মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাটির নিচে হীরা থাকলেও খাবার পায় না যে দেশের মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটের মাঠে প্রভূত জনপ্রিয় একটি দেশের নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির মাটির নিচে রয়েছে মহামূল্যবান হীরা। হীরার দেশ হয়েও উজ্জ্বলতা নেই দেশটিতে। ঔপনিবেশিক শাসন, বিদেশি ঔদ্ধত্য, বর্ণবৈষম্যের বিষ ঠেলে কখনও আলোয় মাথা তুলতেই পারেনি এই দেশ। তাই অনেকে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান অবস্থার নেপথ্যে দায়ী তারই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ— হীরা। দারিদ্র, বৈষম্য, অশিক্ষা এবং অব্যবস্থা দেশটিকে গভীর সংকটে ফেলেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা দীর্ঘ সময় বিদেশি শক্তির উপনিবেশ ছিল। ব্রিটিশরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মুক্তি দেয় বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। তবে শুধু দীর্ঘ ঔপনিবেশিক পীড়ন নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপন্নতার মূলে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি পাথর— হীরা। এই পাথরের খনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৮৬৬-৬৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম হীরা আবিষ্কৃত হয়। এই আবিষ্কারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কপাল খুলে যাবে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি।

প্রথমে ডাচ, তারপর ব্রিটিশ— দক্ষিণ আফ্রিকা দেশটি পর পর দু’বার ঔপনিবেশিক শাসনের শিকার হয়েছিল। তবে প্রথম দিকে উপনিবেশ হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার তেমন গুরুত্ব ছিল না। হীরা কাহিনির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। হীরা আবিষ্কার হওয়ার আগে পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার মাঝে ইউরোপীয় বণিকদের বিশ্রামের জায়গা ছিল। হীরা খুঁজে পাওয়ার পর রাতারাতি দেশটি শিল্পক্ষেত্রে পরিণত হয়। একে দক্ষিণ আফ্রিকার খনিজ বিপ্লবও বলা হয়ে থাকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হীরাতে সেখানকার সাধারণ মানুষ, আদি বাসিন্দাদের কোনও অধিকার ছিল না। বিদেশিরাই হীরার খনি কাজে লাগিয়ে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলে। কারখানায় ব্যবহার করা হয় স্থানীয়দের শ্রম। তবে তারা উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেতেন না। একাধিক বিদেশি সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার হীরা শিল্পের দখল নেয়। তারা নামমাত্র পারিশ্রমিকে স্থানীয়দের দিয়ে কাজ করিয়ে নিত। এভাবে একসময় বিশ্বের ৯০ শতাংশ হীরার জোগানদার হয়ে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।

যত দিন গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার আদিবাসীদের উপর বিদেশি শক্তির অত্যাচার বেড়েছে। হীরা পাচার সন্দেহে শ্রমিকদের উলঙ্গ করে তল্লাশি চালানো থেকে শুরু করে বেধড়ক মারধর, বাদ ছিল না কিছুই। এই সময় থেকেই সাদা এবং কালো চামড়ার বিভেদ, বৈষম্য গাঢ় হয়ে ওঠে আফ্রিকার দেশটিতে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গদের বৈষম্য দক্ষিণ আফ্রিকার সমাজে ক্ষত আরও গভীর করেছে। বিদ্রোহ, লড়াই, আন্দোলন এবং যুদ্ধের পর ১৯১০ সালে অবশেষে ‘ইউনিয়ন অফ সাউথ আফ্রিকা’র তকমা পায় দেশটি। এর কয়েক বছর পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি আইন পাশ হয়, যাতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কৃষ্ণাঙ্গেরা সেই দেশে কোনও সম্পত্তির অধিকারী হতে পারবেন না। সমাজকে গায়ের রঙের ভিত্তিতে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়— কৃষ্ণাঙ্গ, শ্বেতাঙ্গ এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

কৃষ্ণাঙ্গ, শ্বেতাঙ্গের বিভেদ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দিয়েছিল। দেশটির অর্থনীতির মাজা ভেঙে গিয়েছিল। আর সব কিছুরই সূত্রপাত হয়েছিল হীরাকে কেন্দ্র করে। বিপুল হীরার ভাণ্ডারের মালিক হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ মানুষ কখনও ওই ভাণ্ডারের সুবিধা ভোগ করতে পারেননি। তারা চিরকাল বিদেশি শাসনের নিচে ছিলেন।

১৯৯৪ সালে বিদেশি শক্তিকে সরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্ষমতায় আসে আফ্রিকান ন্যাশানাল কংগ্রেস (এএনসি)। এর পর সমাজে সাম্য ফিরবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ছবিটা বদলায়নি। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় বেকারত্বের হার ৩৫ শতাংশেরও বেশি। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ তরুণ কর্মহীন। অপরাধমূলক কাজ সেখানে এতটাই বেশি যে, প্রশাসনের উপর ভরসা করে থাকা যায় না। ঘরে ঘরে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে কাঁটাতারের জাল বিছিয়ে রাখতে হয়।

বিদ্যুতের অপ্রতুলতা দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম বড় সমস্যা। প্রতি বাড়িতে দিনে অন্তত ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গ্রামীণ এলাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ। দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি কিন্তু জোগান কম।

এ সকল সমস্যার সমাধানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি। দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা প্রভৃতি নানা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করে। কিন্তু তাতে লাভ হয় না। কারণ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকরা দেশটিকে শোষণ করে চলেছেন আজও।

 

 

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পিটার হাস। ছবি: সংগৃহীত

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিকারক মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্রাটেজিক উপদেষ্টা পিটার হাস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়, যা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

পিটার হাস ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি অ্যাকসিলারেট এনার্জিতে স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন।

অ্যাকসিলারেট এনার্জি, যা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উডল্যান্ডে অবস্থিত, পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এলএনজি সরবরাহ এবং রূপান্তরের জন্য ভাসমান টার্মিনাল এবং অবকাঠামো উন্নয়নেও কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ ছাড়াও আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের নানা দেশে তাদের ব্যবসা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না: রেল উপদেষ্টা

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প গ্রহণে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ক্রয়ধর্মী প্রকল্পের মেয়াদ এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহার করতে হবে। ভবিষ্যতে কোনও প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রেল ভবনে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেল পরিচালনা ও সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ফাওজুল কবির খান বলেন, রেলের ইঞ্জিন ও কোচের সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত কোচ ও ইঞ্জিন সংগ্রহের জন্য চেষ্টা চলছে। এর আগে ২০০ কোচ কেনার যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা দ্রুততম সময়ে শেষ করতে হবে। পার্বতীপুরে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানাকে অ্যাসেম্বলিং (সংযোজন) ও মেরামত কারখানায় রূপান্তর করতে হবে। এ জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।

প্রকল্প গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করার তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ক্রয়ধর্মী প্রকল্পের মেয়াদ এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে অনলাইন টিকেটিং সেবা প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমকে আরও আন্তরিক ও সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেন রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

তিনি উপস্থিত সহজ ডটকমের প্রতিনিধির উদ্দেশে বলেন, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে তাঁরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বিদ্যমান চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যারা টিকিট কালোবাজারি করে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে রেলওয়ের একটি নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স টিম থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঈদুল ফিতরে রেলের যাত্রীসেবায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রেল উপদেষ্টা বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় মানুষ স্বস্তিতে ও নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পেরেছেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখতে হবে।

রেলওয়ের আয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি খরচ, অর্থাৎ অপচয় কমাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গণহত্যা চালিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, তার ধ্বংস অনিবার্য: টুকু

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলির গণহত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন- কখনোই গণহত্যা চালিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই। তার ধ্বংস অনিবার্য, ইতিহাস তাই বলে। আজকে মুসলমান হিসেবে শুধু নয়, একজন মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সকল মানুষ সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ কেউ এই গণহত্যা কে সমর্থন করেনি। পৃথিবীর সকল দেশেই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে।

তিনি বলেন- যে শিশুটি মারা যাচ্ছে তার কি দোষ, তার কি অপরাধ? এভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এ জন্য সারা বিশ্বে ইসরায়েলির পণ্য বর্জন করছে, ঘৃণা করে প্রত্যাখ্যান করছে। এই গণহত্যা চালিয়ে যারা মনে করেছেন টিকে থাকবেন, থাকতে পারবেন না। আমরা কোন গণহত্যাকে প্রশ্রয় ও সমর্থন করবো না। আমরা ঘৃণা করে প্রত্যাখ্যান করি ও নিন্দা জানাই। এই হত্যার বিচারের দাবি জানাই। এদের বিরুদ্ধে সমস্ত বিশ্ব বাসিকে সোচ্চার হতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলে ছাত্রদলের আয়োজনে শহীদ মিনারে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমাবেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন- আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন কায়দায় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মিছিলে থেকে বিভিন্ন দোকানপাটে হামলা করছে। দোকান পাটে লুটপাট করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি করছে। আওয়ামী লীগের গণহত্যাকারী দোসরা কিন্তু মিছিলে ঢুকে এই ধরনের অপকর্মের সাথে লিপ্ত হচ্ছে। কাজেই আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। যাতে করে আমাদের সম্পদ কেউ ধ্বংস করতে না পারে।

বিএনপির এই নেতা বলেন- বাংলাদেশেও কিছুদিন আগে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে। তারাও কিন্তু নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিল। খুনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিরীহ ছাত্র জনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। প্রায় ৮ জন শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আরও বলেন- যে ব্যবসায়ীটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সে কিন্তু আমাদের ভাই। যে দোকান ভাঙচুর করা হচ্ছে সেটিও আমাদের ভাইয়ের দোকান। কাজেই আমরা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেব না। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সে জন্য সর্বোচ্চ সচেতন থেকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাব। এই গণহত্যা বন্ধের জন্য আমাদের যা যা করা প্রয়োজন আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দূর্জয় হোড় শুভর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এম এ বাতেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ। 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ
ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না: রেল উপদেষ্টা
গণহত্যা চালিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, তার ধ্বংস অনিবার্য: টুকু
বিদেশি বিনিয়োগের এমন অনুকূল পরিবেশ আগে কখনো ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
বিরামপুরে স্কাউটস দিবস পালিত
১৩৫ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ
নাইজেরিয়ার বন্দুকধারীদের হামলায় ৫২ জন নিহত
এফডিসিকে পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটি বানানো হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি
আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী ছিলাম না: আদালতে তুরিন আফরোজ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের বৈঠক
টাঙ্গাইলে বিয়ের ১৫ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প বললেন ‘তুরস্কের সঙ্গে যৌক্তিক আচরণ করবেন’
৫৪তম দেশ হিসেবে নাসার সঙ্গে ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ চুক্তি সই করল বাংলাদেশ
লাইভে এসে ছাত্রদল নেতার বহিষ্কার চাইলেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপি সভাপতি
চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ
অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ম্যাক্স ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ইমাম গ্রেপ্তার
বদলে গেল বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম থানার নাম