রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা


আরেফিন ঘুম থেকে উঠে অভ্যাস বসত খবরের কাগজ খোঁজেন। পত্রিকাটা সাধারণত দরজার নিচ দিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে না পেয়ে তিনি দরজা খুলে বাইরে যান। বাইরেও কোনো পত্রিকা নেই। তার মনে প্রশ্ন জাগে। কি হলো? পত্রিকা আজ দেয়নি?

আরেফিন রুমে এসে রুমকিপারকে ফোন দিয়ে পত্রিকার বিষয়ে জানতে চান। রুমকিপার তাকে জানায়, পত্রিকা আজ বের হয়নি। আগামী কয়েকদিন পত্রিকা বের হবে কি না সন্দেহ।

আরেফিন এর কারণ জানতে চাইলে রুমকিপার সরাসরি এর উত্তর না দিয়ে বলল, টিভি দেখুন না স্যার! টিভিতে খবর দেখুন।

টিভিতে চীনা ভাষার খবর হয় বলে আরেফিন টিভি ছাড়েন না। তিনি মনে মনে বিরক্ত হন। দেশ-দুনিয়ার কোনো খবর জানা যাবে না! এটা কী করে সম্ভব! সকালে পত্রিকা না পড়তে পারলে মনে হয়, কি যেন করা হয়নি। নিজেকে বড় অসম্পূর্ণ লাগে। মন খারাপ করে কিছুক্ষণ সোফায় বসে থাকে। মোহিনীর কথা তার খুব মনে পড়ে। তিনি ফোন হাতে নিয়ে মোহিনীকে ফোন করেন। না। মোহিনীকেও পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর তিনি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মোহিনীকে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ম্যাসেঞ্জার খোলা যাচ্ছে না। উইচ্যাট ছাড়া অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাজ করছে না। হতাশ হয়ে আরেফিন বসে থাকেন। ঘড়ির দিকে তাকান। ঘড়ির কাঁটা তখন নটার ঘরে। সাড়ে নটায় নাস্তার সময় শেষ হয়ে যাবে।

আগে নাশতা করতে যাবে নাকি গোসল করবেন? এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে কিছুটা সময় পার হয়ে যায়। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে আর মাত্র পনের মিনিট হাতে আছে। এখন গোসল করতে গেলে নাশতা পাওয়া যাবে না। তাই তিনি তাড়াহুড়া করে জামা-প্যান্ট গায়ে দিয়ে নাশতা করতে ছুটে যান। রেস্তোরাঁয় এসে তিনি বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকান। পরিবেশটা কেমন যেন অচেনা লাগে। চেনা মানুষগুলোও অচেনার মতো আচরণ করছে। দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। তিনি মনে মনে ভাবেন, হঠাৎ কি হলো? কেউ কাউকে যেন চেনে না। ফাঁকা ফাঁকা করে বসে আছে। কেউ কারো সঙ্গে কথা বলে না। গল্প করে না। একেকজন দূরে দূরে বসে রোবটের মতো খাবার খাচ্ছে। এ কী অবস্থা!

নাশতা করতে গিয়ে আরেফিন রীতিমতো গোলকধাঁধায় পড়ে। শত শত আইটেমের খাবার সাজানো। কিন্তু কোনটা তিনি নেবেন তা খুঁজে পান না। চীনে এসে তিনি প্রথম টের পেলেন তার জন্য খাবারের সমস্যা কতটা প্রকট।

আরেফিন দেখলেন, নাশতার সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। অনেক চিন্তাভাবনার পর তিনি প্লেটে করে ডিম, রুটি, ফলের রস আর কিছু কাটা ফল নিলেন। অনেকটা নাকেমুখে দেওয়ার মতো অবস্থা। তৃপ্তি সহকারে খেতে পারলেন না।

যদিও সকালবেলাই আরেফিন সারাদিনের খাবার খান। সকালে যে আইটেমগুলো থাকে সেগুলো অন্তত মুখে দেওয়া যায়। দুপুরের এবং রাতের খাবারের কোনো আইটেমই তিনি ঠিকমতো খেতে পারেন না। সব খাবারেই তার সন্দেহ। সাপ, কেচো, বেজি, শুকর অথবা পোকামাকড় খেয়ে ফেলার ভয়। কোনো কিছু খেতে গেলেই শরীরের রোমকূপগুলো খাড়া হয়ে ওঠে। বমি বমি ভাব আসে। আজ সকালে যে নাশতা করেছে তা দিয়ে সারাদিন টেকা দায়। তাই তার মাথায় সারাদিনের চিন্তা।

অনেকটা হতাশা নিয়েই রিসিভশনের দিকে এগিয়ে যান আরেফিন। রিসিভশনে গিয়ে পত্রিকা না পাওয়ার বিষয়টি জানান। রিসিভশনিস্ট মুসকি হেসে বলল, দুঃখিত, আজ পত্রিকা দেয়নি।

বিষয়টা আরেফিনের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়। বিস্ময়ভরা কণ্ঠে তিনি আবারও বললেন, পত্রিকা দেয়নি! না দেওয়ার কারণ কি জানতে পারি?

আপনি হয়তো জানেন না, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ব্যাপকভাবে বিস্তারলাভ করায় এখানে লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন মানে বুঝতে পারছেন তো? সবকিছু বন্ধ। কেউ কোথাও মুভ করতে পারছেন না। সব ধরনের চলাচল বন্ধ।

আরেফিনের চোখেমুখে বিস্ময়। তিনি কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। তিনি কিছুক্ষণ হাবাগোবার মতো দাঁড়িয়ে থেকে রুমের দিকে হাঁটা দিলেন। সকাল থেকেই হোটেলের পরিবেশটা কেমন যেন হয়ে গেল। হোটেলের প্রাণবন্ত পরিবেশে মলিনতা ভর করল। লিফটে একজন উঠলে দ্বিতীয়জন লাইনে অপেক্ষা করে। কেউ উঠতে গেলেও আরেকজন বলে, প্লিজ উঠবেন না।

আরেফিন রুমে গিয়ে সেভ করলেন। গোসল সারলেন। কর্মশালায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন। আরেফিনের রুম যে ফ্লোরে সেই ফ্লোরেই তাদের কর্মশালা। তিনি পায়ে হেঁটে সেমিনার কক্ষে গেলেন। সেখানে গিয়েও তিনি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। তিনি দেখলেন, সেমিনার কক্ষের চেহারা একদিনের মধ্যে পাল্টে গেছে। আরেকদিন আসনগুলো ছিল পাশাপাশি। একজনের খুব কাছাকাছি আরেকজন। আজ নিরাপদ দূরত্বে আসনগুলো সাজানো হয়েছে। একজন ভলান্টিয়ার দূরত্ব বজায় রেখে আরেফিনের সামনে এসে দাঁড়াল। তারপর বিনয়ের সঙ্গে বলল, আপনার আসনে নেমপ্লেট রয়েছে। আপনার নেমপ্লেট যেখানে রয়েছে আপনি সেখানেই বসবেন।
তারপর একে একে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সবাই এসে উপস্থিত হলেন। প্রশিক্ষকরাও এসে যার যার আসনে বসলেন। শুরুতেই আয়োজকদের একজন কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিষয়ে কথা বললেন। তিনি সবাইকে খুব সাবধানতা অবলম্বনের তাগিদ দিয়ে বললেন, করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি হাজারজনকে সংক্রমিত করতে পারেন। সুতরাং খুব সাবধান! আর এখানে যারা প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণার্থী সবাই হোটেলেই অবস্থান করছেন। কাজেই বাইরে থেকে কারো আসার সুযোগ নেই। আপনারা বাইরের কারো সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করবেন না। কারো সঙ্গে করমর্দন করবেন না। দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে সাবধনতা।

আরেফিন দুশ্চিন্তায় পড়েন। তিনি জানতে পারেন, কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়। প্রিয়জনরা দেখতেও পারে না। আরেফিনের ভেতরে ভয় ঢোকে। আক্রান্ত হওয়ার ভয়।

আরেফিন উহান শহর নিয়ে অনলাইনে কিছু পড়াশুনা করেন। এই শহর সম্পর্কে কিছুটা জানার চেষ্টা করেন তিনি। উহান, হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর। এই শহরে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। ঢাকা শহরের মতোই ঘনবসতি। কিন্তু নিয়মশৃঙ্খলা মানার ব্যাপারে উহানবাসী খুবই সচেতন। লকডাউন ঘোষণার পর সবাই ঘরে ঢুকে যায়। বিশেষ প্রয়োজনেও কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। যদিও লকডাউনের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন ঘোষণা করল, কেউ বাড়ির বাইরে বের হবেন না। সবাই ঘরে থাকবেন। ব্যাস, সবাই পুলিশের ঘোষণা শতভাগ মেনে নিল।

সতের বছর আগে এই শহরে সার্স ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছিল। কিন্তু এবারের আক্রমণটা আরও বেশি ভয়ঙ্কর বলে ধারণা করছেন নগরবাসী। লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সেই তথ্যও জানতে পারলেন তিনি। তার ভেতরে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অজানা ভাইরাস নিয়ে অজানা আতঙ্ক। এমন আতঙ্ক আগে কখনো সে অনুভব করেননি। এখন করছেন। রুমের মধ্যে তার কেবলই মনে হচ্ছে, চারদিক থেকে ভাইরাসগুলো জাতিসাপের মতো ফণা তুলে ধেঁয়ে আসছে।

আরেফিন ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠেন। চিৎকারের এক পর্যায়ে তিনি তার মাকে ডাকেন। মা বাঁচাও! অনেক দিন পর তার মা’র কথা মনে পড়ল। বিপদের সময় তার মা’র কথা খুব মনে পড়ে। আজও তার খুব মনে পড়ছে। মনে মনে তিনি ভাবেন, আমার মা কেমন আছেন গ্রামে? বাবা কি এখনো মাকে মারেন? তার বংশ তুলে গালি দেন? মা’ বাপের বাড়ির জমি বিক্রি করে টাকা আনতে বলে? বাবাটা এতো স্বার্থপর কেন? এই রকম একটা নীচুঘরে আমি কেন জন্ম নিলাম? কেন আমার উচুঘরে জন্ম হলো না? তাহলে আমার জীবনটা অন্য রকম হতে পারত। মোহিনীর সঙ্গে আমার জীবনটাকে অন্যভাবে সাজাতে পারতাম। উচু-নীচুর দ্বন্দে! না হলো সংসার! না হলো ভালোভাবে বেঁচে থাকা।

আরেফিন মোহিনীর কথা ভাবেন। এখন মোহিনী কি করছে? কোথায় আছে সে? সে কি তার বাপের বাসায় চলে গেছে? নাকি নিজের বাসায় আছে? ওই বাসাটিও তো ওর কেনা। কাজেই বাপের বাসা কিংবা নিজের বাসায় যাওয়া আসা কোনো কিছুই ম্যাটার করে না। কিন্তু সে আমার ওপর এতোটা রেগে গেল কেন? আমি তাকে চীনের আসার কথা আগে থেকে বলিনি। এটাই কি আমার অপরাধ? এর চেয়ে বড় অপরাধ তো আগেও করেছি। সেটাতে তো এতোবেশি রিঅ্যাক্ট করেনি! হ্যাঁ, আমি ওর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। ওর হাত ছুঁয়ে বলেছিলাম, আমি ভুল করেছি। ভবিষ্যতে আর ভুল হবে না। সেই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছি। কাজটা আমার ভুলই হয়েছে। প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করা অপরাধ। আমার উচিত ওর কাছে ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু আমার ফোন তো সে ধরছে না! কি করে ক্ষমা চাইব? দেখি তো আবার চেষ্টা করে!

আরেফিন মোবাইল ফোনে মোহিনীকে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোহিনীকে পান না। একবার নয় দুইবার নয়, পাঁচছয় বার। তারপর তিনি মোবাইলটা বিছানার ওপর ছুড়ে ফেলেন। দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে বলেন, দুর্ভাগ্য!

আরেফিন মনের অস্থিরতা দূর করার জন্য টিভি ছাড়েন। টিভিতে সিনেমা দেখবেন বলে রিমোটের বোতাম চাপতে থাকেন। একের পর এক চ্যানেলে যান। কোনোটাই যুৎসই মনে হয় না। তিনি রিমোট ছুড়ে ফেলে বিছানায় গা এলিয়ে দেন। বালিশে মুখ গুজে নিজের মনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ওই চেষ্টাই সাড়। মনের ছটফটানি কিছুতেই দূর হচ্ছে না। আরেফিন মনে মনে বলেন, ক্যারিয়ারের স্বার্থে কর্মশালায় এসে আমি কি সবই হারালাম!

চলবে…

আরও পড়ুন

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

Header Ad

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলি সহ জুয়েল রানা (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রাসেল দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মাছুয়াপাড়া গ্রামের পান্না মিয়ার ছেলে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেল রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী সদস্য। এসময় ভগ্নিপতি জুয়েল মিয়ার বাড়ি থেকে ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলিসহ জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি আরও জানান।

Header Ad

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। তিন বছর পর পর হওয়া এই নিলাম এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই দিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছে আজ, রোববার (২৪ নভেম্বর)। বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলামে। ভক্তদের কৌতূহল, কোন তারকা কোন দলে যাচ্ছেন, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছেন তারা—এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক, প্রথম দিন কোন খেলোয়াড় কোন দলে যোগ দিলেন।

গুজরাট টাইটান্স:

আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট এবারও শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া। নিলামের আগে তারা পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৬৯ কোটি রুপি নিয়ে শুরু করেছে নিলাম। অবশ্য এত টাকা খরচ করলেও অভিজ্ঞ রশিদ-গিলকে ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। এই দুইজন ছাড়াও আছেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খানের মতো ক্রিকেটাররা।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে গুজরাট

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)—১০.৭৫ কোটি রুপি

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)—১০.৭৫ কোটি রুপি

মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)— ১২.২৫ কোটি রুপি

পাঞ্জাব কিংস:

কখনও আইপিএলের শিরোপা জিততে না পারা পাঞ্জাব কিংস এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি নিয়ে হাজির হবে। মূলত খেলোয়াড় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় তারা। অন্যান্য দলগুলো তারকা সব ক্রিকেটারদের রিটেনশন পদ্ধতিতে দলে নিলেও সেখানে মাত্র দুইজনকে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের কেউই তারকা ক্রিকেটার নন। তারা হলে শশাঙ্ক সিংহ ও প্রভসিমরান সিংহ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে পাঞ্জাব

অর্শ্বদীপ সিং (ভারত)—১৮ কোটি রুপি

শ্রেয়ার আইয়ার (ভারত)— ২৬.৭৫ কোটি রুপি

যুযবেন্দ্র চাহাল (ভারত)— ১৮ কোটি রুপি

মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)— ১১ কোটি রুপি

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)— ৪.২০ কোটি রুপি

দিল্লি ক্যাপিটালস:

নিলামের টেবিলে ৭৩ কোটি রুপি নিয়ে হাজির হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ক্রিকেটারকে রিটেনশন করেছে তারা। এতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে নিলাম থেকে বড় কোনো তারকাকে ভেড়াতে প্রস্তুত দলটি। কখনও শিরোপা জিততে না পারা দলটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দলটিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, ত্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোরেল।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে দিল্লি

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)—১১.৭৫ কোটি রুপি

লোকেশ রাহুল (ভারত)—১৪ কোটি রুপি

হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক (অস্ট্রেলিয়া)— ৯ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:

২০২৪ আইপিএলে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এবার নিলামের আগে তারাও গুজরাটের মতো পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। এতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। হাতে আছে ৬৯ কোটি রুপি। দলটিতে আছেন নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণুই, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খান ও আয়ুশ বাদোনি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে লখনৌ

ঋষভ পন্ত (ভারত)— ২৭ কোটি রুপি

ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৭.৫০ কোটি রুপি

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ২ কোটি রুপি

মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)— ৩.৪০ কোটি রুপি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

আইপিএলের গত আসরের রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবারও চমক দেওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৪ সালে দারুণ ছন্দে থাকা দুই অসি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে ধরে রেখেছে তারা। পাশাপাশি আছে হেনরিখ ক্লাসেনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারও। এছাড়া, দেশিদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরাও দ্যুতি ছড়াতে প্রস্তুত। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে কিনতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৪৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম শুরু করেছে হায়দরাবাদ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে হায়দরাবাদ

মোহাম্মদ সামি (ভারত)—১০ কোটি রুপি

হারশাল প্যাটেল (ভারত)—৮ কোটি রুপি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ধরা হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। মূলত কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি থাকায় দলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এবারের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছে আরসিবিও। রিটেনশনের সময় তারা দলে ভিড়িয়েছে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ইয়াশ দয়ালকে। এদের কিনতে মোট খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলাম শুরু করেছে ৮৩ কোটি রুপি নিয়ে।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে বেঙ্গালুরু

লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)— ৮.৭৫ কোটি রুপি

ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)— ১১.৫০ কোটি রুপি

চেন্নাই সুপার কিংস:

আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এবারও শক্তিশালী দল গড়ার পথে। দলটি রিটেন করেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাথিশা পাথিরানা, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে মোট ৬৫ কোটি রুপি। বাকি ৫৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছে তারা। দেখার বিষয় গত আসরে দলটিতে দারুণ খেলা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবার তারা ডেরায় ভেড়ায় কি না।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে চেন্নাই

ডেভন কনওয়ে ( নিউজিল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

রাহুল ত্রিপাঠি (ভারত) — ৩.৪০ কোটি রুপি

রাচিন রবীন্দ্র ( নিউজিল্যান্ড)—৪ কোটি রুপি

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) — ৯.৭৫ কোটি রুপি

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্স ফের একবার চমক দিতে মরিয়া। গত আসরের দলটিতে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। যদিও এবার তাকে রিটেন করেনি দলটি। তারা ছয় জন প্লেয়ারকে নিলামের আগেই রিটেইন করেছে। তারা হলেন রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হারশিত রানা ও রামানদ্বীপ সিংহ। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৬৯ কোটি রুপি। ৫১ কোটি রুপি নিয়ে আজ নিলাম শুরু করেছে দলটি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে কলকাতা

ভেঙ্কটেশ আইয়ার (ভারত)—২৩.৭৫ কোটি রুপি

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৩.৬০ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ