শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৬

বিষাদ বসুধা

আরেফিনের মৃত্যুর পর মোহিনী সাতদিন বাসার বাইরে যাননি। কারো সঙ্গে কথা বলেননি। অফিসের খোঁজখবর নেননি। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কেউ যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে সেজন্য নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। বাসার অপারেটরকেও বলে রেখেছেন, বাইরের কোনো ফোন তাকে দেওয়া যাবে না। তিনি যে বাসায় আছেন সে কথাও বলা যাবে না। এটা তার একটা অদ্ভুত স্বভাব। তিনি যদি নিজে লুকিয়ে রাখেন তাহলে কেউ তাকে আর খুঁজে পায় না।

মোহিনী তার মা বাবাকে বলে রেখেছেন, তাকে যেন তারা ডাকাডাকি না করেন। আসলে নিজেই নিজেকে ঘরে বন্দি করেছেন। বন্দি করেছেন নিজের মনকেও। এই সময়টা মোহিনী নিজের মতো করে কাটাবেন। ইচ্ছা হলে কারো সঙ্গে কথা বলবেন। ইচ্ছা না হলে বলবেন না। কেউ তাকে খেতে ডাকবে না। গোসলের জন্য বলবে না। অফিসে যাওয়ার জন্য তাড়া করবে না। ঘুমানোর কথা কিংবা ঘুম থেকে ওঠার কথাও বলবে না। এই কাজগুলো মোহিনী নিজের ইচ্ছা মতো করবেন। এ সময় কখনো তিনি টানা আঠারো ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন। আবার আঠারো ঘণ্টা জেগে থেকেছেন। গান শুনেছেন। ছবি দেখেছেন। বই পড়েছেন। একেবারে নিজের সঙ্গে কাটানো যাকে বলে! তিনি তাই করেছেন। পুরো সময়টুকু তিনি নিজেকে দিয়েছেন। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেছেন। গল্প করেছেন। নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন। বোঝাপড়া তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। কি করবেন তিনি? নতুন করে আবার সংসার করবেন? কি হবে? যদি আবার আঘাত পেতে হয়! যদি আবার এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু!

মোহিনী অতীত নিয়ে ভাবেন। ভাবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোর কথা। আরেফিনের সঙ্গে তার ভালোবাসার দিনগুলোর কথা। একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর কথা। সেই দিনগুলো কত আনন্দের ছিল। কত মধুর ছিল। সেদিন কত স্বপ্ন ছিল। কত আকাঙ্ক্ষা ছিল। শুরুটা বেশ ভালোভাবেই হয়েছিল। যদিও মা বাবা মেনে নিতে পারছিলেন না। কারণ, আরেফিন খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। পরিচয় দেওয়ার মতো কিছু নেই। আরেফিন তাই ওর মা-বাবার কথা মুখেও আনেনি। তারপরও মা বাবা অসন্তুষ্ট ছিলেন। যে কারণে তার জন্য ঘর ছাড়ার মতো অন্যত্র বাসা নিয়ে থেকেছি। ওর জন্য মা বাবাকে তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সব খুইয়েছিলাম। তারপরও সেটাই মেনে নিয়েছিলাম। আমি আসলেই আরেফিনকে নিয়ে সুখী হতে চেয়েছি। মনে মনে ভেবেছি, কেউ নেই, কিছু নেই! আরেফিন তো আছে! মেধাবী ছেলে। সুশিক্ষিত। চৌকস। সে অনেক বড় হবে। আমার অনুপ্রেরণায় সে অনেক বড় হবে। অনেক দূর এগিয়ে যাবে। জীবনে বড় হতে হলে কারো না কারো অনুপ্রেরণা তো লাগে! তা ছাড়া সে আমার প্রথম ভালোবাসা। তার সঙ্গে আমি বেইমানি করতে পারব না। করিওনি। অথচ আরেফিন বিশ্বাসই করত না যে; আমি ওকে বিয়ে করব। ও বলত, এটা হতে পারে না। কেউ মেনে নেবে না। সবার বাধা উপেক্ষা করেই তো ওকে আমি বিয়ে করেছিলাম! কারণ ওকে আমি কথা দিয়েছিলাম। সেই কথা আমি রেখেছি। কে জানতো আরেফিন এভাবে পাল্টে যাবে! মানুষের মন। চেনা বড়ই শক্ত। ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। সাপের মতো খোলস পাল্টায়। সেজন্যই হয়ত মানুষে মানুষে এতো বিভেদ।

মোহিনী আরও ভাবেন, তারপরও তো আরেফিনকে নিয়েই ছিলাম। কত যন্ত্রণা দিয়েছে! রাতের পর রাত ঘুমাতে পারিনি। ওর অনেক যাতনা সহ্য করেছি। অনেক ছোটলোকিপনা মেনে নিয়েছি। ওর জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করেছি! অথচ শেষ পর্যন্ত আরেফিন আমার সঙ্গে অভিমান করল। অনেক বড় অভিমান। আমি বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারলে হয়ত ওকে যেতে দিতাম না। ও আমাকে না বলে চীনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের বাড়িতে চলে যাব। তাই করেছি। আমি কি পেয়েছি সে হিসাব কষতে গিয়ে ভুল আমিও করেছি। আর সে ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে আজ। সবই যেন নিঃশেষ হয়ে গেল। আবার নতুন করে সংসার জীবনে পা দেওয়ার কোনো মানে নেই। কী আছে! বিধাতা তো আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। সংসার জীবন হয়ত আমার জন্য নয়। সবাইকে সবকিছুতেই শতভাগ সফল হতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই! অন্যদিক থেকে তো আমি সফল! আমি যদি এ রকম একটা সমৃদ্ধশালী পরিবারে না জন্মাতাম! যদি দরিদ্র পরিবারে জন্মাতাম! তাহলে তো অর্থ কষ্ট, খাবার কষ্টে জীবন আরও অতীষ্ট হয়ে উঠত। আমি বিশাল একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। বাবার প্রতিষ্ঠানগুলোও আমারই থাকবে। হয়ত এগুলো নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। সামনের দিকগুলোতে মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়াই হয়ত উত্তম কাজ হবে।

মোহিনীর একটি গানের কথা আজ বড় মনে পড়ছে। তিনি মোবাইল হাতে নিয়ে ইউটিউবে সার্চ দেন। জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘বড় অভিমান করে চলে গেছ আর বলে গেছ ফিরে আসবে না। আমি জানি হার মানবে তবু দূরে থাকা ভালোবাসবে না।’..

গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন মোহিনী। ঘুমের ঘোরে তিনি আরেফিনকে দেখেন। আরেফিন তার কাছে আসেন। তাকে আদর করেন। আদরে আদরে ওকে ভরিয়ে তোলেন। তার কপালে চোখে ঠোঁটে গলায় বুকে তারপর শরীরের সর্বত্র আরেফিনের ঠোঁটের পরশ বুলিয়ে মোহিনীকে পাগল করে তোলেন। গভীর ভালোবাসার আবেশে ডুবে যান মোহিনী। দারুণ এক ভালোলাগার অনুভূতি নিয়ে মোহিনীর ঘুম ভাঙে। চোখ মেলে দেখেন সবই দুঃস্বপ্ন। যা হওয়ার নয়। কোনো দিন যা হবে না। হতে পারে না। কিন্তু তিনি এ রকম একটা স্বপ্ন দেখলেন!
আবার মোহিনীর মনটা ভারী হয়ে ওঠে। চুপচাপ বিছানায় শুয়ে থাকে। ঘুরেফিরে আরেফিনের কথা মনে পড়ে। অতীতের নানা স্মৃতি মনের আয়নায় ভেসে উঠে।

মোহিনী অফিসে যাবেন। মোহিনী আর ঘরে বসে থাকবেন না। অতীতকে আকড়ে ধরে বসে থাকবেন না। তিনি নিজেকে ভাঙবেন। নিজেকে আবার নতুন করে গড়ে তুলবেন। নতুনভাবে তিনি বেঁচে থাকবেন। মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেবেন। নিজের যা সম্পদ আছে তা প্রয়োজনের বেশি একটুও তিনি রাখবেন না। এখন মানুষ বড় অসহায়। এই বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বাড়াতে হবে সাহায্যের হাত। ঘরে বসে আর অলস সময় কাটাবেন না। এ পর্যন্ত যা করেছেন সেটা তা খুবই সামান্য। আরও অনেক কিছু করার আছে তার। অনেকভাবে তিনি মানুষকে সাহায্য করতে পারেন।

মোহিনী ভাবেন, এদেশের মানুষ বড় অসহায়। এই দেশে কথায় কথায় মানুষের চলে চাকরি যায়। ঠুকনো অজুহাতে চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়। করোনাকালে এ পর্যন্ত অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। অনেকেই বেতনবঞ্চিত। এ অবস্থায় ঢাকা শহরে একটা পরিবার চলে কি করে! তা ছাড়া জিনিসপত্রের যা দাম! বাড়ি ভাড়া, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ! চিন্তাই করা যায় না। করোনার মধ্যেও স্কুলগুলো বেতন নিচ্ছে। বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এসব অমানবিক খবর পত্রিকায় দেখে মন খারাপ হয় মোহিনীর। তিনি মনে মনে বলেন, মানুষ এত নিষ্ঠুর কেন? মানুষ তো মানুষের জন্যই। অথচ সেই মানুষ কত স্বার্থপর! কত আত্মকেন্দ্রিক! কত রূপ সেই মানুষের! নিজের স্বার্থে মানুষ সবকিছু করতে পারে!

মোহিনীর কাছে এই মানুষগুলোকে অচেনা লাগে। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবেন। কাউকে না কাউকে তো হাল ধরতেই হয়! সেই হালটা তিনি ধরবেন। যত কষ্টই হোক, তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবেন না।

আবার মোহিনীর মনে প্রশ্ন জাগে; একা কী করবেন তিনি? তার পক্ষে কতটুকুই বা সম্ভব! তারপরও মোহিনীর পক্ষে যা করা সম্ভব তা তিনি করবেন বলে মনস্থির করেছেন। তার দেখাদেখি আরও অনেকেই হয়ত এগিয়ে আসবেন। অথবা কেউ যদি নাও আসে লজ্জা তো পাবে!

চলবে…
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২২

বিষাদ বসুধা: পর্ব ২০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১৯

আরএ/

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান