শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তিনবারের সংসদ সদস্য সংগীতশিল্পী মমতাজের হারার কারণ

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জে–২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকে লড়েছিলেন ৩ বারের সংসদ সদস্য বাংলাদেশি লোকগানের তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম। গানে গানে মানুষের মনে আনন্দের খোরাক জোগানো মমতাজ এবারের নির্বাচনে আর শেষ হাসি হাসতে পারলেন না।

যদিও ভোট গণনার আগে থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নিজের জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হন ট্রাক প্রতীকে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের (টুলু) কাছে। মমতাজের হারের পর এলাকাবাসী তাঁকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। হারার পেছনে বিভিন্ন যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। মমতাজ বেগম নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতেই ব্যস্ত ছিলেন। নিজের ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোথাও সেভাবে উন্নয়ন করেননি বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।

সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমান বলেন, কালোটাকার ব্যাপক বেপরোয়া ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে কারচুপিও এই ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনী এলাকার হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের (সদ্য পদত্যাগ করা) চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মমতাজ বেগম। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুশফিকুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মমতাজ তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমানকে দাঁড় করান। নির্বাচনে মুশফিকুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মুশফিকুর রহমান এই নির্বাচনেও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। আর হরিরামপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজ বেগমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। এরপর ওই নির্বাচন স্থগিত হলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজের তুমুল বিরোধ দেখা দেয়। সাইদুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচণ্ডভাবে প্রচার-প্রচারণায় নামেন। এটি ভোটের মাঠে মমতাজের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বোঝা যাচ্ছিল, ভোটের হিসাব–নিকাশ একটু অন্য রকম হতে পারে। পাল্টে যেতেও পারে। মানিকগঞ্জ–২ আসনের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। তাঁরাও মমতাজের কাছ থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। মমতাজের সৎমা ও তিন বোনের মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টিও এলাকার মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। অনেকে এমনও বলছেন, যিনি পরিবারে সমর্থন পান না, তিনি সবার সমর্থন কীভাবে পাবেন।

সিঙ্গাইর-হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর নিয়েই মানিকগঞ্জ–২ নির্বাচনী আসন। সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন সাতেক আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের নিজ গ্রাম পূর্ব ভাকুম এলাকায় নির্বাচনী উঠান বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে সমর্থন জানান মমতাজের তিন বোন। মমতাজের বোন শাহনাজ বেগম জয়মণ্টপ ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য। তিনি বলেছিলেন, পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় মমতাজ বেগমকে তাঁরা পাশে পাননি। উল্টো জমিজমা ও সম্পত্তি বণ্টনে বৈষম্য করেছেন। এ কারণে তাঁরা ক্ষোভে বোনের প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের তিন সন্তান রেহেনা বেগম, জাহানারা বেগম ও শাহনাজ বেগম। সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মণ্টপ ইউনিয়নের পূর্ব ভাকুম গ্রামের মধু বয়াতির দ্বিতীয় স্ত্রী উজালা বেগমের সন্তান মমতাজ বেগম। জমিসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মমতাজের সঙ্গে তাঁর তিন সৎবোনের বিরোধ রয়েছে। এ কারণে নির্বাচনে মমতাজ বেগমের পাশে ছিলেন না তাঁরা।

গানের শিল্পী মমতাজ দেড় যুগ আগে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। আর ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মমতাজ। এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে লড়েছেন তিনি। মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে গেলেন তিনবারের সংসদ সদস্য মমতাজ। মমতাজ বেগমকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। নির্বাচনে ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়েছেন জাহিদ আহমেদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট। গতকাল রাত ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেহানা আকতার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার এলেও সিঙ্গাইরে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া আসেনি বলে জানালেন স্থানীয় সিঙ্গাইরের বাইমাইল এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, বাইমাইলে একটা সেতু এক বছরের বেশি সময় পড়ে আছে। লোকজনের হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। ১৫ বছরে সিঙ্গাইরে কোনো উন্নয়ন করেননি। কেউ কেউ বললেন, তিনি পকেটি লোক নিয়ে সব ধরনের কাজকর্ম করেছেন।

এদিকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের কেউ কেউ বলেছেন, উন্নয়নে কোনো কাজই করেননি মমতাজ। গরিব মানুষকে তিনি অবহেলা করেছেন। সিঙ্গাইরে যা কিছু হয়েছে, সবকিছু তিনি তাঁর আত্মীয়স্বজন দিয়েই করিয়েছেন। চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের সমালোচিত অভিনেতা ডিপজলকেও মমতাজের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেছে। হারার পর কেউ কেউ ডিপজলের প্রসঙ্গও এনেছেন। বলেছেন, ‘তিনি (মমতাজ) ডিপজলকে এনে নির্বাচনী বক্তব্য দিয়েছেন। ডিপজল বলেছে, সানডে–মানডে ক্লোজ কইরা দেবে। ক্লোজ কইরা দিতে গিয়ে তো নিজেই ক্লোজ হয়ে গেছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীণ এক বাসিন্দা নিজেকে মমতাজের বাবা মধু বয়াতির বন্ধু পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মমতাজ খুব ভালো গান গায়। বিখ্যাত মানুষ। কিন্তু এটা দিয়ে তো আমাদের ভাত জুটবে না। পাবলিকের জন্য বাস্তবমুখী কিছু একটা দরকার। ৫০ বেডের একটা হাসপাতাল হওয়ার কথা। তার কাছে ডিও লেটারের জন্য গিয়েছি, তিনি দেননি। তিনবার গিয়েছি। এটা তো আমাকে বঞ্চিত করা না, এলাকার মানুষকে বঞ্চিত করা। এ রকম অনেক প্রকল্প হাতছাড়া হয়েছে। কাজের জন্য গেলে জনগণকে ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। তার বাবা মধু বয়াতি আমার বন্ধু ছিল। দোস্ত দোস্ত বলত। সেই দাবি নিয়েও গিয়েছি। কিন্তু সেই দাবির কোনো কিছুই মমতাজ রাখেনি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ–২ নির্বাচনী আসনে মোট ১১ জন চেয়ারম্যান; তাঁদের মধ্যে ৮ জন মমতাজের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তাঁরা চেয়েছেন, মমতাজ ছাড়া অন্য কেউ আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হোক।

চান্দহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শওকত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমরা আটজন চেয়ারম্যান পাঁচ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে নেই। তিনি আমাদের অবমূল্যায়ন করেন, অসম্মান করেন। উনি কিছু খারাপ লোক দ্বারা পরিবেষ্টিত আছেন। তাঁরাই সব উন্নয়নমূলক কাজ করেন। আমরা চেয়ারম্যান হয়েও জনগণের জন্য কোনো কাজ করতে পারি না। তিনি থানা কমিটি করেছেন, সেখান থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। পরে জেলা কমিটির মাধ্যমে নিজেদের জায়গা করেছি। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, এরপরও আমাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। দুর্নীতিবাজদের তিনি পুনর্বাসন করেছেন। আমাদের কথাবার্তাকে তোয়াক্কা করেননি। রাজনৈতিকভাবে আমাদের অনেককে দমিয়ে রাখতে চেয়েছেন। তাঁর ক্যাডার বাহিনী দিয়ে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করতে চেয়েছেন। পারিবারিকভাবে তিনিও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন। এসব তাঁর ব্যাপার। মোটকথা, তিনি গেল পাঁচ বছরে নিজের শেকড় ভুলে গেছেন।’

দলের প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে না পারা এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে মমতাজ বেগমের হেরে যাওয়ার মূল কারণ। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্নামেও পড়েছিলেন তিনি।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ বলেন, ‘মমতাজ দীর্ঘদিন এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী। জনগণ হয়তো নতুন কিছু ভেবে আমাকে জয়ী করেছেন।’

সংবাদ সূত্র: প্রথম আলো

Header Ad

টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার মামলায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুন সিকদারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যটিলিয়ান (র‌্যাব-১৪)।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) র‌্যাব-১৪ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ধুলটিয়া বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের বীরপুশিয়া গ্রামের ফজল সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার (৪১), একই গ্রামের বাহেজ উদ্দিনের ছেলে মমিতুল ইসলাম প্রমি (৩০) ও ঢেলি করটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাব্বির।

র‌্যাব-১৪ জানায়, গত ৪ আগস্ট সকালে টাঙ্গাইল শহরের বটতলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দুষ্কৃতিকারীরা ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। এতে মিছিলে অংশগ্রহণকারী লতিফ মিয়া নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় লতিফ মিয়া বাদি হয়ে গত ১৩ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি নাশকতা মামলা (নং-১৮) দায়ের করেন।

এরপর মামলা দায়ের করা হলে র‌্যাব-১৪ এর সিপিপি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি টিম বুধবার রাতে সদর উপজেলার ধুলুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Header Ad

এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি পরিষেবায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠাসহ জনবান্ধব ভূমি পরিষেবায় জনদুর্ভোগ ও হয়রানি পরিহারের লক্ষ্যে ভূমি কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ভূমি কর্মচারী কর্মস্থলে বা একই শাখায় তিন বছরের বেশি সময় কর্মরত থাকলে তাকে অন্যত্র বদলি করাতে হবে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

প্রকাশিত পরিপত্রে বলা হয়, সব নাগরিকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন, জনবান্ধব ও হয়রানিমুক্ত ভূমিসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতাধীন একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন কর্মরত (১০ম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডের) কর্মচারীদের ওই কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলি করা সমীচীন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতাধীন একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত কর্মচারীদের ওই কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলির ক্ষেত্রে চারটি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো- মাঠ পর্যায়ে ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মচারীদের জন্য পর্যায়ক্রমে সব বিষয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া। মাঠ পর্যায়ে জনবান্ধব ভূমিসেবা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের দুর্ভোগ ও হয়রানি পরিহারে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের মধ্যে যিনি বা যারা একই কর্মস্থলে বা একই শাখায় ৩ বছরের বেশি সময় কর্মরত আছেন, তাদের কর্মস্থল বা শাখা পরিবর্তন বা অন্যত্র বদলি করা।

দুর্গম বা প্রতিকূল যোগাযোগসম্পন্ন এলাকায় কর্মরত কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর হলেই তাকে অন্যত্র বদলি করা। শারীরিক অসুস্থতা বা নৈতিক স্খলনজনিত বা সুনির্দিষ্ট বা যুক্তিসঙ্গত কারণে নির্ধারিত সময়ের আগে কোনো কর্মচারীকে অন্যত্র বা আন্তঃজেলায় বদলি করা হলে জেলা প্রশাসক এবং ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় কমিশনারের বদলির কারণ দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন আকারে ভূমি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা।

Header Ad

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উত্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনাসহ নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরকারি কলেজ, নজিপুর সরকারি মহিলা কলেজ, নজিপুর হাইস্কুল, নজিপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা ও নজিপুর বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় করেন তারা।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাওছার মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামিল মুরছালিন, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় কুমার সরকারসহ স্থানীয় ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে চাই। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, আমরা সেই ত্রাসের রাজনীতি না করে, ছাত্র রাজনীতিতে সংস্কার করতে চাই। আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে এসেছি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে এই সংক্রান্ত ৩১ দফা শিক্ষার্থীদের কাছে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।

মতবিনিময়কালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। এছাড়া ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে দেশে কী ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা, শিক্ষার্থীরা কী ধরনের পরিবর্তন চান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি
৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়
বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আগামীতে আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: তারেক রহমান
বঙ্গবন্ধু নাম পাল্টে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানালেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল
মাউশির ৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নতুন উপ-পরিচালক
ঢাবিতে ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ
গাইবান্ধায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
উদ্বোধন হলো বেনাপোলের কার্গো ইয়ার্ড টার্মিনাল: বাড়বে বাণিজ্য, কমবে যানজট
চুয়াডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর বাজার তদারকি অভিযান, জরিমানা আদায়
ব্রিকসে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব পেল তুরস্ক
জনস্বার্থে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করার নির্দেশ