বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চিত্রাপাড়ের জোৎস্নায়

ফয়সালকে আজ সকালেই ধরে আনা হয়েছে। মেজর শওকতের রুমে এনে রাখা হয়েছে। মেজর শওকত তখন ঘুম থেকে নাস্তা করছিলেন। কয়েকজন সেনা তাকে মেজরের সামনে নিয়ে দাড় করায়। মেজর শওকত তার দিকে একবার তাকান। তারপর আবার খাওয়ায় মনোযোগ দেন। খাওয়া শেষ করে তিনি ফয়সালের দিকে তাকান। যদিও তিনি বাংলা মোটামুটি জানেন, ফয়সালে সাথে মেজর শওকতের কথাবার্তা হলো ইংরেজিতে।
’তোমার নাম?’
’ফয়সাল।’
’শুধু ফয়সাল? পদবী-টদবী কিছু নেই?’
’যুদ্ধ শুরুর আগে মনে ছিল। এখন সেটা বলার প্রয়োজন মনে করছি না।’
’কেন?’
’জানিনা।’
’মিলিটারী দেখে ভয় পেয়েছো?”
একথা বলেই মেজর শওকত হাসতে থাকেন। ’তোমাদের বাঙালিদের বিচি খুব ছোট হয়। অল্পতেই ভয় পাও। প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে। এই যে তুমি আমার সামনে দাড়িয়ে আছো, তোমার পা ভয়ে কাঁপছে। দ্যাখো, প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলো না। তোমাকে কিছু করবো না। তোমাকে মারার জন্য আনা হয়নি। অন্তত যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবো এ গ্যারান্টি দিচ্ছি। মেজর শওকত যা বলে তা থেকে নড়চড় হয় না। তাছাড়া তোমার ইয়ে পরিস্কার করার মতো কেউ নেই এখানে।’ বলেই আবার জোরে জোরে হাসতে থাকেন মেজর শওকত।
’তুমি জানো তোমাকে কেন আনা হয়েছে?’
’না।’
তুমি আমার দোভাষীর কাজ করবে। যাদের ধরে আনা হবে তাদের কথা বুঝিয়ে বলবে। মাসে মোটা বেতন পাবে। খাওয়া দাওয়া পাবে। আরও একটা কাজ করতে হবে মাঝে মধ্যে। আমাকে একটা করে ফ্রেশ মেয়ে দিতে হবে প্রতি রাতের জন্য। এর জন্য আলাদা বকশিশ পাবে। আমার পরে চাইলে তুমিও ওর সাথে কাটাতে পারো। আদারওয়াইজ তুমি এখন আমাদেরই লোক। দালালরা যাদের ধরে আনছে তারা ফ্রেশ না। অনেকে তো পাগল টাগলও সাপ্লাই দিচ্ছে। আমি অত খারাপ রুচির মানুষ না। আমার আরও ফ্রেশ দরকার। আমি নিজেও খুব ফ্রেশ মানুষ। আমার সাথে থাকলেই বুঝতে পারবে।’

’এখন বলো তুমি রাজী? যদিও এ প্রশ্ন তোমাকে করা অর্থহীন। কারণ তুমি রাজী না হলেও কাজ করতেই হবে। তোমার পরিবার আমাদের বন্দুকের নলের সামনে দাড়িয়ে। কোনো রকম গাঁইগুই করবে না।’
’আমি দোভাষীর কাজ করতে রাজী। কিন্তু ঐ মেয়ের ব্যাপার থেকে বাদ দিতে হবে।’

আচ্ছা এখন যাও। পরে দেখা যাবে। ফয়সাল মেজরের সামনে থেকে বেরিয়ে আসে। তাকে অন্য একটি রুমে নেওয়া হয়। এখানেই তার থাকার জায়গা করা হয়েছে। এটা একটা স্কুল ঘর। তাকে যে রুমে রাখা হয়েছে সেটি ক্লাস নাইনের বিজ্ঞান বিভাগের রুম। ফয়সাল এই ক্লাসেই ক্লাস করেছে। ফয়সালের গ্রামের নাম চিত্রাপুর। গ্রামের পাশ দিয়ে চিত্রা নদী বয়ে গেছে। নদীর নাম থেকেই গ্রামের নাম। ফয়সালের বাড়ি চিত্রা নদীর পাড়ে। এই স্কুলের নাম চিত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলের হেডমাষ্টার সাধু নারায়ণ বাবুকে গ্রামের ঢোকার দিনই স্কুলেই গুলি করে মেরেছে। সেই সাথে স্কুলের হেডপন্ডিতকেও মেরেছে। ছাত্রছাত্রী ছিল না অনেক আগে থেকেই। কয়েকজন পুরাতন শিক্ষক আবেগ প্রবণ হয়ে স্কুলে এসে সময় কাটাতেন। হেডমাষ্টারের এ বছরই অবসর নেওয়ার কথা ছিল। অনেকেই বলেছিল ওপার চলে যেতে। হেডমাষ্টার সাহবের এক কথা, নিজের দেশ রেখে সে কোথাও যাবে না। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই রুমের সাথে। ওর ঘনিষ্ট বন্ধু মিজান,শহীদ,শাবু আর হিরেনের মধ্যে কেবল মিজান এখনো গ্রামেই আছে। বাকিরা মুক্তিযুদ্ধে গেছে। ফয়সালেরও কিছুদিনের মধ্যেই যাওয়ার কথা। মাঝে অসুস্থ হওয়ায় যাওয়া হয়নি। ওকে দিয়ে পাকিস্তানীদের খবরাখবর সংগ্রহ করার কথা ছিল। এর মধ্যেই ওকে ধরে আনে। ফয়সাল দোভাষির কাজ করে যেতে লাগলো। যাদের ধরে এনে ক্যাম্পে নির্যাতন করা হতো তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। এটা ছিল ফয়সালের জন্য জঘণ্য মানসিক নির্যাতন। একটা কাটারি মতো ধারালো অস্ত্র নিয়ে একজন দাড়িয়ে থাকতো। মেজরের ইশারা পেলেই একটা লোহার বাক্সে হাত ঢুকিয়ে এক কোপে কেটে ফেলা হতো। সেই সময় বন্দী যে তীব্র গগন বিদারী চিৎকার দিতো সেই চিৎকার দিন-রাত ফয়সালের কানে বাজতো। ওর ধারণা ওকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্যই এটা করতো। ওর সামনেই গ্রাম থেকে মেয়েদের এনে নির্যাতন করা হতো। ফয়সালের কিছুই করার ছিল না। গোপনে পালানোর সুযোগ খুঁজছিল। সেদিন রাতে ফয়সালকে ডেকে পাঠালো মেজর।

’হ্যালো ইয়ং ম্যান। হাউ আর ইউ?’
ফয়সাল কিছু না বলে চুপ করে থাকলো।
’তুমি শুধু প্রতিদিন মেয়েদের সাথে আমি কি করি সেটা দ্যাখো। আজ নিজেও আমার সাথে থাকতে হবে। তুমি স্বেচ্ছায় থাকবে না জানি। কিন্তু তোমাকে থাকতে হবে। কিছু না করো দেখবে। বসে বসে দেখবে। মজা পাবে। আর না হলে কি হবে সেটাও জানো। তোমার হাতের আঙুলগুলো নিশ্চয়ই হারাতে চাও না। ফয়সাল চুপ করে থাকে। ও বোঝার চেষ্টা করছে ঠিক কি ঘটতে যাচ্ছে। খারাপ কিছু যে ঘটছে সেটা বুঝতে পারছে কিন্তু সেটা কি সেটা বুঝতে পারছে না। কিন্তু কতটা খারাপ তা বুঝতে পারলো একটু পরে। ওরা ফয়সালের বোন অরুকে ধরে এনেছে। অরুকে চেনা যাচ্ছে না। মনে হয় মারধর করেছে। ভালোভাবে তাকাতেও পারছে না। মুখ ফুলে আছে। ফয়সালের দিকে তাকাতেই চমকে ওঠে। তারপর মুখ নামিযে নেয়। ডুকরে কেঁদে ওঠে। সেই কান্নার শব্দ বের হয় না। ফয়সালের মুখের অবস্থা দেখেই মেজর বলে উঠলো, আমি জানি তুমি কি ভাবছো? কিন্তু তুমি কিছুই করতে পারবে না। আমি তোমাকে দোভাষির কাজ ছাড়াও একটা দায়িত্ব দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি তা পালন করোনি। বলতে পারো তার শাস্তিস্বরুপ তোমার বোনকে এখানে আনা হয়েছে। এতদিন যাদের রেপ করেছি তাদের আর কেউ পাশে ছিল না। আমি দেখতে চাইছি যদি তারা সামনে থাকে তখন কি অনুভূতি হয়। বলেই মেজর হাসতে থাকে। তখন তাকে হায়েনার মতো দেখায়। ফয়সাল একদলা থু থু ফেলে। থু থু ফেলে লাভ নেই মিষ্টার ফয়সাল। তার আগে আমরা একসাথে ড্রিংকস করবো। সেই মদের গ্লাস সার্ভ করবে তুমি। আপত্তি আছে? ফয়সাল আপত্তি করে না। আপত্তি করার সুযোগও নেই। ফয়সাল মদের গ্লাস আনতে চলে যায়। এটাই সুযোগ অরুকে বাঁচানোর। তারপর মেজরের সাথে ড্রিংকস করতে বসে। মদ খাওয়া শেষে শেষ হলে দু’জন সৈনিককে ফয়সালকে চেয়ারে বেঁধে ফেলতে নির্দেশ দেয় মেজর। ওরা ফয়সালকে বেঁধে দেয়। অরুকে ছেড়ে ওরা বাইরে বেরিয়ে যায়। মেজর অরুর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।

’মেজর শওকত?’
ফয়সালের ডাকে চমকে ওঠে মেজর। ঘুরে তাকায়। ফয়সাল হাসতে থাকে। মেজর অবাক চোখে ফয়সালের দিকে তাকিয়ে থাকে।
’শোনো মেজর। তুমি চাইলেও আমার বোনের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। শুধু অরুর না, তুমি কোনোদিন কোনো মেয়েকেই ছুঁতে পারবে না। কারণ একটু আগে তোমাদের জন্য যে মদের গ্লাস এনেছিলাম তার ভেতর বিষ মেশানো ছিল। আমাকে ধরে আনার দিনই আমি সাথে এনেছিলাম তোমাকে খাওয়াবো বলে। কিন্তু এতদিন সুযোগ পাইনি। আজ যখন আমার হাতে মদ খেতে চাইলে তখনই সেটা কাজে লাগিয়েছি। একেবারে মোক্ষম সময়! কি বলো? বাইরে সবাই ইতিমধ্যেই বিষের যন্ত্রণায় ছটফট করার কথা। মেজর কিছু একটা বলতে গিয়ে টেবিলের ওপর পরে যায়।’
বাইরে তখন রাত নেমেছে। কিন্তু ওদের পথ চলতে অসুবিধা হয় না। কারণ বাইরে আজ আকাশ ভেঙে জোৎস্না নেমেছে। চিত্রার পাড় দিয়ে দু’জন হেঁটে চলেছে। সেই জোৎস্নায় সমুদ্র ভেঙে দুই ভাইবোন বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়।

শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক, পাবনা

 

ডিএসএস/

 





Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’