মা-বাবার নামে গড়েছেন ‘ফয়জুন্নেছা-কবীরুদ্দীন ট্রাস্ট ফান্ড’
তিনি তিন সহ-সভাপতি পদে একমাত্র নারী হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মনোভাব জানতে চাইলে বলেছেন, ‘যে কোনো প্রাপ্তিই আনন্দের। আমারও ভালো লাগছে। নিজেকে আরো বেশি দায়িত্ববান মনে করছি। সম্মানিতও বোধ করছি। এখন তো দায়িত্ব আরো বেড়েছে। যে পন্ডিত ও গুণীজনরা আমার প্রতি আস্থাবান হয়েছেন, কাজ দিয়ে তাঁদের আস্থা ধরে রাখতে চেষ্টা করব’- এভাবে মনের কথা প্রকাশ করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির একমাত্র নারী সহ-সভাপতি। তাদের বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ২০২২-২৩ সেশনের নতুন কাউন্সিল ১৭ মে গঠিত হয়েছে।
১৩ এপ্রিল তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেনকে এই আলাপকালে তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন, ‘আমাদের এশিয়াটিক সোসাইটির বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ আরো দ্রুত ও বাড়ানো হবে। এশিয়াটিক সোসাইটির ব্যাপ্তি ও পরিধি বাড়াতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণা বাড়ানো ও সেগুলোতে আরো উৎসাহ যোগাতে হবে।’
ড. হাফিজা খাতুন এশিয়াটিক সোসাইটিতে তাঁর মা ও বাবার নামে ‘ফয়জুন্নেছা-কবীরুদ্দীন ট্রাস্ট ফান্ড’ করেছেন। তাঁর উদ্যোগেই সোসাইটি প্রথমবারের মতো পুরোনো ঢাকার বিলুপ্ত ও প্রায় হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী ‘ঢাকাইয়া খাবার মেলা’র আয়োজন করেছে। অনেকবার তিনি নগরায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, ব্যবস্থাপনা ও অভিযোজন, উন্নয়ন ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ‘এশিয়াটিক সোসাইটি লেকচার’ প্রদান করেছেন।
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এশিয়াটিক সোসাইটির ‘সায়েন্স জার্নাল’র সম্পাদক ছিলেন। তার আগে ছিলেন সহযোগী সম্পাদক। তাদের গ্রন্থাগারে তিনি নিজের লেখা ও সম্পাদিত বইগুলো প্রদান করেছেন। বাংলাপিডিয়া থেকেও তার সম্পাদিত বই প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের মূল্যবান কয়েকটি নিবন্ধ রয়েছে। মানচিত্রগুলোতেও কাজ আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপকের।
ওএস।