ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
ধূমপান করেও ফুসফুস ভালো রাখবেন যে উপায়ে। ছবি: সংগৃহীত
ধূমপান স্বাস্থের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর জেনেও অনেকে নেশা করে থাকে। যখন বোধোদয় হয়, তখন আজ না হয় কাল করে সিগারেটের নেশা আর ছাড়তে পারেন না। তবে জেনে বুঝে ধূমপান করণে ক্ষতির মাত্রা কম হতে পারে। ধূমপায়ীদের ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এটি শ্বাসযন্ত্রের বাতাস প্রবাহের পথ সরু করে ফেলে। ব্রংকাইটিস ও এমফিসেমার মতো সমস্যা তৈরি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য মতে সিওপিডি সমস্যাটা শুরু হয় ধূমপান থেকে এবং বিশ্বজুড়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর কারণ এই সিওপিডি।
যারা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তারা শরীরের ভেতরে দিনের পর দিন ক্ষতি করে একটা সময় পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। যারা সিগারেটের নেশা ছাড়তেই পারছেন না, তারা সুস্থ থাকতে কিছু খাবার বেশি বেশি খেতে পারেন। যদিও এতে এটা প্রমাণ হয় না যে, এসব খাবার ধূমপান করতে কাউকে প্ররোচিত করবে। সবচেয়ে ভালো হলো ধূমপান না করা।
১. প্রচুর পানি পান করুন
ধূমপানের ফলে শরীরে টক্সিন জমে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করলে এই ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং ফুসফুসকে আর্দ্র রাখে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খান
ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে নিচের খাবারগুলো বেশি খান। যেমন- হলুদ (কারকিউমিন, ফুসফুসের জন্য ভালো), সবুজ শাকসবজি, আদা ও রসুন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, লেবু।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
কার্ডিও ব্যায়াম (যেমন দৌড়, সাইক্লিং) এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম (যেমন প্রণায়াম) ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায় এবং টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
৪. বায়ুদূষণ এড়িয়ে চলুন
যতটা সম্ভব নির্মল বাতাসে থাকুন, ধুলোবালি বা ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন এবং ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।
৫. ধূমপানের পরপরই কফি বা চা পান করুন
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের পরপরই গ্রিন টি বা ব্ল্যাক কফি পান করলে কিছুটা ক্ষতি কমানো সম্ভব।
৬. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন। যদি শ্বাসকষ্ট বা কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ধূমপানের ক্ষতি একেবারে দূর করা সম্ভব নয়। সবচেয়ে ভালো সমাধান ধূমপান ছেড়ে দেওয়া। তবুও যদি ছাড়তে না পারেন, তাহলে উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করে কিছুটা হলেও ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করতে পারেন।