বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফরিদ কবির

প্রিয় ১০ কবিতা

সাপ-লুডু

সাপ-লুডু বেশ বিপজ্জনক!
খেলতে গেলেই দেখি, সাপগুলি জ্যান্ত হয়ে যায়
ছোবলের ভয়ে আমি লুডুর এ-ঘর থেকে অন্য ঘরে
ক্রমাগত ছুটতে থাকি!

ওপরে যাওয়ার জন্য মইগুলি খুঁজি
একটু আগেও পড়ে ছিল, যত্রতত্র

কিন্তু তোমাদের মধ্যে কেউ একজন
সিঁড়িগুলি সরিয়ে ফেলেছো

আমি যে ধরবো, নেই তেমন একটা হাতও
অথচ পাশেই ছিলে তুমি
অথবা তোমার মতো অন্য কেউ!

সাপগুলি আস্তে আস্তে ঘিরে ফেলেছে চারপাশ থেকে
আর, আমি ছোবল খাওয়ার জন্য তৈরি হতে থাকি!

 

আয়না


আমি দেখি?
নাকি আয়নাই আমাকে দেখায়?
নিজেকেই দেখছি হয়তো
যদিও সামনে যাকে দেখি—দেখতে আমারই মতো
কিন্তু আমি নই

কেননা, আমি তো মৃত
বিধ্বস্ত আমার মুখ, ভয় দুই চোখের পাতায়

আয়না রহস্যময়, ভার্চুয়াল আরেক দুনিয়া
সেখানে আমার বিম্ব বরাবর ঝকঝকে, জীবন্ত

বরং কিছুটা স্মার্ট
যেমন আজ সে বাইরে এসেই
আমাকে পাঠিয়ে দিল আয়নার ভেতরে

আয়নার ওপাশে ভয়ানক অন্ধকার
অথচ এপাশ থেকে সব সময় উজ্জ্বল দেখায়!

 

ফুল


ঘ্রাণেই সম্পূর্ণ স্নান, তবু খোঁজো তুমি জল-সাবানের ফেনা

কী আছে রোমাঞ্চ স্নানঘরে
চামড়ার নিচে যদি রয়ে যায় অন্ধকার
আর, কালো ময়লার স্তূপ
সহস্র বুদবুদ থেকে ফিরে
কিভাবে নিজেকে ভাবো তুমি শতভাগ পরিষ্কার

যে-কারণে বলি, ফুলই প্রকৃত সমুদ্র
কেননা, তাকেই আমি ঘ্রাণসহ বর্ণিল রেখেছি

কাঁটার সংঘাতে যদি ঝরে কিছু রক্তের গরম
তুমি কাটো সাঁতার গোলাপে
আর, পাপড়ির বর্ণে করো জন্মোৎসব

আজ বলি, ঘ্রাণের জন্যই
এতকাল পুষ্পপূজা নিষিদ্ধ করিনি!

 

পাখি


উড়লেই পতনের ডাক, তবু উড়ে যাও
তুমি পাখি ভাবছো নিজেকে
মাটি দখলের পর রক্তচিহ্ন এখনো ডানায়
আজকে নেমেছো তুমি আকাশ দখলে
শিরোস্ত্রাণে হেসে উঠছে নক্ষত্রমণ্ডলী

আকাশকে পাখিমুক্ত রেখে তুমি কেবল ঘুমোবে
আর, জেগে উঠে প্লাস্টিকের স্বপ্ন সাজাবে টেবিলে
প্রকৃত তোমার স্বপ্ন এতকাল পাখিরাই বহন করেছে

নিজেকে যতই ভাবো দীর্ঘ, আজ বলি—
পাখিদের চোখে তুমি সর্বদাই ছোট
নিজেকে জানার জন্য মাঝে-মধ্যে তোমার বাড়িতে
তাদেরকে নিমন্ত্রণ কোরো!

 

 

নদী


নদীকে সরিয়ে দিয়ে তুমি বিছিয়ে দিয়েছো রাস্তা
যত দূর দৃষ্টি যায় মাইল-মাইল ধুধু পথ
গাড়ি চলছে পালতোলা নৌকোর বদলে
এখন খুঁজছো ঢেউ, নদীকুল রাস্তায় রাস্তায়

কে না জানে পথের মহিমা
পথই মানুষকে নিয়ে যেতে পারে যে-কোনো রাস্তায়
এখন পথের সব পৃষ্ঠা বসে বসে মুখস্থ করছো
সন্ধান করছো নদীতীর, ঢেউয়ের আক্ষেপ

রাস্তা চেনে সব পথ, যেতে পারে যে-কোনো ঠিকানায়
নদীর ঠিকানা শুধু জানা নেই তার

এখন রাস্তায় বসে কাঁদো ঢেউয়ের আশায়!

 

 

পাতা

গাছের নিঃশ্বাস আটকে আছে
আজ তার মৃত্যু ঠেকাবে কে?
সমস্ত শরীর তার কেঁপে উঠছে পাতার সন্ত্রাসে!

তাকে ঘিরে আছ তুমি চারপাশ থেকে
শুষে নিচ্ছ রোদের উত্তাপ
তীব্র ঝড়ও থমকে গেছে তোমার ইঙ্গিতে

এখন বুঝতে পারি, গাছ নয়, পাতাই আসল
সমস্ত গাছের নাম লেখা আছে পাতার সবুজে!

 

 

ঘ্রাণ


তোমার ঘ্রাণেও আছে আলাদা সৌন্দর্য
সামান্য কথার পর সমুদ্র-দূরত্বও যেন নিমিষে উধাও
আর, সেই ঘ্রাণ এসে মিশে যায় আমার শরীরে

দ্বৈত গন্ধ নিয়ে আমি উন্মাতাল
যেন এইমাত্র শেষ হলো সম্পূর্ণ সঙ্গম
তোমার রঙিন ঘ্রাণ টের পায় এত দূরে গাছের পাতাও

আজ বুঝি—রূপে নয়, ঘ্রাণে আছে সকল রহস্য
এর টানে ফুলের কাছেই
বারবার ফিরে যায় সকল মৌমাছি

নিজেকেও মৌমাছি বলেই মনে হচ্ছে আজ
ঘ্রাণ থেকে খুলে নিচ্ছি অসামান্য মধু!

 

 

খুন


করো চলাফেরা ধমনিতে, উপশিরায়, শিরায়
এই স্রোত চলুক নির্জনে
আমাকে রঞ্জিত করে আপাদমস্তক তুমি বয়ে চলো
টগবগ ফুটতে থাকো হৃদয়ে, মস্তিস্কে
আমাকে পুড়িয়ে দাও তোমার গরমে

বলো, কেন হলে তুমি এতটা আগ্রাসী!
মিশে যাচ্ছ রক্তের প্রচণ্ড লালে, শুভ্র কণিকায়
ছুটে যাচ্ছ শরীরের আনাচে-কানাচে!

তোমাকে ছিনিয়ে নিতে এখন তৎপর
ভয়ঙ্কর আলপিন, ঘাতক ছুরিও…

গোপনে তোমাকে বলি—
তোমার একটা ফোঁটাও আমি কাউকে দেব না!

 

স্পর্শ

স্পর্শ এক অদ্ভুত ভ্রমণ

নৈকট্য লাগে না
সমুদ্রের এপার থেকেও পাওয়া যায়
হুবহু বাতাস, ওপারের
পড়ে নেয়া যায় আদ্যোপান্ত
আকাশের সাতটি পৃষ্ঠাই

কী করে এমন হয় বলো—
স্পর্শ করি, তোমাকে না ছুঁয়েই!
এলোমেলো করে দেই
শরীরের স্বাভাবিক ঢেউ

তোমাকে স্পর্শের পর মনে হয়
শরীরের এক শো সাতটি গলি
ঘুরে দেখা সম্পন্ন করেছি!

 

শরীর

বন্দি নয়, তোর হাত নিজে এসে আশ্রয় নিয়েছে
এই করতলে
তোর কাছে নিরাপদ নয় কোনো কিছু
তোর হাত, হাতের আঙুল

সামান্য যে গাছ, সেও অরক্ষিত রাখে না পাতাকে
তুলে ধরে যতটা সম্ভব শূন্যে, স্পর্শের বাইরে
যে কারণে পাতা থাকে নিতান্ত সবুজ

স্পর্শাতীত কিছু নেই তোর
যে রকম হাতের ইশারা বুঝে তোর হাত
ঢুকে পড়ে আমার মুঠোয়
কথা হয় আঙুলে আঙুলে

শরীরও যথেষ্ট জ্ঞানী তোর
ভাষা বোঝে আরেক দেহের!

 

Header Ad
Header Ad

ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার এখন শুধুমাত্র টেস্ট ফরম্যাটে খেলবেন। এর আগে, ২০২২ সালে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া অবসর ঘোষণায় মুশফিক বলেছেন, ‘আমি আজ ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অর্জন সীমিত হতে পারে, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, যখনই আমি আমার দেশের জন্য মাঠে নেমেছি, নিষ্ঠা ও সততার সাথে ১০০ ভাগের বেশি দিয়েছি।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাংলাদেশ দলের জয়হীন বিদায়ের পর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় থাকা এই ক্রিকেটার এরপর লিখেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল, এবং আমি বুঝতে পেরেছি যে এটাই আমার নিয়তি।’

অবসরের সিদ্ধান্তের ঘোষণায় পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতও উদ্ধৃ্ত করেছেন মুশফিক, ‘ওয়া তুইজ্জু মান তাশা' ওয়া তুযিলু মান তাশা"– এবং তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন।’

২০০৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলা মুশফিক গত ১৯ বছরে খেলেছেন ২৭৪ ম্যাচ। ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৯ ফিফটিতে ৩৬.৪২ গড়ে করেছেন মোট ৭৭৯৫ রান, যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে ওয়ানডেতে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।

গত কিছু দিন রানের মধ্যে ছিলেন না মুশফিক। গত বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৭৩ রানের পরের ৬ ইনিংসে ফিফটি করতে পারেননি। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ইনিংস ব্যাট করে আউট হয়েছিলেন ০ ও ২ রানে।

বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে দেশে আসার পর সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন জানিয়েছিল, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা জানতে চাওয়া হবে। এর মধ্যেই গতকাল রাত ১১ টার দিকে ওয়ানডেকে বিদায় বলে দিলেন মুশফিক।

Header Ad
Header Ad

অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  

ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অবৈধ বাংলাদেশিদেরও ফেরত পাঠাবে দেশটি। এ-সংক্রান্ত একটি বার্তা ঢাকাকে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশও অবৈধ হয়ে পড়া নিজ নাগরিকদের ফেরত নেবে। তবে অসম্মানজনক উপায়ে যেন ফেরত পাঠানো না হয়, তা নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত আনার বিষয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁরা ধারণা দিয়েছেন, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রাজ্য নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেটিকাটে অবৈধ বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত মাসে মার্কিন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দেশের মতো অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে ঢাকার সহযোগিতা চেয়েছে ওয়াশিংটন। সরকারও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সম্মানজনকভাবে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ চায় না অন্যান্য দেশের মতো হাতকড়া পরিয়ে বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে আসুক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন কিছু করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস গত মাসে বাংলাদেশ সরকারকে অবৈধ হয়ে পড়া লোকজনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অবহিত করেছে। এ ব্যাপারে সরকারকে একটি কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মশাল মিছিল হয়েছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই নারী। পরে তাদের সংহতি জানিয়ে মিছিলে যোগদেন লালমাটিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারাও।

বুধবার (০৫ মার্চ) রাতে লালমাটিয়ায় এই মশাল মিছিল করেন স্থানীয়রা। মোহাম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা ব্যানার নিয়ে লালমাটিয়া এলাকায় একটি মশাল মিছিল করেন। সেই মিছিলে আনুমানিক ২০০ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন নারী।

তাদের বিভিন্ন স্লোগানের মধ্যে ছিল— উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান করা যাবে না, যেখানে সেখানে ধূমপান করা চলবে না, লালমাটিয়া এলাকায় মাদকসেবী-মাদক বিক্রেতাদের স্থান নেই, বয়স্কদের সম্মান করতে হবে ইত্যাদি।

মিছিলকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যকে সমর্থন ও শাহবাগীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের নিন্দা এবং প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে’ মশাল মিছিল।

এসময় স্থানীয় নারীরা বলেন, লালমাটিয়াসহ পুরো ঢাকা শহর মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করছে। তাদের কারণে শিশুরাও বিপথগামী হচ্ছে। এমনকি এসবের প্রতিবাদ করলে তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

মিছিলে অংশ নেওয়া আমেনা ইসলাম নামের এক নারী বলেন, আমাদের মা-বোনেরা কখনোই যেখানে-সেখানে বসে সিগারেট খেতে পারেন না। এটা আমাদের সংস্কৃতি না। এটা আমাদের দেশের মেয়েদের কাজও না। এটা যেমন আমাদের ধর্ম নিষেধ করেছে, আমাদের সমাজেও এটা বেমানান। যারাই এ কাজ করছে, তারা বিদেশি সংস্কৃতি আমদানির মাধ্যমে দেশের মা-বোনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, প্রথম কথা হলো পাবলিক প্লেসে ধূমপান আমাদের দেশীয় আইনেই অন্যায় কাজ। কিন্তু কিছু ধর্মবিদ্বেষী নারী সেই অন্যায় কাজটি করেও আবার বিরোধিতা করায় আন্দোলন করছে। আমরা তাদের কাছে কি শিখব? আমাদের ছোটরা তাদের কাছে কি শিখবে? এটা কি কোনো ভালো শিক্ষা? আমরা ছোট থেকেই দেখেছি পুরুষদের কেউ ধূমপান করলেও তারা লুকিয়ে করেন। বড় কেউ দেখে ফেললে তাড়াতাড়ি সেটা ফেলে দেন। এটাই তো আমাদের সমাজের শিক্ষা।

আমেনা ইসলাম আরও বলেন, যেসব নারী প্রকাশ্যে ধূমপান করে আবার গর্ব করে বলে এবং প্রকাশ্যে ধূমপানের সুযোগের দাবিতে আন্দোলন করে তাদের নিশ্চয়ই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে। তারা আমাদের সমাজকে কলুষিত করতে চায়। তারা বাংলাদেশে বিদেশি সংস্কৃতি-কালচার আমদানি করে নারীদের বাজারের পণ্য বানাতে চায়। আমরা তো চোখের সামনে আমাদের সমাজকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।

এছাড়া সামিনা ইয়াসমিন নামের আরেক নারী বলেন, ধূমপানের কারণে নানাবিধ ক্ষতি হচ্ছে। প্রকাশ্যে ধূমপান শিশুসহ অধূমপায়ীদের বেশি ক্ষতি করছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই সারা দেশে ধূমপান ও মাদক নিষিদ্ধ করা হোক।

তিনি আরও বলেন, আমি একজন নারী, নারী হিসেবে তাদের এসব কাজকর্মের জন্য আমার লজ্জা হচ্ছে। দুই-চারটা সমাজের কীটের কারণে আমরা নারী জাতির সম্মান ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না। যারাই এসব আন্দোলন করছে, সরকারকে আহ্বান করব অবিলম্বে যেন তাদের আইনের আওতায় আনে। নয়ত স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষ মিলে তাদের আমরা প্রতিহত করব।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক তরুণীর ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে তার বান্ধবীও ছিলেন।

মোহাম্মদপুরের আসাদগেটের কাছে আড়ং গলির পেছনে ওই তরুণী ধূমপান করছিলেন। এ নিয়ে হট্টগোলের খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি দল ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে ওই ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যতটুকু জানছি ওনারা নাকি সিগারেট খাইতেছিল। ওই সময় কিছু লোক না কি নামাজ পড়তে যাইতেছিল। এ সময় ওনারা (লোকেরা) বাধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুড়ে মারছে। ’

‘তো আপনারা জানেন, ওপেন জায়গায় সিগারেট খাওয়া কিন্তু নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষেধ। এটা কিন্তু একটা অফেন্স। এ জন্য আমি অনুরোধ করব, ওপেন যেন কেউ সিগারেটটা না খায়। আর এখন যে রোজার সময় সবাইকে একটু সংযমী হতে হবে। ’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  
প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  
সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  
প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড  
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ তালুকদারের পদ স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: স্নাতক পাশ না করেও পেল প্রথম শ্রেণীর চাকরী  
সরকারি যানবাহনের চালকরা ট্রাফিক আইন অমান্য করছে : ডিএমপি  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলে পাহাড়ের লাল মাটি কাটার অভিযোগে লাখ টাকা জরিমানা  
জাতিসংঘ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয়, তবে বিচার হতে হবে : ভলকার তুর্ক  
রমজানে চুয়াডাঙ্গায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং প্রয়োজন: ক্যাব
পবিত্র রমজানে কুবিতে মিলছে ১০ টাকায় ইফতার
নিত্যপণ্যের দাম আগের বছরের চেয়ে বাড়েনি: অর্থ উপদেষ্টা  
জোটে যাবে না এনসিপি, ৩০০ আসনে দেবে প্রার্থী
ফের রিমান্ডে সাবেক বিচারপতি মানিক
শ্রম আইন সংস্কার করে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
শিগগিরই গঠন করা হবে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব উইং
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা
মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি, রাবির ছাত্রলীগ নেতা আটক