মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৬

অঘ্রানের অন্ধকারে

আমাকে চমকে দিয়ে তুরি এসে উপস্থিত হয়েছে। তুরিকে দেখে উচ্ছা্সিত হলাম। তাকে কেন জানি গম্ভীর দেখাচ্ছে। বেশ গম্ভীর। মুখ শুকনো। চোখের নিচে গভীর কালো দাগ বসে গর্ত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলাম, এতদিন কোথায় ছিলে? হন্যে হয়ে তোমাকে খুঁজছি। তোমার ফোন বন্ধ!
তুরি কিছু বলল না। সে ওড়নার আঁচল দিয়ে ডলে ডলে কয়েকবার নাক মুছল। টেবিলে টিস্যুবক্স আছে। তুরি টিস্যুবক্স থেকে টিস্যু পেপার নিল না।

বুঝতে পারছি তুরির ভেতর বড়ো ধরনের পরিবর্তন ঘটে গেছে। আপাতত সেদিকে গেলাম না। স্বাভাবিক গলায় বললাম, তোমার শুভ প্রত্যাবর্তন উদযাপন করা হবে। আমরা আজ আবার সেই কফি খাব। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনের ঘটনা তোমাকে শোনাব বলেছিলাম। আজ বলব।
ইউসুফকে ডেকে কফি দিতে বললাম। তার সঙ্গে পিৎজা। তুরির দিকে তাকালাম। সে অনির্দিষ্টভাবে উদাসী চোখে তাকিয়ে আছে। বললাম, কোপি লুয়াক পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ায়। ভালো কফি চেরি সংগ্রহ করে খাওয়ানো হয় খাটাশকে। খাটাশ চেনো তো? গন্ধগোকুল। বিড়াল গোত্রের প্রাণী। ইংরেজি নাম হচ্ছে সিভেট। এটাকে অনেকে তাই সিভেট কফিও বলে। সুমাত্রা, জাভা, বালি ওসব জায়গায় পাওয়া যায়।

তুরি ক্লান্ত চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। তার নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে। সে কিছু শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। খেয়াল করলাম তবে পাত্তা দিলাম না। একইরকম উচ্ছাস নিয়ে বলে গেলাম, কফি চেরি খাটাশ খায়। খেয়ে কফি বাথরুম করে। কফি চেরি খাটাশের পেটে গিয়ে হজম হয় না। সেটা গুচ্ছ ধরে খাটাশের বাথরুম হয়ে মালার মতো বেরিয়ে আসে। সেই কফি চেরি শুকিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কোপি লুয়াক বানানো হয়।

তুরি এখনো কোনো কথা বলেনি। ভেবেছিলাম কোপি লুয়াকের ঘটনা শুনে সে কিছুটা উত্তেজনা প্রকাশ করবে। তার দৃষ্টি এলোমেলো। নির্দিষ্ট কোনোদিকে তাকাচ্ছে না। বুঝলাম তার শরীর জ¦ালা করতে শুরু করেছে।
না থেমে বললাম, থাইল্যান্ডে কোপি লুয়াক তৈরি হয় হাতির মল থেকে কফি চেরি নিয়ে।

ইউসুফ দুটো মগে কফি দিয়ে গেছে। কফি থেকে ধোঁয়া উড়ছে। কথা শেষে ইচ্ছে করেই আমি জোরে হাসলাম। তুরি শান্ত গলায় বলল, শাবিন মারা গেছে।

অমনি হাসি থামিয়ে চুপ করে গেছি । এরকম সংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তুরির চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ও সরি। কীভাবে মারা গেল?

তুরির চোখ শুকনো। সে চারপাশে কালি পড়া গর্তে বসে যাওয়া শুকনো চোখ তুলে বলল, আগারগাঁ ষাটফিট রাস্তার ওপাশের বস্তিতে কাদেরের ঘরে মরে পড়ে ছিল।

হার্ট অ্যার্টাক?
শাবিনকে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। বুকে পেটে আর গলায় বীভৎসভাবে খুঁচিয়েছে। দেখার মতো ছিল না।
কারা মারল? কেন তাকে খুন করল? টাকাপয়সা নাকি নেশার ঝোঁকে?
জানি না।
কেস হয়েছে?
কাদের পলাতক। শাবিনের বন্ধু সবুজ, হাবিব আর এনায়েতের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আর পুন্নি?
শুনেছি সে দেশের বাইরে চলে গেছে।
মামলা চলছে?

শাবিনের বাবা এসেছিলেন। তিনি আমার শাশুড়িকে বেশকিছু টাকা দিয়ে গেছেন। বলেছেন এ নিয়ে আর নাড়াচাড়া না করতে। আমি জানি শাবিনের বিষয় নিয়ে পুলিশ কিংবা মিডিয়া সরব হলে শাবিনের বাবার কথা আসবে। সেটা তিনি চাইছেন না। আমার শাশুড়ি চুপ করে গেলেন। আমাকে চুপ করে থাকতে বললেন। চুপ করে থাকা ছাড়া তো আমার আরকিছু করার নেই। আমি চুপ করে থাকলাম।

কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে। আমরা কেউ কফিতে চুমুক দিইনি। তুরির হাত থরথর করে কাঁপছে। তার হিক্কা শুরু হয়েছে। সে হিক্কা তুলে বলল, আমি উঠি। এই খবরটা আপনাকে দিতে এসেছিলাম।
বললাম, বারান্দায় চলো।

তুরি কী বুঝল জানি না। আমার সঙ্গে বারান্দায় এলো। সিগারেট বের করে তুরিকে দিলাম। সে সিগারেট নিয়ে পকেট থেকে লাইটার বের করে সিগারেট জ্বালাল। আমি সিগারেট জ্বালিয়েছি। তুরি চুপ করে আছে। কাছে এগিয়ে গিয়ে তার মাথায় হাত রাখলাম। তুরি চমকে উঠেছে। নরম গলায় বললাম, আমার একটা অনুরোধ রাখবে?
বলুন।

আমার সঙ্গে রিহ্যাবে চলো। তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে।

তুরি কাঁদছে। সে সিগারেট খাচ্ছে না। তার হাতের দু আঙুলের মাঝখানে সিগারেট পুড়ছে। বাতাসে ছড়িয়ে ধোঁয়া উঠছে। নাক টেনে তুরি বলল, কার জন্য সুস্থ হব! আমার তো কেউ নেই।
নিজের জন্য সুস্থ হবে। তোমার ভালো থাকা দরকার।

তুরি বারান্দার ফ্লোরে সিগারেট ফেলে দিলো। পা দিয়ে পিষে জ্বলন্ত সিগারেট নিভিয়েছে। আর কিছু বলল না। সে চলে যাচ্ছে। তাকে ভীষণ অস্থির দেখাচ্ছে। ওড়না দিয়ে ঘনঘন নাক মুছছে। দুহাত দিয়ে মাথা খামচে ধরে চুল এলোমেলো করে ফেলেছে। মনে হলো তুরির সঙ্গে যাওয়া দরকার। তাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসা উচিত। সে কি সেই গাজী নামে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে যাচ্ছে, যে হেরোইন বিক্রি করে?

আমি উঠলাম না। তুরি আর শাবিনকে নিয়ে লেখা উপন্যাসের শেষ অংশ ভাবনায় এসে গেছে। আমার মনে হলো, পাঠক বীভৎস মৃত্যু চায় না। পাঠক চায় সুন্দর সুপ্রসন্ন মৃত্যু। কম্পিউটারে ‘তুরির নোটবুক’ লেখা ফাইল ওপেন করলাম। তুরি দরজা ঠেলে দ্রæত ঘর থেকে বের হয়ে গেল। আমি উপন্যাসের শেষটুকু লিখলাম।

 

(চলবে..)

 

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পিকে হালদারসহ ৬ সহযোগী

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ আড়াই বছরের বন্দিদশা শেষে অবশেষে মুক্ত বাতাসে পা রাখলেন অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ভারতের কলকাতার আলিপুর প্রেসিডেন্সি কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পিকে হালদার বলেন, "আমি এখন কিছু বলবো না। পরে সব বলবো।" তিনি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে হাতজোড় করে জানান, তার আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিস্তারিত জানাবেন। কারাগারের বাইরে অপেক্ষারত একটি সাদা উবার গাড়িতে উঠে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। তবে তিনি কোথায় গেছেন, তা জানাননি।

এর আগে গত শুক্রবার কলকাতার নগর দায়রা আদালত শর্তসাপেক্ষে পিকে হালদারের জামিন মঞ্জুর করেন। তাকে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ জানুয়ারি।

২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়, যা এখনও কলকাতার নগর দায়রা আদালতে বিচারাধীন।

Header Ad
Header Ad

প্রেমিকাকে বিয়ে করছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস

জেফ বেজোস ও তার প্রেমিকা লরেন সানচেজ। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের একেবারে শেষে চোখ ধাঁধানো ব্যয়বহুল বিয়ে করছেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোস। দীর্ঘ ৮ বছরের প্রেমিকা, বান্ধবী লরেন সানচেজকে বিয়ে করছেন এ ধনকুবের। বেজোস ও সানচেজের আলোচিত এই বিয়েতে খরচ ধরা হয়েছে ৬০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি)। এমন নানা জল্পনা এখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঠাঁই পেয়েছে।

লরেন সানচেজ পেশায় একজন সাংবাদিক, উপস্থাপক, অভিনেত্রী ও একজন হেলিকপ্টার পাইলট। ডেইলি বিস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী জেফ আর সাংবাদিক লরেনের বিয়ে হতে চলেছে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ অর্থাৎ বড়দিনের পরপরই।

জেফ বেজোস ও তার প্রেমিকা লরেন সানচেজ। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন বিয়ে ও বড় দিন উদযাপন নিয়ে এরইমধ্যে বিশেষ গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন বেজোস ও সানচেজ জুটি। বিয়ের তারিখ প্রকাশের আগে একাধিকবার নানা গুঞ্জন উঠেছিল এ জুটিকে নিয়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অ্যাসপেনে ৬০ বছরের বেজোস আর ৫৫ বছরের সানচেজ বিবাহ-পূর্ব (প্রি–ওয়েডিং) কিছু আয়োজনে অংশ নেন। আগামী শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তাদের বিয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হলিউডের অভিনেতা-পরিচালক কেভিন কস্টনারের ১৬০ একরের ডানবার র‍্যাঞ্চে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বেজোসের বিয়ের আসর বসছে। এই আয়োজনে খরচ হবে ৬০ কোটি ডলার। বিয়ের আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের অ্যাসপেন শহরে। আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে ১৮০ জন। যাদের মধ্যে রয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, জর্ডনের রানি কুইন রানিয়া এবং হলিউডের রোমান্টিক সিনেমা ‘টাইটানিক’-র নায়ক লিওনার্দো ডিকাপ্রিও।

ধারণা করা হচ্ছে, ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলের বিলাসবহুল বিয়ের পর অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের বিয়ে তাক লাগিয়ে দেবে বিশ্ব অঙ্গন।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, লরেনের জন্যই ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে স্ত্রী ম্যাকেনজি স্কটের সঙ্গে ২৫ বছরের সংসারের ইতি টানেন জেফ। তাদের এই বিচ্ছেদ বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোচিত হয়। কেননা, এখন পর্যন্ত জেফ বেজোস ও ম্যাকেনজিরটাই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহবিচ্ছেদ।

ওই বিচ্ছেদের আপসরফা হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে। যার পুরোটাই ছিল অ্যামাজনের শেয়ার। ২০১৯ সালে ভারতের যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল, এটি ঠিক তার অর্ধেক।

বিচ্ছেদের সময় বেজোস ছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। আর বিচ্ছেদের পর বেজোসের কাছ থেকে পাওয়া সম্পদের সুবাদে ম্যাকেনজি বিশ্বের অন্যতম ধনী নারীর কাতারে চলে আসেন।

তবে সানচেজকে বিয়ের গুঞ্জন অস্বীকার করেছেন বেজোস। এক্স বার্তায় তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ অ্যামাজনের প্রধান আরও বলেন, ‘আপনি যা পড়েছেন, তা মোটেও বিশ্বাস করবেন না, বিশেষ করে এটা আগের চেয়ে আজ আরও বেশি সত্য।’

Header Ad
Header Ad

পদ্মা সেতু ও নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনরায় তদন্ত করবে দুদক

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

পদ্মা সেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নতুন করে তদন্ত হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলারও।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

দুদক জানায়, পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্র মামলার পুনরায় তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এছাড়াও সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। তিন মামলায় আসামি হলেও পরে দায়মুক্তি পান তিনি।

দুদকের অনুসন্ধান দল জানিয়েছে, ৮ প্রকল্পে শেখ হাসিনার ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাটের তদন্তে প্রধান উপদেষ্টার সচিব বরাবর তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করা হলে দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, এর আগেও এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের অবগত করা হয়েছে। অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান দলের সদস্যরা দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহের জন্য চিঠিপত্র দিচ্ছেন বিভিন্ন দফতরে। এটা তাদের অনুসন্ধান কাজের অংশ। তথ্য পাওয়ার পর দলের সদস্যরা পর্যালোচনা করবেন। এটার সাথে অভিযোগ প্রমাণের সহায়ক ও অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের দেশে-বিদেশে লেনদেনের যাবতীয় নথি তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে চিঠি দেয় দুদক।

এদিন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পাঠানো চিঠিতে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত অফশোর ব্যাংকের হিসাব বিবরণীসহ সব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। পাশাপাশি অনুসন্ধান টিম প্রথম দফায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথিপত্র তলব করে নির্বাচন কমিশন এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের নথি তলব করেছে।

তাদের নামে পরিচালিত অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি ও দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ সরবরাহের জন্য বিএফআইইউর কাছে চিঠি দেয় অনুসন্ধান টিম। শিগগির আরো কিছু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নথি তলব করে চিঠি পাঠানো হবে।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যর একটি দল গঠন করে দুদক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পিকে হালদারসহ ৬ সহযোগী
প্রেমিকাকে বিয়ে করছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস
পদ্মা সেতু ও নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনরায় তদন্ত করবে দুদক
বড় পরিবর্তন আসছে আইইএলটিএস পরীক্ষায়, ২৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশি
আওয়ামী লীগ এই দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: শফিকুর রহমান
বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা
এস আলম গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বিমানবন্দরে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আটক
উদ্বোধনের দিনেই বগি সেটে সমস্যা, শিডিউল বিপর্যয়ে ‘রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস’
গাইবান্ধায় জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে নিরাপদ পানির নামে ৪ কোটির অধিক টাকা ভাগাভাগি
১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে যা বললেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনলে বিচারটা ভালোভাবে করা যাবে: তাজুল ইসলাম
‘আমি এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য না, আমি একজন উপদেষ্টা’
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের সাথে রেফারি এসোসিয়েশনের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাবিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি আহ্বান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ নেই
‘দেশে দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, একটি সেনাবাহিনী আরেকটি জামায়াত’
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
ঢাকা মহানগর, জবি, পলিটেকনিক ও পাঁচটি কলেজে ছাত্রদলের কমিটি
আবু সাঈদ ফ্রান্সে আছে দাবিতে গোলাম মাওলা রনির নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার