হাসি কান্না সবই মানা
১১ দিন হাসতে পারবেন না উত্তর কোরিয়ার মানুষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চলছে দেশটিতে। প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এ ঘোষণা দিয়েছেন। রেডিও ফ্রি এশিয়ার বরাত দিয়ে ইয়াহু নিউজ এক প্রতিবেদনে এ কথা প্রকাশ করেছে।
দেশটির প্রয়াত নেতা কিম জং ইলের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশটিতে ১১ দিনের শোক পালনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় এই কদিন কেউই মদ পান, আমোদ প্রমোদও করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি কারাগারেও যেতে হতে পারে।
সীমান্ত শহর সিনুইজুয়ের এক বাসিন্দার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এ সময়ের মধ্যে পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে চিৎকার করে কাঁদতে পারবেন না। এ শোক চলাকালে কেউ জন্মদিন জন্মদিন উদযাপন করতে পারবে না।'
তিনি আরও বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও ১৭ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে নাম না প্রকাশ করে দেশটির আরও কয়েকজন বাসিন্দার বরাতে জানানো হয়েছে, অতীতে শোক চলাকালে আইন না মানায় অনেককেই আটক করা হয়েছে। এবং তাদেরকে আদর্শীক অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। পরবর্তিতে আটক ওই সকল লোকদের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।'
কিম জং উন তার বাবার সম্মানে জাতীয় সভা ডেকেছেন এবার। এর আগে প্রথম এবং পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে এমন সভা ডাকা হয়েছিল। কিম জং ইলের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে এবার শোকের সময়কাল একদিন বাড়িয়ে ১১ দিন করা হয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর ১০ দিনের শোক পালন করা হয়।
বাবার মৃত্যুর পর থেকে কিম জং উন প্রতিবছর বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে তার বাবার স্মরণ অনুষ্ঠান পালন করেন। বাবার পাশাপাশি একই সমাধিসৌধে রয়েছেন তার দাদা উত্তর কোরিয়ার স্থপতি কিম ইল সাং।
কিম জং ইল ১৯৯৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটির রাষ্ট্রিয় গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। তার মৃত্যুর পর দেশটির শাসনের দায়িত্ব পান তার ছেলে কিম জং উন।
কেএফ/