শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরেজমিন ঢাকা মেডিকেল

‘রোগীর আগে ওয়ার্ডে দায়িত্বরতদের চিকিৎসা জরুরি’

‘রোগীদের চিকিৎসার আগে ওয়ার্ডের দায়িত্বরতদের জরুরি চিকিৎসা দরকার। তারা লোভী ও অসৎ মানসিকতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। না হলে মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে কখনোই তারা বাণিজ্য করতে পারতেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি, ওই ব্যবস্থাপকদের আগে চিকিৎসা দেন। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। রোগীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ওয়ার্ডে থেকে চিকিৎসা নিতে পারবে।’

এই বক্তব্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে সেবা নিতে আসা একজন রোগীর স্বজনের। নামপ্রকাশ না করার শর্তে তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলছিলেন, এখন আপনি রিপোর্টে আমার নাম লিখলে আমার রোগীকে বের করে দেবে।

অথচ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের চিকিৎসার সবচেয়ে বড় ভরসাস্থল। কিন্তু এই হাসপাতালের অনিয়ম, ভোগান্তি ও স্বেচ্ছাচারিতার শেষ নেই। ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা কিছু অসাধু কর্মচারী ও বহিরাগতরা রোগীদের নিয়ে বাণিজ্য করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঢামেকের নিউরোসার্জারি বিভাগে রোগীদের চাপ সবসময় বেশি। সারাদেশ থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন এখানে। এই বিভাগে বিছানার চেয়ে রোগীর সংখ্যা তিনগুন বেশি। পাঁচটি ইউনিট নিয়ে গঠিত বিভাগটি নিয়ন্ত্রণ করেন পাঁচজন অধ্যাপক। একটু ভাল চিকিৎসার জন্য দূরদূরান্ত থেকে এই হাসপাতালে এসে চিকিৎসার নামে ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নিউরোসার্জারি ১০০, ১০৩, ২০০, ২০১ ও ২০৪ নম্বর ওয়ার্ড নিউরোসার্জারি শিশু-মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাত্রাতিরিক্ত রোগী। কোথাও জায়গা নেই। বেড, বারান্দা, মেঝে সব জায়গায়ই রোগীতে ঠাসা। মেঝেতে থাকা রোগীদের কারণে ওয়ার্ডে হাঁটাচলার উপায় নেই। নিয়ম শৃঙ্খলারও কোনো বালাই নেই।

সরেজমিন দেখা যায়, বয়স্ক মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন লাগিয়ে ফ্লোরে রাখা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডগুলোতে রোগীতে গিজগিজ করছে। সেখানে দায়িত্বরত নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যরা ডিউটি করলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পেতে নিচতলায় যেতে হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ ইউনিটের রোগী ভর্তি থাকে। একেকটা ইউনিটের চিকিৎসক আলাদা। চিকিৎসক খুঁজতেই রোগীর স্বজনদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। খোঁজাখুঁজির পর চিকিৎসকের দেখা পেলেও রোগীর কাছে নিয়ে যাওয়া যায় না। আসছি বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাদের দেখা মেলে না।

ওয়ার্ডগুলোতে কয়েকজন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ওয়ার্ডে সমস্যার শেষ নেই। একজন বলেন, ‘সমস্যার কথা বলব, আপনি নাম লিখে দেবেন। তারা কালকে আমাকে ওয়ার্ড থেকে রোগীসহ বের করে দেবে।’

অপর এক রোগীর স্বজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘এই সব ওয়ার্ডে টাকা না দিলে কোনো কাজ হয় না। বিছানা পেতে গেলে টাকা, ওয়ার্ডের ভেতর ফ্লোরে জায়গা পেতে হলে টাকা, ক্যাথেটার লাগাতে গেলে টাকা। স্যালাইন বন্ধ ও চালু করার কাজেও টাকা লাগে! টাকা দিলে ওয়ার্ডের ডিউটিতে থাকা লোকজন সুন্দরভাবে কাজ করেন। আর যদি টাকা না দেই, তাহলে রোগীর ১২টা বেজে যায়। সকালের কাজ করবে রাতে, আবার রাতের কাজ করবে পরের দিন বিকেলে। তাও আবার অমানুষিক আচরণ করে। তারা শুরুতেই আচরণ খারাপ করে বুঝিয়ে দেয় যে, আমাকে টাকা দাও, ভালো ব্যবহারের পাশাপাশি সেবাও পাবে ভালো।

তিনি আরও জানান, এখানে রোগীর অবস্থা আপনারা দেখছেন। লোকজন তার রোগী একটু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার জন্য একটা সিটের চেষ্টা করবেই। রোগীর স্বজনদের এই সরলতার সুযোগ নিয়েই ওয়ার্ডে থাকা কিছু অসৎ কর্মচারী ও বহিরাগত লোকজন বাণিজ্য করে। কোনো রোগীর আগে ছুটি হবে, সেটা ওয়ার্ডের লোকজনই জানে। সে কারণে রোগীর স্বজনরা অগ্রিম তাদের হাতে টাকা দেয়। যে টাকা বেশি দেয় তাকে সিট দেওয়া হয়।

রোগীর স্বজন আরও বলেন, ওয়ার্ডের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা লোকজনের কারণেই আজকে রোগীরা অসহায়। রোগীর আগে এই লোকজনদের জরুরি চিকিৎসা দরকার। এরা লোভী ও অসৎ মানসিকতার মানুষ। তা না হলে রোগীদের নিয়ে বাণিজ্য করতেন না।

নিউরোসার্জারির বিভাগের মাস্টার আবুল হোসেন এক বাক্যে এ সব অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে রোগীদের বিছানা পাইয়ে দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ আগের তুলনায় অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা সব সময় মনিটরিং করে থাকি। এ ছাড়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন বহু রোগী ভর্তি হয়। এ জন্য ওয়ার্ডগুলোতে প্রতিদিনই রোগীর ব্যাপক চাপ থাকে।

অপরদিকে, নিউরোসার্জারির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিত চন্দ্র সরকার জানান, ওয়ার্ডে ৫ ইউনিটের তত্ত্বাবধানে রোগী ভর্তি হয়। সেখানে প্রতিদিনই রোগী ভর্তি হয়। এ জন্য সব সময়ই রোগীর চাপ বেশি থাকে। ওয়ার্ডে কিছু অসাধু ব্যক্তি রোগীকে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকে, বিষয়টি সত্য।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি রোগীকে ট্রলিতে করে হাসপাতালের অন্য কোথাও পরীক্ষার জন্য নিয়ে যেতেও টাকা দিতে হয়। রোগী বা তাদের স্বজনরা এজন্য টাকা না দিলে তারা কাজ করতে চায় না। এক কথায় তারা রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ চেষ্টা করছে এ সব অনিয়ম বন্ধ করার।

ডা. অসিত চন্দ্র বলেন, নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে মোট বেড সংখ্যা সাড়ে ৪০০। কিন্তু রোগী আছে ১২০০ থেকে ২৩০০। তার জন্য অনেক রোগীকে ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমরা রোগীদের চিকিৎসা করে যাচ্ছি। রোগীরা যদি কষ্ট করে থাকে তা হলে চিকিৎসা পাবে।

এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, এরকম অভিযোগ আমাদের কানেও আসে। কিন্তু কোনো প্রমাণ নেই। আমরা কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রমাণসহ কেউ অভিযোগ দিলে, তার পরিচয় গোপন রেখে ওয়ার্ডে থাকা ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশনে যেতাম। তবুও আমরা সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি হাসপাতালে রোগীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা পায়।

আএইচ/এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত