শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘হিজড়াদের টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ’

সমাজের পিছিয়ে পড়া হিজড়া সম্প্রদায়কে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে সমাজসেবা অধিদপ্তর রংপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তবে হিজড়াদের টেকসই উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে সমন্বিত উদ্যোগ ও সুর্নিদিষ্ট স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় সরকারি উদ্যোগের ইতিবাচক সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ হিজড়াদের। ফলে কর্মহীন হিজড়া জনগোষ্ঠীর একটি অংশ সমাজে প্রতিনিয়ত উশৃঙ্খল জীবনযাপন করছেন। এ ছাড়া তাদের কিছু কার্যক্রমে সাধারণ মানুষও অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে এবং তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করছে।

এদিকে পিছিয়ে পড়া এ হিজড়াদের জীবনমান উন্নয়নে সমাজসেবা অধিদপ্তর এরই মধ্যে রংপুর জেলার ৮ উপজেলায় জরিপ চালিয়ে ৩৭০ জন হিজড়াকে তালিকাভুক্ত করেছে। তালিকাভুক্তদের মধ্য থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকাসহ সাত উপজেলার মোট ১৫০ জন হিজড়াকে বাছাই করে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। এর মধ্যে সেলাই, কম্পিউটার, বিউটিফিকেশন ও রান্নাসহ হাতের কাজের কারিগরী প্রশিক্ষণ ছিল। তিন মাস মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ শেষে এদের প্রত্যেককে কর্মসংস্থানের জন্য ১০ হাজার টাকা করে এককালীন আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়। এ কর্মসূীচর আওতায় এরই মধ্যে ১৫/২০ জন হিজড়া স্বাবলম্বী হয়েছেন বলওে জানা গেছে। তবে এদের অধিকাংশই এখন রয়েছেন কর্মহীন। ফলে ভিক্ষাবৃত্তি ও চাঁদা তোলাই জীবন-জীবিকার সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হিজড়াদের একটি অংশ দল বেঁধে বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, বাসা-বাড়ি, যানবাহন, যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেন এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে জোর করে চাঁদা আদায় করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। শুধু তাই নয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্রী, নারী পথচারীসহ নিরীহ পথচারীদের সঙ্গে এরা নানা ধরনের অশ্লীল আচরণ করে। এসব অস্বস্তিকর পরিবেশ প্রতিরোধে সমাজসেবা অধিদপ্তর, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন অনেকটাই নির্বিকার।

সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, রংপুর মহানগরীর প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, মাহিগঞ্জ সাত মাথা মোড়, নববাগঞ্জ বাজার, সিটি বাজার, কাচারীবাজার এলাকাসহ মহানগরী এবং জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হিজড়া সম্প্রদায়ের একটি অংশ দল বেঁধে এ ধরনের চাঁদাবাজি নির্বিঘ্নে চালিয়ে আসছে।

সম্প্রতি নগরীর কামাড়পাড়া এলাকায় এক বাসায় প্রবেশ করে হিজড়ার দল শিরিন বেগম নামে এক গৃহবধূকে তার শিশু সন্তানসহ জিম্মি করে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। শেষে কিছু টাকা দিয়ে পরিবারটি ওই যাত্রায় রক্ষা পায়। এ চিত্র প্রায় সর্বত্র বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলা সমাজসেবা অধিপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন, রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থানে উত্ত্যক্ত করা হিজড়ারা ভিন্ন এলাকা থেকে আসা ও বহিরাগত। এরা রংপুর জেলার বাসিন্দা নয়। হিজড়াদে প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এদের কাউন্সিলিং করে এসব বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে রংপুর জেলা হিজরা নেতা আনোয়ারুল ইসলাম রানা জানালেন ভিন্ন কথা। তার ভাষায় এরা রংপুরেরই সন্তান। তবে ক্ষুধা নিবারণের জন্য এসব করে। আমরা এসব আচরণ না করার জন্য পরামর্শ দেই। তবে জীবন চালানর কাজ পেলে এসব বন্ধ হবে।

রংপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর জানায়, হিজড়াদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত হিজড়াদের শিক্ষা সহায়তা ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক শিক্ষার্থী ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী ১ হাজার ১০০ টাকা এবং উচ্চতর শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ২০০ টাকা হারে প্রতি মাসে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। এ কর্মসূচির আওতায় রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ছয়জন এবং মিঠাপুকুর উপজেলায় তিনজন হিজড়া শিক্ষার্থী শিক্ষা সহায়তা ভাতা পাচ্ছে। এ ছাড়া ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের অক্ষম ও অসচ্ছল হিজড়াদের বিশেষ বয়স্ক ভাতা কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি মাসে ৬০০ টাকা হারে রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় দুইজন, পীরগঞ্জ উপজেলায় ১১ জন, মিঠাপুকুর উপজেলায় ১০ জন ও বদরগঞ্জ উপজেলায় একজনসহ রংপুর মহানগর এবং জেলায় মোট ৩৩ জন হিজড়াকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে হিজড়াদের সংগঠন ”ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থা”, রংপুরের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম রানা জানান, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সর্বপ্রথম নিজ বাসা থেকেই নিগৃহীত হন। এরাও যে মানুষ তা বোঝাতে যুদ্ধ করতে হয়। কেবল মা ছাড়া আর কেউ এদের স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেন না। পরিবারের অন্য সদস্যদের কথিত ’পারিবারিক ভবিষ্যৎ নিরাপদ’ পরিবেশের স্বার্থেই তারা যেন এমন বঞ্চনার শিকার।

রংপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ে বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসায় হিজড়া সম্প্রদায় আগের থেকে কিছুটা সুশৃঙ্খল। তবে এদের শারীরিক কাঠামো অনুপাতে উপযোগী কর্মসংস্থানের মতো পরিবেশ ও সুযোগ এখনো রংপুরে গড়ে ওঠেনি। এদের জন্য গার্মেন্টস শিল্পের মতো বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। এজন্য সরকারি সহায়তায় সমাজসেবা অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সবাইকে সরকারি ভাতার আওতায় এনে ভাতার পরিমাণ জীবন চলার উপযোগী করে বাড়ানো উচিৎ। সেই সঙ্গে সরকারের আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, এদের পুনর্বাসন ও মোটভিশনের বিষয় নিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা বসেছি। সরকারও সাধ্য মতো চেষ্টা করছে। হিজড়াদের চাদাঁ তোলা বন্ধে বিভিন্ন পয়েন্টে মাঝে মাঝে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কখনো বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে এসব নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।

এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত