পোস্ট কোড ‘৮১০৫’
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় খুশির দিন। এক দশক পেরিয়ে গেলেও এতদিন এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল না কোনো পোষ্ট অফিস। ফলে ছাত্র, ছাত্রীরা মা, বাবার কাছে চিঠি পাঠাতে পারতেন না হাতের কাছে কোনো মাধ্যমে। শিক্ষকরা সারা দেশের সঙ্গে ডাকে যোগাযোগে দুর্ভোগ পোহাতেন।
অফিশিয়াল কাজ যেমন নিয়োগ বিজ্ঞাপন তো এখনো ডাক মারফত হতেই হয়। তাতে খুব কষ্ট পেত এই ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে যেকোনো কাজ ডাক বিভাগের মারফত হতে হয়। অথচ বাংলাদেশের স্থপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মস্থান ও দাদাবাড়িতে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
সেই কষ্টের দিনগুলো শেষ হয়েছে বলে আনন্দ খবরের মাধ্যমে জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সফিকুল আহসান ইমন। তিনি জানিয়েছেন, “আজ বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ডাক বিভাগের পরিদর্শক আশিকুর রহমান গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার প্রধান পোস্ট মাস্টার মো. নবীর উদ্দিন মোল্লাকে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। এই অফিশিয়াল কাজকে তারা বলেন ‘ডাক পরিদর্শন’।”
“তারা এসে শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আলাদা একটি পোস্ট কোডও প্রদান করেছেন। সেটি হলো-৮১০৫’। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করেছে স্থায়ী কার্যালয়।” এখন থেকে এই পোষ্ট কোডেই যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করবেন তারা বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব।
তার ছাত্র এই প্রতিবেদক আরো লিখেছেন, ‘আমাদের ভিসি স্যারের উদ্যোগ সফল হয়েছে। এর আগে একাধিকবার সাব পোষ্ট অফিস চালুর আলোচনা ও প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল।’
তারা আরো খুশি হয়েছেন, শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের পাশের অফিসটিকেই সাব পোস্ট অফিস হিসেবে স্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচন ও প্রদান করেছেন। তাতে ভালো কাজগুলোর খবর দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যাবে, মন্দ কাজের বিপক্ষে কলম ভালোভাবে চলবে সময় মেনে।
আশিকুর রহমান ও মো. নবীর উদ্দিন মোল্লার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মো. মোরাদ হোসেন, উপাচার্য স্যারের পিএস মো. আলমগীর হোসেন এবং তার কার্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম।
কাজ করেছেন সাংবাদিক ফোরামের ছাত্র, ছাত্রী সাংবাদিকরা।
‘পোস্ট কোড-৮১০৫’ পেয়ে খুব খুশি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দাপ্তরিক প্রতিটি কাজ ডাক মারফত হতে হয় বা উল্লেখ করতে হয়। এর বাদেও ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক কাজে ডাক যোগাযোগ প্রয়োজন হয়। সবার সুবিধার কথা ভেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই সাব-পোস্ট অফিস স্থাপন করা হলো ও আমরা স্থায়ী রুম বরাদ্দ দিলাম। এখন থেকে এই পোষ্ট অফিসের সব সুবিধা আমাদের সবাই লাভ করবেন।’
পোস্ট মাস্টার মো. নবীর উদ্দিন মোল্লা বলেছেন, ‘আমার মনে আছে ও খাতাপত্রে লিখিত রয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. নাসির উদ্দীনের দায়িত্ব পালনকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই তিনি এই সাব পোস্ট অফিস চালুর সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। নানা সরকারী জটিলতায় সেটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা চেষ্টা করেছেন। এবার চালু করা সম্ভব হলো।’
তিনি বলেছেন, ‘এখন থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সেবাগুলো সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদার উপায়ে দেবার জন্য কাজ করে যাবো।’
ওএস।