বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে এতিমদের ইফতার
গোপালগঞ্জের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’-এ কর্মরত বিভিন্ন দৈনিক, অনলাইন, রেডিও, টিভির ছাত্র, ছাত্রী সাংবাদিকতা ইফতারের আয়োজন করেছেন। তাদের এই সংগঠনের নাম হলো, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম’ বা ‘বিএসএমআরসাটিএসএফ’।
তারা এবারের পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের দিনে এতিম শিশু-কিশোরদের নিয়ে ইফতার ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। এই ইফতারে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গোবরা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশু-কিশোর ছেলেরা।
বাংলাদেশের অন্যতম এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পেরে তারা খুব খুশি হয়েছে। চমকে গিয়েছে অসাধারণ সুন্দর ক্যাম্পাসটি দেখে। বিরাট ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন বিভাগ দেখে তাদের মন ভরেছে। আর ভালো ইফতার করতে পেরে তারা খুব খুশি হয়েছে সবাই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক, ছাত্র, ছাত্রী ও তাদের উপদেষ্টা অধ্যাপকরা এই শিশুদের এনে বসিয়েছেন তাদের নিজেদের কার্যালয়ে।
আগামী দিনের বাংলাদেশের নাগরিকদের সামনে বিশেষ অনুষ্ঠানটির সভাপতি ছিলেন সাংবাদিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট শেখ আবদুর রহিম। উপস্থাপনা করেছেন সাধারণ সম্পাদক মেজবা রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সফিকুল আহসান ইমন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের এই অন্যরকম ও প্রধান আয়োজনের প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সালেহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সমিতির প্রচার সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজাতিক সম্পর্কের সহকারী অধ্যাপক ড. সাদ্দাম হোসাইন।
তারা দুজনেই আগামী দিনের ও বতমানের সাংবাদিক এবং এতিম শিশুদের জীবন গড়ার জন্য অত্যন্ত মূলবান দিক নির্দেশক বক্তব্য প্রদান করেছেন।
শিশুরা অবাক হয়ে তাদের জ্ঞানের বহর দেখেছে ও অনেক কিছু জেনেছে।
তাদের মধ্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সালেহ বলেছেন, ‘পবিত্র রমজান মাসের তাৎপর্য অনেক। এই সিয়াম সাধনার ও অন্যকে বিলিয়ে দেবার ত্যাগের শিক্ষার মাস আমাদের সংযম ও সহমর্মিতা শেখায়। এই এতিম শিশুদের নিয়ে তোমরা যে আয়োজন করলে তাতে শিক্ষক হিসেবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত, আমরা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। এমন উদ্যোগগুলো খুবই ভালো। ভবিষ্যতেও এই কাজগুলো করে যাবে বলে আমি আশা করি। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন, সমস্যা ও সম্ভাবনা সারা দেশ এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরো। আজকে তোমাদের তুলে ধরার মতো একটি কাজ করলে। ফলে আমরা তোমাদের সবসময় প্রশংসা করব।’
ইফতারের আগে বিশেষ দোয়া করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি তাদের সবার জীবনকে আলোকিত ও সুন্দর করতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শেখ আবদুর রহিম জানিয়েছেন, ‘এই রমজান আমাদের মুসলমানদের জন্য বরকত, রহমতের মাস। পরস্পরের প্রতি, ছোট এতিম শিশুদের প্রতি ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে আমরা আমাদের বরকত বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। সাংবাদিক হিসেবে আমরা এতিম ছেলেমেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি মনে করি, এই দেশ ও সমাজের, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মানুষের মা, বাবা হারা ছেলেমেয়েদের পাশে থাকা প্রয়োজন।’
স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের এই সাংবাদিকরা তাদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে এনে আরো প্রশংসা লাভ করেছেন।
ওএস।