শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

অঞ্জন ট্রানজিষ্টার হাতে নিয়ে নদীর ধারে থেকে ফিরে এসে গাছতলার নিচে বসে যায়। ওর বাবা আসেনা। দাঁড়িয়ে থাকে সবার সঙ্গে। অঞ্জন বিবিসি শোনার জন্য নব ঘোরায়। ভেসে আসে বিবিসির বাংলা বিভাগ থেকে কন্ঠস্বর। আর্জেন্টিনার লেখক ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলে। লেখক-বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মিছিল করে। বাংলাদেশের শরণার্থীদের প্রতি সহযোগিতার জন্য আর্জেন্টাইন সরকারকে স্মারকলিপি প্রদান করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী লুইস মারিয়া ডি পাবলো পারডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সাহায্যে পাঠানোর দাবি জানান। ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে ছিলেন খ্যাতিমান সাহিত্যিকরা।


সংবাদ শুনে বুক ভরে যায় অঞ্জনের। ভাবে, এভাবে বিশ্বের সব দেশ যদি সহযোগিতার হাত না বাড়ায় তবে শরণার্থীদের কষ্টের সীমা থাকবে না। ভারতের সহযোগিতায় বেঁচে থাকার প্রেরণা শক্ত হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ওর নিজের একটি অসাধারণ দিকদর্শন হবে। বাবার ডান হাত চেপে ধরে বলে, বাবা, আমি ঠিক করেছি যুদ্ধ করব।

-তুইতো ডাক্তাররে বাবা। তুই মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা শুশ্রুষা কর। এটাওতো যুদ্ধেরই একদিক।
-না বাবা, আমি এভাবে বসে থাকবনা। আমি যুদ্ধ করব।
-না রে বাবা, তুই যুদ্ধে যাবিনা। তুই যুদ্ধে গেলে আমি মরে যাব।
-কি যে বলেন না আপনি। আপনিতো জানেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ চলছে।

শব্দ করে কেঁদে ওঠে অঞ্জনের বাবা। কাঁদতে কাঁদতে দুহাতে চোখ চেপে রাখে। পানি গড়ায় গালের ওপর।
অঞ্জন বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে, কাঁদবেন না বাবা। আশেপাশের সবাই এখানে এসে জড়ো হবে। ওরা আপনাকে অন্যরকম মানুষ ভাবুক এটা আমি চাইনা। আপনি বিবিসিতে শুনলেননা বিদেশী একজন সাহিত্যিক বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য ভাবনাচিন্তা করে।

ছেলের বুক থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয় বাবা। এভাবে নিজেকে শক্তিহীন মানুষ ভাবতে চায়না। মাথা সোজা করে সামনে তাকালে পুরো যশোর রোডের এমাথা ওমাথা দেখার জন্য মাথা ঘোরায়। তারপর ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে, ভারতের এই জায়গা আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে উল্লেখ থাকবে।


-শুধু এ জায়গা কেন বাবা? যত জায়গায় শরণার্থী আছে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে সেসব জায়গা এবং আমাদের মা ইন্দিরা গান্ধী আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসকে ধারণ করেছেন। আজ থেকে আমি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোকেও মনে রাখবো। তিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিজয়ী করার জন্য নিজের দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। নিজের দেশের জ্ঞানী-গুণী মানুষদের জড়ো করেছেন আমাদের স্বাধীনতার লাভের পক্ষে।

অঞ্জন কথা শেষ করলে কথা বলেনা ওর বাবা। বুকের ভেতরে গুমগুম শব্দ তাকে ম্রিয়মান করে রাখে। দেশে যুদ্ধ করতে গলে যদি শহীদ হয়। ভাবনার জায়গা নিঃশেষ হয়ে যায়। বুকের ভেতর দম আটকে থাকে। পরক্ষণে সুবাতাস বইতে থাকে বুকের ভেতর। ছেলে স্বাধীনতার জন্য প্রাণদানকারী মানুষ হবে। দেশ-জাতি ওকে স্মরণ ক০রবে। তাহলে কেন যুদ্ধ করবেনা? যুদ্ধ না করলে স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে কিভাবে? কথাবিহীনভাবে নিজেকে ধমকায়। মনে মনে নিজেকে বলে, আমারওতো যুদ্ধ করা দরকার। শুধু শরণার্থী মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা কি দেশের জন্য প্রেম? ধমক দিয়ে নিজের বোধকে চাঙ্গা করে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে। ভাবে, শরণার্থী হয়ে বেঁচে থাকা একটা দিক, স্বাধীনতার জন্য জীবন দেয়া আর একটা দিক। সবকিছু মেনে নিয়ে বেঁচে থাকার সত্যকে তুমুল করে তুলতে হবে। স্বাধীনতা লাভ সহজ কথা নয়। হঠাৎ মনে হয়, পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন কি? বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ একসঙ্গে বলতে হবে। নিজের বুকের ভেতরের প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভাসিত হয় চেহারা।

অঞ্জন বাবার দিকে তাকিয়ে বলে, বাবা কি ভাবছেন?

-ভাবছি, স্বাধীন দেশ মানে বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ। ভাবছি, তিনি কি বেঁচে আছেন?
-ঠিক বলেছেন। আমাদেরকে এই ভাবনায় ডুবে থাকতে হবে বাবা। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ভেবেছেন।
তখন দুটো ছেলেমেয়ে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটে। অঞ্জন উঠে গিয়ে কাছে নিয়ে আসে ওদের। জিজ্ঞেস করে, তোরা কাঁদছিস কেন? কি হয়েছে?

ছেলেটি বলে, আমরা শুধু নুন দিয়ে ভাত খেয়েছি সেজন্য কাঁদছি। মা কোনো তরকারি রাঁধতে পারেনি।
মেয়েটি বলে, কালকে আমরা ভাত খেতে পারবনা। আমাদের কাছে চাল নাই। আমার মাও কাঁদছে।
এই কথা বলে দুজনে আবার হাউমাউ করে কাঁদে। অঞ্জন ওদের মাথায় হাত রেখে বলে, কাঁদিসনা সোনারা। ভাত খেয়ে পেট ভরেছে?

-হ্যাঁ, ভরেছে। এখন আর খিদা নাই।
-তাহলে আর তোরা কাঁদবিনা।
দুজনে একসঙ্গে বলে, কাঁদব, কাঁদব। কালকে তো কিছুই খাওয়া হবেনা।
-আমি তোদের জন্য চাল যোগাড় করার চেষ্টা করব। দেখি পাই কিনা। যা, তাঁবুতে যা।
-না, তাঁবুতে যাবনা। গাছের নিচে বসে থাকি। এখানে বসে থাকতে আমাদের খুব ভালোলাগে।
-তোদের নাম কি?
-আমার না হাশেম। আমি ফাতেমা।

দুজনে একটুখানি দূরে গিয়ে ঘাসের ওপর বসে পড়ে। তাকিয়ে থাকে সামনে। দেখতে পায় ওদের বয়সী তিনজন কাঁদতে কাঁদতে হাঁটছে। কখনো কাশতে কাশতে আকাশের দিকে তাকায়। অঞ্জন উঠে গিয়ে ওদের হাত ধরে টেনে এনে ওদের কাছে বসায়।
-কাঁদছিস কেন তোরা?
-অল্প ভাত খেয়েছি। পেট ভরেনি। আবার খিদা পেয়েছে। মায়ের কাছে গেলে মাতো কিছু খেতে দিতে পারবেনা।
-আয় বস এখানে।
-আমরা ওদের কাছে গিয়ে বসি।
তিনজনে এগিয়ে যায় হাশেম আর ফাতেমার দিকে। কাছে গিয়ে বসে পড়ে।
হাশেম বলে, দুলালরে কাঁদছিস কেন?
-খিদে পেয়েছে।
-আমরাও নুন দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য কেঁদেছিলাম। আর কাঁদবনা।
দুলাল বলে, আমরাও আর কাঁদবনা। তোদের কি মনে হয় রে বেলাল আর লাকী?
-আমরাও আর কাঁদবনা।
দুজনে দুহাতে চোখের পানি মোছে।
-ঠিক বলেছিস তোরা। হাশেম, চল আমরা রাস্তায় খেলি।
-কি খেলব?
-লুকোচুরি।
-চল, ভালোই হবে।

পাঁচজন দৌড় দিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। অঞ্জন তাকিয়ে থাকে। নিজের শৈশবের কথা মনে হয়। এমন দীর্ঘ রাস্তাতো ওর শৈশবে ও দেখেনি। শহরের জীবনে রাস্তা মানে গাড়ি-রিকশা-লোকজনের হাঁটাহাঁটি। শিশুরা ওখানে কোনো ঠাঁই পেতনা। শিশুদের জন্য খেলার মাঠ ছিল। সেই মাঠে অনেকদিন একা একা দৌড়াদৌড়ি করেছে। সবুজ ঘাসের ওপর দৌড়াতে ওর খুব ভালোলাগত। মনে হতো এমন সবুজ রঙের নরম ঘাস দিয়ে জীবন সাজাবে। নিজের জীবনের চারদিকে এমন ঘাস লাগাবে। কিন্তু কিভাবে লাগাবে? পড়ালেখা দিয়ে। ওর পড়ালেখা হবে ওর জীবনের সবুজ ঘাস। অঞ্জন এমন ভাবনা নিজের বোধের জায়গায় রেখেছিল। কিন্তু বেঁচে থাকার এই পর্যন্ত সবুজ ঘাসের চিন্তা ও মাথায় তেমনভাবে থাকেনি। এখন ছেলেমেয়েদের দৌড়াতে দেখে সবুজ ঘাসের ভাবনা মাথায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এসব ভাবনার মাঝে দেখতে পায় ক্যামেরাম্যান রঘু রাই আসছে। কোথাও কোথাও দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। ওর তোলা ছবি দেখে বিস্মিত হয় অঞ্জন। এত নিখুঁত ছবি একটি সময়কে ধারণ করে ইতিহাসের দিকচিহ্ন হবে। মাথায় পোঁটলা-পুটলি নিয়ে স্রোতের মতো হেঁটে আসছে মানুষ। ওদের পেছনে মৃত্যুর তাড়া, সামনে শরণার্থী শিবিরের কষ্টকর জীবন। সবকিছু ছাপিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন। নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধার প্রেরণায় ধারণ করার মানসিক ভরসা। রঘু রাইয়ের ছবি দেখে নিজের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ইতিহাস সংরক্ষিত হচ্ছে, এই চেতনায় অঞ্জন খুব অনুপ্রাণিত হয়। রঘু রাইকে আসতে দেখে উঠে দাঁড়ায়। কাছে এলে জিজ্ঞেস করে, কেমন আছেন?

-ভালো। একটা অন্যরকম ছবি তুলেছি। তোমাকে দেখাব।

রঘু রাই ক্যামেরা থেকে ছবি বের করে। ছবি দেখে চেঁচিয়ে ওঠে অঞ্জন, ওহ দারুণ ছবি।

 

চলবে..

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

 

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এ কমিটির সদস্য থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির তালিকা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এই কমিটি দিয়ে এতদিন সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।

Header Ad

অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এবারের আসর। ওয়ানডে ফরম্যাটে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবেন বাংলাদেশের যুবারা। এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আজ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এবারের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেবেন আজিজুল হাকিম তামিম। আগামী ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও আফগানিস্তান। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ শেষে ১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপাল ও ৩ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। দুবাই ও শারজা দুই ভেন্যুতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের ১৫টি ম্যাচ।

আগামী ২৪ নভেম্বর আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। ২৬ নভেম্বর শারজাতে ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমরা।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াড:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, সাদ ইসলাম রাজিন।

স্ট্যান্ডবাই:
কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত, সানজিদ মজুমদার।

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প