'এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলোকে অমিক্রন মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে হবে'
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন মোকাবেলায় এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলোকে স্বাস্থ্যেসেবার সক্ষমতা বাড়াতে এবং দেশের সকল মানুষকে টিকা দিতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ নিষেধাঞ্জা আরোপের পরও অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে শুক্রবার এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অমিক্রণ সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হলেও অস্ট্রেলিয়াতে অমিক্রনের কমিউনিটি ট্রন্সমিশনের খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্যে অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার মাত্র একদিন পর অস্ট্রেলিয়ার অমিক্রন ধরা পড়লো। গতমাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় অমিক্রণ প্রথম শনাক্ত হয়। বিজ্ঞানীরা এখনও এই ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে।
এ পর্যন্ত দুই ডজনেরও বেশি দেশে অমিক্রন সংক্রমণ ঘটেছে। এ সপ্তাহেই ভারত, জাপান, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। ফলে এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলোতে অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিম প্রশান্ত মাহাসাগর অঞ্চলের পরিচালক তাকেসি কাসাই গণমাধ্যমে করোনাভাইরাস সম্পর্কে ব্রিফিংকালে বলেন, সীমান্ত বন্ধের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র তার ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। অমিক্রন এমন একটি ভ্যারিয়েন্ট যেটা অতিদ্রুত সংক্রমিত হতে সক্ষম। সকল দেশকে ডেল্টা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় কতটা বেগ পেতে হয়েছে সেটা মনে রাখতে হবে। তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে। মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি মেনে চলতে হবে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কেএফ/