শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব:১৬

ভ্যালি অফ কিংস থেকে বেরোবার পরে গাড়িতে উঠেই আবার শুরু হলো মোস্তফার খুতবা। আরবিতে যে বয়ান সে দিয়ে যাচ্ছিল তা  সত্যিই ঈদের জামাতে নামাজের পরে ইমাম সাহেব আরবি ভাষায় যে ভাষণ দেন অনেকটা তেমনি। বুঝতে না পারলে ইমামের আরবি ভাষায় সৃষ্টিকর্তার গুণকীর্তন অথবা মোস্তফার ধারা বিবরণীতে ফেরাউনের পুরোকীর্তির প্রশংসার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে কিছু পরে আমাদের তিনজনের সুবিধার্থে ইংরেজিতে বলতে শুরু করলে বুঝলাম এটি ফারাও সম্রাট বা সম্রাজ্ঞীর কোনো বিষয় নয়, নেহায়েতই লুক্সর অঞ্চলের বিশেষ ধরণের পাথর এ্যালাবাস্টার সম্পর্কে পর্যটকদের ধারণা দেয়ার মহান উদ্দেশ্যেই তার এই ভাষণ। তুলণামূলকভাবে নরম এই খনিজ পাথরের মূল উপাদান জিপসাম। প্রাকৃতিক রঙ গাঢ় সবুজ, হালকা হলুদ বা বাদামী এবং সাদা। এ্যালাবাস্টারের আরেকটি বিশেষ  বৈশিষ্ট হলো স্বচ্ছ এই পাথরের ভেতর দিয়ে আলোর চলাচল। হাজার বছর ধরে এই পাথর ভাস্কর্য শিল্প অর্থাৎ মূর্তি তৈরিতে, নকশা ও খোদাইয়ের কাজে এবং অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিশর ছাড়াও ইতালি এবং গ্রিসসহ অনেক দেশেই নানা রঙের এ্যালাবাস্টারের দেখা মেলে। পাথর সম্পর্কিত জ্ঞান বিতরণ শেষ হলে আমরা সত্যিই একটা এ্যালাবাস্টার কারখানার সামনে এসে গাড়ি থেকে নামলাম।  

 পাথর খোদাই শিল্পী

মোস্তফার মতো ট্যুর গাইডদের অভিধানে সম্ভবত ক্লান্তি এবং হতাশা বলে কোনো কথা নেই। এর আগে কয়েকটি ট্যুরিস্ট স্পটে নানা ধরনের স্যুভেনিয়ারের আকর্ষণ উপেক্ষা করে আমাদের মধ্যেই কেউই কেনা কাটায় উৎসাহ দেখাইনি। তারপরেও সে আমাদের পাথর কেটে মূর্তি বানানোর কেরামতি দেখাতে নিয়ে এসেছে। এই সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির আসল উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক হলেও আমরা আগ্রহের সাথেই এ্যালাবাস্টারের টুকরো কেটে খোদাই করে ঘষে চেঁছে পালিশ করে যারা নতুন রূপ দিচ্ছিন তাদের কাজ দেখতে থাকি। অবশ্য তার আগেই পরিচয় ঘটে কারখানার মালিক লম্বা চওড়া দশাসই আবদেলের সাথে। তিনি যে যর্থাথই মালিক তা তার তেল চকচকে চেহারা সুরত দেখেই বোঝা যায়। অন্যদিকে জনা তিনেক বিভিন্ন বয়সের পাথর খোদাই শ্রমিকের রোগা পটকা চেহারা এবং শুকনো মুখ দেখলেই বোঝা যায় এরা শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। তবে এদের কাজ দেখে নেহায়েতই শ্রমিক বলে মেনে নিতে কষ্ট হয়। এরা প্রত্যেকেই এক একজন জাত শিল্পী, কী আশ্চর্য দক্ষতায় এবড়ো থেবড়ো পাথর কুঁদে, ঘষে মেজে তৈরি করছেন ফুলদানী, টেবিল ল্যাম্প নানা আকার আকৃতির পাত্র কিংবা ফুটিয়ে তুলছেন অতীত ইতিহাসের এক একটি চরিত্রের চেহারা।পাথর থেকে শিল্পসৃষ্টির প্রক্রিয়া দেখাবার চেয়ে মালিক আবদেল মোহাম্মদ তাঁর শো রুমে নিয়ে যাবার ব্যাপার বেশি আগ্রহী। আমরা দলেবলে ঢুকে পড়লাম বিশাল বিপনী কেন্দ্রে। ভেতরটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, মোজাইক করা মেঝে আর চারিদিকে সারি সারি তাকে সাজানো সবুজ, হলদে এবং সাদা এ্যালাবাস্টারের তুতেনখামেন, রামেসেস, নেফারতিতি, হাতসেপসুসহ ফারাও সম্রাট সম্রাজ্ঞীদের বিভিন্ন সাইসের মূর্তি। মানুষ ছাড়াও ছাড়া দেবতারাও এখানে অপাংতেয় নন, আনুবিস, হোরাস এবং হাথোরও সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন। ফুলদানি, বাতিদান, ল্যাম্পশেড, পেপারওয়েট এবং সুদৃশ্য শো পিসের ছড়াছড়ি দেখে মুগ্ধ হতেই হয়। আবদেল ছাড়া তার এক বিক্রয় কর্মী ইংরেজি ও আরবিতে আমাদেরকে এ সব শিল্পকর্ম এবং পাথরের গুণাগুণ ব্যাখ্যা করার সাথে সাথে একটি ল্যাম্পশেডের ভেতরে বাতি জ্বালিয়ে পাথরের স্বচ্ছতাও দেখিয়ে ছাড়লেন। এতো কিছুর পরেও ভবিদের কিছুতেই ভোলানো গেল না। একে তো দাম আমাদের মতো ট্যুরিস্টের নাগালের বাইরে, তাছাড়া পাথরের ওজন বহন করাও সহজসাধ্য নয়। 

এ্যালব্যাস্টারপাথরের মূর্তি

ঘুরে ফিরে দেখার পরে রানা ভাই প্রস্তর মালিক আবদেলকে একটা প্রস্তাব দিলেন। বললেন, ‘তোমার এখান থেকে আমরা এই মুহূর্তে কিছু কিনতে পারবো না, তবে তোমার কারিগরদের কাজ আমার খুব ভালো লেগেছে, তাদের আমি কিছু বখশিশ দিতে চাই।’ আমি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করলাম প্রস্তর কারখানার মালিক তার পাথুরে মুখের হাসি আকর্ণ বিস্তৃত করে হাত বাড়িয়ে বললো, ‘দিতে চাইলে দাও, কোনো সমস্যা নাই।’ রানা ভাইও কম যান না। তিনি বললেন, ‘এই সামান্য ঈজিপশিয়ান পাউন্ড আমি নিজের হাতে ওদের দিতে পারলে খুশি হবো।’  

দূরে থেকে পাহাড়ের গায়ে সমাধি মন্দির

আবদেল আমাদের বিরস বদনে আবার তার কারখানায় নিয়ে এলো। আসলে কারখানা বলে তেমন কিছু নেই। দুদিকে ভাঙাচোরা দেয়াল দিয়ে ঘেরা অপরিচ্ছন্ন অস্বাস্থ্যকর বারান্দায় বসে বয়স্ক দুজনের একজন বড় বড় পাথরের চাঁই হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে বের করে আনছে এক একটা গোলাকৃতি বা চতুষ্কোণ প্রস্তরখণ্ড। অন্যজন সে সব ছেনি দিয়ে কেটে এবং ঘষে মেজে পানপাত্র বা ফুলদানির আকৃতি দিচ্ছে। এককোণে বসে ছোট ছোট হাতুড়ি বাটাল ছেনি এবং র‌্যাাঁদা ব্যবহার করে ছোট পাথরের টুকরো ও প্লেটে অতিযত্মে দেবতা এবং মানব মূর্তির অবয়ব এবং সক্ষ্ম কারুকাজ ফুটিয়ে তুলছে একজন তরুণ খোদাই শিল্পী। রানা ভাই এদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে পঞ্চাশ ঈজিপশিয়ান পাউন্ডের নোট তুলে দিলে হাসিখুশি তরুণটির হাসি আরো বিস্তৃত হলো, কিন্তু পাথর ভাঙার বৃদ্ধলোকটিকে মনে হলো শুধু ভাবলেশহীনই নয়, বরং একটু বিরক্ত। কারখার মালিক বললেন, ‘তোমরা আমাদের কাজ তো দেখে গেলে, কিন্তু কিছুই কিনলে না।’ আমি তাড়াতাড়ি বললাম, ‘লুক্সরে দুদিন থাকবো, সময় সুযোগ হলে নিশ্চয়ই আবার আসবো।’ আবদেল মোহামেদ ইংরেজি ফোন নম্বরসহ আরবিতে লেখা একটা কার্ড আমাদের হাতে তুলে দিলে আমরা দ্রুত আবার গাড়িতে এসে বসলাম। 

সমাধির পথে বাহন

দূর থেকে ভ্যালি অফ কুইন্স দেখে মনে হচ্ছিল পাহাড়ের গায়ে তিনতলা এক বিশাল প্রাসাদ। এখানে নতুন করে প্রবেশপত্র সংগ্রহের ঝামেলা না থাকলেও গাড়িসহ প্রাসাদ প্রাঙ্গনের কাছাকাছি যাবার উপায় নেই। নির্ধারিত সীমানার বাইরে আমাদের বাহন রেখে উঠতে হলো আবার সেই হলুদ গাড়িতে। মিনিট পাঁচেকের এই হলুদ সফরে আমার সামনের আসনে যিনি বসলেন সেই স্বল্প-বসনা শ্বেতাঙ্গিনী কোন দেশের জানি না, কিন্তু তাকে যে শ্রীলঙ্কায় অনুরাধাপুরা বৌদ্ধ মন্দিরে, আজমীরে খাজাবাবার দরবারে, এমনকি ভ্যাটিকান সিটির পবিত্র গির্জায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না, সে কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে ভ্যালি অফ কুইন্সে রাণী নেফারতারি, যাবতীয় সুখ সাচ্ছ্যন্দসহ পর জগতের অন্তহীন জীবনের অপেক্ষায় যাকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে তিনি এবং তাঁর প্রহরীর দলের কাছে বোরকা থেকে বিকিনি সবকিছুই সমান। 

সমাধির বাইরের রামসেস

পাহাড়ের গায়ে তিনতলা বিশিষ্ট দীর্ঘ ভবনের সারি এবং সামনে কোরিন্থিয়ান পিলারের মতোই  চতুষ্কোণ পিলার দেখে যা  গ্রিক বা রোমান স্থাপত্যের উদাহরণ মনে হয়েছিল, কাছে এসে সে ভুল ভাঙলো। এটি আসলে রাণী হেপতাতস্যুর সমাধি ভবন। মাঝখান দিয়ে চওড়া সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে, কিন্তু নিচেই দুপাশে বাহু মেলে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন মিশরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। দাঁড়িয়ে থাকা একসারি বিশাল প্রস্তর মূর্তির চেহারা দেখে ধারণা করতে পারি এখানেও দ্বিতীয় রামসেস তাঁর অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু নারীদের সমাধি মন্দির চত্বরেও পুরুষের প্রহরা! আর যে সে পুরুষ নন, স্বয়ং সম্রাট রামসেস! এখানে পাহাড়ের গায়ে পাথর কেটে তৈরি পঁচাত্তরটি সমাধি পরস্পরের সাথে সংযুক্ত। প্রতিটি মূল সমাধিতে প্রবেশের জন্য পেরোতে হয় দীর্ঘ করিডোর, আর এই করিডোরের দুপাশেও রয়েছে ছোট ছোট কক্ষ। আমরা বিশাল তোরণ পেরিয়ে ভেতরের চত্বরে প্রবেশ করে একটি করিডোর ধরে এগোতে থাকি। করিডোর পেরিয়ে ঢুকে পড়া সমাধির দেয়ালের চিত্রের অনেকটাই সময়ের কারণে নষ্ট কয়েছে অথবা বেনোজলে ধুয়ে গেছে। তবে সিলিং জুড়ে রয়েছে বিচিত্র রঙের কারুকাজ। মূল সমাধি মন্দিরটির বাইরে ছোট একটি কাঠের বেড়া দেখে বোঝা যায় এই কবরে যিনি শুয়ে আছেন বা ছিলেন তাঁর তেমন গুরুত্ব নেই।    


দ্বিতীয় রামেসেসের প্রিয় এবং প্রধানতম স্ত্রী রাণী নেফারতারি ছাড়াও এখানে প্রথম সেতির এবং প্রথম রামেসেসের স্ত্রীসহ ফারাও সাম্রাজ্যের অগণিত অভিজাত নারীকে সমাহিত করা হয়েছে এখানে। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই সম্রাজ্ঞী নেফারতারি। আমাদের কাছে ক্লিওপেট্রা, নেফারতিতি এবং হাতশেপস্যুর নাম মোটামুটি পরিচিত। তবে এক ক্লিওপেট্রাই আছেন গোটা ছয়েক। কাজেই নেফারতিতির সাথে নেফারতারিকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে অবাক হবার কিছু নেই। দুর্ধর্ষ যোদ্ধা দ্বিতীয় রামসেস, যিনি ১২৯০ থেকে ১২২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ঊনিশতম ফারাও সাম্রাজ্য শাসন করেছেন, রানী নেফারতারি ছিলেন তাঁর পয়লা নম্বরের স্ত্রী। অন্যদিকে ক্ষমতাধর সম্রাজ্ঞী নেফারতিতি নিজেই খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ অব্দে স্বামী আখেনাতেনের পাশাপাশি রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। 

 সমাধিতে দেয়াল চিত্র

ভ্যালি অফ কিংসের সমাধিগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি রাজকীয় জাকজমকে পূর্ণ, আকার আকৃতিতেও অনেক বড়। তবে ধারণা করা যায় অসাধারণ চিত্রায়ণ, রঙের কাজ এবং হায়রোগিøফিক বর্ণমালায় ইতিকথা লিপিবদ্ধ করার মতো শিল্পসৃষ্টির কাজে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা একই গোত্রের একই রকম প্রতিভাধর শিল্পী ও সৃজনশীল কর্মী। 
রাণীদের উপত্যকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধিটি অবশ্যই দ্বিতীয় রামসেসের প্রিয়তমা পত্মী নেফারতারির। সমাধিগৃহটি সে যুগের সমৃদ্ধ শিল্পকর্মের অনন্য উদাহরণ। সুদৃশ্য চিত্রিত স্তম্ভ এবং বর্ণিল দেয়াল সম্রাট আখেনআতেন ও তাঁর স্ত্রী নেফারতিতির জীবনের নিত্যদিনের নানা কাহিনি ও যুদ্ধ বিগ্রহের বীরত্বগাথায় পরিপূর্ণ। এই অনন্য সাধারণ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য যে সময় এবং পরিবেশ প্রয়োজন, সেই সময় আমাদের নেই, তারচেয়ে বড় সমস্যা একটি দলগত সফরে শিল্পবোধহীন অসহিষ্ণু কয়েকজন সফর সঙ্গী। গাইড মোস্তফাও তাদের কাছে মনে হলো অসহায়। কাজেই দ্রুত ভ্যালি অফ কুইন্স সফর শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলাম। কিন্তু ডাইনে বাঁয়ে সামনে পেছনে কোথাও রানাভাই নেই। একটা খালি হলুদ গাড়ি এসে থামলে আমরা সেদিকে এগোবার সময় দেখলাম বাঁদিকে একটু দূরেই একটা ছাউনির নিচে অস্থায়ী রেস্তোাঁরায় কফির কাপ হাতে বিদেশি কয়েকজন পর্যটকের সাথে আড্ডা জমিয়েছেন রানা ভাই। আমাদেরকে কফি খেতে বললেও গরমে যখন গলা শুকিয়ে কাঠ, তখন কফি পানের চেয়ে শীতল পানীয় বেশি প্রয়োজনীয় বলে মনে হলো। একবোতল  ঠাণ্ডা পানি এবং অরেঞ্জ জুস কিনে আবার সেই গাড়িতে উঠে বসলাম। 


লুক্সরের পথে ফেরার সময় হাতের ডাইনে দীর্ঘ পাহাড়ের সারি দেখিয়ে মোস্তফা বলছিল ভ্যালি অফ কুইন্সের এইসব পাহাড়ের তলায় অসংখ্য সমাধিতে যারা সমাহিত, যাদের মমি হয়তো ঠাঁই পেয়েছে মিউজিয়ামে অথবা পাচার হয়ে গেছে বিদেশে তাঁদের বিদেহী রুহ হয়তো এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে এই পাহাড়ের ভাঁজে অথবা নীল নদের তীরে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘দিস ইজ টু মাচ, দ্যট দ্য স্পিরিটস আর রোমিং এ্যারাউন্ড ফর খ্রি থাউজেন্ড ইয়ারস! ইউ মাস্ট এ্যারেঞ্জ আ মিউজিয়াম ফর দ্য স্পিরিটস!’ রানা ভাই বাংলায় বললেন, ‘ঠিকই। আত্মার ঘোরাঘুরিটা আর মেনে নেয়া যাচ্ছে না।’ 

চলবে...     

 

 

চলবে...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ