি করবেন তিনি? নতুন করে আবার সংসার করবেন? কি হবে? যদি আবার আঘাত পেতে হয়! যদি আবার এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু!

মোহিনী অতীত নিয়ে ভাবেন। ভাবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোর কথা। আরেফিনের সঙ্গে তার ভালোবাসার দিনগুলোর কথা। একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর কথা। সেই দিনগুলো কত আনন্দের ছিল। কত মধুর ছিল। সেদিন কত স্বপ্ন ছিল। কত আকাঙ্ক্ষা ছিল। শুরুটা বেশ ভালোভাবেই হয়েছিল। যদিও মা বাবা মেনে নিতে পারছিলেন না। কারণ, আরেফিন খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। পরিচয় দেওয়ার মতো কিছু নেই। আরেফিন তাই ওর মা-বাবার কথা মুখেও আনেনি। তারপরও মা বাবা অসন্তুষ্ট ছিলেন। যে কারণে তার জন্য ঘর ছাড়ার মতো অন্যত্র বাসা নিয়ে থেকেছি। ওর জন্য মা বাবাকে তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সব খুইয়েছিলাম। তারপরও সেটাই মেনে নিয়েছিলাম। আমি আসলেই আরেফিনকে নিয়ে সুখী হতে চেয়েছি। মনে মনে ভেবেছি, কেউ নেই, কিছু নেই! আরেফিন তো আছে! মেধাবী ছেলে। সুশিক্ষিত। চৌকস। সে অনেক বড় হবে। আমার অনুপ্রেরণায় সে অনেক বড় হবে। অনেক দূর এগিয়ে যাবে। জীবনে বড় হতে হলে কারো না কারো অনুপ্রেরণা তো লাগে! তা ছাড়া সে আমার প্রথম ভালোবাসা। তার সঙ্গে আমি বেইমানি করতে পারব না। করিওনি। অথচ আরেফিন বিশ্বাসই করত না যে; আমি ওকে বিয়ে করব। ও বলত, এটা হতে পারে না। কেউ মেনে নেবে না। সবার বাধা উপেক্ষা করেই তো ওকে আমি বিয়ে করেছিলাম! কারণ ওকে আমি কথা দিয়েছিলাম। সেই কথা আমি রেখেছি। কে জানতো আরেফিন এভাবে পাল্টে যাবে! মানুষের মন। চেনা বড়ই শক্ত। ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। সাপের মতো খোলস পাল্টায়। সেজন্যই হয়ত মানুষে মানুষে এতো বিভেদ।

মোহিনী আরও ভাবেন, তারপরও তো আরেফিনকে নিয়েই ছিলাম। কত যন্ত্রণা দিয়েছে! রাতের পর রাত ঘুমাতে পারিনি। ওর অনেক যাতনা সহ্য করেছি। অনেক ছোটলোকিপনা মেনে নিয়েছি। ওর জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করেছি! অথচ শেষ পর্যন্ত আরেফিন আমার সঙ্গে অভিমান করল। অনেক বড় অভিমান। আমি বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারলে হয়ত ওকে যেতে দিতাম না। ও আমাকে না বলে চীনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের বাড়িতে চলে যাব। তাই করেছি। আমি কি পেয়েছি সে হিসাব কষতে গিয়ে ভুল আমিও করেছি। আর সে ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে আজ। সবই যেন নিঃশেষ হয়ে গেল। আবার নতুন করে সংসার জীবনে পা দেওয়ার কোনো মানে নেই। কী আছে! বিধাতা তো আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। সংসার জীবন হয়ত আমার জন্য নয়। সবাইকে সবকিছুতেই শতভাগ সফল হতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই! অন্যদিক থেকে তো আমি সফল! আমি যদি এ রকম একটা সমৃদ্ধশালী পরিবারে না জন্মাতাম! যদি দরিদ্র পরিবারে জন্মাতাম! তাহলে তো অর্থ কষ্ট, খাবার কষ্টে জীবন আরও অতীষ্ট হয়ে উঠত। আমি বিশাল একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। বাবার প্রতিষ্ঠানগুলোও আমারই থাকবে। হয়ত এগুলো নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। সামনের দিকগুলোতে মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়াই হয়ত উত্তম কাজ হবে।

মোহিনীর একটি গানের কথা আজ বড় মনে পড়ছে। তিনি মোবাইল হাতে নিয়ে ইউটিউবে সার্চ দেন। জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘বড় অভিমান করে চলে গেছ আর বলে গেছ ফিরে আসবে না। আমি জানি হার মানবে তবু দূরে থাকা ভালোবাসবে না।’..

গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন মোহিনী। ঘুমের ঘোরে তিনি আরেফিনকে দেখেন। আরেফিন তার কাছে আসেন। তাকে আদর করেন। আদরে আদরে ওকে ভরিয়ে তোলেন। তার কপালে চোখে ঠোঁটে গলায় বুকে তারপর শরীরের সর্বত্র আরেফিনের ঠোঁটের পরশ বুলিয়ে মোহিনীকে পাগল করে তোলেন। গভীর ভালোবাসার আবেশে ডুবে যান মোহিনী। দারুণ এক ভালোলাগার অনুভূতি নিয়ে মোহিনীর ঘুম ভাঙে। চোখ মেলে দেখেন সবই দুঃস্বপ্ন। যা হওয়ার নয়। কোনো দিন যা হবে না। হতে পারে না। কিন্তু তিনি এ রকম একটা স্বপ্ন দেখলেন!
আবার মোহিনীর মনটা ভারী হয়ে ওঠে। চুপচাপ বিছানায় শুয়ে থাকে। ঘুরেফিরে আরেফিনের কথা মনে পড়ে। অতীতের নানা স্মৃতি মনের আয়নায় ভেসে উঠে।

মোহিনী অফিসে যাবেন। মোহিনী আর ঘরে বসে থাকবেন না। অতীতকে আকড়ে ধরে বসে থাকবেন না। তিনি নিজেকে ভাঙবেন। নিজেকে আবার নতুন করে গড়ে তুলবেন। নতুনভাবে তিনি বেঁচে থাকবেন। মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেবেন। নিজের যা সম্পদ আছে তা প্রয়োজনের বেশি একটুও তিনি রাখবেন না। এখন মানুষ বড় অসহায়। এই বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বাড়াতে হবে সাহায্যের হাত। ঘরে বসে আর অলস সময় কাটাবেন না। এ পর্যন্ত যা করেছেন সেটা তা খুবই সামান্য। আরও অনেক কিছু করার আছে তার। অনেকভাবে তিনি মানুষকে সাহায্য করতে পারেন।

মোহিনী ভাবেন, এদেশের মানুষ বড় অসহায়। এই দেশে কথায় কথায় মানুষের চলে চাকরি যায়। ঠুকনো অজুহাতে চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়। করোনাকালে এ পর্যন্ত অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। অনেকেই বেতনবঞ্চিত। এ অবস্থায় ঢাকা শহরে একটা পরিবার চলে কি করে! তা ছাড়া জিনিসপত্রের যা দাম! বাড়ি ভাড়া, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ! চিন্তাই করা যায় না। করোনার মধ্যেও স্কুলগুলো বেতন নিচ্ছে। বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এসব অমানবিক খবর পত্রিকায় দেখে মন খারাপ হয় মোহিনীর। তিনি মনে মনে বলেন, মানুষ এত নিষ্ঠুর কেন? মানুষ তো মানুষের জন্যই। অথচ সেই মানুষ কত স্বার্থপর! কত আত্মকেন্দ্রিক! কত রূপ সেই মানুষের! নিজের স্বার্থে মানুষ সবকিছু করতে পারে!

মোহিনীর কাছে এই মানুষগুলোকে অচেনা লাগে। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবেন। কাউকে না কাউকে তো হাল ধরতেই হয়! সেই হালটা তিনি ধরবেন। যত কষ্টই হোক, তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবেন না।

আবার মোহিনীর মনে প্রশ্ন জাগে; একা কী করবেন তিনি? তার পক্ষে কতটুকুই বা সম্ভব! তারপরও মোহিনীর পক্ষে যা করা সম্ভব তা তিনি করবেন বলে মনস্থির করেছেন। তার দেখাদেখি আরও অনেকেই হয়ত এগিয়ে আসবেন। অথবা কেউ যদি নাও আসে লজ্জা তো পাবে!

চলবে…
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

আরএ/

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ