রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান

এই ঘটনার কথা মনে করে জ্যাক বুঝতে পারল, সে তার বাবা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জেনেছে তার ওই শিক্ষকের কাছ থেকে। তবে তার খোঁজ খবর করা কঠিন এখন। অবশ্য তার মায়ের নীরবতা থেকে যা কিছু জানা হয়েছে তার বেশি কিছু আঁচ করা যাবে না শুধু ঘটনার বর্ণনা ছাড়া। বাবা সম্পর্কে জ্যাক ধারণা করতে পারে, তিনি ছিলেন একজন কঠিন মানুষ, তিক্ত অভিজ্ঞতার মানুষ, সারা জীবন কাজ করে গেছেন; হুকুমের গোলাম হয়ে হত্যা করেছেন; যেসব বিষয় এড়াতে পারেননি সেগুলোর কাছে হার মেনেছেন; তবে নিজের বলতেও ছিল কিছু বিষয়; সেখানে অন্য কারো প্রবেশ ঘটেনি। মোটের ওপর একজন হতভাগা মানুষ।

দারিদ্র কেউ চেয়ে নেয় না। তবে হতভাগা মানুষও নিজেকে রক্ষা করতে পারে। মায়ের কাছ থেকে যা কিছু শুনেছে তার থেকে ওই একই মানুষ সম্পর্কে জ্যাকের ধারণা হয়েছে: নয় বছর পরে বিবাহিত, দুই সন্তানের বাবা, জীবনে কিছুটা ভালো অবস্থান অর্জন করেছেন; তারপর তাকে আলজিয়ার্সে ডাকা হলো যুদ্ধে যোগদানের জন্য। অসুস্থ স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণ, স্টেশনে বিদায় এবং তিন দিন পর বেলকোর্টের ছোট অ্যপার্টমেন্টে জুয়াভ রেজিমেন্টের সুদর্শন লাল-নীল ইউনিফর্ম, ঢিলা ট্রাউজার পরে এসেছিলেন; জুলাইয়ের কড়া তাপে মোটা পশমী কাপড়ের নিচে শরীরের ঘাম, হাতে একটা খড়ের হ্যাট। কারণ তার টারবুশের হ্যাট ছিল না, হেলমেটও ছিল না। জাহাজঘাটার ছাউনির নিচের ডিপো থেকে দৌড়ে ফিরে এসেছিলেন স্ত্রী আর সন্তানদের বিদায়ী চুমু দিতে। কারণ যে ফ্রান্সকে তিনি আগে কখনও দেখেননি সেই ফ্রান্সের উদ্দেশে সেই রাতেই রওনা হওয়ার কথা, সমুদ্রপথে যাওয়ার কথা যে সমুদ্রের বুকের ওপর দিয়ে তিনি আগে কোথাও যাননি। তিনি স্ত্রী এবং সন্তানদের গভীর আবেগে চুমু দিলেন এবং একই গতিতে আবার ফিরে চললেন।

তার স্ত্রী ছোট ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তার উদ্দেশে হাত নাড়ালেন। ধূলি আর তাপে দগ্ধ রাস্তায় নামার আগে দৌড়ের ওপরেই স্ত্রীর হাত নাড়ানোর উত্তরে তিনি তার হাতের হ্যাটটা উঁচু করে নাড়াতে লাগলেন। তারপর সিনেমার সামনে, তারপর আরো দূরে, শেষে সকালের ঝকঝকে আলোর ভেতর তিনি মিলিয়ে গেলেন যেখান থেকে আর কখনও ফিরবেন না। বাকিটা জ্যাককে কল্পনা করে নিতে হয়েছে; তবে মা যা বলেছেন শুধু সেটুকুর ওপরে ভরসা করে নয়। কারণ ইতিহাস এবং ভূগোল বলতে কী বুঝায় সে জ্ঞান মায়ের ছিল না। মা জানতেন, তার বসবাস সমুদ্রের কাছাকাছি স্থলভাগে; আরো জানতেন, ফ্রান্স দেশটা ওই সমুদ্রের ওপারে। তিনি সেখানে কখনও যাননি। ফ্রান্স একটা অজানা দেশ যেন রাতের অন্ধকারে ডুবে থাকা দূরের দেশ, সেখানে পৌঁছনো যায় মার্সেই নামক বন্দর দিয়ে; কল্পনায় তিনি দেখতে পেতেন ওই বন্দর আলজিয়ার্স বন্দরের মতোই; লোকমুখে তিনি শুনেছিলেন, সেখানে আছে প্যারিস নামে এক নয়নাভিরাম, সুদর্শনা নগরী। সেই নগরীর একটা জায়গার নাম আলসেস; সেখান থেকেই এসেছিল তার স্বামীর পরিবারের লোকেরা।

সে অনেক দিন আগের কথা। তারা জার্মান নামক শত্রু-তাড়িত হয়ে আলজিয়ার্সে বসতি স্থাপন করতে এসেছিল। তারপর এল সেই নগরীকে ওই হিংস্র শত্রুদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার সময়। ফ্রান্সের প্রতি শত্রুরা ছিল আসলেই নিষ্ঠুর। এর চেয়ে বড় আর কোনো কারণ ছিল না। ফ্যাসাদপ্রিয় এবং অপ্রশম্য শত্রুদের কবল থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য ফ্রান্সকে সব সময়ই বাধ্য হয়ে লড়ে যেতে হয়েছে। এভাবেই তার জানাশোনার মধ্যে ছিল স্পেনও। তবে স্পেনের অবস্থান সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। মনে হতো খুব দূরে নয়; সেখান থেকেই তার নিজের পরিবারের লোকেরা, মাহুন জাতির লোকেরাও এসেছিল। সে-ও অনেক দিন আগের কথা। তার স্বামীর পরিবারের লোকেরা যে সময়ে আলজেরিয়ায় এসেছিল তার নিজের পরিবারের লোকেরাও সেই একই সময়ে এসেছিল। তার পরিবারের লোকেরা এখানে এসেছিল ক্ষুধার জ্বালায় মরণাপন্ন অবস্থায়; তার পূর্বপুরুষদের বসতি ছিল একটা দ্বীপে-সে কথা তিনি জানতেন না; অবশ্য দ্বীপ কী রকম সে বিষয়েও তার কোনো ধারণা ছিল না।  

অন্য দেশ সম্পর্কে তার ধারণার কথা বলতে গেলে কিছু কিছু দেশের নাম শুনে তার ভালো লাগত। অবশ্য ওই সব দেশের নাম ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারতেন না। কোনো প্রসঙ্গেই তিনি অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি সম্পর্কে কিংবা সার্বিয়া, রাশিয়া এমনকি ইংল্যান্ড সম্পর্কে তেমন কিছু জানতেন না। আর্চডিউক কী রকম পদবী, সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই ছিল না। তিনি কখনও সারায়েভো নামের চার সিলেবল এক সঙ্গে উচ্চারণ করতেও পারেননি। যুদ্ধ সেখানেই, অন্ধকার আতঙ্কবাহী ভারী মেঘের মতো। কিন্তু ওই মেঘের আকাশ আক্রমণ কিছুতেই টিকিয়ে রাখার মতো নয়।

পতঙ্গের আক্রমণ ঠেকানো যায়, কিংবা আলজিয়ার্সের সমতলভূমি আক্রমণকারী সর্বগ্রাসী ঝড়কেও ঠেকানো যায়। কিন্তু যুদ্ধের মেঘ ঠেকানো যায় না। জার্মানরা আবারো ফ্রান্সকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। আর আমাদের ভোগান্তির শুরু হলো বলে। এর পেছনে কোনো কারণই ছিল না। তিনি ফ্রান্সের ইতিহাস জানতেন না; আদৌ ইতিহাস বিষয়টাই ছিল তার জানার বাইরে। তার নিজের ইতিহাস সম্পর্কে সামান্য জানতেন। তার ভালোবাসার মানুষদের ইতিহাস প্রায় জানতেন না বললেই চলে। আর জানতেন যাদের তিনি ভালোবাসেন তারাও তার মতোই ভোগান্তির শিকার হতে যাচ্ছে। তিনি ইতিহাস জানতেন না এবং রাতের মতো পৃথিবীর চলমান ঘটনাবলীর ভেতর তিনি কল্পনা করতেও পারেননি, আরো অন্ধকারাচ্ছন্ন রাত এসে গেছে। রহস্যময় বিশৃঙ্খলা এসে হাজির হয়েছে এক ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত কনস্টেবলের হাত ধরে। যে খামারের আঙুর তারা তুলতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন সেই খামার ছেড়ে তাদের চলে যেতে হবে।

বন স্টেশনে মহল্লার পাদ্রীর সঙ্গে দেখা। পাদ্রী স্টেশনে এসেছিলেন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে যোগদানের জন্য যাদের বাছাই করা হয়েছে তাদের বিদায় জানাতে। তিনি বলেছিলেন, আমাদের সবাইকে প্রার্থনা করতে হবে। তার কথার উত্তরে মা বলেছিলেন, হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন মসিঁয়ে। তবে আসলে তিনি পাদ্রীর কথা ঠিকমতো শুনতে পাননি; পাদ্রী মহাশয় খুব আস্তে কথা বলেছিলেন। তাছাড়া প্রর্থনার কথাটা তার মাথায়ই আসেনি কখনও। তিনি কারো ব্যাপারে নাক গলাতেন না। আর এখন তো তার স্বামী বহুবর্ণিল ইউনিফর্মে যুদ্ধে গেছেন; ফিরে আসবেন খুব শিঘ্রই, সেরকমই তো সবাই বলছে। জার্মানদের শাস্তি হওয়া উচিত। তবে ততদিনে তার কাজ খুঁজে নিতে হবে। এক প্রতিবেশী নানিকে বলেছিলেন অস্ত্রাগারের কারতুজ ফ্যাক্টরিতে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হবে, যাদের স্বামীরা যুদ্ধে গেছেন এবং পরিবারের দায়িত্ব ঘাড়ে আছে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি ভেবেছিলেন, পুরুত্ব আর রং অনুসারে কার্ডবোর্ডের নল তৈরি করার কাজে দিনে দশ ঘণ্টা পরিশ্রম করে সৌভাগ্যের মুখ দেখবেন। জার্মানদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং হেনরি ফিরে না আসা পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা প্রয়োজন মাফিক খেয়ে পরে বাঁচতে পারবে। অবশ্য তিনি রাশিয়ান রণাঙ্গন সম্পর্কে কিছু জানতেন না। রণাঙ্গন বিষয়ে তার জ্ঞানও তেমন ছিল না।

আরো জানতেন না, যুদ্ধ বলকান পর্যন্ত, মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত, এমনকি গোটা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফ্রান্সে সবকিছুই ঘটে যাচ্ছে: কোনো রকম ইঙ্গিত ছাড়াই জার্মানরা প্রবেশ করছে ফ্রান্সে; এমনকি শিশুদেরও হত্যা করছে তারা। ওখানে সবকিছুই ঘটছে আফ্রিকা থেকে আগত সৈনিকদের জীবনেও। তাদের মধ্যে এইচ করমারিকেও যত দ্রুত সম্ভব পাঠানো হয়েছিল মার্নের মতো এক রহস্যময় এলাকায়। লোকজন সেরকমই বলাবলি করত। তাদের জন্য তখন আর হেলমেট যোগাড় করা সম্ভব হয়নি। ওখানকার সূর্য অবশ্য আলজেরিয়ার সূর্যের মতো প্রখর ছিল না যে খুব দ্রুত তাদের রং মুছে দিবে। আরব এবং ফরাসি আলজেরিয়ানরা সুবেশ উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরিহিত, মাথায় তৃণের টুপি, লাল-নীল পোশাকে সবাই যেন বিরাট পশুপালের সদস্য, এগিয়ে চলেছে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। দলের মধ্যেই তাদের হত্যা করা হচ্ছে সেখানকার স্বল্প পরিসর এলাকাটা যেন উর্বর করার জন্য।

সেখানে পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে থাকে প্রায় চার বছর ধরে। আগুনবর্ষী সূর্যের নিচে তারা প্রতি ইঞ্চি মাটির জন্য লড়াই করে যাচ্ছে কাদা মাটির মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে। চার পাশে গোলার আর্তনাদ আর  কামানের অগ্নিব্যুহ ব্যর্থ আগ্রাসনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাইরের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মাটি খুঁড়ে কোনোরকম আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায়নি। শুধু আফ্রিকার সৈন্যরা আগুনের নিচে বহুবর্ণিল মোমের পুতুলের মতো গলে শেষ হয়ে গেছে। আর প্রতিদিন আলজেরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শিশুরা নতুন করে  এতিম হয়েছে। পিতৃহীন পুত্র কন্যারা এখন থেকে পিতার দিক নিদের্শনা ছাড়াই জীবনে বেঁচে থাকার শিক্ষালাভ করবে; থাকবে না উত্তরাধিকারের কোনো কিছুই।

কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে গেল। তাদের একমাত্র ওপরের তলার ভেতরের ল্যান্ডিংয়ে, সিঁড়ি আর অন্ধকার টয়লেটের মাঝখানে। সুরকির ভেতর তুর্কী কেতায় কালো ছিদ্র করে রাখায় অবিরত ক্রেসিল দিয়ে পরিষ্কার করা হলো তবু সেখান থেকে দুর্গন্ধ আসত- সেখানে কয়েক সপ্তাহ পরের এক রবিবারের সকালে লুসি করমারি আর তার মা একটা নিচু চেয়ারে বসে সিঁড়ির ওপরের জানালা দিয়ে আসা আলোয় মসুরের ডাল বাছছেন আর শিশুটা ছোট একটা লন্ড্রীর ঝুড়িতে শুয়ে নিজের মুখের লালায় ভিজানো একটা গাজর মুখে দিয়ে চুষছে। তখন গম্ভীর চেহরার এবং পরিপাটি পোশাক পরিহিত এক ভদ্রলোক সিঁড়ির মাথায় উঠে এলেন; হাতে খাম জাতীয় কিছু একটা। লুসি এবং তার মা নিজেদের মাঝখানে একটা পাত্র রেখে সেখান থেকে মসুরের ডাল বাছার কাজ করছিলেন। বিস্মিত হয়ে হাত মুছতে মুছতে তারা উঠে দাঁড়ালেন। তখনই ভদ্রলোক সিঁড়ির শেষ ধাপ ওঠা বাদ থাকতে তাদেরকে ব্যস্ত না হতে বললেন এবং মিসেস করমারির খোঁজ জানতে চাইলেন।

জ্যাকের নানি বললেন, এই তো মিসেস করমারি। আর আমি ওর মা। ভদ্রলোক বললেন, তিনি মেয়র এবং তিনি একটা দুঃখজনক খবর নিয়ে এসেছেন: তার স্বামী মহিমান্বিত ময়দানে মৃত্যুবরণ করেছেন। ফ্রান্স শোকে আচ্ছন্ন এবং একই সময়ে তার জন্য গর্বও বোধ করে। লুসি করমারি তার কথা ভালো করে বুঝতে পারেননি। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি ভক্তিসহকারে তার হাত বাড়িয়ে দিলেন ভদ্রলোকের দিকে। নানি মুখের কাছে নিজের শক্ত হাতখানা নিয়ে স্পেনীয় ভাষায় কয়েকবার বলে উঠলেন, হায় আল্লাহ। ভদ্রলোক লুসির হাতখানা নিজের দুহাতের মধ্যে নিয়ে মৃদু চাপ দিলেন এবং খামটি এগিয়ে দিয়ে সান্ত¦নার কথা আওড়ালেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পেছনের দিকে ঘুরে সিঁড়ি বেয়ে গম্ভীর চালে নামতে লাগলেন।


     লুসি তার মাকে জিজ্ঞেস করলেন, কী বললেন উনি?
     হেনরি আর নেই। সে নিহত হয়েছে।

 


চলবে...

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক