বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ

 

“হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হলো পার কর আমারে।
তুমি পারের কর্তা জেনে বার্তা তাই ডাকি তোমারে।”

এমন আধ্যাত্মিকতায় ভরপুর অসংখ্য গান রচনায় পারদর্শিতার সাক্ষর রেখে গেছেন কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার। তার লেখা বাউল গানগুলো ফিকির চাঁদের বাউল গান নামে প্রসিদ্ধ ছিল। ধর্ম সাধনায় তিনি বহু গান রচনা করে দল বেঁধে সেই গান বিভিন্ন স্থানে গেয়ে বেড়িয়েছেন।

এ গুণীজন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার ১২৪০ বঙ্গাব্দের (২২ জুলাই, ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ) ৫ শ্রাবণ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের নদিয়া জেলার বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কুণ্ডুপাড়া গ্রামে কমলিনী দেবীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হলধর মজুমদার। ১৩০৩ বঙ্গাব্দের ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে) ইহলোক ত্যাগ করেন। কাঙাল হরিনাথের মৃত্যুতে সেই সময় ইন্ডিয়ান মিরর পত্রিকা লিখেছিল, 'নদীয়া জেলাবাসী একজন মহান ব্যক্তিত্বকে হারাল'।

তিনি বাঙালি জাতিসত্তা ও বাংলা লোকসংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। তিনি বাউল সংগীত ও সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। বাংলা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার ইতিহাস তাকে বাদ দিয়ে কল্পনায় করা যায় না।

কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার অত্যাচারিত, অসহায় কৃষক-সম্প্রদায়কে রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দারিদ্র্য ও সচেতনতা বিষয়ক লেখনি সংবাদপত্রে প্রকাশ করতেন। প্রথমে সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় লিখতেন। সংবাদ প্রভাকর পত্রিকাটি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

পরবর্তী সময়ে কাঙ্গাল হরিনাথ ১৮৬৩ সালের এপ্রিল মাসে কুমারখালী এলাকা থেকে গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। মাসিক এ পত্রিকাটি প্রথমে পাক্ষিক ও শেষে এসে সাপ্তাহিক পত্রিকায় রূপান্তর করা হয়। এ পত্রিকার সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ নিয়মিত ছাপা হতো। নিজের গ্রামের মানুষের ওপর জুলুম, অত্যাচার, দুঃখ-অভাবের ঘটনা সাধারণ জনগণের সামনে আনার জন্য সংবাদ প্রভাকরে তিনি প্রবন্ধ লেখা আরম্ভ করেন। তিনি নিজ উদ্যোগে গ্রামের মানুষের জন্য হিতকর আদর্শ নিয়ে ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ প্রকাশ করেন। তিনি একাই 'গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকার’ হকার, রিপোর্টার, সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।

এ পত্রিকা কলকাতার গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্নের ছাপার যন্ত্রে মুদ্রিত হয়ে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থেকে প্রকাশিত হতো। এ ছাড়াও নীলকরদের শোষণের কথাও প্রকাশিত হতো এ পত্রিকায়। তিনি সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন। ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট ও দেশি জমিদারদের ধারাবাহিক হুমকিও কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারকে তার প্রতিবাদী লেখা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার প্রশাসনের কাজে জড়িত ব্যক্তিদের ভু্ল-ত্রুটিগুলো গ্রামবার্ত্তা পত্রিকার মাধ্যমে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। পাবনা জেলার তদানিন্তন ব্রিটিশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মফস্বল এলাকা পরিদর্শনে এলে এক দরিদ্র বিধবা নারীর একটি দুগ্ধবর্তী গাভী জবরদস্তি করে নিয়ে যান। এই খবর কাঙ্গাল হরিনাথের কানে পৌঁছালে তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এমন অন্যায় কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রামবার্ত্তা পত্রিকায় ফলাও করে ‘গরুচোর ম্যাজিস্ট্রেট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। গ্রামবার্ত্তা পত্রিকায় ওই সংবাদ প্রকাশ হলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কাঙ্গাল হরিনাথের প্রতি রাগান্বিত হন এবং এ লেখাটার জন্য তাকে শায়েস্তা করতে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠেন। কিন্তু কাঙ্গাল হরিনাথের ন্যায় পরায়ণতা ও সত্যনিষ্ঠা এবং জনপ্রিয়তা চারিত্রিক দৃঢ়তার কারণে ওই ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কোনো ক্ষতি করতে পারেননি।

পরে সত্যনিষ্ঠ স্বাধীন মত প্রকাশের নির্ভীকতার জন্য কাঙ্গাল হরিনাথের প্রশংসা করেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি লেখেন, ‘সম্পাদক আমি তোমাকে ভয় করি না বটে কিন্তু তোমার নির্ভীক সত্য লেখনীর জন্য আমি অনেক কুকর্ম ত্যাগে বাধ্য হয়েছি।’

কাঙ্গাল হরিনাথ সুদীর্ঘ ১৮ বছর গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা সম্পাদনা করার পর সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দিয়ে ধর্মসাধনায় মনোনিবেশ করেন। ধর্মভাব প্রচারের জন্য ১৮৮০ সালে তিনি নিজস্ব একটি বাউল গানের দল প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি কাঙ্গাল ফিকির চাঁদের দল নামে ব্যাপক পরিচিত ছিল।

গদ্য ও পদ্য লেখায় পারদর্শী ছিলেন তিনি। বাউল কীর্তন, পাঁচালী ছাড়াও গদ্য-পদ্য, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ মিলিয়ে ৪২টি গ্রন্থ মুদ্রিত হয় তার। তার বিজয় বসন্ত (১৮৫৯ মুদ্রিত), ফিকির চাঁদের গীতাবলী উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তার লেখা গান ‘হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হলো পার কর আমারে। তুমি পারের কর্তা জেনে বার্তা তাই ডাকি তোমারে।' এ গানটি বিখ্যাত কথাসাহিত্য বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস পথের পাঁচালী অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’-তে ব্যবহার করা হয়েছে।

সাহিত্য অঙ্গনে জলধর সেন, অক্ষয় কুমার মৈত্র ও দীনেন্দ্রনাথ রায় ছিলেন কাঙ্গাল হরিনাথের শিষ্য।

১৮৭৩ সালে (১২৮০ বঙ্গাব্দে) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কুণ্ডুপাড়া নিজ গ্রামেই মথুরনাথ ছাপাখানা (এমএন প্রেস) প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ ছাপাখানাতেই মীর মশারফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু গ্রন্থটি ছাপা হয়েছিল। এ ছাপাখানা কক্ষেই এ কালজয়ী উপন্যাসটির কিছু অংশ রচিতও হয়েছিল। জানা যায় এ প্রেস যন্ত্রে রয়েছে কাঙ্গাল হরিনাথ, লালন, মীর মশাররফ ও জলধর সেনের হাতের স্পর্শ।

বিখ্যাত লেখক অক্ষয় কুমার মৈত্রর বাবা কাঙ্গাল হরিনাথের বন্ধু মথুরনাথ মৈত্র ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি ছাপাখানার মুদ্রণযন্ত্রটি কাঙ্গাল হরিনাথকে দান করেন।

নিজ গ্রামে বন্ধুবান্ধবের সহায়তায় ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে একটি ভার্নাকুলার স্কুল খুলেছিলেন হরিনাথ। সেখানে তিনি অবৈতনিক শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। পরের বছর তিনি কুমারখালীতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে এ বালিকা বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বর্তমানে সেই বালিকা বিদ্যালয়কে জাতীয় করণ করা হয়েছে।

কাঙ্গাল হরিনাথের স্মৃতি রক্ষার্থে স্থানীয় সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কুমারখালী পৌরসভার সন্নিকটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল জাদুঘর নির্মাণ করেছে।

এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত