ঝগড়ায় ভালোবাসা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, বলছে গবেষণা
প্রতীকী ছবি
সম্পর্কে তিক্ত মধুর ,আনন্দ- বেদনা মিশ্রণের ফলশ্রুতিতে প্রকৃত ভালোবাসার জন্ম হয়। সম্পর্কে মাঝে যেমন সুখ আছে তেমনি ঝগড়াতে সম্পর্কের মাঝে ফাটলের পর্যায়ে চলে যায়।
আবার মান অভিমান, ঝগড়া ভুলে একে অন্যের কাছেই ছুটে যায়। তখন নাকি ভালোবাসার গভীরতা আরও বেড়ে যায়। প্রেম-ভালোবাসায় মানুষ যেমন একে অন্যকে ছাড়া থাকতে পারে না।
ঝগড়া কি শুধু সম্পর্ক নষ্ট করে? মোটেও না, বরং ঝগড়া করলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও মজবুত হয়। আবার ভালোবাসাও বাড়ে দ্বিগুণ। গবেষণা বলছে, রাগ পুষে না রেখে বরং মন খুলে ঝগড়া করে সম্পর্কের যত্ন নিন। সবারই নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার আছে।
তবে তাই বলে এই ছোট ছোট ঝগড়া অশান্তিগুলোকে বড় করে দেখবেন না। মনে রাখবেন ঝগড়া না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। ঝগড়া করলে মন হালকা হয়। অন্যদিকে ঝগড়া না করলে ভেতরে জমা কথা এক সময় মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। জানলে অবাক হবেন যে, ঝগড়া করলেও মেলে উপকার। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
অভিমান দূর হয়
ঝগড়ায় মনে পুষে রাখা অভিমান দূর হয়। সঙ্গীর যে কোনো কাজ খারাপ লাগতেই পারে।তবে সেই খারাপ লাগা নিজের মধ্যে পুষে না রেখে মুখের উপর বলে দিন। দেখবেন সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে। হয়তো মনোমালিন্য হতে পারে। মুষলধারে বৃষ্টি শেষে যেমন আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়, তেমনই দীর্ঘ ঝগড়ার শেষে মান-অভিমান দুজনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত ও দৃঢ় হয়।
ধৈর্যশক্তি বাড়ায়
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া দুজনকে আরও ধৈর্যশীল করে তোলে। অনেকক্ষণ ঝগড়ার পর আপনার হয়তো ক্লান্ত লাগতে পারে কিংবা অশান্তি বাড়াতে না চাইলে চুপ হয়ে যেতে পারেন। এর অর্থ হলো আপনি ধৈর্য্যধারণ করছেন। আপনার এমন মনোভাব দেখে একসময় সঙ্গীও চুপ হয়ে যাবেন। এ কারণে ঝগড়া মানুষকে ধৈর্যশীল করে তোলে।
সম্পর্ক মজবুত হয়
ঝগড়ায় মন হালকা হয়, এমনটিই বলছেন মনোবিদরা। বর্তমানের যান্ত্রিক জীবনে সবাই ব্যস্ত। একে অপরকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না অনেক দম্পতিই। তাদের ক্ষেত্রে ঝগড়া সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। এমন দম্পতিরা প্রয়োজনে অকারণেই ঝগড়া করুন। সারা সপ্তাহ সঙ্গীর প্রতি যত রাগ অভিমান পুষে রেখেছেন সব বলে দিন। মন হালকা করুন।
বিশ্বাস বাড়ে, সন্দেহ দূর হয়
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দাম্পত্যে ঝগড়া হতে পারে। এর ফলে বিশ্বাসের ভিত আরও মজবুত হয়। কারণ ঝগড়ার মাধ্যমে মনের লুকানো ক্ষোভ ও অভিমান প্রকাশ পায়। এর ফলে দুজনের বিশ্বাসের বন্ধনটা অনেক দৃঢ় হয়। অনেকেই সঙ্গীর প্রতি সন্দেহপ্রবণ হয়ে ঝগড়া কিংবা অশান্তি করেন। এক্ষেত্রে সঙ্গীও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে, সব মিলিয়ে দুজনের মধ্যকার অবিশ্বাস ও সন্দেহ দূর হয়ে যায় মুহূর্তেই।