শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব:১৬

ভ্যালি অফ কিংস থেকে বেরোবার পরে গাড়িতে উঠেই আবার শুরু হলো মোস্তফার খুতবা। আরবিতে যে বয়ান সে দিয়ে যাচ্ছিল তা  সত্যিই ঈদের জামাতে নামাজের পরে ইমাম সাহেব আরবি ভাষায় যে ভাষণ দেন অনেকটা তেমনি। বুঝতে না পারলে ইমামের আরবি ভাষায় সৃষ্টিকর্তার গুণকীর্তন অথবা মোস্তফার ধারা বিবরণীতে ফেরাউনের পুরোকীর্তির প্রশংসার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে কিছু পরে আমাদের তিনজনের সুবিধার্থে ইংরেজিতে বলতে শুরু করলে বুঝলাম এটি ফারাও সম্রাট বা সম্রাজ্ঞীর কোনো বিষয় নয়, নেহায়েতই লুক্সর অঞ্চলের বিশেষ ধরণের পাথর এ্যালাবাস্টার সম্পর্কে পর্যটকদের ধারণা দেয়ার মহান উদ্দেশ্যেই তার এই ভাষণ। তুলণামূলকভাবে নরম এই খনিজ পাথরের মূল উপাদান জিপসাম। প্রাকৃতিক রঙ গাঢ় সবুজ, হালকা হলুদ বা বাদামী এবং সাদা। এ্যালাবাস্টারের আরেকটি বিশেষ  বৈশিষ্ট হলো স্বচ্ছ এই পাথরের ভেতর দিয়ে আলোর চলাচল। হাজার বছর ধরে এই পাথর ভাস্কর্য শিল্প অর্থাৎ মূর্তি তৈরিতে, নকশা ও খোদাইয়ের কাজে এবং অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিশর ছাড়াও ইতালি এবং গ্রিসসহ অনেক দেশেই নানা রঙের এ্যালাবাস্টারের দেখা মেলে। পাথর সম্পর্কিত জ্ঞান বিতরণ শেষ হলে আমরা সত্যিই একটা এ্যালাবাস্টার কারখানার সামনে এসে গাড়ি থেকে নামলাম।  

 পাথর খোদাই শিল্পী

মোস্তফার মতো ট্যুর গাইডদের অভিধানে সম্ভবত ক্লান্তি এবং হতাশা বলে কোনো কথা নেই। এর আগে কয়েকটি ট্যুরিস্ট স্পটে নানা ধরনের স্যুভেনিয়ারের আকর্ষণ উপেক্ষা করে আমাদের মধ্যেই কেউই কেনা কাটায় উৎসাহ দেখাইনি। তারপরেও সে আমাদের পাথর কেটে মূর্তি বানানোর কেরামতি দেখাতে নিয়ে এসেছে। এই সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির আসল উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক হলেও আমরা আগ্রহের সাথেই এ্যালাবাস্টারের টুকরো কেটে খোদাই করে ঘষে চেঁছে পালিশ করে যারা নতুন রূপ দিচ্ছিন তাদের কাজ দেখতে থাকি। অবশ্য তার আগেই পরিচয় ঘটে কারখানার মালিক লম্বা চওড়া দশাসই আবদেলের সাথে। তিনি যে যর্থাথই মালিক তা তার তেল চকচকে চেহারা সুরত দেখেই বোঝা যায়। অন্যদিকে জনা তিনেক বিভিন্ন বয়সের পাথর খোদাই শ্রমিকের রোগা পটকা চেহারা এবং শুকনো মুখ দেখলেই বোঝা যায় এরা শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। তবে এদের কাজ দেখে নেহায়েতই শ্রমিক বলে মেনে নিতে কষ্ট হয়। এরা প্রত্যেকেই এক একজন জাত শিল্পী, কী আশ্চর্য দক্ষতায় এবড়ো থেবড়ো পাথর কুঁদে, ঘষে মেজে তৈরি করছেন ফুলদানী, টেবিল ল্যাম্প নানা আকার আকৃতির পাত্র কিংবা ফুটিয়ে তুলছেন অতীত ইতিহাসের এক একটি চরিত্রের চেহারা।পাথর থেকে শিল্পসৃষ্টির প্রক্রিয়া দেখাবার চেয়ে মালিক আবদেল মোহাম্মদ তাঁর শো রুমে নিয়ে যাবার ব্যাপার বেশি আগ্রহী। আমরা দলেবলে ঢুকে পড়লাম বিশাল বিপনী কেন্দ্রে। ভেতরটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, মোজাইক করা মেঝে আর চারিদিকে সারি সারি তাকে সাজানো সবুজ, হলদে এবং সাদা এ্যালাবাস্টারের তুতেনখামেন, রামেসেস, নেফারতিতি, হাতসেপসুসহ ফারাও সম্রাট সম্রাজ্ঞীদের বিভিন্ন সাইসের মূর্তি। মানুষ ছাড়াও ছাড়া দেবতারাও এখানে অপাংতেয় নন, আনুবিস, হোরাস এবং হাথোরও সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন। ফুলদানি, বাতিদান, ল্যাম্পশেড, পেপারওয়েট এবং সুদৃশ্য শো পিসের ছড়াছড়ি দেখে মুগ্ধ হতেই হয়। আবদেল ছাড়া তার এক বিক্রয় কর্মী ইংরেজি ও আরবিতে আমাদেরকে এ সব শিল্পকর্ম এবং পাথরের গুণাগুণ ব্যাখ্যা করার সাথে সাথে একটি ল্যাম্পশেডের ভেতরে বাতি জ্বালিয়ে পাথরের স্বচ্ছতাও দেখিয়ে ছাড়লেন। এতো কিছুর পরেও ভবিদের কিছুতেই ভোলানো গেল না। একে তো দাম আমাদের মতো ট্যুরিস্টের নাগালের বাইরে, তাছাড়া পাথরের ওজন বহন করাও সহজসাধ্য নয়। 

এ্যালব্যাস্টারপাথরের মূর্তি

ঘুরে ফিরে দেখার পরে রানা ভাই প্রস্তর মালিক আবদেলকে একটা প্রস্তাব দিলেন। বললেন, ‘তোমার এখান থেকে আমরা এই মুহূর্তে কিছু কিনতে পারবো না, তবে তোমার কারিগরদের কাজ আমার খুব ভালো লেগেছে, তাদের আমি কিছু বখশিশ দিতে চাই।’ আমি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করলাম প্রস্তর কারখানার মালিক তার পাথুরে মুখের হাসি আকর্ণ বিস্তৃত করে হাত বাড়িয়ে বললো, ‘দিতে চাইলে দাও, কোনো সমস্যা নাই।’ রানা ভাইও কম যান না। তিনি বললেন, ‘এই সামান্য ঈজিপশিয়ান পাউন্ড আমি নিজের হাতে ওদের দিতে পারলে খুশি হবো।’  

দূরে থেকে পাহাড়ের গায়ে সমাধি মন্দির

আবদেল আমাদের বিরস বদনে আবার তার কারখানায় নিয়ে এলো। আসলে কারখানা বলে তেমন কিছু নেই। দুদিকে ভাঙাচোরা দেয়াল দিয়ে ঘেরা অপরিচ্ছন্ন অস্বাস্থ্যকর বারান্দায় বসে বয়স্ক দুজনের একজন বড় বড় পাথরের চাঁই হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে বের করে আনছে এক একটা গোলাকৃতি বা চতুষ্কোণ প্রস্তরখণ্ড। অন্যজন সে সব ছেনি দিয়ে কেটে এবং ঘষে মেজে পানপাত্র বা ফুলদানির আকৃতি দিচ্ছে। এককোণে বসে ছোট ছোট হাতুড়ি বাটাল ছেনি এবং র‌্যাাঁদা ব্যবহার করে ছোট পাথরের টুকরো ও প্লেটে অতিযত্মে দেবতা এবং মানব মূর্তির অবয়ব এবং সক্ষ্ম কারুকাজ ফুটিয়ে তুলছে একজন তরুণ খোদাই শিল্পী। রানা ভাই এদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে পঞ্চাশ ঈজিপশিয়ান পাউন্ডের নোট তুলে দিলে হাসিখুশি তরুণটির হাসি আরো বিস্তৃত হলো, কিন্তু পাথর ভাঙার বৃদ্ধলোকটিকে মনে হলো শুধু ভাবলেশহীনই নয়, বরং একটু বিরক্ত। কারখার মালিক বললেন, ‘তোমরা আমাদের কাজ তো দেখে গেলে, কিন্তু কিছুই কিনলে না।’ আমি তাড়াতাড়ি বললাম, ‘লুক্সরে দুদিন থাকবো, সময় সুযোগ হলে নিশ্চয়ই আবার আসবো।’ আবদেল মোহামেদ ইংরেজি ফোন নম্বরসহ আরবিতে লেখা একটা কার্ড আমাদের হাতে তুলে দিলে আমরা দ্রুত আবার গাড়িতে এসে বসলাম। 

সমাধির পথে বাহন

দূর থেকে ভ্যালি অফ কুইন্স দেখে মনে হচ্ছিল পাহাড়ের গায়ে তিনতলা এক বিশাল প্রাসাদ। এখানে নতুন করে প্রবেশপত্র সংগ্রহের ঝামেলা না থাকলেও গাড়িসহ প্রাসাদ প্রাঙ্গনের কাছাকাছি যাবার উপায় নেই। নির্ধারিত সীমানার বাইরে আমাদের বাহন রেখে উঠতে হলো আবার সেই হলুদ গাড়িতে। মিনিট পাঁচেকের এই হলুদ সফরে আমার সামনের আসনে যিনি বসলেন সেই স্বল্প-বসনা শ্বেতাঙ্গিনী কোন দেশের জানি না, কিন্তু তাকে যে শ্রীলঙ্কায় অনুরাধাপুরা বৌদ্ধ মন্দিরে, আজমীরে খাজাবাবার দরবারে, এমনকি ভ্যাটিকান সিটির পবিত্র গির্জায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না, সে কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে ভ্যালি অফ কুইন্সে রাণী নেফারতারি, যাবতীয় সুখ সাচ্ছ্যন্দসহ পর জগতের অন্তহীন জীবনের অপেক্ষায় যাকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে তিনি এবং তাঁর প্রহরীর দলের কাছে বোরকা থেকে বিকিনি সবকিছুই সমান। 

সমাধির বাইরের রামসেস

পাহাড়ের গায়ে তিনতলা বিশিষ্ট দীর্ঘ ভবনের সারি এবং সামনে কোরিন্থিয়ান পিলারের মতোই  চতুষ্কোণ পিলার দেখে যা  গ্রিক বা রোমান স্থাপত্যের উদাহরণ মনে হয়েছিল, কাছে এসে সে ভুল ভাঙলো। এটি আসলে রাণী হেপতাতস্যুর সমাধি ভবন। মাঝখান দিয়ে চওড়া সিঁড়ি উপরে উঠে গেছে, কিন্তু নিচেই দুপাশে বাহু মেলে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন মিশরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। দাঁড়িয়ে থাকা একসারি বিশাল প্রস্তর মূর্তির চেহারা দেখে ধারণা করতে পারি এখানেও দ্বিতীয় রামসেস তাঁর অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু নারীদের সমাধি মন্দির চত্বরেও পুরুষের প্রহরা! আর যে সে পুরুষ নন, স্বয়ং সম্রাট রামসেস! এখানে পাহাড়ের গায়ে পাথর কেটে তৈরি পঁচাত্তরটি সমাধি পরস্পরের সাথে সংযুক্ত। প্রতিটি মূল সমাধিতে প্রবেশের জন্য পেরোতে হয় দীর্ঘ করিডোর, আর এই করিডোরের দুপাশেও রয়েছে ছোট ছোট কক্ষ। আমরা বিশাল তোরণ পেরিয়ে ভেতরের চত্বরে প্রবেশ করে একটি করিডোর ধরে এগোতে থাকি। করিডোর পেরিয়ে ঢুকে পড়া সমাধির দেয়ালের চিত্রের অনেকটাই সময়ের কারণে নষ্ট কয়েছে অথবা বেনোজলে ধুয়ে গেছে। তবে সিলিং জুড়ে রয়েছে বিচিত্র রঙের কারুকাজ। মূল সমাধি মন্দিরটির বাইরে ছোট একটি কাঠের বেড়া দেখে বোঝা যায় এই কবরে যিনি শুয়ে আছেন বা ছিলেন তাঁর তেমন গুরুত্ব নেই।    


দ্বিতীয় রামেসেসের প্রিয় এবং প্রধানতম স্ত্রী রাণী নেফারতারি ছাড়াও এখানে প্রথম সেতির এবং প্রথম রামেসেসের স্ত্রীসহ ফারাও সাম্রাজ্যের অগণিত অভিজাত নারীকে সমাহিত করা হয়েছে এখানে। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই সম্রাজ্ঞী নেফারতারি। আমাদের কাছে ক্লিওপেট্রা, নেফারতিতি এবং হাতশেপস্যুর নাম মোটামুটি পরিচিত। তবে এক ক্লিওপেট্রাই আছেন গোটা ছয়েক। কাজেই নেফারতিতির সাথে নেফারতারিকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে অবাক হবার কিছু নেই। দুর্ধর্ষ যোদ্ধা দ্বিতীয় রামসেস, যিনি ১২৯০ থেকে ১২২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ঊনিশতম ফারাও সাম্রাজ্য শাসন করেছেন, রানী নেফারতারি ছিলেন তাঁর পয়লা নম্বরের স্ত্রী। অন্যদিকে ক্ষমতাধর সম্রাজ্ঞী নেফারতিতি নিজেই খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ অব্দে স্বামী আখেনাতেনের পাশাপাশি রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। 

 সমাধিতে দেয়াল চিত্র

ভ্যালি অফ কিংসের সমাধিগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি রাজকীয় জাকজমকে পূর্ণ, আকার আকৃতিতেও অনেক বড়। তবে ধারণা করা যায় অসাধারণ চিত্রায়ণ, রঙের কাজ এবং হায়রোগিøফিক বর্ণমালায় ইতিকথা লিপিবদ্ধ করার মতো শিল্পসৃষ্টির কাজে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা একই গোত্রের একই রকম প্রতিভাধর শিল্পী ও সৃজনশীল কর্মী। 
রাণীদের উপত্যকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধিটি অবশ্যই দ্বিতীয় রামসেসের প্রিয়তমা পত্মী নেফারতারির। সমাধিগৃহটি সে যুগের সমৃদ্ধ শিল্পকর্মের অনন্য উদাহরণ। সুদৃশ্য চিত্রিত স্তম্ভ এবং বর্ণিল দেয়াল সম্রাট আখেনআতেন ও তাঁর স্ত্রী নেফারতিতির জীবনের নিত্যদিনের নানা কাহিনি ও যুদ্ধ বিগ্রহের বীরত্বগাথায় পরিপূর্ণ। এই অনন্য সাধারণ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য যে সময় এবং পরিবেশ প্রয়োজন, সেই সময় আমাদের নেই, তারচেয়ে বড় সমস্যা একটি দলগত সফরে শিল্পবোধহীন অসহিষ্ণু কয়েকজন সফর সঙ্গী। গাইড মোস্তফাও তাদের কাছে মনে হলো অসহায়। কাজেই দ্রুত ভ্যালি অফ কুইন্স সফর শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলাম। কিন্তু ডাইনে বাঁয়ে সামনে পেছনে কোথাও রানাভাই নেই। একটা খালি হলুদ গাড়ি এসে থামলে আমরা সেদিকে এগোবার সময় দেখলাম বাঁদিকে একটু দূরেই একটা ছাউনির নিচে অস্থায়ী রেস্তোাঁরায় কফির কাপ হাতে বিদেশি কয়েকজন পর্যটকের সাথে আড্ডা জমিয়েছেন রানা ভাই। আমাদেরকে কফি খেতে বললেও গরমে যখন গলা শুকিয়ে কাঠ, তখন কফি পানের চেয়ে শীতল পানীয় বেশি প্রয়োজনীয় বলে মনে হলো। একবোতল  ঠাণ্ডা পানি এবং অরেঞ্জ জুস কিনে আবার সেই গাড়িতে উঠে বসলাম। 


লুক্সরের পথে ফেরার সময় হাতের ডাইনে দীর্ঘ পাহাড়ের সারি দেখিয়ে মোস্তফা বলছিল ভ্যালি অফ কুইন্সের এইসব পাহাড়ের তলায় অসংখ্য সমাধিতে যারা সমাহিত, যাদের মমি হয়তো ঠাঁই পেয়েছে মিউজিয়ামে অথবা পাচার হয়ে গেছে বিদেশে তাঁদের বিদেহী রুহ হয়তো এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে এই পাহাড়ের ভাঁজে অথবা নীল নদের তীরে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘দিস ইজ টু মাচ, দ্যট দ্য স্পিরিটস আর রোমিং এ্যারাউন্ড ফর খ্রি থাউজেন্ড ইয়ারস! ইউ মাস্ট এ্যারেঞ্জ আ মিউজিয়াম ফর দ্য স্পিরিটস!’ রানা ভাই বাংলায় বললেন, ‘ঠিকই। আত্মার ঘোরাঘুরিটা আর মেনে নেয়া যাচ্ছে না।’ 

চলবে...     

 

 

চলবে...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ