ইম্প্যাক্ট জীবনতরী ভাসমান হাসপাতাল
রোগীদের জন্য একটি আস্থার নাম
১০ এপ্রিল ১৯৯৯, বাংলাদেশের প্রথম ভাসমান হাসপাতাল-ইম্প্যাক্ট জীবনতরী নোঙর করে মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া ঘাটে যা দেখে সাধারন জনগন অবাক হয়ে চিন্তা করতে থাকে-এ আবার কেমন হাসপাতাল! স্বাস্থ্যসেবায় আস্থার নাম ইম্প্যাক্ট জীবনতরী-ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একটি প্রকল্প। বিগত ২৩ বছর ধরে নদীতীরবর্তী অঞ্চলে মোট ২২টি জেলার ৩২টি এলাকায় প্রায় ৭ লাখ রোগীদের মাঝে চিকিৎসা প্রদান করে আসছে এই ভাসমান হাসপাতাল।
ইম্প্যাক্ট জীবনতরীর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে ১০ ই এপ্রিল। ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের এবং বাইরের বিশিষ্ট অতিথি বৃন্দ, উল্লেখ্যযোগ্য- প্রয়াত আল-হাজ আব্দুস সামাদ আজাদ, বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী; মিঃ ডেভিড ওয়াকার (সিবিও, সিএমজি), তৎকালীন বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার; প্রয়াত স্যার জন উইলসন (সিবিই), তৎকালীন ইউকে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, প্রয়াত সাফাত আহমেদ চৌধুরী, তৎকালীন ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, মিঃ আনওয়ারুল আমিন, ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল, নরওয়ে ও হংকং থেকে আগত ব্যক্তিবর্গ।
প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধে স্বল্পআয়ের রোগীদের মাঝে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে ৪০ মিটার দৈঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থের এই ভাসমান হাসপাতাল। যার মাঝে রয়েছে চোখের ছানি, নাক-কান ও গলা রোগের চিকিৎসা, জন্মগত মুগুর-পা, বাঁকা পা, ঠোঁট কাটা, তালু কাটা চিকিৎসা ও অপারেশন।
এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি ৫০ হাজার রোগীর সার্জারী সম্পন্ন হয়েছে এই হাসপাতালে ।