বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৬

অঘ্রানের অন্ধকারে

আমাকে চমকে দিয়ে তুরি এসে উপস্থিত হয়েছে। তুরিকে দেখে উচ্ছা্সিত হলাম। তাকে কেন জানি গম্ভীর দেখাচ্ছে। বেশ গম্ভীর। মুখ শুকনো। চোখের নিচে গভীর কালো দাগ বসে গর্ত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলাম, এতদিন কোথায় ছিলে? হন্যে হয়ে তোমাকে খুঁজছি। তোমার ফোন বন্ধ!
তুরি কিছু বলল না। সে ওড়নার আঁচল দিয়ে ডলে ডলে কয়েকবার নাক মুছল। টেবিলে টিস্যুবক্স আছে। তুরি টিস্যুবক্স থেকে টিস্যু পেপার নিল না।

বুঝতে পারছি তুরির ভেতর বড়ো ধরনের পরিবর্তন ঘটে গেছে। আপাতত সেদিকে গেলাম না। স্বাভাবিক গলায় বললাম, তোমার শুভ প্রত্যাবর্তন উদযাপন করা হবে। আমরা আজ আবার সেই কফি খাব। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনের ঘটনা তোমাকে শোনাব বলেছিলাম। আজ বলব।
ইউসুফকে ডেকে কফি দিতে বললাম। তার সঙ্গে পিৎজা। তুরির দিকে তাকালাম। সে অনির্দিষ্টভাবে উদাসী চোখে তাকিয়ে আছে। বললাম, কোপি লুয়াক পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ায়। ভালো কফি চেরি সংগ্রহ করে খাওয়ানো হয় খাটাশকে। খাটাশ চেনো তো? গন্ধগোকুল। বিড়াল গোত্রের প্রাণী। ইংরেজি নাম হচ্ছে সিভেট। এটাকে অনেকে তাই সিভেট কফিও বলে। সুমাত্রা, জাভা, বালি ওসব জায়গায় পাওয়া যায়।

তুরি ক্লান্ত চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। তার নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে। সে কিছু শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। খেয়াল করলাম তবে পাত্তা দিলাম না। একইরকম উচ্ছাস নিয়ে বলে গেলাম, কফি চেরি খাটাশ খায়। খেয়ে কফি বাথরুম করে। কফি চেরি খাটাশের পেটে গিয়ে হজম হয় না। সেটা গুচ্ছ ধরে খাটাশের বাথরুম হয়ে মালার মতো বেরিয়ে আসে। সেই কফি চেরি শুকিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কোপি লুয়াক বানানো হয়।

তুরি এখনো কোনো কথা বলেনি। ভেবেছিলাম কোপি লুয়াকের ঘটনা শুনে সে কিছুটা উত্তেজনা প্রকাশ করবে। তার দৃষ্টি এলোমেলো। নির্দিষ্ট কোনোদিকে তাকাচ্ছে না। বুঝলাম তার শরীর জ¦ালা করতে শুরু করেছে।
না থেমে বললাম, থাইল্যান্ডে কোপি লুয়াক তৈরি হয় হাতির মল থেকে কফি চেরি নিয়ে।

ইউসুফ দুটো মগে কফি দিয়ে গেছে। কফি থেকে ধোঁয়া উড়ছে। কথা শেষে ইচ্ছে করেই আমি জোরে হাসলাম। তুরি শান্ত গলায় বলল, শাবিন মারা গেছে।

অমনি হাসি থামিয়ে চুপ করে গেছি । এরকম সংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তুরির চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ও সরি। কীভাবে মারা গেল?

তুরির চোখ শুকনো। সে চারপাশে কালি পড়া গর্তে বসে যাওয়া শুকনো চোখ তুলে বলল, আগারগাঁ ষাটফিট রাস্তার ওপাশের বস্তিতে কাদেরের ঘরে মরে পড়ে ছিল।

হার্ট অ্যার্টাক?
শাবিনকে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। বুকে পেটে আর গলায় বীভৎসভাবে খুঁচিয়েছে। দেখার মতো ছিল না।
কারা মারল? কেন তাকে খুন করল? টাকাপয়সা নাকি নেশার ঝোঁকে?
জানি না।
কেস হয়েছে?
কাদের পলাতক। শাবিনের বন্ধু সবুজ, হাবিব আর এনায়েতের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আর পুন্নি?
শুনেছি সে দেশের বাইরে চলে গেছে।
মামলা চলছে?

শাবিনের বাবা এসেছিলেন। তিনি আমার শাশুড়িকে বেশকিছু টাকা দিয়ে গেছেন। বলেছেন এ নিয়ে আর নাড়াচাড়া না করতে। আমি জানি শাবিনের বিষয় নিয়ে পুলিশ কিংবা মিডিয়া সরব হলে শাবিনের বাবার কথা আসবে। সেটা তিনি চাইছেন না। আমার শাশুড়ি চুপ করে গেলেন। আমাকে চুপ করে থাকতে বললেন। চুপ করে থাকা ছাড়া তো আমার আরকিছু করার নেই। আমি চুপ করে থাকলাম।

কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে। আমরা কেউ কফিতে চুমুক দিইনি। তুরির হাত থরথর করে কাঁপছে। তার হিক্কা শুরু হয়েছে। সে হিক্কা তুলে বলল, আমি উঠি। এই খবরটা আপনাকে দিতে এসেছিলাম।
বললাম, বারান্দায় চলো।

তুরি কী বুঝল জানি না। আমার সঙ্গে বারান্দায় এলো। সিগারেট বের করে তুরিকে দিলাম। সে সিগারেট নিয়ে পকেট থেকে লাইটার বের করে সিগারেট জ্বালাল। আমি সিগারেট জ্বালিয়েছি। তুরি চুপ করে আছে। কাছে এগিয়ে গিয়ে তার মাথায় হাত রাখলাম। তুরি চমকে উঠেছে। নরম গলায় বললাম, আমার একটা অনুরোধ রাখবে?
বলুন।

আমার সঙ্গে রিহ্যাবে চলো। তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে।

তুরি কাঁদছে। সে সিগারেট খাচ্ছে না। তার হাতের দু আঙুলের মাঝখানে সিগারেট পুড়ছে। বাতাসে ছড়িয়ে ধোঁয়া উঠছে। নাক টেনে তুরি বলল, কার জন্য সুস্থ হব! আমার তো কেউ নেই।
নিজের জন্য সুস্থ হবে। তোমার ভালো থাকা দরকার।

তুরি বারান্দার ফ্লোরে সিগারেট ফেলে দিলো। পা দিয়ে পিষে জ্বলন্ত সিগারেট নিভিয়েছে। আর কিছু বলল না। সে চলে যাচ্ছে। তাকে ভীষণ অস্থির দেখাচ্ছে। ওড়না দিয়ে ঘনঘন নাক মুছছে। দুহাত দিয়ে মাথা খামচে ধরে চুল এলোমেলো করে ফেলেছে। মনে হলো তুরির সঙ্গে যাওয়া দরকার। তাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসা উচিত। সে কি সেই গাজী নামে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে যাচ্ছে, যে হেরোইন বিক্রি করে?

আমি উঠলাম না। তুরি আর শাবিনকে নিয়ে লেখা উপন্যাসের শেষ অংশ ভাবনায় এসে গেছে। আমার মনে হলো, পাঠক বীভৎস মৃত্যু চায় না। পাঠক চায় সুন্দর সুপ্রসন্ন মৃত্যু। কম্পিউটারে ‘তুরির নোটবুক’ লেখা ফাইল ওপেন করলাম। তুরি দরজা ঠেলে দ্রæত ঘর থেকে বের হয়ে গেল। আমি উপন্যাসের শেষটুকু লিখলাম।

 

(চলবে..)

 

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  

ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অবৈধ বাংলাদেশিদেরও ফেরত পাঠাবে দেশটি। এ-সংক্রান্ত একটি বার্তা ঢাকাকে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশও অবৈধ হয়ে পড়া নিজ নাগরিকদের ফেরত নেবে। তবে অসম্মানজনক উপায়ে যেন ফেরত পাঠানো না হয়, তা নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত আনার বিষয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁরা ধারণা দিয়েছেন, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রাজ্য নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেটিকাটে অবৈধ বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত মাসে মার্কিন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দেশের মতো অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে ঢাকার সহযোগিতা চেয়েছে ওয়াশিংটন। সরকারও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সম্মানজনকভাবে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ চায় না অন্যান্য দেশের মতো হাতকড়া পরিয়ে বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে আসুক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন কিছু করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস গত মাসে বাংলাদেশ সরকারকে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অবহিত করেছে। এ ব্যাপারে সরকারকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মশাল মিছিল হয়েছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই নারী। পরে তাদের সংহতি জানিয়ে মিছিলে যোগদেন লালমাটিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারাও।

বুধবার (০৫ মার্চ) রাতে লালমাটিয়ায় এই মশাল মিছিল করেন স্থানীয়রা। মোহাম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা ব্যানার নিয়ে লালমাটিয়া এলাকায় একটি মশাল মিছিল করেন। সেই মিছিলে আনুমানিক ২০০ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন নারী।

তাদের বিভিন্ন স্লোগানের মধ্যে ছিল— উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান করা যাবে না, যেখানে সেখানে ধূমপান করা চলবে না, লালমাটিয়া এলাকায় মাদকসেবী-মাদক বিক্রেতাদের স্থান নেই, বয়স্কদের সম্মান করতে হবে ইত্যাদি।

মিছিলকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যকে সমর্থন ও শাহবাগীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের নিন্দা এবং প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে’ মশাল মিছিল।

এসময় স্থানীয় নারীরা বলেন, লালমাটিয়াসহ পুরো ঢাকা শহর মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করছে। তাদের কারণে শিশুরাও বিপথগামী হচ্ছে। এমনকি এসবের প্রতিবাদ করলে তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া আমেনা ইসলাম নামের এক নারী বলেন, আমাদের মা-বোনেরা কখনোই যেখানে-সেখানে বসে সিগারেট খেতে পারেন না। এটা আমাদের সংস্কৃতি না। এটা আমাদের দেশের মেয়েদের কাজও না। এটা যেমন আমাদের ধর্ম নিষেধ করেছে, আমাদের সমাজেও এটা বেমানান। যারাই এ কাজ করছে, তারা বিদেশি সংস্কৃতি আমদানির মাধ্যমে দেশের মা-বোনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, প্রথম কথা হলো পাবলিক প্লেসে ধূমপান আমাদের দেশীয় আইনেই অন্যায় কাজ। কিন্তু কিছু ধর্মবিদ্বেষী নারী সেই অন্যায় কাজটি করেও আবার বিরোধিতা করায় আন্দোলন করছে। আমরা তাদের কাছে কি শিখব? আমাদের ছোটরা তাদের কাছে কি শিখবে? এটা কি কোনো ভালো শিক্ষা? আমরা ছোট থেকেই দেখেছি পুরুষদের কেউ ধূমপান করলেও তারা লুকিয়ে করেন। বড় কেউ দেখে ফেললে তাড়াতাড়ি সেটা ফেলে দেন। এটাই তো আমাদের সমাজের শিক্ষা।

আমেনা ইসলাম আরও বলেন, যেসব নারী প্রকাশ্যে ধূমপান করে আবার গর্ব করে বলে এবং প্রকাশ্যে ধূমপানের সুযোগের দাবিতে আন্দোলন করে তাদের নিশ্চয়ই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে। তারা আমাদের সমাজকে কলুষিত করতে চায়। তারা বাংলাদেশে বিদেশি সংস্কৃতি-কালচার আমদানি করে নারীদের বাজারের পণ্য বানাতে চায়। আমরা তো চোখের সামনে আমাদের সমাজকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।

এছাড়া সামিনা ইয়াসমিন নামের আরেক নারী বলেন, ধূমপানের কারণে নানাবিধ ক্ষতি হচ্ছে। প্রকাশ্যে ধূমপান শিশুসহ অধূমপায়ীদের বেশি ক্ষতি করছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই সারা দেশে ধূমপান ও মাদক নিষিদ্ধ করা হোক।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন নারী, নারী হিসেবে তাদের এসব কাজকর্মের জন্য আমার লজ্জা হচ্ছে। দুই-চারটা সমাজের কীটের কারণে আমরা নারী জাতির সম্মান ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না। যারাই এসব আন্দোলন করছে, সরকারকে আহ্বান করব অবিলম্বে যেন তাদের আইনের আওতায় আনে। নয়ত স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষ মিলে তাদের আমরা প্রতিহত করব।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক তরুণীর ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে তার বান্ধবীও ছিলেন।

মোহাম্মদপুরের আসাদগেটের কাছে আড়ং গলির পেছনে ওই তরুণী ধূমপান করছিলেন। এ নিয়ে হট্টগোলের খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি দল ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে ওই ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যতটুকু জানছি ওনারা নাকি সিগারেট খাইতেছিল। ওই সময় কিছু লোক না কি নামাজ পড়তে যাইতেছিল। এ সময় ওনারা (লোকেরা) বাধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুড়ে মারছে। ’

‘তো আপনারা জানেন, ওপেন জায়গায় সিগারেট খাওয়া কিন্তু নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষেধ। এটা কিন্তু একটা অফেন্স। এ জন্য আমি অনুরোধ করব, ওপেন যেন কেউ সিগারেটটা না খায়। আর এখন যে রোজার সময় সবাইকে একটু সংযমী হতে হবে। ’

Header Ad
Header Ad

সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ মঈনুদ্দিন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিষয়ক সহকারী হিসেবে কাজ করবেন।

বুধবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ সহকারী থাকাকালীন তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শেখ মঈনুদ্দিনের সড়ক ও অবকাঠামো খাতে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের সেফটি ও অপারেশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, শেখ মঈনুদ্দিন নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আগে বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন।

২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের প্রোগ্রাম ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লস অ্যাঞ্জেলেসের সরকারি খাতে বহু বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

শেখ মঈনুদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, লাফায়েত থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টসের (এএবিইএ) কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  
প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  
সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  
প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড  
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ তালুকদারের পদ স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: স্নাতক পাশ না করেও পেল প্রথম শ্রেণীর চাকরী  
সরকারি যানবাহনের চালকরা ট্রাফিক আইন অমান্য করছে : ডিএমপি  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলে পাহাড়ের লাল মাটি কাটার অভিযোগে লাখ টাকা জরিমানা  
জাতিসংঘ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয়, তবে বিচার হতে হবে : ভলকার তুর্ক  
রমজানে চুয়াডাঙ্গায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং প্রয়োজন: ক্যাব
পবিত্র রমজানে কুবিতে মিলছে ১০ টাকায় ইফতার
নিত্যপণ্যের দাম আগের বছরের চেয়ে বাড়েনি: অর্থ উপদেষ্টা  
জোটে যাবে না এনসিপি, ৩০০ আসনে দেবে প্রার্থী
ফের রিমান্ডে সাবেক বিচারপতি মানিক
শ্রম আইন সংস্কার করে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
শিগগিরই গঠন করা হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব উইং
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা
মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি, রাবির ছাত্রলীগ নেতা আটক
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আটক