সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চিত্রাপাড়ের জোৎস্নায়

ফয়সালকে আজ সকালেই ধরে আনা হয়েছে। মেজর শওকতের রুমে এনে রাখা হয়েছে। মেজর শওকত তখন ঘুম থেকে নাস্তা করছিলেন। কয়েকজন সেনা তাকে মেজরের সামনে নিয়ে দাড় করায়। মেজর শওকত তার দিকে একবার তাকান। তারপর আবার খাওয়ায় মনোযোগ দেন। খাওয়া শেষ করে তিনি ফয়সালের দিকে তাকান। যদিও তিনি বাংলা মোটামুটি জানেন, ফয়সালে সাথে মেজর শওকতের কথাবার্তা হলো ইংরেজিতে।
’তোমার নাম?’
’ফয়সাল।’
’শুধু ফয়সাল? পদবী-টদবী কিছু নেই?’
’যুদ্ধ শুরুর আগে মনে ছিল। এখন সেটা বলার প্রয়োজন মনে করছি না।’
’কেন?’
’জানিনা।’
’মিলিটারী দেখে ভয় পেয়েছো?”
একথা বলেই মেজর শওকত হাসতে থাকেন। ’তোমাদের বাঙালিদের বিচি খুব ছোট হয়। অল্পতেই ভয় পাও। প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে। এই যে তুমি আমার সামনে দাড়িয়ে আছো, তোমার পা ভয়ে কাঁপছে। দ্যাখো, প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলো না। তোমাকে কিছু করবো না। তোমাকে মারার জন্য আনা হয়নি। অন্তত যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবো এ গ্যারান্টি দিচ্ছি। মেজর শওকত যা বলে তা থেকে নড়চড় হয় না। তাছাড়া তোমার ইয়ে পরিস্কার করার মতো কেউ নেই এখানে।’ বলেই আবার জোরে জোরে হাসতে থাকেন মেজর শওকত।
’তুমি জানো তোমাকে কেন আনা হয়েছে?’
’না।’
তুমি আমার দোভাষীর কাজ করবে। যাদের ধরে আনা হবে তাদের কথা বুঝিয়ে বলবে। মাসে মোটা বেতন পাবে। খাওয়া দাওয়া পাবে। আরও একটা কাজ করতে হবে মাঝে মধ্যে। আমাকে একটা করে ফ্রেশ মেয়ে দিতে হবে প্রতি রাতের জন্য। এর জন্য আলাদা বকশিশ পাবে। আমার পরে চাইলে তুমিও ওর সাথে কাটাতে পারো। আদারওয়াইজ তুমি এখন আমাদেরই লোক। দালালরা যাদের ধরে আনছে তারা ফ্রেশ না। অনেকে তো পাগল টাগলও সাপ্লাই দিচ্ছে। আমি অত খারাপ রুচির মানুষ না। আমার আরও ফ্রেশ দরকার। আমি নিজেও খুব ফ্রেশ মানুষ। আমার সাথে থাকলেই বুঝতে পারবে।’

’এখন বলো তুমি রাজী? যদিও এ প্রশ্ন তোমাকে করা অর্থহীন। কারণ তুমি রাজী না হলেও কাজ করতেই হবে। তোমার পরিবার আমাদের বন্দুকের নলের সামনে দাড়িয়ে। কোনো রকম গাঁইগুই করবে না।’
’আমি দোভাষীর কাজ করতে রাজী। কিন্তু ঐ মেয়ের ব্যাপার থেকে বাদ দিতে হবে।’

আচ্ছা এখন যাও। পরে দেখা যাবে। ফয়সাল মেজরের সামনে থেকে বেরিয়ে আসে। তাকে অন্য একটি রুমে নেওয়া হয়। এখানেই তার থাকার জায়গা করা হয়েছে। এটা একটা স্কুল ঘর। তাকে যে রুমে রাখা হয়েছে সেটি ক্লাস নাইনের বিজ্ঞান বিভাগের রুম। ফয়সাল এই ক্লাসেই ক্লাস করেছে। ফয়সালের গ্রামের নাম চিত্রাপুর। গ্রামের পাশ দিয়ে চিত্রা নদী বয়ে গেছে। নদীর নাম থেকেই গ্রামের নাম। ফয়সালের বাড়ি চিত্রা নদীর পাড়ে। এই স্কুলের নাম চিত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলের হেডমাষ্টার সাধু নারায়ণ বাবুকে গ্রামের ঢোকার দিনই স্কুলেই গুলি করে মেরেছে। সেই সাথে স্কুলের হেডপন্ডিতকেও মেরেছে। ছাত্রছাত্রী ছিল না অনেক আগে থেকেই। কয়েকজন পুরাতন শিক্ষক আবেগ প্রবণ হয়ে স্কুলে এসে সময় কাটাতেন। হেডমাষ্টারের এ বছরই অবসর নেওয়ার কথা ছিল। অনেকেই বলেছিল ওপার চলে যেতে। হেডমাষ্টার সাহবের এক কথা, নিজের দেশ রেখে সে কোথাও যাবে না। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই রুমের সাথে। ওর ঘনিষ্ট বন্ধু মিজান,শহীদ,শাবু আর হিরেনের মধ্যে কেবল মিজান এখনো গ্রামেই আছে। বাকিরা মুক্তিযুদ্ধে গেছে। ফয়সালেরও কিছুদিনের মধ্যেই যাওয়ার কথা। মাঝে অসুস্থ হওয়ায় যাওয়া হয়নি। ওকে দিয়ে পাকিস্তানীদের খবরাখবর সংগ্রহ করার কথা ছিল। এর মধ্যেই ওকে ধরে আনে। ফয়সাল দোভাষির কাজ করে যেতে লাগলো। যাদের ধরে এনে ক্যাম্পে নির্যাতন করা হতো তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। এটা ছিল ফয়সালের জন্য জঘণ্য মানসিক নির্যাতন। একটা কাটারি মতো ধারালো অস্ত্র নিয়ে একজন দাড়িয়ে থাকতো। মেজরের ইশারা পেলেই একটা লোহার বাক্সে হাত ঢুকিয়ে এক কোপে কেটে ফেলা হতো। সেই সময় বন্দী যে তীব্র গগন বিদারী চিৎকার দিতো সেই চিৎকার দিন-রাত ফয়সালের কানে বাজতো। ওর ধারণা ওকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্যই এটা করতো। ওর সামনেই গ্রাম থেকে মেয়েদের এনে নির্যাতন করা হতো। ফয়সালের কিছুই করার ছিল না। গোপনে পালানোর সুযোগ খুঁজছিল। সেদিন রাতে ফয়সালকে ডেকে পাঠালো মেজর।

’হ্যালো ইয়ং ম্যান। হাউ আর ইউ?’
ফয়সাল কিছু না বলে চুপ করে থাকলো।
’তুমি শুধু প্রতিদিন মেয়েদের সাথে আমি কি করি সেটা দ্যাখো। আজ নিজেও আমার সাথে থাকতে হবে। তুমি স্বেচ্ছায় থাকবে না জানি। কিন্তু তোমাকে থাকতে হবে। কিছু না করো দেখবে। বসে বসে দেখবে। মজা পাবে। আর না হলে কি হবে সেটাও জানো। তোমার হাতের আঙুলগুলো নিশ্চয়ই হারাতে চাও না। ফয়সাল চুপ করে থাকে। ও বোঝার চেষ্টা করছে ঠিক কি ঘটতে যাচ্ছে। খারাপ কিছু যে ঘটছে সেটা বুঝতে পারছে কিন্তু সেটা কি সেটা বুঝতে পারছে না। কিন্তু কতটা খারাপ তা বুঝতে পারলো একটু পরে। ওরা ফয়সালের বোন অরুকে ধরে এনেছে। অরুকে চেনা যাচ্ছে না। মনে হয় মারধর করেছে। ভালোভাবে তাকাতেও পারছে না। মুখ ফুলে আছে। ফয়সালের দিকে তাকাতেই চমকে ওঠে। তারপর মুখ নামিযে নেয়। ডুকরে কেঁদে ওঠে। সেই কান্নার শব্দ বের হয় না। ফয়সালের মুখের অবস্থা দেখেই মেজর বলে উঠলো, আমি জানি তুমি কি ভাবছো? কিন্তু তুমি কিছুই করতে পারবে না। আমি তোমাকে দোভাষির কাজ ছাড়াও একটা দায়িত্ব দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি তা পালন করোনি। বলতে পারো তার শাস্তিস্বরুপ তোমার বোনকে এখানে আনা হয়েছে। এতদিন যাদের রেপ করেছি তাদের আর কেউ পাশে ছিল না। আমি দেখতে চাইছি যদি তারা সামনে থাকে তখন কি অনুভূতি হয়। বলেই মেজর হাসতে থাকে। তখন তাকে হায়েনার মতো দেখায়। ফয়সাল একদলা থু থু ফেলে। থু থু ফেলে লাভ নেই মিষ্টার ফয়সাল। তার আগে আমরা একসাথে ড্রিংকস করবো। সেই মদের গ্লাস সার্ভ করবে তুমি। আপত্তি আছে? ফয়সাল আপত্তি করে না। আপত্তি করার সুযোগও নেই। ফয়সাল মদের গ্লাস আনতে চলে যায়। এটাই সুযোগ অরুকে বাঁচানোর। তারপর মেজরের সাথে ড্রিংকস করতে বসে। মদ খাওয়া শেষে শেষ হলে দু’জন সৈনিককে ফয়সালকে চেয়ারে বেঁধে ফেলতে নির্দেশ দেয় মেজর। ওরা ফয়সালকে বেঁধে দেয়। অরুকে ছেড়ে ওরা বাইরে বেরিয়ে যায়। মেজর অরুর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।

’মেজর শওকত?’
ফয়সালের ডাকে চমকে ওঠে মেজর। ঘুরে তাকায়। ফয়সাল হাসতে থাকে। মেজর অবাক চোখে ফয়সালের দিকে তাকিয়ে থাকে।
’শোনো মেজর। তুমি চাইলেও আমার বোনের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। শুধু অরুর না, তুমি কোনোদিন কোনো মেয়েকেই ছুঁতে পারবে না। কারণ একটু আগে তোমাদের জন্য যে মদের গ্লাস এনেছিলাম তার ভেতর বিষ মেশানো ছিল। আমাকে ধরে আনার দিনই আমি সাথে এনেছিলাম তোমাকে খাওয়াবো বলে। কিন্তু এতদিন সুযোগ পাইনি। আজ যখন আমার হাতে মদ খেতে চাইলে তখনই সেটা কাজে লাগিয়েছি। একেবারে মোক্ষম সময়! কি বলো? বাইরে সবাই ইতিমধ্যেই বিষের যন্ত্রণায় ছটফট করার কথা। মেজর কিছু একটা বলতে গিয়ে টেবিলের ওপর পরে যায়।’
বাইরে তখন রাত নেমেছে। কিন্তু ওদের পথ চলতে অসুবিধা হয় না। কারণ বাইরে আজ আকাশ ভেঙে জোৎস্না নেমেছে। চিত্রার পাড় দিয়ে দু’জন হেঁটে চলেছে। সেই জোৎস্নায় সমুদ্র ভেঙে দুই ভাইবোন বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়।

শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক, পাবনা

 

ডিএসএস/

 





Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা