শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৬

অঘ্রানের অন্ধকারে

আমাকে চমকে দিয়ে তুরি এসে উপস্থিত হয়েছে। তুরিকে দেখে উচ্ছা্সিত হলাম। তাকে কেন জানি গম্ভীর দেখাচ্ছে। বেশ গম্ভীর। মুখ শুকনো। চোখের নিচে গভীর কালো দাগ বসে গর্ত হয়ে গেছে।

জানতে চাইলাম, এতদিন কোথায় ছিলে? হন্যে হয়ে তোমাকে খুঁজছি। তোমার ফোন বন্ধ!
তুরি কিছু বলল না। সে ওড়নার আঁচল দিয়ে ডলে ডলে কয়েকবার নাক মুছল। টেবিলে টিস্যুবক্স আছে। তুরি টিস্যুবক্স থেকে টিস্যু পেপার নিল না।

বুঝতে পারছি তুরির ভেতর বড়ো ধরনের পরিবর্তন ঘটে গেছে। আপাতত সেদিকে গেলাম না। স্বাভাবিক গলায় বললাম, তোমার শুভ প্রত্যাবর্তন উদযাপন করা হবে। আমরা আজ আবার সেই কফি খাব। দ্য মোস্ট এক্সপেন্সিভ কফি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। কোপি লুয়াক। এই কফির পেছনের ঘটনা তোমাকে শোনাব বলেছিলাম। আজ বলব।
ইউসুফকে ডেকে কফি দিতে বললাম। তার সঙ্গে পিৎজা। তুরির দিকে তাকালাম। সে অনির্দিষ্টভাবে উদাসী চোখে তাকিয়ে আছে। বললাম, কোপি লুয়াক পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ায়। ভালো কফি চেরি সংগ্রহ করে খাওয়ানো হয় খাটাশকে। খাটাশ চেনো তো? গন্ধগোকুল। বিড়াল গোত্রের প্রাণী। ইংরেজি নাম হচ্ছে সিভেট। এটাকে অনেকে তাই সিভেট কফিও বলে। সুমাত্রা, জাভা, বালি ওসব জায়গায় পাওয়া যায়।

তুরি ক্লান্ত চোখে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। তার নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে। সে কিছু শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। খেয়াল করলাম তবে পাত্তা দিলাম না। একইরকম উচ্ছাস নিয়ে বলে গেলাম, কফি চেরি খাটাশ খায়। খেয়ে কফি বাথরুম করে। কফি চেরি খাটাশের পেটে গিয়ে হজম হয় না। সেটা গুচ্ছ ধরে খাটাশের বাথরুম হয়ে মালার মতো বেরিয়ে আসে। সেই কফি চেরি শুকিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কোপি লুয়াক বানানো হয়।

তুরি এখনো কোনো কথা বলেনি। ভেবেছিলাম কোপি লুয়াকের ঘটনা শুনে সে কিছুটা উত্তেজনা প্রকাশ করবে। তার দৃষ্টি এলোমেলো। নির্দিষ্ট কোনোদিকে তাকাচ্ছে না। বুঝলাম তার শরীর জ¦ালা করতে শুরু করেছে।
না থেমে বললাম, থাইল্যান্ডে কোপি লুয়াক তৈরি হয় হাতির মল থেকে কফি চেরি নিয়ে।

ইউসুফ দুটো মগে কফি দিয়ে গেছে। কফি থেকে ধোঁয়া উড়ছে। কথা শেষে ইচ্ছে করেই আমি জোরে হাসলাম। তুরি শান্ত গলায় বলল, শাবিন মারা গেছে।

অমনি হাসি থামিয়ে চুপ করে গেছি । এরকম সংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তুরির চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ও সরি। কীভাবে মারা গেল?

তুরির চোখ শুকনো। সে চারপাশে কালি পড়া গর্তে বসে যাওয়া শুকনো চোখ তুলে বলল, আগারগাঁ ষাটফিট রাস্তার ওপাশের বস্তিতে কাদেরের ঘরে মরে পড়ে ছিল।

হার্ট অ্যার্টাক?
শাবিনকে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। বুকে পেটে আর গলায় বীভৎসভাবে খুঁচিয়েছে। দেখার মতো ছিল না।
কারা মারল? কেন তাকে খুন করল? টাকাপয়সা নাকি নেশার ঝোঁকে?
জানি না।
কেস হয়েছে?
কাদের পলাতক। শাবিনের বন্ধু সবুজ, হাবিব আর এনায়েতের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আর পুন্নি?
শুনেছি সে দেশের বাইরে চলে গেছে।
মামলা চলছে?

শাবিনের বাবা এসেছিলেন। তিনি আমার শাশুড়িকে বেশকিছু টাকা দিয়ে গেছেন। বলেছেন এ নিয়ে আর নাড়াচাড়া না করতে। আমি জানি শাবিনের বিষয় নিয়ে পুলিশ কিংবা মিডিয়া সরব হলে শাবিনের বাবার কথা আসবে। সেটা তিনি চাইছেন না। আমার শাশুড়ি চুপ করে গেলেন। আমাকে চুপ করে থাকতে বললেন। চুপ করে থাকা ছাড়া তো আমার আরকিছু করার নেই। আমি চুপ করে থাকলাম।

কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে। আমরা কেউ কফিতে চুমুক দিইনি। তুরির হাত থরথর করে কাঁপছে। তার হিক্কা শুরু হয়েছে। সে হিক্কা তুলে বলল, আমি উঠি। এই খবরটা আপনাকে দিতে এসেছিলাম।
বললাম, বারান্দায় চলো।

তুরি কী বুঝল জানি না। আমার সঙ্গে বারান্দায় এলো। সিগারেট বের করে তুরিকে দিলাম। সে সিগারেট নিয়ে পকেট থেকে লাইটার বের করে সিগারেট জ্বালাল। আমি সিগারেট জ্বালিয়েছি। তুরি চুপ করে আছে। কাছে এগিয়ে গিয়ে তার মাথায় হাত রাখলাম। তুরি চমকে উঠেছে। নরম গলায় বললাম, আমার একটা অনুরোধ রাখবে?
বলুন।

আমার সঙ্গে রিহ্যাবে চলো। তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে।

তুরি কাঁদছে। সে সিগারেট খাচ্ছে না। তার হাতের দু আঙুলের মাঝখানে সিগারেট পুড়ছে। বাতাসে ছড়িয়ে ধোঁয়া উঠছে। নাক টেনে তুরি বলল, কার জন্য সুস্থ হব! আমার তো কেউ নেই।
নিজের জন্য সুস্থ হবে। তোমার ভালো থাকা দরকার।

তুরি বারান্দার ফ্লোরে সিগারেট ফেলে দিলো। পা দিয়ে পিষে জ্বলন্ত সিগারেট নিভিয়েছে। আর কিছু বলল না। সে চলে যাচ্ছে। তাকে ভীষণ অস্থির দেখাচ্ছে। ওড়না দিয়ে ঘনঘন নাক মুছছে। দুহাত দিয়ে মাথা খামচে ধরে চুল এলোমেলো করে ফেলেছে। মনে হলো তুরির সঙ্গে যাওয়া দরকার। তাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসা উচিত। সে কি সেই গাজী নামে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে যাচ্ছে, যে হেরোইন বিক্রি করে?

আমি উঠলাম না। তুরি আর শাবিনকে নিয়ে লেখা উপন্যাসের শেষ অংশ ভাবনায় এসে গেছে। আমার মনে হলো, পাঠক বীভৎস মৃত্যু চায় না। পাঠক চায় সুন্দর সুপ্রসন্ন মৃত্যু। কম্পিউটারে ‘তুরির নোটবুক’ লেখা ফাইল ওপেন করলাম। তুরি দরজা ঠেলে দ্রæত ঘর থেকে বের হয়ে গেল। আমি উপন্যাসের শেষটুকু লিখলাম।

 

(চলবে..)

 

পর্ব ১৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী