বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

হরেন্দ্রনাথ বেরিয়ে যায়। দোকান থেকে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট ইত্যাদি অনেক কিছু কিনে নিয়ে আসে। তিনভাই ছুটে যায় বাবার কাছে। পোটলাটা নিয়ে বলে মা গুছিয়ে দাও এই পোটলা আমাদের কাছে থাকবে। মায়ারাণী ওদের দিকে তাকিয়ে হাসে। চারটি নদী পার হয়ে কত দুর্গম পথে যেতে হবে ছেলেদের চিন্তায় এসব নেই। ওদের বোঝার বয়স নেই। ওরা মায়ের কাছে পোটলাটা দিয়ে বলে, বাবা বোধহয় অনেককিছু কিনেছে মা। আমাদেরকে দেখাও।

–দরকার নাই। খুব সুন্দর করে বেঁধে দিয়েছে যে খুলবনা। নৌকায় ওঠার পর তোদের কাছে রাখিস।

–আচ্ছা, আচ্ছা, আচ্ছা।

ওরা উঠোনে ছুটোছটি করে বারান্দায় উঠে বাবাকে ঘিরে বসে। মায়ারাণী বড় এক পাতিল ভাত রান্না করে বীথিকাকে বলে, এগুলোকে পান্তাভাত বানাব। নৌকায় বসে দুপুরে ও রাতে খেতে হবে।

–হ্যাঁগো মা, ঠিকই আছে। বেশি করে লবণ নিয়ে নিচ্ছি, আর কাঁচামরিচ। তরকারি না থাকলে মরিচ-লবণ দিয়ে পান্তা খাব আমরা। একদিকে নদীর পানিতে ভেসে যাওয়া, আর একদিকে ভাতপানিতে পেট ভরানো। দারুণ হবে। নতুন রকমে দিন কাটবে।

খিলখিলিয়ে হাসে বীথিকা।

রাত হয়ে গেলে সবাই ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ে। সকালে সবার আগে ওঠে মায়ারাণী। পোটলাগুলো বারান্দায় গুছিয়ে রাখে। সকালে সবাই মিলে পান্তাভাত খেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়। এমন সময় পাকিস্তানি দালাল পাঁচজন বাড়ি লুট করতে আসে। ওদের সবাইকে চেনে মায়ারাণী। বেঁটে মোহসিন আলী সবার সামনে। ও বারান্দার একটি পোটলা ধরে টান দিয়ে মাথায় উঠালে মায়ারাণী ধানের গোলার নিচ থেকে গাছকাটা দা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়ে তাড়া করে ওদের। মোহসিন আলীর কাঁধে দায়ের কোপ মারে। মাথা থেকে পোটলা পড়ে যায়। মায়ারাণী রুদ্রমূর্তিতে অন্যদের তাড়া করলে বাকি সবাই দৌড়ে পালায়।

ওরা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে হরেন্দ্রনাথ বলে, চলো এক্ষুণি বেরিয়ে যাব। সবাই মিলে পোটলাগুলো মাথায় উঠায়, হাতে নেয়। তারপর দ্রুতপায়ে নদীর ধারে এসে পৌঁছায়। অজয় মাঝি তৈরি ছিল। সবাই উঠলে নৌকা ছেড়ে দেয়। মায়ারাণী পোটলাগুলো গুছিয়ে একপাশে রাখে। হরেন্দ্রনাথ হাত-পা ছড়িয়ে বসে। বারবার গ্রামের দিকে তাকায়। এখন পর্যন্ত কোথাও আগুন দেখা যায় না। নিজের বাড়ির কথা ভেবে আস্থির থাকে হরেন্দ্রনাথ।

–বাবাগো, কি সুন্দর লাগছে নৌকায় করে যেতে। আমরা কতদূর যাব বাবা?

–অনেকদূর। ভদ্রা নদীর পরও তিনটা নদী পার হতে হবে আমাদেরকে। এখন চুপ করে বসে থাক তোমরা। আর কথা বলবে না।

হরেন্দ্রনাথ চারদিকে তাকিয়ে দেখতে পায় সামনে-পেছনে আরও বেশকিছু নৌকা আছে। সবাই বোধহয় শরণার্থী হবে। সব নৌকায় পরিবার আছে। এমন সময় দেখতে পায় দূর থেকে আসছে গানবোট। হরেন্দ্রনাথ আজয় মাঝিকে বলে, তুমি একদম নদীর ধারে চলে যাও। দরকার মনে করলে আমরা তীরে নেমে যাব।

অজয় মাঝি দ্রুত নৌকা চালিয়ে নদীর কিনারে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করে গানবোট থেকে গুলি করছে। পেছন থেকে আসা দুটো ছোট নৌকার সবাই গুলিবিদ্ধ হলে নৌকা ডুবে যায়। পানিতে ডুবে যায় লাশ।

এই দৃশ্য দেখে মায়ারাণী কেঁদে ফেলে। বুকের ভেতরে হাহাকার ছোটে। চোখের সামনে মৃত্যু দেখা জীবনে এই প্রথম। বীথিকাও ডুবতে থাকা লাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। হরেন্দ্রনাথ ভাবে, আমার হাতে বন্দুক থাকলে ওদেরকে গুলি করতাম। শয়তানগুলো এভাবে মানুষ মারছে।

–আহ থাম। মায়ারাণী হাত চেপে ধরে।

–থামব কেন? ওরা আমাদেরকে মারবে, আর আমরা সবাই শুধুই মরব।

–তোমারতো অস্ত্র নাই। ট্রেনিং নাই। এসব থাকলে বলতাম যুদ্ধ কর।

–দেখি ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিতে পারি কি না।

অজয় মাঝি নৌকা বাইতে বাইতে বলে, আপনারা আমার লম্বা নৌকায় শুয়ে পড়েন। দূর থেকে যেন আপনাদের দেখা না যায়।

–ঠিক বলেছ অজয়। এই শুয়ে পড়ছি সবাই।

বীথিকা ভাইদের শুইয়ে দেয়। তারপর নিজেও শুয়ে পড়ে। হরেন্দ্রনাথ, মায়ারাণীও গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়ে। দূর থেকে তাদেরকে সরাসরি দেখা যাবে না। অজয় মাঝি ভদ্রা নদী পার হয়ে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া শিবসা নদীতে ঢোকে। সুন্দরবন দেখে উঠে বসে বীথিকা। এই বন দেখা মানে ওর প্রাণের টান পূরণ করা। বিকেলের নরম আলোয় চারদিক ফুলের মতো ফুটে আছে। হঠাৎ ও খেয়াল করে তীব্র গতিতে গানবোট চালিয়ে দিলে যাত্রীবাহী ছোট নৌকা ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়। পাকসেনারা কোনো কোনো নৌকা গুলি করে ডুবিয়ে দেয়। নদী দিয়ে ভেসে আসতে থাকে লাশ।

বিথীকা শব্দ করে কেঁদে ফেলে। হরেন্দ্রনাথ আর মায়ারাণী মাথা তুলে বলে, কি হয়েছে রে?

–নদীর স্রোতের সঙ্গে লাশ ভেসে আসছে।

–ওহ –শব্দ করে দুজনে মুখ ঢাকে।

একটুপরে মায়ারাণী বলে, অজয় আমাদের নৌকা নদীর ধারে রাখ। আমরা বনে নামব।

–হ্যাঁ, খুব ভালো হবে। নামেন।

অজয় মাঝি নেমে নৌকাটা একটি ছোট গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সবাই মিলে নেমে যায়। ভাত-তরকারির হাঁড়ি নামানো হয়। থালা-গ্লাস জলের জগ নামিয়ে সবাই এক জায়গায় বসে। বীথিকা দাঁড়িয়ে বলে, আমি একটু বনের ভেতর থেকে ঘুরে আসি।

–দিদির সঙ্গে আমরাও যাব।

–না, তোরা এদিকে যাবিনা। তোরা ওইদিকে যা। আমি একা যাব।

–আচ্ছা। আমরা যাচ্ছি।

তিনভাই একসঙ্গে দৌড়ে বনে ঢুকে যায়। বীথিকা মাকে বলে, মা তুমি আমার সঙ্গে আস। আমি আড়াল করে দাঁড়ালে তুমি পেসাব করবে।

–হ্যারে চল।

মায়ারাণী উঠে দাঁড়ায়। হরেন্দ্রনাথ বলে, তোমরা এলে আমি যাব। আমি খাবারগুলো পাহারা দিচ্ছি।

–হ্যাঁ, তুমি থাক। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব। বীথিকা মায়ের হাত ধরে বনে ঢুকে যায়। পায়ের নিচে ঝরাপাতার মচমচ শব্দ হয়, মাথার ওপর সবুজ পাতার ছাউনি আর পাখিদের কূজন যুদ্ধের সমান্তরাল হয়ে ওঠে। দুজনেই ভাবে, এই সুন্দরবন আমাদের। এখানে সেনাবাহিনী ঢুকতে পারবেনা। ঢুকলে মেরে ছারখার করা হবে। কিন্তু কিভাবে? সে ভাবনা দুজনের মাথায় আসে না। দুজনে ভাবনা থেকে আড়াল হয়ে যায়। ভাবে অকারণ ভাবনায় কাজ হবে না।

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২