শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তিনবারের সংসদ সদস্য সংগীতশিল্পী মমতাজের হারার কারণ

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জে–২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকে লড়েছিলেন ৩ বারের সংসদ সদস্য বাংলাদেশি লোকগানের তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম। গানে গানে মানুষের মনে আনন্দের খোরাক জোগানো মমতাজ এবারের নির্বাচনে আর শেষ হাসি হাসতে পারলেন না।

যদিও ভোট গণনার আগে থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নিজের জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হন ট্রাক প্রতীকে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের (টুলু) কাছে। মমতাজের হারের পর এলাকাবাসী তাঁকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। হারার পেছনে বিভিন্ন যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। মমতাজ বেগম নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতেই ব্যস্ত ছিলেন। নিজের ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোথাও সেভাবে উন্নয়ন করেননি বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।

সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমান বলেন, কালোটাকার ব্যাপক বেপরোয়া ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে কারচুপিও এই ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনী এলাকার হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের (সদ্য পদত্যাগ করা) চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মমতাজ বেগম। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুশফিকুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মমতাজ তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমানকে দাঁড় করান। নির্বাচনে মুশফিকুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মুশফিকুর রহমান এই নির্বাচনেও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। আর হরিরামপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজ বেগমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। এরপর ওই নির্বাচন স্থগিত হলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজের তুমুল বিরোধ দেখা দেয়। সাইদুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচণ্ডভাবে প্রচার-প্রচারণায় নামেন। এটি ভোটের মাঠে মমতাজের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বোঝা যাচ্ছিল, ভোটের হিসাব–নিকাশ একটু অন্য রকম হতে পারে। পাল্টে যেতেও পারে। মানিকগঞ্জ–২ আসনের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। তাঁরাও মমতাজের কাছ থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। মমতাজের সৎমা ও তিন বোনের মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টিও এলাকার মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। অনেকে এমনও বলছেন, যিনি পরিবারে সমর্থন পান না, তিনি সবার সমর্থন কীভাবে পাবেন।

সিঙ্গাইর-হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর নিয়েই মানিকগঞ্জ–২ নির্বাচনী আসন। সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন সাতেক আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের নিজ গ্রাম পূর্ব ভাকুম এলাকায় নির্বাচনী উঠান বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে সমর্থন জানান মমতাজের তিন বোন। মমতাজের বোন শাহনাজ বেগম জয়মণ্টপ ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য। তিনি বলেছিলেন, পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় মমতাজ বেগমকে তাঁরা পাশে পাননি। উল্টো জমিজমা ও সম্পত্তি বণ্টনে বৈষম্য করেছেন। এ কারণে তাঁরা ক্ষোভে বোনের প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের তিন সন্তান রেহেনা বেগম, জাহানারা বেগম ও শাহনাজ বেগম। সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মণ্টপ ইউনিয়নের পূর্ব ভাকুম গ্রামের মধু বয়াতির দ্বিতীয় স্ত্রী উজালা বেগমের সন্তান মমতাজ বেগম। জমিসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মমতাজের সঙ্গে তাঁর তিন সৎবোনের বিরোধ রয়েছে। এ কারণে নির্বাচনে মমতাজ বেগমের পাশে ছিলেন না তাঁরা।

গানের শিল্পী মমতাজ দেড় যুগ আগে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। আর ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মমতাজ। এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে লড়েছেন তিনি। মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে গেলেন তিনবারের সংসদ সদস্য মমতাজ। মমতাজ বেগমকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। নির্বাচনে ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়েছেন জাহিদ আহমেদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট। গতকাল রাত ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেহানা আকতার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার এলেও সিঙ্গাইরে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া আসেনি বলে জানালেন স্থানীয় সিঙ্গাইরের বাইমাইল এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, বাইমাইলে একটা সেতু এক বছরের বেশি সময় পড়ে আছে। লোকজনের হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। ১৫ বছরে সিঙ্গাইরে কোনো উন্নয়ন করেননি। কেউ কেউ বললেন, তিনি পকেটি লোক নিয়ে সব ধরনের কাজকর্ম করেছেন।

এদিকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের কেউ কেউ বলেছেন, উন্নয়নে কোনো কাজই করেননি মমতাজ। গরিব মানুষকে তিনি অবহেলা করেছেন। সিঙ্গাইরে যা কিছু হয়েছে, সবকিছু তিনি তাঁর আত্মীয়স্বজন দিয়েই করিয়েছেন। চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের সমালোচিত অভিনেতা ডিপজলকেও মমতাজের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেছে। হারার পর কেউ কেউ ডিপজলের প্রসঙ্গও এনেছেন। বলেছেন, ‘তিনি (মমতাজ) ডিপজলকে এনে নির্বাচনী বক্তব্য দিয়েছেন। ডিপজল বলেছে, সানডে–মানডে ক্লোজ কইরা দেবে। ক্লোজ কইরা দিতে গিয়ে তো নিজেই ক্লোজ হয়ে গেছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীণ এক বাসিন্দা নিজেকে মমতাজের বাবা মধু বয়াতির বন্ধু পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মমতাজ খুব ভালো গান গায়। বিখ্যাত মানুষ। কিন্তু এটা দিয়ে তো আমাদের ভাত জুটবে না। পাবলিকের জন্য বাস্তবমুখী কিছু একটা দরকার। ৫০ বেডের একটা হাসপাতাল হওয়ার কথা। তার কাছে ডিও লেটারের জন্য গিয়েছি, তিনি দেননি। তিনবার গিয়েছি। এটা তো আমাকে বঞ্চিত করা না, এলাকার মানুষকে বঞ্চিত করা। এ রকম অনেক প্রকল্প হাতছাড়া হয়েছে। কাজের জন্য গেলে জনগণকে ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। তার বাবা মধু বয়াতি আমার বন্ধু ছিল। দোস্ত দোস্ত বলত। সেই দাবি নিয়েও গিয়েছি। কিন্তু সেই দাবির কোনো কিছুই মমতাজ রাখেনি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ–২ নির্বাচনী আসনে মোট ১১ জন চেয়ারম্যান; তাঁদের মধ্যে ৮ জন মমতাজের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তাঁরা চেয়েছেন, মমতাজ ছাড়া অন্য কেউ আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হোক।

চান্দহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শওকত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমরা আটজন চেয়ারম্যান পাঁচ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে নেই। তিনি আমাদের অবমূল্যায়ন করেন, অসম্মান করেন। উনি কিছু খারাপ লোক দ্বারা পরিবেষ্টিত আছেন। তাঁরাই সব উন্নয়নমূলক কাজ করেন। আমরা চেয়ারম্যান হয়েও জনগণের জন্য কোনো কাজ করতে পারি না। তিনি থানা কমিটি করেছেন, সেখান থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। পরে জেলা কমিটির মাধ্যমে নিজেদের জায়গা করেছি। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, এরপরও আমাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। দুর্নীতিবাজদের তিনি পুনর্বাসন করেছেন। আমাদের কথাবার্তাকে তোয়াক্কা করেননি। রাজনৈতিকভাবে আমাদের অনেককে দমিয়ে রাখতে চেয়েছেন। তাঁর ক্যাডার বাহিনী দিয়ে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করতে চেয়েছেন। পারিবারিকভাবে তিনিও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন। এসব তাঁর ব্যাপার। মোটকথা, তিনি গেল পাঁচ বছরে নিজের শেকড় ভুলে গেছেন।’

দলের প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে না পারা এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে মমতাজ বেগমের হেরে যাওয়ার মূল কারণ। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্নামেও পড়েছিলেন তিনি।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ বলেন, ‘মমতাজ দীর্ঘদিন এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী। জনগণ হয়তো নতুন কিছু ভেবে আমাকে জয়ী করেছেন।’

সংবাদ সূত্র: প্রথম আলো

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীর সীমান্তে আবারও মুখোমুখি হলো ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের সেনারা। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান প্রথমে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি ছোড়ে, এর পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনী।

সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, কাশ্মীর ছাড়াও লাদাখ সীমান্তে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগের রাতেও একই ধরনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, যা চলমান উত্তেজনাকে আরও উসকে দিয়েছে।

এই অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানাতে এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক মহল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে বলেন, "কাশ্মীরের সংঘাত শতাব্দীপ্রাচীন। আমি ভারত ও পাকিস্তানের দুই পক্ষকেই চিনি। তারা নিজেরাই কোনো না কোনোভাবে এই সমস্যার সমাধান করবে।"

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, তারা কাশ্মীর পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, যদিও এ বিষয়ে সরাসরি কোনো অবস্থান নেয়নি। ব্রিটিশ সরকারও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নাগরিকদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে সিন্ধু পানি চুক্তি ঘিরে। ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল দিল্লিতে অমিত শাহর বাসভবনে জরুরি বৈঠক শেষে জানান, পাকিস্তানকে সিন্ধুর এক ফোঁটা পানিও দেয়া হবে না—এমন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভারতের এমন পদক্ষেপ যুদ্ধের প্ররোচনার সমতুল্য হবে এবং এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

উত্তেজনার মধ্যে মধ্যস্থতার আগ্রহ জানিয়েছে ইরানও। দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, তেহরান চায় দুই দেশের মধ্যে সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে। তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত।”

বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা নিয়েও চলছে বিতর্ক। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত তাদের সিন্ধু পানি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের আগে বিশ্বব্যাংককে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, পাকিস্তানকে জানানোই যথেষ্ট ছিল।

Header Ad
Header Ad

বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ

ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই প্রখর রোদ, ধোঁয়াটে বাতাস আর ঘামঝরা ক্লান্তি। শহর হোক বা গ্রাম—প্রচণ্ড গরমে বাইরে বের হওয়াটাই যেন একটা যুদ্ধ। স্বস্তি খুঁজতে আমরা সবাই ছুটে যাই ঠান্ডা পানির দিকে। কেউ কেউ তো বাইরে থেকে ফিরেই তড়িঘড়ি করে ঢুকে পড়েন বাথরুমে—এক বালতি ঠান্ডা পানি ঢেলে দেন শরীরে। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাসটি আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে?

হঠাৎ গোসল নয়:

শারীরিক বিপদ ডেকে আনতে পারে- রোদে অনেকক্ষণ থাকার ফলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। হঠাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের বাইরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়, কিন্তু ভেতরের তাপমাত্রা তখনও গরম থাকে। এই আকস্মিক তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলে ‘থার্মাল শক’ বা শরীরিক শক লাগতে পারে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে।

করণীয়:

শরীরকে দিন স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময়- রোদ থেকে ফিরে সঙ্গে সঙ্গে গোসল না করে প্রথমে ঠান্ডা পরিবেশে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। ফ্যান বা এসির নিচে বসে শরীরের ঘাম শুকিয়ে নিন। এরপর ২০-৩০ মিনিট পর গোসল করুন। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক তাপমাত্রার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

কেমন পানি ব্যবহার করবেন?

অনেকে ঠান্ডা আরাম পেতে বরফজমা ফ্রিজের পানি দিয়ে গোসল করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি হজম সমস্যা, মাথাব্যথা, জ্বর এমনকি হাইপোথার্মিয়ার মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। এর পরিবর্তে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করাই শ্রেয়।

মাথায় সরাসরি পানি নয়, ধাপে ধাপে গোসল করুন:

গরমে বাইরে থেকে এসে সরাসরি মাথায় ঠান্ডা পানি ঢাললে তা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এতে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রথমে পা, তারপর হাত, তারপর ধীরে ধীরে শরীরের ওপরের অংশে পানি দিন। একদম শেষে মাথায় পানি ঢালুন। এতে মস্তিষ্কের ওপর চাপ কম পড়ে এবং বিপদ এড়ানো যায়।

গোসলের বিকল্প সতেজতা:

গরমে সতেজ থাকতে শুধু গোসলই নয়, পর্যাপ্ত পানি পান, হালকা ও শসা জাতীয় খাবার খাওয়া, খোলা জামাকাপড় পরা এবং রোদে বাইরে বের হলে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করাও জরুরি। শরীর যত সহজে ঠান্ডা থাকবে, ততই ক্লান্তি ও অসুস্থতা দূরে থাকবে। গরমে আরাম পেতে গা ভেজানো স্বস্তিদায়ক ঠিকই, তবে তা যেন বিপদ না ডেকে আনে। একটু সচেতনতা আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ ও সতেজ।

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক প্রাণঘাতী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে তার মতামত দেন।

ট্রাম্প বলেন, "আমি ভারতের খুব কাছের, আবার পাকিস্তানেরও খুব কাছের। কাশ্মীর নিয়ে তাদের লড়াই বহু পুরনো—হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সংঘাত চলেছে।" তিনি দ্বিপাক্ষিক বিরোধের গভীরতা বোঝাতে একে ১৫০০ বছরের পুরনো বলেও উল্লেখ করেন।

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘খুবই খারাপ’ বলে অভিহিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই হামলার পরই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। হামলার পেছনে পাকিস্তানের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করে ভারত, এবং তার জবাবে পাকিস্তানও নেয় পাল্টা পদক্ষেপ।

ট্রাম্প আরও বলেন, "আমি নিশ্চিত, ভারত ও পাকিস্তান কোনো না কোনোভাবে এই বিরোধ মিটিয়ে ফেলবে। আমি উভয় দেশের নেতাদেরই চিনি।" তিনি দুই দেশকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতারাও উভয় পক্ষকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে চলেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা
ভারত-পাকিস্তান বিরোধে উত্তেজনা, শান্তির বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলো ইরান
তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’
কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার
‘সংস্কার না নির্বাচন’ এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস আলম
যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই মস্কোয় গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত
পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানাতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ