বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তিনবারের সংসদ সদস্য সংগীতশিল্পী মমতাজের হারার কারণ

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জে–২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকে লড়েছিলেন ৩ বারের সংসদ সদস্য বাংলাদেশি লোকগানের তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম। গানে গানে মানুষের মনে আনন্দের খোরাক জোগানো মমতাজ এবারের নির্বাচনে আর শেষ হাসি হাসতে পারলেন না।

যদিও ভোট গণনার আগে থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নিজের জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হন ট্রাক প্রতীকে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের (টুলু) কাছে। মমতাজের হারের পর এলাকাবাসী তাঁকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। হারার পেছনে বিভিন্ন যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। মমতাজ বেগম নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতেই ব্যস্ত ছিলেন। নিজের ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোথাও সেভাবে উন্নয়ন করেননি বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।

সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমান বলেন, কালোটাকার ব্যাপক বেপরোয়া ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে কারচুপিও এই ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনী এলাকার হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের (সদ্য পদত্যাগ করা) চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মমতাজ বেগম। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুশফিকুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মমতাজ তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমানকে দাঁড় করান। নির্বাচনে মুশফিকুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মুশফিকুর রহমান এই নির্বাচনেও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। আর হরিরামপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজ বেগমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। এরপর ওই নির্বাচন স্থগিত হলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজের তুমুল বিরোধ দেখা দেয়। সাইদুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচণ্ডভাবে প্রচার-প্রচারণায় নামেন। এটি ভোটের মাঠে মমতাজের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বোঝা যাচ্ছিল, ভোটের হিসাব–নিকাশ একটু অন্য রকম হতে পারে। পাল্টে যেতেও পারে। মানিকগঞ্জ–২ আসনের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। তাঁরাও মমতাজের কাছ থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। মমতাজের সৎমা ও তিন বোনের মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টিও এলাকার মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। অনেকে এমনও বলছেন, যিনি পরিবারে সমর্থন পান না, তিনি সবার সমর্থন কীভাবে পাবেন।

সিঙ্গাইর-হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর নিয়েই মানিকগঞ্জ–২ নির্বাচনী আসন। সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন সাতেক আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের নিজ গ্রাম পূর্ব ভাকুম এলাকায় নির্বাচনী উঠান বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে সমর্থন জানান মমতাজের তিন বোন। মমতাজের বোন শাহনাজ বেগম জয়মণ্টপ ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য। তিনি বলেছিলেন, পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় মমতাজ বেগমকে তাঁরা পাশে পাননি। উল্টো জমিজমা ও সম্পত্তি বণ্টনে বৈষম্য করেছেন। এ কারণে তাঁরা ক্ষোভে বোনের প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের তিন সন্তান রেহেনা বেগম, জাহানারা বেগম ও শাহনাজ বেগম। সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মণ্টপ ইউনিয়নের পূর্ব ভাকুম গ্রামের মধু বয়াতির দ্বিতীয় স্ত্রী উজালা বেগমের সন্তান মমতাজ বেগম। জমিসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মমতাজের সঙ্গে তাঁর তিন সৎবোনের বিরোধ রয়েছে। এ কারণে নির্বাচনে মমতাজ বেগমের পাশে ছিলেন না তাঁরা।

গানের শিল্পী মমতাজ দেড় যুগ আগে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। আর ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মমতাজ। এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে লড়েছেন তিনি। মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে গেলেন তিনবারের সংসদ সদস্য মমতাজ। মমতাজ বেগমকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। নির্বাচনে ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়েছেন জাহিদ আহমেদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট। গতকাল রাত ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রেহানা আকতার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার এলেও সিঙ্গাইরে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া আসেনি বলে জানালেন স্থানীয় সিঙ্গাইরের বাইমাইল এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, বাইমাইলে একটা সেতু এক বছরের বেশি সময় পড়ে আছে। লোকজনের হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। ১৫ বছরে সিঙ্গাইরে কোনো উন্নয়ন করেননি। কেউ কেউ বললেন, তিনি পকেটি লোক নিয়ে সব ধরনের কাজকর্ম করেছেন।

এদিকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের কেউ কেউ বলেছেন, উন্নয়নে কোনো কাজই করেননি মমতাজ। গরিব মানুষকে তিনি অবহেলা করেছেন। সিঙ্গাইরে যা কিছু হয়েছে, সবকিছু তিনি তাঁর আত্মীয়স্বজন দিয়েই করিয়েছেন। চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের সমালোচিত অভিনেতা ডিপজলকেও মমতাজের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেছে। হারার পর কেউ কেউ ডিপজলের প্রসঙ্গও এনেছেন। বলেছেন, ‘তিনি (মমতাজ) ডিপজলকে এনে নির্বাচনী বক্তব্য দিয়েছেন। ডিপজল বলেছে, সানডে–মানডে ক্লোজ কইরা দেবে। ক্লোজ কইরা দিতে গিয়ে তো নিজেই ক্লোজ হয়ে গেছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীণ এক বাসিন্দা নিজেকে মমতাজের বাবা মধু বয়াতির বন্ধু পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মমতাজ খুব ভালো গান গায়। বিখ্যাত মানুষ। কিন্তু এটা দিয়ে তো আমাদের ভাত জুটবে না। পাবলিকের জন্য বাস্তবমুখী কিছু একটা দরকার। ৫০ বেডের একটা হাসপাতাল হওয়ার কথা। তার কাছে ডিও লেটারের জন্য গিয়েছি, তিনি দেননি। তিনবার গিয়েছি। এটা তো আমাকে বঞ্চিত করা না, এলাকার মানুষকে বঞ্চিত করা। এ রকম অনেক প্রকল্প হাতছাড়া হয়েছে। কাজের জন্য গেলে জনগণকে ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। তার বাবা মধু বয়াতি আমার বন্ধু ছিল। দোস্ত দোস্ত বলত। সেই দাবি নিয়েও গিয়েছি। কিন্তু সেই দাবির কোনো কিছুই মমতাজ রাখেনি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ–২ নির্বাচনী আসনে মোট ১১ জন চেয়ারম্যান; তাঁদের মধ্যে ৮ জন মমতাজের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তাঁরা চেয়েছেন, মমতাজ ছাড়া অন্য কেউ আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হোক।

চান্দহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শওকত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমরা আটজন চেয়ারম্যান পাঁচ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে নেই। তিনি আমাদের অবমূল্যায়ন করেন, অসম্মান করেন। উনি কিছু খারাপ লোক দ্বারা পরিবেষ্টিত আছেন। তাঁরাই সব উন্নয়নমূলক কাজ করেন। আমরা চেয়ারম্যান হয়েও জনগণের জন্য কোনো কাজ করতে পারি না। তিনি থানা কমিটি করেছেন, সেখান থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। পরে জেলা কমিটির মাধ্যমে নিজেদের জায়গা করেছি। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, এরপরও আমাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। দুর্নীতিবাজদের তিনি পুনর্বাসন করেছেন। আমাদের কথাবার্তাকে তোয়াক্কা করেননি। রাজনৈতিকভাবে আমাদের অনেককে দমিয়ে রাখতে চেয়েছেন। তাঁর ক্যাডার বাহিনী দিয়ে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করতে চেয়েছেন। পারিবারিকভাবে তিনিও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন। এসব তাঁর ব্যাপার। মোটকথা, তিনি গেল পাঁচ বছরে নিজের শেকড় ভুলে গেছেন।’

দলের প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে না পারা এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে মমতাজ বেগমের হেরে যাওয়ার মূল কারণ। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্নামেও পড়েছিলেন তিনি।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ বলেন, ‘মমতাজ দীর্ঘদিন এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী। জনগণ হয়তো নতুন কিছু ভেবে আমাকে জয়ী করেছেন।’

সংবাদ সূত্র: প্রথম আলো

Header Ad

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আখন্দ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভা‌বিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দকে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ধারা ১০ (১) অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে তার যোগদানের তারিখ থেকে নিয়োগ প্রদান করা হলো। ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ হ‌বে ৪ বছর।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ ও আহতরা এক লাখ টাকা করে পাবেন

ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যেক পরিবার প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা দেওয়া হবে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আহতদের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শহীদদের পরিবারের জন্য চেক হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সমাজের সব স্তরের মানুষ, বাংলাদেশি প্রবাসী, সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবারের সভায় কমিটি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য একটি অফিস স্পেস এবং এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস এবং অন্যান্য নথি এবং স্মারক সংরক্ষণ করা হবে এর মাধ্যমে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে বলেন, সামান্য পরিমাণ অর্থের অনুদানের দলিল করতে হবে এবং দাতাদের তালিকাও সংরক্ষণ করতে হবে। সম্ভব হলে তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটিকে সফল করতে আমাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, আহতদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে। সরকারের চিকিৎসার খরচ ছাড়াও ফাউন্ডেশন আহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমদ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরকারের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে প্রাণ হারানো মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় এ ফাউন্ডেশন। এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ। ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ করা হয় কাজী ওয়াকার আহমেদকে। কার্যনির্বাহী পরিষদে উপদেষ্টাদের মধ্যে আরও আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যোগ হবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

বক্তব্য রাখছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সারজিস বলেন, কোটা আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বক্তব্যকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্ৰেপ্তার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তাই ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টায় শরীয়তপুর পৌঁছান সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। দুপুর ১২টায় ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।

সর্বশেষ সংবাদ

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আখন্দ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ ও আহতরা এক লাখ টাকা করে পাবেন
শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস
নওগাঁর নিতপুর সীমান্ত থেকে ২ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
আবারও মিয়ানমার সীমান্তে গুলি, টেকনাফে আতঙ্ক
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
জিডির বাধ্যবাধকতা থাকছে না হারানো এনআইডি তুলতে
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬৫ জন
দিনব্যাপী মেরামত শেষে প্রস্তুত মেট্রোরেলের মতিঝিল রুট
সকালে উঠে সামনে নয়, পিছন দিকে হাঁটুন! উপকার জানলে অবাক হবেন
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ
মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫, অবসরে ৬৫ নির্ধারণের প্রস্তাব
শেখ হাসিনাসহ সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
বিটিভির খবর বেসরকারি টিভিগুলোকে প্রচার করতে হবে না: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে সম্মান দেখিয়ে গম্ভীর বললেন ‘আমরা কাউকে ভয় পাই না’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় অনুমোদন পেল ৪ প্রকল্প
রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক