সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৬

অঘ্রানের অন্ধকারে

আমাকে চমকে দিয়ে তুরি এসে উপস্থিত হয়েছে। তুরিকে দেখে উচ্ছা্সিত হলাম। তাকে কেন জানি গম্ভীর দেখাচ্ছে। বেশ গম্ভীর। মুখ শুকনো। চোখের নিচে গভীর কালো দাগ বসে গর্ত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলাম, এতদিন কোথায় ছিলে? হন্যে হয়ে তোমাকে খুঁজছি। তোমার ফোন বন্ধ!
তুরি কিছু বলল না। সে ওড়নার আঁচল দিয়ে ডলে ডলে কয়েকবার নাক মুছল। টেবিলে টিস্যুবক্স আছে। তুরি টিস্যুবক্স থেকে টিস্যু পেপার নিল না।

বুঝতে পারছি তুরির ভেতর বড়ো ধরনের পরিবর্তন ঘটে গেছে। আপাতত সেদিকে গেলাম না। স্বাভাবিক গলায় বললাম, তোমার শুভ প্রত্যাবর্তন উদযাপন করা হবে। আমরা আজ আবার সেই কফি খাব। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনের ঘটনা তোমাকে শোনাব বলেছিলাম। আজ বলব।
ইউসুফকে ডেকে কফি দিতে বললাম। তার সঙ্গে পিৎজা। তুরির দিকে তাকালাম। সে অনির্দিষ্টভাবে উদাসী চোখে তাকিয়ে আছে। বললাম, কোপি লুয়াক পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ায়। ভালো কফি চেরি সংগ্রহ করে খাওয়ানো হয় খাটাশকে। খাটাশ চেনো তো? গন্ধগোকুল। বিড়াল গোত্রের প্রাণী। ইংরেজি নাম হচ্ছে সিভেট। এটাকে অনেকে তাই সিভেট কফিও বলে। সুমাত্রা, জাভা, বালি ওসব জায়গায় পাওয়া যায়।

তুরি ক্লান্ত চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। তার নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে। সে কিছু শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। খেয়াল করলাম তবে পাত্তা দিলাম না। একইরকম উচ্ছাস নিয়ে বলে গেলাম, কফি চেরি খাটাশ খায়। খেয়ে কফি বাথরুম করে। কফি চেরি খাটাশের পেটে গিয়ে হজম হয় না। সেটা গুচ্ছ ধরে খাটাশের বাথরুম হয়ে মালার মতো বেরিয়ে আসে। সেই কফি চেরি শুকিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কোপি লুয়াক বানানো হয়।

তুরি এখনো কোনো কথা বলেনি। ভেবেছিলাম কোপি লুয়াকের ঘটনা শুনে সে কিছুটা উত্তেজনা প্রকাশ করবে। তার দৃষ্টি এলোমেলো। নির্দিষ্ট কোনোদিকে তাকাচ্ছে না। বুঝলাম তার শরীর জ¦ালা করতে শুরু করেছে।
না থেমে বললাম, থাইল্যান্ডে কোপি লুয়াক তৈরি হয় হাতির মল থেকে কফি চেরি নিয়ে।

ইউসুফ দুটো মগে কফি দিয়ে গেছে। কফি থেকে ধোঁয়া উড়ছে। কথা শেষে ইচ্ছে করেই আমি জোরে হাসলাম। তুরি শান্ত গলায় বলল, শাবিন মারা গেছে।

অমনি হাসি থামিয়ে চুপ করে গেছি । এরকম সংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তুরির চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ও সরি। কীভাবে মারা গেল?

তুরির চোখ শুকনো। সে চারপাশে কালি পড়া গর্তে বসে যাওয়া শুকনো চোখ তুলে বলল, আগারগাঁ ষাটফিট রাস্তার ওপাশের বস্তিতে কাদেরের ঘরে মরে পড়ে ছিল।

হার্ট অ্যার্টাক?
শাবিনকে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। বুকে পেটে আর গলায় বীভৎসভাবে খুঁচিয়েছে। দেখার মতো ছিল না।
কারা মারল? কেন তাকে খুন করল? টাকাপয়সা নাকি নেশার ঝোঁকে?
জানি না।
কেস হয়েছে?
কাদের পলাতক। শাবিনের বন্ধু সবুজ, হাবিব আর এনায়েতের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আর পুন্নি?
শুনেছি সে দেশের বাইরে চলে গেছে।
মামলা চলছে?

শাবিনের বাবা এসেছিলেন। তিনি আমার শাশুড়িকে বেশকিছু টাকা দিয়ে গেছেন। বলেছেন এ নিয়ে আর নাড়াচাড়া না করতে। আমি জানি শাবিনের বিষয় নিয়ে পুলিশ কিংবা মিডিয়া সরব হলে শাবিনের বাবার কথা আসবে। সেটা তিনি চাইছেন না। আমার শাশুড়ি চুপ করে গেলেন। আমাকে চুপ করে থাকতে বললেন। চুপ করে থাকা ছাড়া তো আমার আরকিছু করার নেই। আমি চুপ করে থাকলাম।

কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে। আমরা কেউ কফিতে চুমুক দিইনি। তুরির হাত থরথর করে কাঁপছে। তার হিক্কা শুরু হয়েছে। সে হিক্কা তুলে বলল, আমি উঠি। এই খবরটা আপনাকে দিতে এসেছিলাম।
বললাম, বারান্দায় চলো।

তুরি কী বুঝল জানি না। আমার সঙ্গে বারান্দায় এলো। সিগারেট বের করে তুরিকে দিলাম। সে সিগারেট নিয়ে পকেট থেকে লাইটার বের করে সিগারেট জ্বালাল। আমি সিগারেট জ্বালিয়েছি। তুরি চুপ করে আছে। কাছে এগিয়ে গিয়ে তার মাথায় হাত রাখলাম। তুরি চমকে উঠেছে। নরম গলায় বললাম, আমার একটা অনুরোধ রাখবে?
বলুন।

আমার সঙ্গে রিহ্যাবে চলো। তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে।

তুরি কাঁদছে। সে সিগারেট খাচ্ছে না। তার হাতের দু আঙুলের মাঝখানে সিগারেট পুড়ছে। বাতাসে ছড়িয়ে ধোঁয়া উঠছে। নাক টেনে তুরি বলল, কার জন্য সুস্থ হব! আমার তো কেউ নেই।
নিজের জন্য সুস্থ হবে। তোমার ভালো থাকা দরকার।

তুরি বারান্দার ফ্লোরে সিগারেট ফেলে দিলো। পা দিয়ে পিষে জ্বলন্ত সিগারেট নিভিয়েছে। আর কিছু বলল না। সে চলে যাচ্ছে। তাকে ভীষণ অস্থির দেখাচ্ছে। ওড়না দিয়ে ঘনঘন নাক মুছছে। দুহাত দিয়ে মাথা খামচে ধরে চুল এলোমেলো করে ফেলেছে। মনে হলো তুরির সঙ্গে যাওয়া দরকার। তাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসা উচিত। সে কি সেই গাজী নামে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে যাচ্ছে, যে হেরোইন বিক্রি করে?

আমি উঠলাম না। তুরি আর শাবিনকে নিয়ে লেখা উপন্যাসের শেষ অংশ ভাবনায় এসে গেছে। আমার মনে হলো, পাঠক বীভৎস মৃত্যু চায় না। পাঠক চায় সুন্দর সুপ্রসন্ন মৃত্যু। কম্পিউটারে ‘তুরির নোটবুক’ লেখা ফাইল ওপেন করলাম। তুরি দরজা ঠেলে দ্রæত ঘর থেকে বের হয়ে গেল। আমি উপন্যাসের শেষটুকু লিখলাম।

 

(চলবে..)

 

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি