শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

দুজনে বেশ খানিকটা সামনে গিয়ে রাস্তার দুপাশে দাঁড়ায়। দুজনেই বুঝতে পারে যে গাড়িটা আসতে বেশ সময় লাগবে। দূরত্বটা এখনও অনেক।

মারুফ মনে মনে স্বস্তি বোধ করে। সময় লাগাই ভালো, তাহলে আসমানীকে পরিস্কার করে ফেলতে পারবে ওর মা। গর্ভের পানি ও রক্তে ভিজে আছে ও। আহারে আসমানী! সবার জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো আজ। সন্তানটির জন্ম ও মৃত্যু ঘটে গেল মাটিতে এবং আকশের নিচে। এই স্মৃতি মৃত্যু পর্যন্ত কেউ ভুলবেনা। দূর থেকে দেখতে পায় আসমানীকে অন্য একটি শাড়ি পরাচ্ছে ওর মা।
সময় পেরিয়ে যায়। গরুর গাড়ি এগিয়ে আসছে। চারদিকে তাকালে পথ-প্রান্তর দেখে মন ভরে যায় রবিউলের। জোরে জোরে বলে, কি সুন্দর আমার দেশ। মনে হচ্ছে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে রাখি।

- না, আব্বা আমরা যুদ্ধ করব। আমি শুধু শরণার্থী হব না। আপনাদেরকে ক্যাম্পে রেখে আমি ট্রেনিং নিতে যাব।
- ঠিক বলেছিস বাবা। আমিতো ভেবেছিলাম ছেলেটার মৃত্যু তোকে বসিয়ে দেবে।
- ওর মৃত্যু বুকে নিয়ে যুদ্ধ করব। যুদ্ধ শুরু না হলেতো ছেলেটার জন্ম রাস্তায় হতোনা। ঠিকমতো কবর দিতে পারলামনা।

কথা শেষ করে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে ও। রবিউলের চোখও পানিতে ভরে যায়। মাথা নিচু করে বসে থাকে। মনে হয় মৃত্যুর হৃদয়-ভাঙা কান্না স্তব্ধ করে ফেলেছে দুজনকে। চারদিকে বাসাতের শোঁ- শোঁ শব্দ। খোলা প্রান্তর জনশূন্য।

পাখিদের ওড়াউড়ি মাথার ওপর থেকে ভালোবাসার পরশ বুলোয়। রবিউল বিড়বিড়িয়ে বলে, আমাদের যুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা
- তোরা আমাদের পাশে থাকিস পাখিরা।

ততক্ষণে গরুর গাড়ি এগিয়ে এসেছে। দুজনে মাথার উপর হাত তুলে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে। গরুর গাড়ি কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে নামে ওয়াজেদ মিয়া। জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে আপনাদের? 

- আমরা আপনাদের সাহায্য চাই।
- কি হয়েছে?

রবিউল কাঁদ কাঁদ কন্ঠে বলে, আমার মেয়েটি গর্ভবতী ছিল। এই যে মারুফ আমার মেয়ের জামাই।

মারুফ বলে, আমরা গরুর গাড়িতে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটাও খোঁজ পাইনি। শেষে হেঁটে রওনা করি। ওই যে সামনের বট গাছের নিচে আমার শাশুড়ি আর বউ বসে আছে।

রবিউল কাঁদতে কাঁদতে বলে, ওই বট গাছের নিচে আমার মেয়েটি একটি সন্তানের জন্ম দেয়। ছেলেটি জন্মের পর মরে গেছে।
- কি করেছেন আপনারা?
- ওকে কবর দেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় মেয়েটি হাঁটতে পারবে না বলে আপনাদের সাহায্য চাই। গাড়িতে যদি জায়গা থাকে ওকে গাড়িতে তুলে নেন।
- জায়গা বের করব। চলেন বটগাছের কাছে যাই। ওখানে গাড়ির সবাইকে নামিয়ে জায়গা ঠিক করব। আমি গাড়িতে উঠবনা। আপনাদের সঙ্গে হাঁটব।

মারুফ ঝট করে ওনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে।
রবিউল জিজ্ঞেস করে, তোমার নাম কি রে ভাই?

- মোবারক। আমি সাতগাঁ গ্রামে থাকি। ঠিক করেছি বউ-ছেলেমেয়েকে শরণার্থী ক্যাম্পে রেখে আমি ফিরে এসে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হব। ওরা যা করতে বলবে তাই করব। 

- বাব্বা, তুমিতো অনেক চিন্তা করেছ।

মোবারক গরুর গাড়ির চালককে বলে, সামনে এগোও। আমাদের সঙ্গে চলো। ওই বটগাছের কাছে গিয়ে থামবে।
গরুর গাড়ির সঙ্গে স্বামী আর মেয়ের জামাইকে আসতে দেখে আকাশী বুঝে যায় যে আসমানীর যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। পোটলাগুলো পথের পাশে এনে জড়ো করে রাখে। আসমানীর দুহাত ধরে বলে, মা ওঠ। ওই দেখ ওরা গরুর গাড়ি জোগাড় করতে পেরেছে। দরকার হলে শুধু তোকে ওঠাব। আমরা সবাই হেঁটে যাব।

- আমার উঠতে কষ্ট হচ্ছে মা। আমি গরুর গাড়িতে বসতে পারবনা। তাহলে আমি যাব না।
- না গেলে এখানে কি করবি?
- মরে যাব। তারপর ছেলের সঙ্গে মাটির নিচে শুয়ে থাকব।

- কি বলছিস মারে। এটা কোনো কথা হলো। দেশ স্বাধীন হলে মনে রাখবি তোর ছেলে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছে। ও আমার শহীদ নাতি।
- মাগো, তুমি এইভাবে বলতে পারলে?
- কেন পারবনা? এটাইতো সত্য। যুদ্ধের সময় না হলে আমরাতো পথে নামতাম না।
আসমানী কেঁদে উঠে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, তুমি আমাকে বাঁচিয়ে দিলে। সম্মানের শিক্ষা দিলে। সবার কাছে এভাবেই বলব।
- হ্যাঁ, বলবি, বলবি। আজীবন তোর স্মরণে এইকথা থাকবে।
- ওই দেখ গরুর গাড়ি কাছাকাছি এসে গেছে। চল রাস্তার ধারে গিয়ে দাঁড়াই।

পা টেনে হেঁটে রাস্তার কাছে যায় আসমানী। একটু পরে গরুর গাড়ির এসে থামে। মোবারক এগিয়ে এসে বলে, আমার বউ বাচ্চারা আছে। আমি আসমানীকে নিতে পারব গাড়িতে। মোবারক বউ সাফিয়াকে বলে, মেয়েটার বাচ্চা হয়ে মরে গেছে। ও হেঁটে যেতে পারবেনা। ওকে গাড়িতে নিতে হবে।

- হ্যাঁ, হ্যাঁ, নিব। আস মা আস।
গাড়িতে আছে মোবারকের দশ-পনেরো বছরের তিনজন ছেলেমেয়ে। ওরা একসঙ্গে বলে ওঠে, আমরাও মাঝে মাঝে হাঁটব। বুবুকে গাড়িতে উঠান। দেখি কতদূর হেঁটে যেতে পারি।
সবাই গাড়ি থেকে নেমে আসে। আকাশী এগিয়ে গিয়ে সাফিয়াকে বলে, আমি ওর মা। ওকে গাড়িতে একটু জায়গা দেবেন। আমি হেঁটে যাব।
- চলেন, ওকে গাড়িতে উঠাই। আয় মা। দুজনে আসমানীকে গাড়িতে উঠায়। ও গাড়িতে উঠেই গুটিসুটি হয়ে
শুয়ে পড়ে। বসে থাকার সাধ্য ওর নেই।

সাফিয়া বলে, মাগো এই বালিশটা মাথার নিচে দে। আমি গাড়িতে শোব বলে বালিশ রেখেছি। কাঁথা রেখেছি।
- আমিতো বিছিয়ে রাখা কাঁথার উপরে শুইলাম। নে, বালিশ দিচ্ছে তোর মাথার নিচে। আমরা দুজন তোর দুই পাশে বসব। আমার ছেলেমেয়েরা
হাঁটুক। যখন ওরা হাঁটতে পারবেনা, তখন ওরা গাড়িতে উঠে বসবে, আমরা দুজন নেমে যাব।
- আচ্ছা, ঠিক আছে। তাই হবে।

মোবারক গাড়োয়ান শফিককে বলে, তুমি আগাও। পথ একটাই। এদিক-ওদিক যেতে হবে না।
- আচ্ছা, সালাম হুজুর।
গরুর গাড়ি চলতে শুরু করে। ছেলেমেয়েরা দৌড়াতে শুরু করে। কিছুদূর গিয়ে থামে। মারুফও ওদের সঙ্গে দৌড়ে ওদের কাছে থাকে। বাবুল বলে, আপনি কেন
এসেছেন মারুফ ভাই?
- তোমরা যেন এদিক-ওদিক চলে না যাও সেজন্য। আমরা এখানে এখন দাঁড়িয়ে থাকব। তোমাদের বাবা এলে, আমার বাবা এলে, গরুর গাড়ি এলে
আমরা একসঙ্গে যাব।
- আচ্ছা তাই হবে। তাহলে আমরা এখানে বসি।
- তোমাদের নাম বল আমাকে।
- আমি বাবুল, আমি সবার বড়। আমি নজরুল, আমি মেজো। আমি আমিনা সবার ছোট।
- চলো ওই ঘাসের উপর বসি। কি সুন্দর চারদিক। সবাই মিলে ঘাসের ওপর বসে। আমিনা জিজ্ঞেস করে, এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে মারুফ ভাই?
- যেদিন আমরা পাকিস্তান সেনাদের এই দেশ থেকে তাড়াতে পারব সেদিন। যেদিন দেশ স্বাধীন হবে সেদিন। বাবুল জিজ্ঞেস করে, মারুফ ভাই আপনি
বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন।
- তিনি যেদিন মার্চ মাসের সাত তারিখে রমনা রেসকোর্সে ভাষণ দিয়েছিলেন সেদিন আমি তাঁকে মঞ্চে দেখি। আর কোনোদিন দেখিনি।
- আমরাতো দেখতে চাই। কিভাবে দেখতে পাবো?
- যুদ্ধ শেষ হলে আমি তোমাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাব।
- সত্যি, সত্যি, সত্যি মারুফ ভাই।
- হ্যাঁ রে সত্যি। গাড়ি এসে গেছে। চল, আমাদের যেতে হবে। উঠে দাঁড়িয়ে তিনজনে দৌড়াতে শুরু করে। কিছুদূর দিয়ে আবার দাঁড়িয়ে থাকে। মারুফ ওদের সঙ্গে যায়নি। ও গরুর গাড়ির পেছনে সবার সঙ্গে চলে।

মোবারক বলে, আমার ছেলেমেয়ে তিনটি এমনভাবে দৌড়ায় যে আমি ভয় পাই।

- ভয় পাবেন না চাচা। এরপরে আমি ওদেরকে আমার সঙ্গে ধরে রাখব। ওদেরকে আর দৌড়াতে দেব না। তাহলে হয়রান হয়ে যাবে।
- ঠিক বলেছ। চলো এগোই।

(চলবে)

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা