বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দৃষ্টিনন্দন কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া শাহী ও পাটিকাবাড়ী শাহী মসজিদ

ঐতিহ্যবাহী ‘ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ’ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া বাজারের উত্তরে পুরাতন মুসলমান জমিদার শাহ্ সুফি আদারী মিয়া’র চৌধুরী বাড়িতে অবস্থিত। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের লক্ষীপুর বাসষ্টপ থেকে ১৫ কিলোমিটার বা বিত্তিপাড়া থেকে ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে দৃষ্টিনন্দন এই শাহী মসজিদটি অবস্থিত। এই মসজিদে কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি, সে কারণে এর সঠিক নির্মাণকাল সম্পর্কে জানা যায় না।

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ তিন গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনাবিশিষ্ট। গম্বুজের মধ্যে মেহরাবে, মসজিদের ভেতরের দেয়ালে শিউলী, গাঁদা, পদ্ম প্রভৃতি ফুল, ফুলের সাজি বা ফুলদানি, লতাপাতা দ্বারা অঙ্কিত। ফুলদানিগুলোর আকার ইরানি ফুলদানির আকৃতি বিশিষ্ট। চিত্রগুলির জ্যামিতিক ত্রিকোণ অঙ্কনে মুঘল স্থাপত্যকলার সঙ্গে বাঙালি স্থাপত্যকলার অপূর্ব সমাবেশ ঘটেছে। উত্তর-দক্ষিণে পরিমিতি ৪৬.৮ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১৫ ফুট।

মসজিদে নামাজের জন্য দুই কাতারে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন এবং মসজিদঘরের পশ্চিম দেওয়ালে তিনটি মেহরাব রয়েছে যাদের রূপ-নকশা তিন রকম। মেহরাব তিনটির মধ্যে মাঝখানের কেন্দ্রীয় মেহরাব কিছুটা বড় আকৃতির যার মাপ উচ্চতায় ৮ দশমিক ২১ ফুট এবং প্রশস্তে ৪ দশমিক ৬৭ ফুট। মসজিদের উত্তর-দক্ষিণে বড় জানালা আকৃতির আদলে ভেন্টিলেশন প্রাচীর রয়েছে যা মসজিদের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক বলে গবেষকরা মনে করেন এবং এরূপ আকৃতি ‘খিলান করা জানালা’ নামেও পরিচিত।

মসজিদের চার কোণায় চারটি বড় মিনার রয়েছে। সম্মুখের প্রশস্ত চত্বরের বেষ্টনীর দুই প্রান্তে এবং প্রবেশ পথের দুই দিকেও মিনার আছে। ক্ষুদ্রাকৃতির টালি, ইট ও চুন-সুরকির গাঁথুনি এবং দেওয়ালের বেড় ৩ ফুট। পশ্চিম ও পূর্ব দেয়ালের পুরুত্ব ৩ দশমিক ১০ ফুট এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের ৩ দশমিক ৩৩ ফুট। পূর্ব-পশ্চিমে উলম্বভাবে স্থাপিত দু’টি খিলানের ওপরে তিনটি গম্বুজের সাহায্যে মসজিদঘরের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদের পূর্ব দেওয়ালে সম্মুখে তিনটি দরজা রয়েছে। কেন্দ্রীয় বা মধ্যবর্তী প্রবেশদ্বারটি, পাশ্ববর্তী দরজা দুটি অপেক্ষা কিছুটা উঁচু, এটির উচ্চতা ৬ দশমিক ৩৩ ফুট এবং প্রশস্ত ৩ দশমিক ৪২ ফুট।

মূল মসজিদ ঘরের পূর্বদিকে আয়তকার ‘সাহন’ রয়েছে। এর পরিমিতি পূর্ব-পশ্চিমে ৫৪ দশমিক ৪২ ফুট এবং উত্তর-দক্ষিণে ৫২ দশমিক ২ ফুট। উঁচু প্রবেশদ্বারের মূল ফটক এবং এর দুই পার্শ্বে কোণায় গম্বুজসহ মধ্যম গোলাকৃতি দুটি মিনার রয়েছে যা পুরো মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। লোকচক্ষুর অন্তরালে একটি নিভৃত পল্লীতে মুঘল আমলে (শাসনকাল ১৫২৬-১৮৫৭) নির্মিত এই মসজিদটি কুষ্টিয়া তথা বাংলাদেশের একটি মূল্যবান স্থাপত্যশৈলী। ঝাউদিয়ার এই মসজিদটির ভিতরে মুঘল শিল্পকলার অপূর্ব নিদর্শন ও কারুকার্যে শোভিত রয়েছে- যা বাংলাদেশের মসজিদ স্থাপত্যশিল্পের নান্দনিক শিল্পের উদাহরণ। অনেক স্থানেই এমন অপূর্ব কারুকার্য শোভিত মসজিদ খুব কমই দেখা যায়। মুঘল আমলে নির্মিত মসজিদগুলির মধ্যে বাংলাদেশে যে কয়েকটি সৌন্দর্যে চমৎকার তার মধ্যে ঢাকার তারা মসজিদটির সঙ্গে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের তুলনা করা যায়। জমিদারের বংশীয় উত্তরসূরি হাসান আলী চৌধুরী তৎকালীন চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৯৬২ সালে মসজিদের বারান্দার উপর সুপ্রশস্ত ছাদ নির্মাণ করেন। কিন্তু মসজিদের পুরাকীর্তির মৌলিক সৌন্দর্য রক্ষার জন্যে প্রত্নতত্ত বিভাগ ১৯৭৯ সালে ছাদটি ভেঙে আগের অবস্থায় নিয়ে আসে। ১৯৮০ সালের দিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত বিভাগ এই ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং এখানে একজন কর্মচারী নিযুক্ত করে। প্রতি শুক্রবার এই মসজিদে জুম্মার নামায আদায় হয় এবং মান্নাত-সদ্কা-দান এসবের প্রাণি সম্প্রদানসহ নানা উদ্দেশে টাকা-পয়সা-সমমূল্যের উপঢৌকন দেবার জন্য প্রচুর সংখ্যক মুসলমানসহ অন্য ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। এ ছাড়া, এখানে শুক্রবার আরও শিরনি দেওয়ার জন্য শত শত লোকের আগমন ঘটে। পর্যটন মৌসুমে নানা শ্রেণির পর্যটকের সমাগমে মুখরিত হয়ে থাকে মসজিদের সম্মুখের প্রশস্ত বারান্দা ও চত্বর।

সুফি আদারী চৌধুরী মুঘল সম্রাট শাহজাহানের (শাসনকাল ১৫৯২-১৬৬৬) রাজত্বকালে ও তৎপরবর্তী এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। মসজিদের অনতিদূরেই রয়েছে তার মাজার। তিনি মুঘলদের দানকৃত লাখেরাজ সম্পত্তির জমিদারি ভোগ করতেন। এলাকায় তিনি একজন বিশিষ্ট ইসলাম প্রচারক ও কামেল পীর নামেও পরিচিত। যার কারণে মুঘল বাদশাহ’র সন্তুষ্টি লাভে সমর্থ হন এবং বাদশার আর্থিক আনুকূল্য ও কারিগরি সহায়তায় তিনি এই অপূর্ব নিদর্শণ নির্মাণ করতে সফল হন। মসজিদ নির্মাণের সম্পূর্ণ জমি-জায়গা ও মাজার চত্বর পীর সাহেবের নিজস্ব মালিকানার ভূমি বলে স্বীকৃত আছে। কুষ্টিয়া অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি বিষয়ে কুমুদনাথ মল্লিক লিখিত (শ্রীমোহিত রায় সম্পাদিত) ‘নদীয়া-কাহিনিতে এই মসজিদের নির্মাণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: ‘মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শাহ সুফি সৈয়দ আহাম্মদ আলী বা সুফি আদারী মিয়া চৌধুরী। তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের দানভাজন ছিলেন। মসজিদের পাশেই তার মাজার। তিনি কামেল ফকির রূপে খ্যাত হন।’ চৌধুরী পরিবার থেকেও জানা যায়, মসজিদটি অষ্টাদশ শতকে নির্মিত হয়েছে। তিনি সুদূর ইরাক হতে ভারত, ভারত থেকে ঝাউদিয়া এসে ইসলাম প্রচার শুরু করেন এবং মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি এ অঞ্চলে একজন প্রজা দরদি জমিদার ও দরবেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তার পিতা শাহ আজিজুর রহমান দিল্লীর বাদশাহের নিকট থেকে কিছু ভূ-সম্পত্তি লাভ করেন বলেও জানা যায়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম প্রান্তে হালসা রেল স্টেশনের দক্ষিণে নিকটবর্তী পাটিকাবাড়ী গ্রামে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি প্রাচীন ‘পাটিকাবাড়ী শাহী মসজিদ’ ছিল যা বিলুপ্ত হয়ে এখন ‘পাটিকাবাড়ী খামারপাড়া জামে মসজিদ’ নামে পরিচিত। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে (১৬৫৮-১৭০৭) ঝাউদিয়ার শাহ সুফি সৈয়দ আহাম্মেদ আলী (আদারী মিয়া চৌধুরী) তার কাছারি সংলগ্ন চৌধুরী বাড়িতে মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন এই ক্ষুদ্র মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ইতিহাসের পাতা থেকে খুব সামান্যই এই মসজিদটি সম্পর্কে জানা যায়, মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩৩ ফুট এবং প্রস্থ ১৩ ফুট। মসজিদের উপরে সমান তিনটি গম্বুজ, চার কোণায় চারটি এবং মাঝের দরজার দুই পার্শ্বে দুটি পিলারের উপরে দুটি ছোট মিনার ছিলো। ছোট ছোট টেরাকোটার রূপ-নকশা সম্বলিত ইট, চুন ও সুরকির গাঁথুনি এর দেওয়ালের বেড় ৩ ফুট। মসজিদটিতে দুই কাতারে ১৬ জন নামাজ আদায় করতে পারতেন। মসজিদটির ভেতরে এবং বাইরের দেওয়ালে লতাপাতা, ফুল অঙ্কিত ছিল; যা অযত্ন অবহেলায় বিনষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে এই প্রাচীন মুঘল শিল্পকলার নিদর্শনটি পড়ে ছিল। ঝাউদিয়ার চৌধুরীদের তৈরি এই মসজিদটিরও পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে দুটি দরজা ছিল; তবে পশ্চিমেও একটি দরজা ছিল কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের মতো এত সুন্দর না হলেও এর প্রাচীনত্ব সমসাময়িক। কিন্তু ভগ্নদশা সহজেই চোখে পড়লে ১৯১৫ সালে আকবর আলী চৌধুরী মসজিদটি সংস্কার করেছিলেন বলে জানা যায়। মসজিদের পাশেই চৌধুরীদের খননকৃত পুকুর রয়েছে।

মসজিদের সম্মুখে দুই খণ্ড বড় আকারের কালো পাথর ছিল-যা এলাকাবাসী পবিত্র মনে করত। বড় আক্ষেপ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, এখানে মসজিদের প্রাচীন ঐতিহ্য স্থাপনা ভেঙে শেষ স্মৃতি ও পবিত্রতার নিদর্শনস্বরূপ দুইখানা দূর্লভ কালোপাথরের একখানা কিছুদিন আগেও ছিল বর্তমানে এখন আর নেই! পাথর দুটি চুরি হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি আছে। নির্বোধের মতো ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠাতার নাম নিশানা সবকিছু। দাপটে ভূস্বামীদের কাছে ইতিহাস ঐতিহ্যের নির্মম পরাজয়! আরও পরিতাপের বিষয় এলাকার যে কয়েকজন শিক্ষিত মুরুব্বি ও যুব সম্প্রদায় ছিলেন, তারা কেউই ইসলামী মহান ঐত্যিহ্যের গুরুত্ব অনুধাবন করেননি, বাধাও দেননি! গবেষক মনে করেন, এই টেরাকোটা সজ্জিত মসজিদটি অবশ্যই সংরক্ষণ করা যেত, কারণ একই চৌধুরী জমিদারের হাতে তৈরি ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ যদি সংরক্ষণ করা যায় তবে এটাও সম্ভব ছিল।

ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন: ইতিহাস গবেষক

 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া