রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

তিনবারের সংসদ সদস্য সংগীতশিল্পী মমতাজের হারার কারণ

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জে–২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকে লড়েছিলেন ৩ বারের সংসদ সদস্য বাংলাদেশি লোকগানের তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম। গানে গানে মানুষের মনে আনন্দের খোরাক জোগানো মমতাজ এবারের নির্বাচনে আর শেষ হাসি হাসতে পারলেন না।

যদিও ভোট গণনার আগে থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নিজের জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হন ট্রাক প্রতীকে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের (টুলু) কাছে। মমতাজের হারের পর এলাকাবাসী তাঁকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। হারার পেছনে বিভিন্ন যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। মমতাজ বেগম নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতেই ব্যস্ত ছিলেন। নিজের ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোথাও সেভাবে উন্নয়ন করেননি বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।

সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমান বলেন, কালোটাকার ব্যাপক বেপরোয়া ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে কারচুপিও এই ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনী এলাকার হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের (সদ্য পদত্যাগ করা) চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মমতাজ বেগম। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুশফিকুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মমতাজ তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমানকে দাঁড় করান। নির্বাচনে মুশফিকুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মুশফিকুর রহমান এই নির্বাচনেও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। আর হরিরামপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজ বেগমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। এরপর ওই নির্বাচন স্থগিত হলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজের তুমুল বিরোধ দেখা দেয়। সাইদুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচণ্ডভাবে প্রচার-প্রচারণায় নামেন। এটি ভোটের মাঠে মমতাজের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বোঝা যাচ্ছিল, ভোটের হিসাব–নিকাশ একটু অন্য রকম হতে পারে। পাল্টে যেতেও পারে। মানিকগঞ্জ–২ আসনের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। তাঁরাও মমতাজের কাছ থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। মমতাজের সৎমা ও তিন বোনের মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টিও এলাকার মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। অনেকে এমনও বলছেন, যিনি পরিবারে সমর্থন পান না, তিনি সবার সমর্থন কীভাবে পাবেন।

সিঙ্গাইর-হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর নিয়েই মানিকগঞ্জ–২ নির্বাচনী আসন। সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন সাতেক আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের নিজ গ্রাম পূর্ব ভাকুম এলাকায় নির্বাচনী উঠান বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে সমর্থন জানান মমতাজের তিন বোন। মমতাজের বোন শাহনাজ বেগম জয়মণ্টপ ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য। তিনি বলেছিলেন, পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় মমতাজ বেগমকে তাঁরা পাশে পাননি। উল্টো জমিজমা ও সম্পত্তি বণ্টনে বৈষম্য করেছেন। এ কারণে তাঁরা ক্ষোভে বোনের প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের তিন সন্তান রেহেনা বেগম, জাহানারা বেগম ও শাহনাজ বেগম। সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মণ্টপ ইউনিয়নের পূর্ব ভাকুম গ্রামের মধু বয়াতির দ্বিতীয় স্ত্রী উজালা বেগমের সন্তান মমতাজ বেগম। জমিসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মমতাজের সঙ্গে তাঁর তিন সৎবোনের বিরোধ রয়েছে। এ কারণে নির্বাচনে মমতাজ বেগমের পাশে ছিলেন না তাঁরা।

গানের শিল্পী মমতাজ দেড় যুগ আগে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। আর ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মমতাজ। এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে লড়েছেন তিনি। মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে গেলেন তিনবারের সংসদ সদস্য মমতাজ। মমতাজ বেগমকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। নির্বাচনে ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়েছেন জাহিদ আহমেদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট। গতকাল রাত ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেহানা আকতার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার এলেও সিঙ্গাইরে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া আসেনি বলে জানালেন স্থানীয় সিঙ্গাইরের বাইমাইল এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, বাইমাইলে একটা সেতু এক বছরের বেশি সময় পড়ে আছে। লোকজনের হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। ১৫ বছরে সিঙ্গাইরে কোনো উন্নয়ন করেননি। কেউ কেউ বললেন, তিনি পকেটি লোক নিয়ে সব ধরনের কাজকর্ম করেছেন।

এদিকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের কেউ কেউ বলেছেন, উন্নয়নে কোনো কাজই করেননি মমতাজ। গরিব মানুষকে তিনি অবহেলা করেছেন। সিঙ্গাইরে যা কিছু হয়েছে, সবকিছু তিনি তাঁর আত্মীয়স্বজন দিয়েই করিয়েছেন। চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের সমালোচিত অভিনেতা ডিপজলকেও মমতাজের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেছে। হারার পর কেউ কেউ ডিপজলের প্রসঙ্গও এনেছেন। বলেছেন, ‘তিনি (মমতাজ) ডিপজলকে এনে নির্বাচনী বক্তব্য দিয়েছেন। ডিপজল বলেছে, সানডে–মানডে ক্লোজ কইরা দেবে। ক্লোজ কইরা দিতে গিয়ে তো নিজেই ক্লোজ হয়ে গেছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীণ এক বাসিন্দা নিজেকে মমতাজের বাবা মধু বয়াতির বন্ধু পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মমতাজ খুব ভালো গান গায়। বিখ্যাত মানুষ। কিন্তু এটা দিয়ে তো আমাদের ভাত জুটবে না। পাবলিকের জন্য বাস্তবমুখী কিছু একটা দরকার। ৫০ বেডের একটা হাসপাতাল হওয়ার কথা। তার কাছে ডিও লেটারের জন্য গিয়েছি, তিনি দেননি। তিনবার গিয়েছি। এটা তো আমাকে বঞ্চিত করা না, এলাকার মানুষকে বঞ্চিত করা। এ রকম অনেক প্রকল্প হাতছাড়া হয়েছে। কাজের জন্য গেলে জনগণকে ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। তার বাবা মধু বয়াতি আমার বন্ধু ছিল। দোস্ত দোস্ত বলত। সেই দাবি নিয়েও গিয়েছি। কিন্তু সেই দাবির কোনো কিছুই মমতাজ রাখেনি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ–২ নির্বাচনী আসনে মোট ১১ জন চেয়ারম্যান; তাঁদের মধ্যে ৮ জন মমতাজের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তাঁরা চেয়েছেন, মমতাজ ছাড়া অন্য কেউ আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হোক।

চান্দহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শওকত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমরা আটজন চেয়ারম্যান পাঁচ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে নেই। তিনি আমাদের অবমূল্যায়ন করেন, অসম্মান করেন। উনি কিছু খারাপ লোক দ্বারা পরিবেষ্টিত আছেন। তাঁরাই সব উন্নয়নমূলক কাজ করেন। আমরা চেয়ারম্যান হয়েও জনগণের জন্য কোনো কাজ করতে পারি না। তিনি থানা কমিটি করেছেন, সেখান থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। পরে জেলা কমিটির মাধ্যমে নিজেদের জায়গা করেছি। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, এরপরও আমাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। দুর্নীতিবাজদের তিনি পুনর্বাসন করেছেন। আমাদের কথাবার্তাকে তোয়াক্কা করেননি। রাজনৈতিকভাবে আমাদের অনেককে দমিয়ে রাখতে চেয়েছেন। তাঁর ক্যাডার বাহিনী দিয়ে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করতে চেয়েছেন। পারিবারিকভাবে তিনিও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন। এসব তাঁর ব্যাপার। মোটকথা, তিনি গেল পাঁচ বছরে নিজের শেকড় ভুলে গেছেন।’

দলের প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে না পারা এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে মমতাজ বেগমের হেরে যাওয়ার মূল কারণ। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্নামেও পড়েছিলেন তিনি।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ বলেন, ‘মমতাজ দীর্ঘদিন এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী। জনগণ হয়তো নতুন কিছু ভেবে আমাকে জয়ী করেছেন।’

সংবাদ সূত্র: প্রথম আলো

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া