বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফুটপাতে জুতা বিক্রেতা, শিশুদের ফ্রি ফুটবল কোচ

অখিলেশ পালের গল্প নিয়ে সিনেমা হতে চলেছে। বখে গিয়ে আবার ফিরে এসেছেন তুমুল সংগ্রামে। গৃহহীনদের বিশ্বকাপে, ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সত্যি কাহিনীটি লিখেছেন ওমর শাহেদ

এক সময় স্থানীয় অপরাধীদের দলপতি ছিলেন-তাকে ‘ডন’ বলা হতো। তার বিপক্ষে ৪৫টি মামলা ছিল। পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল সাজা দেবার জন্য, আইনের মুখোমুখি করতে। এখন তিনি পুরোপুরি ভিন্ন একজন মানুষ। বস্তিগুলোতে বাস করা শিশুদের ফুটবল খেলা শেখান, অপরাধপ্রবণ বিপদজনক এলাকাগুলোতেও তার সেই কাজ চলে। মোটে আট বছর বয়সে বস্তির এই শিশুটি বাজে অভ্যাস যেমন সিগারেট খাওয়া ও জুয়া খেলা শিখে নেন। বাবা ছিলেন একজন পিয়ন, চাকরি করতেন ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুর শহরের নাগপুর সরকারী হাসপাতালটিতে। মা একজন গৃহবধু ছিলেন। দুটি বড় বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। পুরোপুরি কঠিন একটি জীবন ছিল সেই বয়সের ছেলেটির নাগপুরের আজানি বস্তিতে। ছোট শিশুটি বাজে নেশা ও জীবনের ফাঁদে পড়ে অবাক হয়ে চেয়ে থাকতো, বস্তির ওই ছেলেগুলো এসব উপভোগ করতে কীভাবে টাকা যোগাড় করছে। তার কৌতুহলই তাকে তাদের বন্ধু বানালো। ছয় ক্লাসের পর লেখাপড়া ছেড়ে দিলো অখিলেশ পাল। কুখ্যাত ছেলেদের দলটিতে যোগ দিল সে।

আস্তে, আস্তে অনুভব করলো এবং দেখলো, এই ছেলেগুলো বাজে কাজ করতে ডাকাতিসহ নানা ধরণের সামাজিক অন্যায়েও যুক্ত হয়ে গিয়েছে। তারা এভাবে সহজে টাকা কামাচ্ছে ও তাদের ভাষায় উপভোগ করছে তার চোখে পড়লো। অন্যদিকে সে দেখলো, তার বাবা সারাদিন-রাত খেটেও পরিবারের খাবারের চাহিদা মেটাতে পারছেন না। অন্যসব টিনএজার বা কিশোরের মতোই সহজে টাকা কামানোর দিকে আগ্রহী হয়ে পড়লো, ঝুঁকে গেল অখিলেশ। সে কাজ করতে শুরু করলো আবাসন অধিপতি ও রাজনীতিবিদদের হয়ে; তাদের সে মানুষকে ভয় দেখানো এমনকি আঘাত করতেও সাহায্য করতো। এরপর তার জীবনে এলেন ভিজয় বার্সে। মনে পড়ে অখিলেশের-‘আমাদের কাছে তিনি ছিলেন একজন পুলিশের মতো। ফলে যখন তিনি আমাকে ও আমার বন্ধুদের ডাকলেন; তাদের মধ্যে যারা রাস্তার পুরোটা জুড়ে সিগারেট খাচ্ছিল ও জুয়া খেলছিল; আমাদের মধ্যে সন্দেহ থাকলেও যেতে বাধ্য হলাম।’

যখন অখিলেশ পাল বার্সেকে জিজ্ঞাসা করলো, কেন তিনি তাদের ডেকেছেন, তিনি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন, তারা যদি বলটি নিয়ে খেলে তাহলে সে কী খেলবে? সে ও তার বন্ধুরা এতে ভীষণ অবাক হয়ে গেল। তারপরও তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলো, খেললে কী তিনি তাদের পয়সা দেবেন। উত্তরে মাথা নাড়লেন এই বিখ্যাত ফুটবল কোচ, খেলার জন্য তিনি তাদের প্রত্যেককে পাঁচ রুপি করে দেবেন।

তারা প্রথমে তার সঙ্গে মজা করলো ও এরপর মনে করলো, কেবল খেলার জন্য পাঁচ রুপি করে দেওয়া কোনো মন্দ চুক্তি নয়। এরপরের ১৫টি দিন ছেলেদের খেলা ও বিনিময়ে পয়সা নেওয়া রুটিনে পরিণত হলো। সময় বাড়লো খেলার অনেক, তাদের আগ্রহ ও ভালোবাসা তৈরি হলো ফুটবলের দিকে। ফুটবল খেলাকে তারা অন্যসব কাজের চেয়ে জরুরি বানিয়ে ফেললো। তবে ১৫ দিন পেরুনোর পর বাসে তাদের বলটি দেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন। কেননা, তার কাছে আর পয়সা নেই। তবে ফুটবলে আসক্ত হয়ে পড়া ছেলের দল টাকা ছাড়াই ফুটবলটি পেতে ব্যাগ্র হয়ে গেল।

‘এই ১৫ দিনে অনুভব করলাম, আমরা আমাদের সব বাজে অভ্যাস থেকে দূরে সরে গিয়েছি ও একটি নতুন অভ্যাসে পড়েছি-সেটি হলো ফুটবল। আমরা আমাদের পুরোনো কাপড়গুলো ও কাগজ দিয়ে বান্ডিল বানিয়ে ফুটবল তৈরি করতাম। সেগুলো দিয়ে খেলতাম। তবে এই সত্যিকারের ফুটবল পাওয়ার পর আমরা সেটিতে খেলার জন্য প্রাথনা করতাম-এভাবেই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসার কথা মনে পড়লো অভিলেশ পালের।

ইতিমধ্যে অপরাধজগত ও পুলিশের অনুসরণে পড়লো অখিলেশ। প্রায় ৪৫টি মামলা আছে তার নামে তখন। নিজেকে একটি কবরখানাতেও সে ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ১৫ থেকে ২০ দিন কোনোরকমে, না খেয়ে না দেয়ে লুকিয়ে রাখলো। ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে সাধারণত সে ভিক্ষুকদের সঙ্গে ঘুমাতো। কোনো সময় তাদের খাবারও ছিনিয়ে খেত। এরপর তাদের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাতো কবরখানায়। যে রাজনীতিবিদ ও বড় আবাসন ব্যবসায়ীদের জন্য সে কাজ করেছে, তাদের কেউই তাকে এই জীবন থেকে বাঁচতে সাহায্য করেননি।অবশেষে যখন অখিলেশ পাল বুঝতে পারলেন, নিজের জীবনকে তিনি ধ্বংস করে ফেলছেন; পরিবার ও এক বন্ধুর সাহায্যে পুলিশের কাছে আত্মসমপর্ণ করলেন। বিচারককে যখন অঙ্গীকার করলেন, এখন থেকে তিনি একজন বদলে যাওয়া মানুষ হবেন, জামিন পেলেন তিনি। নিজের নতুন জীবন শুরু করলেন। আদালতের বিচারক তাকে সূয ওঠার আগেই তাকে তার এলাকা ছেড়ে যেতে হবে ও অন্ধকার নামার পর ফিরে আসতে পারবেন-এই আদেশ দিলেন। ফলে তাকে তার বাড়ি ছাড়তে হলো। তবে ভালো জীবনের দেখা পাচ্ছিলেন না অখিলেশ।

একদিন তিনি দেখলেন, কটি ছেলেমেয়ে একটি সাইকেলে যাচ্ছে, পিছু, পিছু ছুটছে, হাসাহাসি করছে। তারা তাকে পেরিয়ে যাচ্ছিল। তারা খুব খুশি হয়ে ছুটছে দেখে অখিলেশ জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা কোথায় যাচ্ছো?’ উত্তর দিলো, ‘আমরা পাশের একটি মাঠে প্রতিদিন খেলি। এখন খেলতে যাচ্ছি।’ কথাটি তাকে তার পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিলো। ফলে আবার তিনি খেলতে শুরু করলেন ভিজয় বাসের সংগঠন ‘স্লাম সকার’-এ।

সেখানে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এর সুবাদে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিকভাবে খেলার সুযোগ পেলেন। তবে ওই অতীত তখনো তাকে তাড়া করে ফিরছিল। আগের অপরাধ রেকর্ডগুলোর জন্য অখিলেশ পাল পাসপোর্ট পাচ্ছিলেন না। তবে তার একাগ্রতা দেখে আগের প্রতিষ্ঠানের মালিক জয়সাওয়াল আদালতে আপিল করলেন ও তাকে পাসপোট পেতে সাহায্য করলেন।

ব্রাজিলে গৃহহীনদের বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার জন্য ভারতীয় দলের সঙ্গে গেলেন অখিলেশ পাল। যাবার আগে ভারতীয় দলটি একটি প্রেস কনফারেন্স করলো। ‘আমি সত্যিই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। নিজের অতীত বলা আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে গেল সেখানেও। সেসব নিয়ে বলতে এখনো আমার খারাপ লাগে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে যেভাবে একটি চাকরি পেতে ও পাসপোর্ট পেতে আমার কষ্ট হয়েছে তেমনটি হবে-এই প্রস্তুতি নিলাম মনের গভীরে। তবে অবাক হয়ে গেলাম, এই মানুষগুলো আমাকে নিয়ে গর্বিত হয়ে গেলেন। আমাকে গৃহহীনদের ফুটবল বিশ্বকাপের ২০০৯ সালের ভারতীয় দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হলো। এই প্রথম নিজেকে নিয়ে আমার ভালো লাগলো’-বলেছেন অখিলেশ পাল।

গৃহহীন ফুটবল বিশ্বকাপে ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক এত ভালো খেললেন যে বিখ্যাত ব্রিটিশ ফুটবল দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নামকরা কোচ ডেভিড ময়ইজ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর তিনি কী করবেন? তবে ব্রিটেনের বিশ্বখ্যাত ফুটবল লীগে খেলা হলো না তার। নামকরা দলের প্রতিও কোনো আগ্রহ বোধ করলেন না অখিলেশ পাল। কেননা, তিনি সবসময় চেয়েছেন, চারপাশের সামাজিক অবস্থাগুলোর কারণে যেসব শিশু তার মতো ভুল পথে চলে গিয়েছে, তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন, ওদের ফুটবল খেলা শেখাবেন।

এখন তিনি লিভিং হোপ বা আশায় বাঁচছেন নামের একটি এনজিওর সঙ্গে কাজ করছেন এবং তাদের মাধ্যমে নাগপুরের অত্যন্ত অপরাধ প্রবণ এলাকার শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছেন। এই কাজের শুরুটিও তার জন্য খুব কঠিন ছিল, ‘এই মানুষগুলোকে বোঝানো কঠিন ছিল। কেননা, তাদের মায়েরাও তারা যে ব্যবসাগুলো করেন, সেগুলোতে তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যেতে ক্রমাগত চেষ্টা করে চলছিলেন। তবে সেই সংগ্রাম আমার জীবনভরের একটি অভিজ্ঞতা। সবসময় ভেবেছি, আমার একটি ক্ষত-বিক্ষত অতীত আছে কিন্তু এই শিশুদের কজন একদিন আমাকে জানালো, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অভিভাবক মিটিংয়ে তাদের মায়েরা ভিন্ন লোকদের নিয়ে আসলেন, শিক্ষকরা তাদের বাবা সম্পকে জিজ্ঞাসা করার পর বোকার মতো ওরা বলে ফেললো, এমনকি বাবা কে তাও তারা জানে না। এটি ছিল হৃদয়বিদারক ঘটনা। আমি সত্যিই তাদের এই ব্যথাবিধুর ঘটনাগুলো থেকে বের করে আনতে চেয়েছিলাম, তাদের মধ্যে ক্ষমাশীলতা তৈরি হলো খেলার মাধ্যমে।’

তবে কোথাও ফুটবল খেলা শেখানোর জন্য কোনো টাকা নেন না তিনি। ফুটপাতে জুতা বিক্রি করে রোজগার করেন। তবে এই টাকা তার ও পরিবারের জন্য যথেষ্ট নয়। তার ও স্ত্রী কবিতার ছেলে ইমানুয়েল পালকে নিয়ে বড় স্বপ্ন আছে। ছেলেটি এখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। লেখাপড়ার অভাবে কোনো চাকরি জোটাতে পারেননি তার বাবা। ফলে তিনি চান, তার ছেলে সবচেয়ে ভালো বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ুক।

এই উজ্জলতা ছড়িয়ে যাওয়া ভারতীয় তারকার গল্প দেশটির সব তরুণদের জন্য প্রেরণা। তার জীবনের গল্পটি অনেক জায়গায় লেখা হয়েছে। এখন বলিউডে ছবি হতে চলেছে। তবে এখনো পরিবারের মুখে গ্রাস তুলে দিতে তাকে সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে। তারপরও তিনি আশা করেন, তার প্রতিভাগুলো সঠিক জায়গায় চলে যাক এবং দেশের প্রতি সম্মান বয়ে আনুক। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অখিলেশ বললেন, “যখন আমার ছেলের বিদ্যালয়ের ফিগুলো দিতে পারি না আমি আশাহত হতে পড়ি। যাই হোক-এটিও আমাকে আমার মতো আরো অনেকের জীবন বদলে দেওয়ার লক্ষ্যটিকে আঘাত করে না। প্রত্যেককে আমি কেবল একটি কথাই বলতে চাই এবং তাদের সবাইকে, যারা খারাপ অভ্যাসের ফাঁদে পড়ে আছেন-‘আপনার যদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞা থাকে, তাহলে যেকোনো বয়সে, যেকোনো পরিস্থিতিতে এবং যেকোনো মূল্যে নিজেকে বদলাতে পারবেন’।”

(ইন্টারনেট থেকে অনুবাদ)

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া