শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

সবাই মিলে পোটলাগুলো মাথায় তুলে হাঁটতে শুরু করে। চারদিকে অনেক লোকজন। রাস্তায় মানুষের লাইন। সবাই তটস্থ হয়ে দ্রুতপায়ে হাঁটছে সীমান্তের দিকে। আসমানীর জন্য দ্রুত হাঁটা হচ্ছেনা ওদের। আকাশীর মনে আতঙ্ক দানা বেঁধে ওঠে। আসমানীর মুখের দিকে তাকালে ভয় পায়। কিছুক্ষণ পরে আসমানী বলে, মাগো আমার পানি ভেঙে গেছে। ব্যাথাও উঠেছে। আমি আর এক পাও হাঁটতে পারবনা। আমি এই বটগাছের নিচে শুয়ে পড়ি।


 কি বলিস মা?
 এটাই কথা, আর অন্য কোনো কথা নাই।
আসমানী বটগাছের নিচে গিয়ে গড়িয়ে পড়ে।
রবিউল জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে ওর?

 বাচ্চাটার জন্ম হবে। মারুফ তুমি ওই পোটলা থেকে দুটো শাড়ি বের করে চারদিক ঘেরাও করে দাও।
মারুফ চারদিকে তাকিয়ে বলে, রাস্তায় লোকজন কমে গেছে। সবাই অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। আমরা কিছুক্ষণ নিরিবিলি থাকতে পারব।

কথা বলতে বলতে মারুফ চারদিকের ছোট ছোট গাছ ধরে শাড়ি পেঁচিয়ে দেয়।

মাটিতে শুয়ে আসমানী কঁ-কঁ শব্দ করছে। আকাশী ওকে একটি শাড়ি বিছিয়ে দিয়ে শুইয়েছে। ওর শব্দ শুনে আকাশী বুঝে যায় যে প্রবল ব্যথা উঠেছে। বাচ্চাটা বোধহয় অল্পক্ষণে বেরিয়ে আসবে। নাড়ি কাটার জন্য বেøডটা হাতে নিয়ে অপেক্ষা করে আকাশী। একসময় ভূমিষ্ঠ হয় শিশু। কান্নার শব্দে জানান দেয় নিজের আগমনের খবর। রবিউল আর মারুফ শাড়ির আড়ালে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে, কি বাচ্চা হলো? ছেলে না মেয়ে?

 ছেলে। বেশ বড়সড় হয়ে জন্মেছে।
 আলহামদুলিল্লাহ। রবিউল দুহাত উপরে তোলে। বলে, আল্লাহমাবুদ আমাদের নাতিটি সুস্থ থাকুক। ওকে কোলে নিয়ে আমরা সীমান্ত পার হব মাবুদ। ওর মাও যেন সুস্থ থাকে মাবুদ। যে ছেলে মুক্তিযুদ্ধকালে রাস্তায় জন্ম নেয় সে আমাদের স্বাধীনতার সৈনিক।
মারুফ বলে, মা আসমানী কি পানি খাবে?
 হ্যাঁ, বাবা দাও।

মারুফ পানি ভর্তি বোতলটা পর্দার নিচ দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়। আসমানী মাথাটা সোজা করে খানিকটুকু পানি খায়। ওর মনে হয় উঠে বসারও শক্তি নেই। বাচ্চাটাকে মা ধোয়া-মোছা করছে। কিন্তু ও কেমন জানি নেতিয়ে পড়ছে। চোখ খোলেনা। হাত-পা তেমন করে নাড়াচাড়াও করে না। আকাশী বিষণœ হয়ে যায়। কাউকে কিছু বলতে পারেনা। এই রাস্তায়ওতো চারদিকে মাঠের পরে মাঠ। কোথাও কোন ঘরবাড়ি নেই যে বাচ্চাটাকে সেখানে নিয়ে কোনো ঘরের মাঝে রাখতে পারবে।
হঠাৎ করে ও তীব্রস্বরে কান্না শুরু করে। আকাশী ওকে দুহাতে জড়িয়ে নানাভাবে দোলায়, কিন্তু ওর কান্না থামেনা। ওর কান্নায় আসমানীও কান্না শুরু করে। কাঁদতে কাঁদতে বলে, মাগো ও কি দুধ খাবে?

 খেতে পারে। কান্না থামুক তখন তোর কাছে দেব।
 এখনই দাও মা। ওকে আমি বুকে রাখব।
 নারে, তুই একটু শান্ত থাক মা। ওর কান্না থামুক।
আকাশী অনেক চেষ্টা করে শিশুর কান্না থামাতে পারছে না। ওর নিজেরও মন খারপ হয়ে যায়। আকাশীও কাঁদতে শুরু করে। জন্মের পরে কোনো শিশুকে এভাবে কাঁদতে দেখেনি ও। একটু পরে কান্না থেমে গেলে শিশুটি মাথা কাত করে গড়িয়ে পড়ে ওর কোলের ওপর। চোখ বন্ধ, নাকে নিঃশ^াস নেই। ও বুঝতে পারে মরে গেছে ছেলেটি। চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে আকাশী। রবিউল আর মারুফ জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে?
 মরে গেছে আমাদের নাতি।
 মরে গেছে? মারুফও চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। রবিউলও। কান্নার ধ্বনি চারদিকে ছড়ায়। আসমানী জ্ঞান হারিয়েছে। রবিউল শাড়ির পর্দা খুলে ফেলে। শাড়ি ভাঁজ করে আসমানীকে ঢেকে দেয়। মাথা খোলা রাখে।
 ওর মাথায় পানি দিতে হবে মারুফ।
 আমিও তাই চিন্তা করছি। আমরাতো ছোট একটা বালতি এনেছি। সামনের এই ডোবা থেকে আমি পানি নিয়ে আসছি।
মারুফ বালতি নিয়ে দৌড়াতে থাকে। রবিউল মেয়ের মাথায় হাত বোলায়। অল্প সময়ে ফিরে আসে মারুফ। রবিউল মেয়ের মাথা উপরে তুলে ধরলে মাথায় পানি দেয় মারুফ। বেশ কিছুক্ষণ পরে চোখ খোলে আসমানী। বাবার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে।
 কাঁদিসনা মা। আর কাঁদিসনা। ধৈর্য ধর। আমাদের অনেক পথ যেতে হবে।
আসমানী বাবার হাত ছাড়িয়ে উঠে বসে। পেতে দেয়া শাড়ি ভিজে ঘাসের সঙ্গে মিশে আছে। প্রবল অস্বস্তিতে ও চারদিকে তাকায়। দেখতে পায় ওর মায়ের কোলে রাখা মৃত শিশুর দিকে ঘাড় নিচু করে তাকিয়ে আছে ওর মা। আসমানী মাকে বলে, ওকে আমার কোলে দাও মা।
 আকাশী বলে, হ্যাঁ দিচ্ছি। তুই কিছুক্ষণ কোলে রাখ। ওকেতো কবর দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
 এই রাস্তার ধারে?
 হ্যাঁ, এখানেই দিতে হবে। আর কোথায় যাব আমরা। মারুফ তুমি কবর খোঁড়ার ব্যবস্থা কর।
মারুফ প্রথমে শব্দ করে কাঁদে। তারপর দুহাতে চোখ মোছে। রবিউল বলে দেয় কোন পোটলায় দা আছে। বিভিন্ন সময়ে দায়ের দরকার হয়। সেজন্য রবিউল পোটলায় ঘরের দাটি ভরে নিয়েছিল। একটি গর্ত করার জন্য দাটির প্রথমেই দরকার হবে, এই ভাবনা তাকে প্রবল কষ্ট দেয়। দুহাতে চোখ মুছতে থাকে। মারুফ ছোট আকারের গর্তটি করা শেষ করলে রবিউল আসমানীর একটি শাড়িতে পেঁচিয়ে গর্তের ভেতর শুইয়ে দেয়। তারপরে সবাই মিলে দোয়া পড়ে। কিচ্ছুক্ষণ দোয়া পড়ার পরে মারুফ মাটি চাপা দিয়ে গর্তের মুখ বন্ধু করে দুহাত দিয়ে মাটি সমান করে দেয়। তারপর চারপাশের বুনো ফুল ছিঁড়ে দেয় সন্তানের কবরের উপর। একমুঠো ফুল আসমানীর হাতে দিয়ে বলে, তুমি ওর কবরের ওপর ছিটিয়ে দাও। ওর স্মরণে আমরা প্রতি বছরে ফুল দিব এখানে এসে।
রবিউল বলে, মনে হয়না পারবে। লোকজন কি রাস্তার ধারে এভাবে রাখতে দেবে? ওর একটা ছবিও রাখতে পারলাম না। পারলে আমরা ওর ছবিতে ফুল দিতাম।

 বাবাগো এইসব কিছু চিন্তা করতে হবে না। আমি এই দিনে ওর জন্য নামাজ পড়ব দোয়া করব।
আসমানী কাঁদতে কাঁদতে বলে। ওর কান্না ফুরোয় না। সবাই বোঝে প্রথম সন্তানের এই মৃত্যু ওকে জীবনভর কষ্ট দেবে। মারুফ এসে ওর পাশে বসে। আকাশী চোখ মুছতে মুছতে উঠে দাঁড়ায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের এই মৃত্যু শরণার্থী জীবনের বড় দিক। এতদিনে নানাভাবে আশেপাশের মানুষের মৃত্যু দেখেছে, কিন্তু শরণার্থী জীবনের যাত্রায় মৃত সন্তান কোলে নিয়ে বসে থাকার স্মৃতি থেকে ও রেহাই পাবেনা। দেশ স্বাধীন হলে এই মুত্যু ওর সামনে স্বাধীনতার পতাকা হয়ে উড়বে। এই ভাবনায় আকাশীর মন প্রফুল্ল হয়। দুঃখ কাটিয়ে শক্তি সঞ্চয়ের জায়গা পায়। মেয়েটাকে নিয়ে কি করবে এই ভাবনা ওকে আবার আতঙ্কিত করে। আসমানীর পাশে বসে থাকা মারুফ ওর হাত ধরে নাড়াচাড়া করে। একসময় বলে, আমাদের জীবন থেকে শরণার্থী জীবন শেষ হলে আমরা আবার সন্তান নেব। ভালো থাকার চেষ্টা করো। মন ভেঙে ফেলোনা।

আসমানী দুহাতে মুখ ঢােেক। মারুফের কথার কোনো উত্তর দেয়না। মারুফ উঠে দাঁড়ায়। দূরে তাকালে দেখতে পায় একটি গরুর গাড়ি আসছে। রবিউল নাতির কবরের কাছে বসেছিল। মারুফ জোরে জোরে বলে, আব্বা দেখেন একটা গরুর গাড়ি আসছে। ওদেরকে অনুরোধ করব, জায়গা থাকলে ওরা যেন আসমানীকে নেয়। আমরা হেঁটে যাব গরুর গাড়ির সঙ্গে। রবিউল সায় দিয়ে বলে, ভালোই চিন্তা করেছ। আমরা দুজনে গরুর গাড়ির সামনে দাঁড়াব। দেখি ওরা থামে কিনা। আসমানীকে নিলে আমাদের মেয়েটার জন্য চিন্তা করতে হবে না। আকাশী ওদেরকে বলে, তোমরা একটু সামনের দিকে যাও। আমি ওকে পরিষ্কার করি।

(চলবে)

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা