শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

লুক্সর শহরের পথে

লুক্সরের সাজানো গোছানো বাজার থেকে বেরিয়ে আমরা সাধারণ দোকানপাটের পাশ দিয়ে, কখনো ফুটপাত ধরে আবার কখনো গলিপথে হেঁটে শহর সম্পর্কে একটা ধারণা পাবার চেষ্টা করছিলাম। স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, গণপরিবহণের মাইক্রোবাস এবং টাঙ্গা চলাচলের মধ্যে পথ করে নিয়ে এগোতে থাকলে আমাদের দেশের যে কোনো বড় শহরের মতো নির্ধারিত বাজারের পাশাপাশি রাস্তার ধারে এবং গলিপথেও নানা ধরনের ফল বা সবজি, মাছ-মাংস এবং কাঁচা বাজারের সঙ্গে রেস্টুরেন্টের দেখা মেলে। জুব্বা এবং পাগড়িধারী পুরুষের পাশাপাশি দোকানি নারীরাও তাদের পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন। তাদের বেশিরভাগের আপাদমস্তক কালো বোরকায় ঢাকা থাকলেও মুখের উপরে কোনো আবরণ নেই। কথাবার্তাও বেশ সপ্রতিভ এই নারীদের দেখলে বোঝা যায়, আরব সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পোশাক নির্বাচন করলেও তাদের থেকে উচ্চকিত ইসলামের কোনো আভাস পাওয়া যায় না।      

পচাঁনব্বই শতাংশ মরুভূমির দেশে ফুটপাতে মাছের ডালা সাজিয়ে মাছ ধরার জেলে না হোক, মৎসজীবীদের কেউ মাছ বিক্রি করছেন, লুক্সরের রাস্তায় এটি আমার কাছে চমৎকার একটি দৃশ্য। ছোট আকারের মাছগুলো দেখতে তেলাপিয়া এবং একটু বড়গুলো মনে হলো পাঙ্গাস জাতীয় মাছ। জুব্বাধারী জেলে মাছের পসরা সাজিয়ে নির্বিকার বসে আছেন। ভাষার সমস্যা না থাকলে জিজ্ঞেস করতাম, ‘মাছ কী নীল নদের নাকি সমুদ্রের? রানাভাই এবং হেনা অনিকটা এগিয়ে গেছে। আমি ছবি তুলতে তুলতে পিছিয়ে পড়েছিলাম বলে মাছের বিস্তারিত বিবরণ না জেনেই ছুট দিলাম। আমাদের বারোয়ারি বাজারগুলোতে যেমন, স্নো,পাউডার, কসমেটিক্স, জুতা স্যান্ডেল কিংবা বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকানের মাঝে দুই একটা চায়ের বা জল খাবারের দোকান থাকে, এমন কি কাপড় চোপড় বা লোহা লক্কড়ের দোকান দেখা যায়, তেমনি বাজার এলাকায় একেবারে কোণার দিকে একটা কাপড়ের দোকানে ঢুকে পড়লেন রানা ভাই। উদ্দেশ্য ছিল মিশরের বিখ্যাত ঈশিপ্টশিয়ান কটনের কাপড় নেড়ে চেড়ে দেখা এবং দামে তেমন সাশ্রয়ী হলে কিছু কিনে ফেলা। দামের দিক থেকে আদৌ পাউন্ডের কোনো সাশ্রয় হলো কিনা বলা কঠিন, কিন্তু যা হলো তা হচ্ছে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় কাপড় কেনা হয়ে গেল। নাছোড়বান্দা সেলসম্যান তার যাবতীয় কলাকৌশল প্রয়োগ করেছে এবং আমরাও সহজেই তার ফাঁদে পা দিয়েছি। যাই হোক, খোদ লুক্সরে উৎপাদিত তুলা থেকে স্থানীয় বস্ত্র কারখানায় বানানো কাপড় বলে কথা! হোক দাম একটু বেশি, ক্ষতি নেই। কিন্তু কাপড় যদি আসলেই সেই আদি ও আসল মিশরীর বস্ত্রখণ্ড না হয়! যাই হোক, আমরা তো আসলে কাপড় কিনিনি, কিনেছি খানিটা বিশ্বাস!       

                  পথের পাশে বাজার 

লুক্সর শহরটির জীবন যাত্রা একটু ঢিলেঢালা বলেই মনে হয়। অবশ্য মিশরের সর্বত্রই বোধহয় একই অবস্থা। এখানে যাত্রী পরিবহণের মাইক্রোবাসের পাশাপাশি মন্থর গতির ঘোড়ার গাড়ির চলাচল দেখলেই তা খানিকটা অনুমান করা যায়। রাস্তায় ব্যাংককের মতো ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটার প্রতিযোগিতা নেই, আমস্টারডামের মতো মিউজিয়ামের সামনে দীর্ঘ কেউ নেই, হ্যানয়ের মতো রাস্তা ভরা মোটরবাইক নেই, ভেনিসের মতো খাল উপচে পড়া গন্ডোলা নেই, এমনকি রোম, প্যারিস বা মাদ্রিদের মতো লাল ট্যুরিস্ট বাসের আধিক্য নেই। এখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা থাকলেও জীবন বয়ে যাচ্ছে বেশ ধীর লয়ে। আমরাও সেই ধীর গতির সঙ্গে মিলে মিশে এগিয়ে যাওবার পথে একটা বাদামের দোকানে দাঁড়াই। 

কাঁচা বাদাম-ভাজা বাদাম, কাজু বাদাম-পেস্তা বাদাম, চীনা বাদাম, মুমফলি থেকে শুরু করে বাদাম ছাড়াও শুকনো ফল, সূর্যমুখীর বিচি, মটর ও ভুট্টার দানার মতো বাদাম জাতীয় নানা ধরনের পসরা পূর্ণ দোকানের কিশোর দোকানিকে দুই ধরনের বাদাম দিতে বলে রানা ভাই সাজানো বস্তা থেকে একটা দুটো বাদাম তুলে পরীক্ষামূলকভাবে চিবিয়ে দেখতে থাকেন। ছেলেটি ধীরে সুস্থে বাদাম ঠোঙ্গায় তুলে ওজন করে। ওকে বললাম, ‘তুমি যদি তাড়াতাড়ি বাদামের ঠোঙ্গা হস্তান্তর না করতে পারো, তাহলে কিন্তু তোমার বস্তার অর্ধেক বাদাম আমরা টেস্ট করেই শেষ করে ফেলবো।’ তার হাসি দেখে বুঝলাম সে কথাটা বুঝতে পেরেছে, কিন্তু তার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না। ভাবটা এমন, ‘খাও না কতোটাই বা খাবে!’  

                  লুক্সরের মৎস্যজীবী

বাদামের ঠোঙ্গা ব্যাগে ভরে নিয়ে আমরা উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করি। এবারের লক্ষ সাধারণ মানের একটি রেস্টুরেন্ট। খাবারের স্বাদে গন্ধে কিছুটা রকম ফের থাকলেও তিন তারা থেকে পাঁচ তারা পর্যন্ত হোটেলের নিজস্ব রেস্তোঁরার খাবার এবং পরিবেশন রীতি দেশে বিদেশে প্রায় একই ধরনের। সেই কারণে আমরা চেয়েছিলাম এই শহরের নিজস্ব একটি রেস্টুরেন্ট। শহরের মাঝখানে ভর দুপুরেও রেস্টুরেন্ট প্রায় জনশূন্য। আমরা তিন ক্ষুধার্ত বাংলাদেশি ছাড়া একদিকে এক কোণের টেবিলে দুজনকে দেখা গেল। জন সমাগম কম থাকার কারণে আপ্যায়ন কম হলো না। আমরা মিশরীয় তন্দুর রুটি বালাদি, খিচুড়ি জাতীয় কোশারি, ইজিপ্টশিয়ান চিকেন কাবাব এবং সালাদ দিতে বলেছিলাম। সঙ্গে পানীয় হিসাবে নির্ভেজাল পানি দিতে বললেও টেবিলে যখন অরেঞ্জ জুসের গ্লাস  এলো তখন মনে হয়েছিল এটা হয়তো ভুল করে দিয়েছে। ভুল ভাঙাতে গেলে জবাব এলো বিদেশি মেহমানদের জন্য এটা কপ্লিমেন্টারি। হেনা ধন্যবাদ দিয়ে জানালো স্বাস্থ্যগত কারণে অরেঞ্জ জুস খেতে মানা আছে, আমার গ্লাসটা তুলে নাও।’ কিছু পরেই গ্লাসটা পাইন অ্যাপেল জুসের গ্লাস হয়ে ফিরে এলো। পরিবেশনকারী ছেলেটি বললো, ‘আশাকরি আনারসে আপত্তি নেই।’ আপত্তি থাকলেও এবারে আপত্তি করা কঠিন হতো, তবে আসলেই পাইন-অ্যাপেলে কোনো সমস্যা ছিল না।    

                বাজারের রেস্টুরেন্ট

বাজার থেকে টাঙ্গা স্ট্যান্ডে ফেরার পথে অনেক দূরে থেকে একটা সুদৃশ্য ভবন চোখে পড়ে। ভবনের নির্মাণশৈলীতে ইসলামি স্থাপত্যের ছাপ এবং বহিরাঙ্গণের দেয়ালে ও কয়েকটি ছোট, সম্ভবত বিকল্প প্রবেশ পথের শীর্ষে বড় করে আরবি হরফে লেখা দেখে ধরেই নিয়েছিলাম এটি একটি মসজিদ। খিলান বা ফটকের নির্মাণে ইসলামি ঐতিহ্য থাকলেও কাছে এসে উঁকি দিয়ে চোখে পড়লো ভেতরে প্রভু যিশু স্বমহিমায় বর্তমান। এবারে উপরে তাকিয়ে সেখানেও একটা ক্রসের দেখা পেলাম। আসলে ভবন নয়, আমাকে বিভ্রান্ত করেছিল আরবি ভাষায় বড় অক্ষরে দেয়ালের লিখন। আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই আরবি নেহায়েতই আর দশটা ভাষার মতোই একটি ভাষা। আরব বিশ্বের অনেক দেশেই মুসলমানদের পাশাপাশি খ্রিস্টান ইহুদিসহ অমুসলিমদের ভাষা আরবি। কায়রোর বইপত্রের দোকানে এবং ফুটপাতে মূল আরবিতে লেখা ফিচারের সঙ্গে হলিউড-বলিউড মার্কা স্বল্প বসনা সিনেমার নায়িকাদের ছবি দেখতে অভ্যস্ত নই বলে প্রথমে একটু ধাক্কা খেয়েছিলাম। আমাদের কাছে আরবি মানে পবিত্র গ্রন্থের পবিত্র ভাষা। সেই ভাষায় লেখা হচ্ছে কমার্শিয়াল সিনেমার রগরগে প্রেমের কাহিনি, এমন কি পর্নগ্রাফিক উপন্যাস! কী দুঃসাহস আরব দুনিয়ার এইসব অবিচেক লেখকের!

গির্জার সামনে দাঁড়িয়ে প্রভু যিশুর দর্শন লাভের পরে আমরা সামান্য এগিয়ে আমাদের টাঙ্গাওয়ালার দেখা পেয়ে যাই। টাঙ্গাস্ট্যান্ডের এ পারে গির্জা আর ওপারে একটা মসজিদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। মসজিদ চত্বরের বিশাল এলাকা জুড়ে সেই শান্তির প্রতীক হিসাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য পায়রা। আগে থেকে জানা থাকলে সরিষা বা ছোলা না হলেও কিছু ধান সঙ্গে করে এনে লুস্করের পায়রাদের খাওয়ানো যেত। আমরা অশ্ব-শকটে চড়ে বসার আগে বিস্ময়ের সঙ্গে দেখতে পেলাম মসজিদের অনতি দূরেই মাথা উচুঁ করে অস্তিত্বের ঘোষণা দিচ্ছে ফারাও যুগের সারি সারি পিলার। লুক্সরের মসজিদ-মন্দির-গির্জা পরস্পরকে চোখ না রাঙিয়ে একই সমতলে এসে এক সঙ্গে ইহজাগতিক পর্যটন ও পরলৌকিক প্রার্থনার ব্যবস্থা করে রেখেছে। 

              লুক্সরের মসজিদ চত্বরে পায়রা

আমরা যখন হোটেলে ফিরলাম তখন বেলা গড়িয়ে গেছে। এ সময় আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন বা ইচ্ছা কোনোটাই ছিল না, বরং হোটেলের বিছানা ভীষণভাবে টানছিল। ইজিপ্ট এয়ারের ফ্লাইট রাত সাড়ে আটটার দিকে। অভ্যন্তরীণ বিমানে ঘণ্টা খানেক আগে চেক-ইন করলেই চলে। হোটেলে আগে থেকেই লেট-চেক আউটের ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম, অবশ্যই বিনামূল্যে নয় যথাবিহিত মূল্য পরিশোধ করে। অতএব ঘণ্টা দুয়েক ঘুমিয়ে সন্ধ্যা ছটায় বেরোলেই চলবে। যথা সময়ে ঘুমিয়ে আবার জেগে উঠার পরেও যথেষ্ট সময় হাতে রেখেই রওনা দিলাম বিমান বন্দরের উদ্দেশে। ছোট্ট কিন্তু ছিমছাম এয়ারপোর্ট লুক্সরে চেক-ইন কাউন্টারে লাগেজ জমা দিয়ে অপেক্ষায় বসে থাকার সময় মনে মনে হিসাব করে দেখলাম লুক্সর আমার পঞ্চাশতম বিমান বন্দর। আসা যাওয়া পথে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ বিভিন্ন দেশে ছোট বড় আরও যে ঊনপঞ্চাশটি এয়ারপোর্টে পা রেখেছি, সেগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে ঢাকা আমার দেখা নিকৃষ্টতম এয়ারপোর্ট। কেন নিকৃষ্ট সে ব্যাখ্যায় না গেলেও বলা যায় এতো অব্যবস্থাপনা, এতো অনিশ্চয়তা, এতো অবন্ধু সুলভ এবং এতোটা অপরিকল্পিত বিমান বন্দর সম্ভবত পৃথিবীর আর কোথাও নেই।   

ইজিপ্ট এয়ারের বিমান সঠিক সময়ে লুক্সর ছেড়ে উড়ে যাবার সময় নিচে তাকিয়ে চোখে পড়ে আলোকোজ্জ্বল লুক্সর। সোয়া ঘণ্টার এই যাত্রাপথে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটে না। রিফ্রেশমেন্টের ঘোষণা দিয়ে বিমানবালারা যথারীতি ৩৩০ মিলিলিটারের একটা পানির বোতল ধরিয়ে দেয়। অন্ধকারের পথ পাড়ি দিয়ে আলো আঁধারিতে ভরা কায়রো এসে নামলাম রাত দশটার দিকে। এমনিতেই ছোট বিমান বোর্ডিং ব্রিজে নিয়ে লাগানো যায় না, তাছাড়া কায়রো বিমান বন্দরে যথেষ্ট সংখ্যক বোর্ডিং ব্রিজ আছে বলেও মনে হয় না। ফলে অনেক দূরে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরে বাসে করে পৌঁছে দেওয়া হবে টার্মিনালে। 

                    লুক্সর বিমানবন্দর

বিমানের দরজকায় সিঁড়ি লাগাবার সঙ্গে সঙ্গেই হুড়মুড় করে পাঁচ সাতজন যাত্রী সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে পড়লেন। ঠিক এই কজন ব্যস্তবাগিশ যাত্রীর পেছনেই আমরা তিনজন। আমি দরজার কাছে পৌঁছাতেই বিমানের একজন স্টুয়ার্ড সজোরে দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে কাঁধ ঝাঁকুনি দিয়ে একটা মুখভঙ্গি করলেন। আমি জিজ্ঞাসা না করেই পারলাম না, ‘হোয়াট হ্যাপেন্ড?’ প্রবীণ স্টুয়ার্ড হেসে বললেন, ‘উই আর গোয়িং ব্যাক টু লুক্সর!’ বুঝলাম মজা করছেন। বললাম, ‘রিয়েলি? উই উইল হ্যাভ অ্যানাদার ফ্রি ট্রিপ টু কায়রো?’ এবারে তিনি আসল কারণ বললেন। সিঁড়িটা ঠিকমতো লাগানো হয়নি, তাড়াহুড়ো করে নামতে গেলে এখান থেকে পড়ে হাত পা ভাঙা বিচিত্র নয়। অতএব একটু অপেক্ষা করতে হবে। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। একটু পরে নতুন করে সিঁড়ি লাগানো হলে ধীরে সুস্থে নেমে দেখলাম আমাদের আগে দৌড়ে নেমে আসা পাবলিকেরা তখনো বাসের দরজা খোলার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।  টার্মিনাল পর্যন্ত পৌঁছবার জন্যে এয়ারপোর্টের ভেতরে দীর্ঘ পথ বাসে চেপে পাড়ি দিতে হলো। প্রথম দিন কায়রো নেমে যেমনটা দেখেছিলাম, আজও দেখলাম বাংলাদেশ বিমানের একটি বোয়িং রানওয়ের পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।

রানা ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললাম, ‘বিমানের তো এখন কায়রোতে ফ্লাইট নেই, এই এয়ারক্রাফট এখানে দাঁড়িয়ে আছে কেন?’  রানা ভাই জানালেন এটি ২০১৪ সালে বারশ কোটি টাকা গচ্চা দিয়ে কেনা দুটি বোয়িং-এর একটি। সিভিল অ্যাভিয়েশন সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সুপারিশের সূত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে দেখা গেছে বারশ কোটি টাকা দিয়ে মিশর থেকে দুটি পুরোনো বিমান লিজ নেওয়ার চেয়ে একই টাকায় দুটি নতুন বোয়িং৭৭৭ কেনা সম্ভব। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শেষ পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইজিপ্ট এয়ার একটা বিমান আটকে দিয়েছিল। অসহায় দাঁড়িয়ে থাকা বিমানটি সেই দুটির একটি। 

গ্রাউন্ডেড বিমান থেকে আমরা খানিকটা দূরে চলে এসেছি। কিন্তু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল গরুর মুখে যেমন গোমাই বাধা থাকে তেমনি করে বিশাল পলিয়েস্টার ক্যানভাস দিয়ে বিমানের মুখ বাধা। মুখটা খোলা থাকলে, হয়তো কে কতো কোটি টাকা ঘুষ খেয়েছে বোয়িং নিজেই সে কথা বলতে পারতো! 

চলবে...

আগের পর্বগুলো...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার